চলারপথে রিপোর্ট :
চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের কুলপালা গ্রামে মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে চুয়াডাঙ্গা খাদ্য গুদামের দুই কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। আজ ৩০ জুলাই রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা খাদ্য গুদামের খাদ্য পরিদর্শক নজরুল ইসলাম (৫৮) ও উপ-খাদ্য পরিদর্শক সাইদুর রহমান (৩৫)। দুজন একটি মোটরসাইকেলে চুয়াডাঙ্গা থেকে মেহেরপুরের দিকে যাচ্ছিলেন।
নিহতদ্বয়ের বাড়ি পাশের মেহেরপুর জেলায়। নিহত নজরুল ইসলাম মেহেরপুর পৌর এলাকার বাসস্ট্যান্ড পাড়ার ইউনুস আলী শেখের ছেলে এবং নিহত সাইদুর রহমান মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা গ্রামের আনসার আলীর ছেলে।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব বিপ্লব কুমার নাথ জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে মেহেরপুরের দিক থেকে একটি প্রাইভেটকার দ্রুতগতিতে চুয়াডাঙ্গার দিকে আসছিল। প্রাইভেটকারটি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কুলপালা গ্রামে পৌছুলে প্রাইভোটকারের একটি চাকা পাংচার হয়ে চুয়াডাঙ্গা থেকে মেহেরপুরের দিকে যাওয়া একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। ওই মোটরসাইকেলে ছিলেন নজরুল ইসলাম ও সাইদুর রহমান। দুজনই ঘটনাস্থলে মারা যান। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে গেছে।
ওসি আরো জানান, নিহতদ্বয়ের ব্যাপারে আইনগত পরবর্তী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের সামনে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব। সেখানে বেশির ভাগ দক্ষ জনগোষ্ঠী প্রয়োজন পড়বে। দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার জন্য ইতিমধ্যে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।
আজ ১৫ জুলাই শনিবার রাতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে `স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবসায়ী সম্মেলনে’ প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইনকিউবেটর সেন্টার তৈরি করে কম্পিউটার ট্রেনিং দেওয়া শুরু করেছি। তাছাড়া স্কুল লেভেল থেকে কম্পিউটার ল্যাব করে দিচ্ছি, সেখানে ট্রেনিং দিচ্ছি। পাশাপাশি ন্যানো টেকনোলজির জন্য একটি আইনও করে দিয়েছি। ন্যানো টেকনোলজির ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছি। আইন ইতিমধ্যে কেবিনেট অনুমোদন দিয়েছি। দ্রুতই আইন পার্লামেন্টে পাস করে দেব। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযুক্ত স্মার্ট জনগোষ্ঠী গড়ে ওঠে সে জন্য এসব পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি।
সরকার বেসরকারি খাতকে গুরুত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় পরিকল্পনা নিয়েছিলাম সরকারে গেলে কী করব। আমাদের অর্থনৈতিক নীতিমালা প্রণয়ন করেছি। ব্যবসা-বাণিজ্যে বেসরকারি খাতকে আমরা উন্মুক্ত করে দিয়েছি। ব্যাংক, বিমা, হেলিকপ্টার সার্ভিস, বিমান থেকে শুরু করে বেসরকারি টেলিভিশন, শিল্প, কলকারখানা, হাসপাতাল, যা কিছু যেখানে দরকার সবকিছু তৈরি করার জন্য বেসরকারি খাতকে সব থেকে গুরুত্ব দিয়েছি। শিল্প, কলকারখানা বা বিনিয়োগ যদি না হয় কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে না। অনেক বাধা অতিক্রম করে আমাদের এসব করতে হয়েছে। অনেক পরামর্শদাতা বিদেশ থেকে এসে পরামর্শ দিত, এটা করা যাবে না, ওটা করা যাবে না। সরকার গঠনের আগেই এই পরামর্শ শুনতে হয়েছে। আমার একটাই কথা ছিল, দেশটা আমাদের, মাটি ও মানুষও আমাদের। তাদের ভালো মন্দ কী হবে সেটা আমরা বুঝি, জানি। আমরা আমাদের মতো করেই করব।
