চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় বিশ্বজিৎ পাল নামের এক সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার রাধানগরের দাসপাড়ার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত বিশ্বজিৎ পাল উপজেলার রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কালের কণ্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দেবগ্রামের বাসিন্দা সুমন ভূঁইয়া তার স্ত্রীসহ ছয় মাসের শিশুকে চিকিৎসক দেখাতে রাধানগরের দাসপাড়ার দি কমফোর্ট অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান। চিকিৎসক কাজী মাজহারুল ইসলামের কাছ থেকে ব্যবস্থাপত্র নিয়ে চেম্বার থেকে বের হন সুমন। এ সময় ক্লিনিকের ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে থাকা সালমা আক্তার সুমনের কাছে চিকিৎসকের পরামর্শ ফি হিসেবে ৪০০ টাকা চান। এতে ক্ষিপ্ত হন সুমন। একপর্যায়ে সালমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা শুরু করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা আশিষ সাহা নামের আরও একজনের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেন। পরে ফি না দিয়েই ক্লিনিকের মালিককে হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান সুমন।
এদিকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওই ক্লিনিকে চিকিৎসক দেখাতে যান সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সুমন ভূঁইয়া ২০-২৫ জন লোক নিয়ে ওই ক্লিনিকে যান। এ সময় সুমনের নেতৃত্বে ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক সালমা আক্তারকে জোর করে তুলে নিতে গেলে বিশ্বজিৎ পাল বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সুমনের নেতৃত্বে তার লোকজন সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পালের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাকে বাঁচাতে গেলে তার দুই চাচাতো ভাই আনন্দ পাল (২৮) ও প্রসেনজিৎ পালকে (২৮) তারা মারধর করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
হামলায় বিশ্বজিৎ পাল মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পান। পরে আহতদের উদ্ধার করে রাত পৌনে ৮টার দিকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
আহত বিশ্বজিৎ পাল বলেন, ক্লিনিক থেকে একটি মেয়েকে (সালমা আক্তার) তারা তুলে নিতে আসে। আমি তখন নিজেকে ওই মেয়ের অভিভাবক হিসেবে পরিচয় দিলে তারা আমাকে ‘তুই গার্ডিয়ান, দাঁড়া’ বলে আমার ওপর হামলা করে। এ সময় রাধানগর মোড়ে থাকা আমার দুই ভাই ঘটনা শুনে আমাকে বাঁচাতে আসে। পরে তাদেরকেও মারধর করা হয়।
এ বিষয়ে আখাউড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম জানান, তিনি হাসপাতালে গিয়ে আহতদের দেখে এসেছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৮ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের উদ্যোগে আজ ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভায় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ বোরহান উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ জামশেদ শাহা, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার মালদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল অহাব ভূইয়া, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সেলিম ভূইয়া, উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা এখনও ষড়যন্ত্র করছে। তারা দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি চায় না। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আগামী সংসদ নির্বাচনে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগকে বিজয়ী করে এদেশ থেকে স্বাধীনতা বিরোধীদের বিতারিত করে স্বাধীনতা বিরাধী অপশক্তি মুক্ত দেশ গড়ে তুলবো।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ মোসলেহ উদ্দিন আহম্মেদ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অব্যবস্থার তদন্তে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। ৩০ জুন রোববার বিকালে জেলার সিভিল সার্জনের নিকট প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
