চলারপথে রিপোর্ট :
বিগত ২০২২ – ২০২৩ অর্থ বছরের সার্বিক বিশ্লেষণে “সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা” গড়ার প্রত্যয়ে এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কর্মদক্ষতায় জেলার পেশাগত জ্ঞান, দক্ষতা, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ সহ ০৭ টি ক্যাটাগরিতে বিচার বিবেচনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচিত হওয়ায় বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ কে বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম এর পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম এর নেতৃবৃন্দ সম্মাননা স্মারক প্রদান কালে ইউএনও কে বলেন, আপনার এই কর্মদক্ষতার স্বীকৃতি সুফল ভোগ করব আমরা বিজয়নগরবাসী। আমরা দেখছি আপনি বিজয়নগর যোগদানের পর থেকে নিষ্ঠা ও সততার সাথে প্রশাসনিক বিভিন্ন কাজের গতি ফিরে আসছে। পাশাপাশি ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, মাদকদ্রব্য উদ্ধার ভূমিকা, বাল্য বিবাহ নিয়ন্ত্রণ, ভূমিদস্যু বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান, অবহেলিত মানুষের প্রশাসনিক হয়রানি বন্ধের মত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে যাচ্ছেন। আপনার কর্মগুনে চির দিন বিজয়নগরবাসী আপনাকে মনে রাখবে।
এ সময় বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম এর সভাপতি মোঃ আব্দুর রশিদ খাঁন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক, বিজয়নগর উপজেলা প্রেসক্লাব এর সভাপতি এস এম কামরুল হাসান শান্ত, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক শাহনেওয়াজ শাহ, সহ-সম্পাদক মোঃ আব্দুল হামিদ, জিয়াউর রহমান, মোঃ সাইমন মিয়া, সদস্য সুজন মিয়া, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।
এসময় সবার উদ্দেশ্যে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি বিজয়নগর উপজেলায় যোগদানের পরে উপজেলার সবার সহযোগিতায় চমৎকার কাজের পরিবেশ পেয়েছি। এবং নবগঠিত বিজয়নগর উপজেলায় অনেক কাজ করার সুযোগ রয়েছে। তাই মনে করি এই অর্জন বিজয়নগরবাসীর পাপ্য। সরকারি কর্মচারী হিসেবে চেষ্টা করে যাচ্ছি সরকারের সকল কাজের যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার পাঁচগাও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন খাঁন এর বিরুদ্ধে মিথ্যা কাল্পনিক ও মানহানিকর অভিযোগ তুলে অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের প্রতিবাদে পাঁচগাও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান ছাত্র ছাত্রী, সাবেক ছাত্রছাত্রীবৃন্দ ও এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রতিবাদ প্রদর্শন করেন।
আজ ৪ জুন রবিবার সকাল সাড়ে নয়টার সময় উপজেলার পাঁচগাও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রতিবাদ প্রদর্শন করা হয়।
পাঁচগাও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান ছাত্র ছাত্রী, সাবেক ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ ও এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রতিবাদ প্রদর্শন করে এমন ন্যাক্কার জনক ঘটনার পিছনের মূল হোতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এসময় এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন, ডা. আলী মিয়া, আব্দুল হাই, আব্দুর রহিম, আজিজুর রহমান, আব্দুল কাইয়ুম, তাজুল ইসলাম খান, সামসুল হক খান, আবুল কাশেম, সিরাজুল ইসলাম, জিয়া আলমগীর ও ছাত্রছাত্রীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন, তোহিদ ইমরান, আশরাফুল ইসলাম, মাজহারুল ইসলাম মাসুম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের জেরে পরিকল্পিত ভাবে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানো জন্য পাঁচগাও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন খাঁনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন প্রধান শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন খাঁন এর গ্রামের পার্শ্ববর্তী পাড়ার এক মহিলা।