সরকার প্রধান বলেন, আমাদের দেশের জনগণ হবে স্মার্ট সিটিজেন, আমাদের ইকোনোমি হবে স্মার্ট ইকোনমি, আমাদের সমস্ত গভর্নমেন্টকে আমরা স্মার্ট গভর্নমেন্ট করতে চাই, পাশাপাশি আমাদের সমাজ হবে স্মার্ট সোসাইটি। এভাবে বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। ২০০৮ সালে ঘোষণা দিয়েছিলাম, দিন বদলের সনদ, রূপকল্প ২০২১। আমরা তা বাস্তবায়ন করেছি। ফলে আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। এখন আমরা শিল্প কলকারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষিসহ সকল ক্ষেত্রে স্মার্ট ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করতে চাই। সে ক্ষেত্রে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি, রোবোটিক, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ন্যানো টেকনোলজি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ডিজিটাল ডিভাইসে।
তিনি বলেন, শুধু স্বপ্ন দেখলে হবে না স্বপ্ন বাস্তবায়নেরও চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। সে জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এখানে যেমন বয়স্ক অভিজ্ঞ ব্যবসায়ীরা আছেন, আবার নতুন প্রজন্মের ব্যবসায়ীরাও আছেন। আমাদের যুব সমাজকে আমরা সেভাবে উৎসাহিত করতে চাই, তারা নিজেরাই মাস্টার হবে, নিজেরাই উদ্যোক্তা হবে, নিজেরাই চাকরি দেবে, সে যোগ্যতা তারা অর্জন করবে। সেজন্য ইতিমধ্যে স্ট্যাটাস প্রোগ্রাম আমরা কার্যকর করেছি। স্ট্যাটাস প্রোগ্রামের পাশাপাশি তাদের জন্য স্পেশাল ফান্ডও রেখেছি আমি বাজেটে। কোম্পানি আইন পরিবর্তন করে এক ব্যক্তি যাতে একাধিক কোম্পানি খুলতে পারে সেই ব্যবস্থাও নিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ব্যবসা করি না। কিন্তু আমরা ব্যবসায়ীকে উৎসাহিত করা, সুযোগ সৃষ্টি করা, সুবিধার তৈরি করে দেওয়া, পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া এবং সেই সুযোগ নিশ্চিত করে ব্যবসাবান্ধব সরকার আমরা নিশ্চিত করেছি। সেটা আপনার উপলব্ধি করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দল-মত নির্বিশেষে কে কোন দলের আমরা কিন্তু সেটা দেখিনি। কে কোন ব্যবসা করে, কার কারণে দেশের মানুষ লাভবান হচ্ছে সেটাই আমার কাছে বিবেচ্য। ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য যার যতটুকু প্রয়োজন সুযোগ সুবিধা আমরা কিন্তু সেটা দিই। এটা বলতে পারি আমরা কিন্তু হাওয়া ভবন খুলিনি, স্বাধীন মতো ব্যবসা করতে পারেন সেই ব্যবস্থাটাই করে দিয়েছি। অর্থাৎ সরকার সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করে দেবে, অবকাঠামো উন্নয়ন করে দেবে। সেভাবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে ব্যবসায়ী-বান্ধব সরকার। সেটা নিশ্চয়ই আপনারা টের পেয়েছেন। আমি চাই, ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক থেকে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাক।
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আর এক একটা কাজ করতে গিয়ে অনেক সমালোচনা শুনতে হয়। মেট্রোরেল করার সময় শুনতে হলো, ‘৩৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে মেট্রোরেল করার কী দরকার। ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করলেই তো নাকি সব সমাধান হয়ে যায়।’ অবশ্য ভালোই একদিকে। আমি বেসরকারি খাতে অনেক টেলিভিশন দিয়েছি, সেখানে সবাই টকশো করে আর টক টক কথা বলে। সেই টক টক কথা শুনতে হয়। মাঝে মাঝে আমি বলি, আপনারা শুধু টক টক বলেন কেন? কথা যদি টক-ঝাল-মিষ্টি হয় তখন না সুস্বাদু হবে।