এর আগে গত শনিবার আখাউড়া পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিদর্শনে গিয়ে অব্যবস্থাপনা এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ দেখতে পেয়ে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম করেন এবং বিষয়টি ভিডিও কলে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হককে দেখালে মন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে বিষয়টি মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেন।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সিভিল সার্জন ডা. মো. বেলায়েত হোসেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শামীমা সুলতানাকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। দায়িত্ব পেয়ে রোববার তদন্ত কমিটির সদস্যরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে তদন্ত করেন। পরে বিকালে সিভিল সার্জনের নিকট প্রতিবেদন জমা দেন।
তদন্ত কমিটির সদস্য কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আলী আশরাফ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ডা. মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেয়েছি। রিপোর্টে বড় কোন অব্যস্থাপনা পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে স্টোর না থাকায় নিলামযোগ্য মালামালগুলো হাসপাতালের ভেতরে রাখা হয়েছিল। এজন্য দেখতে খারাপ লাগছিল। শিগগিরই এগুলো নিলাম দেওয়া হবে। ওই দিন হাসপালের রোগীদের খাবার দেওয়ায় বিলম্ব এবং নিম্নমানের খাবার সরবরাহের বিষয়ে ঠিকাদারকে শোকজ করা হয়েছে। ৩ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলায় অকৃতকার্য হয়েছে ৪৩৩ জন। ১২ মে রবিবার সারাদেশের ন্যায় আখাউড়ায় এসএসসি সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়। অকৃতকার্য ছাত্রছাত্রীর বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রী ইংরেজি ও গণিতে ফেল করেছে। এছাড়া অন্যান্য বিষয়েও কেউ কেউ ফেল করেছে। কয়েজন শিক্ষকের সাথে কথা বলে এবং কিছু ফলাফল পর্যালোচনা করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
কয়েকজন শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে ইংরেজি ও গণিতে বেশি ফেল করার কারণ হিসেবে পাওয়া গেছে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখা। কোভিড- ছাত্রছাত্রীদের অমনোযোগিতা, নিয়মিত ক্লাশ না করা, অভিভাবকের সচেতনতার অভাবসহ আরও কিছু অজুহাত দিচ্ছেন শিক্ষকরা। অভিভাবকদের দাবী, শিক্ষকরা আন্তরিকভাবে পাঠদান করে না। ইংরেজি ও গণিতে মান সম্মত শিক্ষকের অভাব। প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষকের স্বল্পতা। যোগ্য ম্যানেজিং কমিটির অভাবসহ রয়েছে আরও কিছু সমস্যা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১ হাজার ৬২৮ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১ হাজার ১৯৫ জন। শতকরা পাশের হার ৭৩.৪০।
সাকিবুল হাসান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, স্কুলে স্যারেরা ঠিকমতো পড়ায় না। প্রায়ই স্কুল বন্ধ থাকে।
কাউসার হোসেন নামে এক অভিভাবক বলেন, শিক্ষকরা ঠিকমত ক্লাশ করায় না। প্রাইভেট পড়ানো নিয়ে ব্যস্ত থাকে। স্কুলে সময় দেয় না। তাছাড়া শিক্ষকদের মধ্যে গ্রুপিং। এসব কারণেও ছাত্রছাত্রীরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
কাজী সুহেল নামে আরেক অভিভাবক বলেন, অনেকগুলো স্কুলে দীর্ঘ দিন ধরে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নাই। এসব স্কুল চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান দিয়ে। ফলে প্রশাসনিক দক্ষতার অভাবে পড়ালেখার ক্ষতি হচ্ছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ রেজাউল করিম বলেন, করোনার কারণে এই ছেলে মেয়েরা নিচের ক্লাশ থেকে দুর্বল হয়ে এসেছে। তাছাড়া ছেলেমেয়েরা নিয়মিত ক্লাশে না আসার কারণেও পড়ার ক্ষতি হয়েছে। আমাদের অভিভাবদেরকে আরও সচেতন হতে হবে।
জানতে চাইলে দেবগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মোঃ মাহফুজুর রহমান বলেন, অংক এবং ইংরেজি অন্যান্য বিষয়ের চেয়ে তুলনামূলক কঠিন। এবিষয়গুলোতে শিক্ষকরা যতটুকু আন্তরিকতা দেখান ছাত্ররা সেরকম দেখায় না। ভবিষ্যতে এ দুটি বিষয়ের প্রতি আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। শিক্ষক, ছাত্র ও অভিভাবক সবাইকে মিলে গুরুত্ব দিলে আশা করি আরও ভালো করতে পারব।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেন বলেন, ইংরেজি ও গণিত তুলনামূলক কঠিক সাবজেক্ট। তারপরও আমরা বিষয়টি পর্যালোচা করে দেখছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, বিএনপি-জামাত জোটের অপশাসন ও দুর্নীতি ইত্যাদি অপসারণ করে, করোনা মহামারী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ জনিত বিশ^ব্যাপী অর্থনৈতিক বিপর্যয় মোকাবেলা করে বিগত একযুগের ও অধিককাল সময় আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে জননেত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্র পরিচালনায় সফলতার ধারাবাহিকতায় দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে দন্ডায়মান। আগামী ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে অতীতের মতো দেশী ও বিদেশী ষড়যন্ত্রকারী আবার তৎপর হয়েছে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতাচ্যুত করতে।