চলারপথে রিপোর্ট :
অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারত প্রবেশের চেষ্টাকালে দুইজনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা। ২৫ এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণপুর সীমান্তের কাউহাটি এলাকা থেকে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন।
আটককৃতরা হলো : গৌতম চন্দ্র দাস (৫৫) ও তার স্ত্রী কবিতা রাণী দাস (৪৫)।
বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে সস্ত্রীক ভারত গমনের চেষ্টা করছিলেন গৌতম। পরে বিজিবির টহলরত সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানান, ভারতের আগরতলায় বসবাসরত গৌতম চন্দ্র দাসের শাশুড়ি মৃত্যুবরণ করায় তার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য অবৈধভাবে ভারত গমনের চেষ্টা করেছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরের উৎপাদিত আখের রসের লালি দেশজুড়ে খ্যাতি লাভ করেছে। কৃষি নির্ভর বিজয়নগর উপজেলায় গত কয়েকযুগ ধরে উৎপাদিত হচ্ছে আখের রসের লালি। মূলত শীতকালেই এই লালি উৎপাদিত হয়। এই লালি পিঠা-পুলির সাথে খেতে পছন্দ করেন ভোজন রসিকরা। আবার অনেকে মুড়ির সাথেও খান এই লালি।
চলতি বছর প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার লালি বিক্রি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কৃষি সংশ্লিষ্টতা।
কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলা, বিজয়নগর উপজেলা, কসবা উপজেলা ও আখাউড়া উপজেলার কিছু এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে আখ চাষ করা হয়। এসব আখের রস থেকে লালি উৎপাদন করেন চাষীরা।
চলতি বছর বিজয়নগর উপজেলার ২৫ হেক্টর জমিতে আখের চাষ হয়। এই আখ থেকে অন্তত ১শ টনেরও বেশি লালি উৎপাদন হবে আশা করছেন কৃষি বিভাগ। যার বাজার মূল্য কমপক্ষে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর, দুলালপুর ও বক্তারমুড়া গ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবার বংশ পরস্পরায় বাণিজিক্যভাবে লালি উৎপাদন করে আসছে। প্রতিবছর শীতের শুরুতে শুরু হয় লালি তৈরির কাজ। মূলত নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত চলে লালি তৈরি ও কেনা-বেচা। প্রতি কেজি লালি বা তরল গুড় খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।
প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন এলাকা ও আশপাশ এলাকা থেকে মানুষ লালি তৈরী দেখতে যায় বিজয়নগরে। অনেকে ফিরে যাওয়ার সময় লালি নিয়ে যাওয়া সহ আখের রস খেয়ে যান। প্রতিদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পযন্ত চলে লালি তৈরির কাজ।
প্রথমেই চলে আখ মাড়াই। পরে মহিষের ঘানি দিয়ে আখ মাড়াই করে আখের রস সংগ্রহ করা হয়। পরে রস ছাকনি দিয়ে ছেকে রাখা হয় বড় কড়াইয়ে। পরবর্তীতে এই রস দুই থেকে তিন ঘণ্টা জ্বাল দিয়ে ঘন করা হয়। জ্বাল দিয়ে রস লাল রং ধারণ করলে নামানো হয় কড়াই থেকে। এভাবেই তৈরি হয় মুখরোচক লালি বা তরল গুড়।
লালি নিতে আসা বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের শারমিন আক্তার জানান, প্রতি বছরই শীত মৌসুমে তিনি দুলালপুর থেকে লালি কিনে নিয়ে যান। তার শ্বশুরবাড়ির সবাই এই লালি খুবই পছন্দ করেন। তিনি জানান, পিঠার সাথে লালি খেতে খুবই ভালো লাগে।