তিনি বলেন, একজন বলে দিলেন, ‘এতো টাকা খরচ করে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল করার কী দরকার ছিল।’ মানে আপনি যাই করতে যান, কিছু লোকের মানসিকতাই হচ্ছে কিছুই ভালো লাগে না। তাই কিছুই ভালো লাগে না লোকের কথা ভুলে গিয়ে দেশের উন্নয়নের জন্য যা করা দরকার সেটাই করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকের বাংলাদেশের সঙ্গে সেই ৮১ সালের বাংলাদেশের অনেক তফাৎ। অনেকেই বলেছিলেন যে, ‘এতো ব্যাংক দিয়ে কী হবে? বাংলাদেশের অর্থনীতি তো এত বড় না।’ আমার কথা ছিল, অর্থনীতি তো এতো ছোটো থাকবে না। অর্থনীতি বড় করার জন্যই তো আমাকে ব্যাংক দিতে হবে। কাজেই সেভাবেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এ সময় নতুন বাজার খুঁজতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সরকার বলেন, ইউরোপ-আমেরিকায় মন্দা চলছে। সেখানে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। তাছাড়া সেখানে রপ্তানি খরচও বেড়ে গেছে। এজন্য বিকল্প বাজার খোঁজতে হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশে প্রথম একটা আইন বিশ্ববিদ্যালয় হবে। যেটার নাম হবে বাংলাদেশ আইন বিশ্ববিদ্যালয়। সেই বিশ্ববিদ্যালয়টি করা হবে মাদারীপুরের শিবচরে।
আজ ৬ জুলাই শনিবার শিবচরে বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের জায়গা পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি। আইনমন্ত্রী বলেন, শিবচরে একটি ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ চলমান। শিবচরে বিচার বিভাগ থেকে দুটি প্রতিষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একটি ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি, অপরটি আইন বিশ্ববিদ্যালয়।
জানা গেছে, শনিবার সকাল থেকে জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরীকে নিয়ে শিবচর উপজেলার কুতুবপুর, পৌরসভার চরশামাইল ও ঠেঙ্গামারা মৌজায় আইন বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের জন্য জায়গা পরিদর্শন করেন আইনমন্ত্রী। পরে দুপুরে মন্ত্রী শিবচর উপজেলা পরিষদ চত্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এ সময় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন-১) বিকাশ কুমার সাহা, মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মারুফুর রশিদ খান, জেলা জজ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) তারেক মঈনুল ইসলাম ভূঁইয়া, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ নীরবসহ জেলায় কর্মরত বিচার বিভাগের কর্মকর্তারাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
মুরাদনগরে ঘাস কাটার সময় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার উপজেলার বাঙ্গরাবাজার থানার আকুবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত ব্যক্তির নাম মো. আলম মিয়া (৫৬)। তিনি আকুবপুর গ্রামের এয়াকুব আলীর ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. সালাউদ্দিন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, কৃষিকাজের পাশাপাশি গরু পালন ও আকুবপুর বাজারে পোল্ট্রির দোকান ছিল আলম মিয়ার। বেলা ১২ টার দিকে মাঠে গরুর জন্য ঘাস কাটছিলেন তিনি। এসময় বজ্রপাতে মারা যান আলম। আলম ছয় মেয়ে ও এক ছেলের জনক। বাদ মগরিব তাকে দাফন করা হবে।
বাঙ্গরাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী জানান, বজ্রপাতে একজনের মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি।
অনলাইন ডেস্ক :
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আজ ২৪ মে শুক্রবার সকালে নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। এটি শুক্রবার মধ্যরাতের মধ্যেই গভীর নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার কথা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এটি আগামীকাল শনিবার সকালেই ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। পরবর্তীতে তা আরো শক্তিশালী হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আগামী রবিবার রাতে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত করতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে সাগর উত্তাল থাকায় কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে এক নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ শুক্রবার রাতে বলেন, ‘আজ মধ্যরাতের দিকে নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। শুক্রবার সকালের মধ্যে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এরপর ঘূর্ণিঝড়টি আরো শক্তিমত্তা অর্জন করতে পারে।