তাই আজকের এই দিনে আওয়ামীলীগের সকল নেতা-কর্মীদেরকে মান অভিমান ও ভুলবুঝাবুঝির অবসান ঘঠিয়ে এক ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশী ও বিদেশী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। ১৭ মে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এই আহবান জানান।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পৌরমেয়র, তাকজিল খলীফা কাজলের সভাপতিত্বে এবং মনির হোসেন বাবুলের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগ নেতা মাহমুদুল হক ভূঁইয়া, আখাউড়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেন ভূঁইয়া। অন্যান্যের মধ্যে সফিকুল ইসলাম সোহাগ, এড. আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া বাদল, আতোয়ার রহমান নাজিম, এম এ মতিন চেয়ারম্যান, মোঃ শাহ আলম, শাকিলা সুলতানা ভুলন, সাহাবুদ্দিন বেগ সাবুল ও শাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ বক্তৃতা করেন। বক্তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কসবা-আখাউড়া আসনে আইন মন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক এম.পিকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, আমি যতদুুর এই মামলার কাগজপত্র দেখেছি। সেখান থেকে আমি বলতে পারবো বিচারিক আদালতে সুষ্ঠুভাবে আইনের যে ধারা আছে সে ধারা অনুযায়ী বিচার হয়েছে। আমি এর থেকে কিছু বলবো না। তার কারণ হচ্ছে, যিনি সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন তিনি নিশ্চয় আপিল করবেন। সেখানে কোন প্রভাব করুক সেটা আমি চাই না। ড. মোহাম্মদের ইউনুছের মামলায় আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে, ১২ জন মার্কিন সিনেটরদের এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি এসব কথা বলেন। আজ ২৬ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশনে সাংবাদিকদের সাথে এসব কথা বলেন।
তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয় আনার ব্যাপারে সরকার বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, যারা বাংলাদেশের আদালত দ্বারা সাজাপ্রাপ্ত এবং অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ করে যারা সাজাপ্রাপ্ত তাদের সকলকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিব। উদ্যোগ যেটা আছে সেটাকে আরো শক্তিশালী করার চেষ্টা করবো।
সরকার পরিকল্পিত ভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এমন মন্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আনিসুল হক বলেন, এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এই সংসদের অধিবেশনেই শ্রম আইন পাশ হবে বলে তিনি জানান।
নিজ নির্বাচনী এলাকা কসবা ও আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ কর্তৃক গণসংবর্ধনাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ২দিনের সফরে সকালে আন্ত:নগর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা থেকে আখাউড়ায় আসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
এসময় আওয়ামীলী, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলালীগসহ অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকমী আখাউডড়া রেলওয়ে ষ্টেশনে মন্ত্রীকে স্বাগত জানায়।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. রাসেদুল কাওছার জীবন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া প্রমুখ।
উল্লেখ্য, কসবা-আখাউড়া সংসদীয় এলাকা থেকে টানা তিন বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় এবং টানা তিন বার আইনমন্ত্রী হওয়ায় শনিবার বিকালে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে গণ সংবর্ধনা দিবে উপজেলা আওয়ামীলীগ। এর আগে গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে আওয়ামীলীগের মনোনয়নে আনিসুল হক এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।