দুলালপুর গ্রামের বাসিন্দা ও লালি উৎপাদনকারী মোহাম্মদ আলী ও রাকিব মিয়া জানান, কয়েক বছর আগেও তাদের গ্রামের অধিকাংশ মানুষ আখ চাষ করতো। বর্তমানে কমে যাচ্ছে আখ চাষীর সংখ্যা। আবার আখ কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে। ঘানি টানানোর জন্য লাখ টাকা বা তার চেয়ে বেশি দিয়ে মহিষ কিনতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে লালি তৈরিতে যে খরচ পড়ছে, সে অনুযায়ি দাম পাওয়া যায় না।
একই গ্রামের আরেকজন লালি চাষী সহিদ মিয়া জানান, বংশ পরস্পরায় তিনি লালি তৈরি করে আসছেন। তবে ভালো লাভ না হওয়ায় বিগত সময়ের চেয়ে এবার কম জমিতে আখ চাষ করেছেন।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ সাব্বির আহমেদ জানান, লালিগুড় তৈরিতে কোন ধরনের ক্ষতিকর কেমিক্যাল মেশানো হয় না। ক্ষতিকর কোন উপাদান ব্যবহার না করায় সারাদেশেই লালির জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনি বলেন, লালি গুড় উৎপাদনের সংশ্লিষ্টদের উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে পরামর্শ ও সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে দুই কোটি টাকার মূল্যের বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য সামগ্রী আটক করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (২৫) বিজিবি।
আজ ১ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে বিজিবি পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, জেলার সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি)র ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রানজিট ক্যাম্পের একটি টহল দল গত শনিবার (৩১ আগস্ট) ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা নামক স্থানে গাড়ি তল্লাশি চালায়। এসময় ঢাকাগামী একটি কাভার্ড ভ্যানে তল্লাশি চালিয়ে ভারতীয় অবৈধ স্কিন সাইন ক্রিম-৫৮ হাজার ৩২০ পিস, বেটনোভেট (এন) ক্রিম- ৮ হাজার ৪০০ পিস এবং স্ট্যাপলার পিন-১৯২ প্যাকেট আটক করে।
এছাড়া গত বৃহষ্পতিবার (২৯ আগস্ট) সিলেট হতে ঢাকাগামী পাথর বোঝাই একটি ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে ১১ হাজার ৪৫০ কেজি ভারতীয় চিনি উদ্ধার করা হয়। যার বাজার মূল্য ১৮ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা। আটককৃত চোরাচালানী মালামাল বিজিবি’র হেফাজতে রয়েছে। পরবর্তীতে আখাউড়া কাস্টমস অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে বিজিবি জানায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ও বিজয়নগর উপজেলায় বিজিবি’র পৃথক অভিযানে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য উদ্ধার হয়েছে। ২৫ অক্টোবর শুক্রবার রাতে আখাউড়ার বাউতলা সীমান্ত ও বিজয়নগরের চান্দুরা এলাকায় বিজিবি-২৫ ও বিজিবি-৬০ ব্যাটালিয়ন এ অভিযানচালায়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, রাত ১০টার দিকে বাউতলা এলাকায় বিজিবি’র ৬০ ব্যাটালিয়নের অভিযানে ৫২৬০ পিস ভারতীয় অবৈধ মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে জব্দ করা হয়। এসব ডিসপ্লে’র আনুমানিক মূল্য দুই কোটি ৬৩ লাখ টাকা। ২৫ ব্যাটালিয়নের অভিযানে রাত একটার দিকে চান্দুরা এলাকায় অভিযানে ৪৫০ কেজি জিরা, ৯৪২ মিটার সোফা ও কুশন কাভারের কাপড়, ১২ হাজার ৮৪৭ পিস বিভিন্ন ওষুধ, ছয় হাজার ৬৩৮ পিস সানগ্লাস, ২৮পিস শাড়ি, এক ৭৪৩ পিস ডগ ফুড, ২৩ হাজার ৫২০ পিস প্রসাধনী। এসব পণ্যের আনুমানিক মূল্য দুই কোটি ৬১ লাখ ৩০ হাজার ৭৪০ টাকা। এসব পণ্য আখাউড়া কাস্টমসে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে বিজিবি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।