রবিবার রাতে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড়টির শক্তিশালী অংশ বাংলাদেশের সুন্দরবন ও পটুয়াখালীতে আঘাত করার আশঙ্কা বেশি।’
নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ‘রেমাল’। আরবি রিমাল শব্দের অর্থ বালি।
এটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের দেওয়া নাম।
এদিকে ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরও (আইএমডি) জানিয়েছে, নিম্নচাপটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে শনিবার সকাল ৬টার মধ্যে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে এসে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। পরে এটি কিছুটা উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং শক্তি বাড়িয়ে শনিবার রাত ১২টার মধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। আরো উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি রবিবার রাত ১২টার দিকে বাংলাদেশ ও পার্শ্ববর্তী পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজও সারা দেশে বৃষ্টি কম থাকতে পারে।
ফলে তাপপ্রবাহ ও ভ্যাপসা গরম অব্যাহত থাকতে পারে। তবে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আগামীকাল থেকে সারা দেশে বৃষ্টি বাড়তে পারে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রবিবার থেকে বৃষ্টি অনেকটাই বাড়তে পারে। এদিন ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুই-এক জায়গায় ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে দেশের নানা অঞ্চলে তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
অনলাইন ডেস্ক :
সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘অনেক সংগ্রামের পথ বেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামী লীগ সরকারে এসেছে বলেই বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের জীবনমান উন্নত হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ এখন মর্যাদা নিয়ে বিশ্ব দরবারে চলতে পারে।’
‘এটা আমার পক্ষে সম্ভব হয়েছে, আব্দুল হাই-এর মতো ত্যাগী নেতাকর্মীদের কারণে। তাদের অবদানের ফলে দেশের সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক সফলতা আনা সম্ভব হয়েছে।’
ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে আজ ২ মে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে উপস্থাপিত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনায় আরো অংশ নেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, তৌহিদুজ্জামান, নাসির শাহরিয়ার প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঝিনাইদহ এমন একটা সন্ত্রাসী এলাকা ছিল, যেখানে গ্রামের মানুষ টিকতে পারত না। সেখানে নির্বাচন করা, রাজনীতি করা অত্যন্ত কঠিন ছিল। সেই অবস্থার মধ্যেও আব্দুল হাই অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে সংগঠন ধরে রাখেন এবং সংগঠনকে সুংগঠিত করেন। তিনি অত্যন্ত সাহসী ছিলেন, ভালো সংগঠক ছিলেন। তাই সফলতার সঙ্গে তিনি সংগঠনকে দাঁড় করাতে পারেন। একসময়ে ওই এলাকায় গ্রামে মানুষ টিকতে পারত না, অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল। বিএনপি নামক যে দলটি সৃষ্টি হয়েছিল, আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টির বেশির ভাগ লোক কিন্তু এই বিএনপিই করত। সেখানে প্রতিনিয়ত আমাদের নেতাকর্মীর ওপর হামলা হতো, কত লাশ যে পড়েছে, তার হিসাব নেই। সেই অবস্থায় সংগঠনকে গড়ে তোলা এবং বারবার নির্বাচিত হয়ে এসে একটা বিরাট দক্ষতার পরিচয় তিনি দিয়েছিলেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘এটাই সবচেয়ে কষ্ট লাগছে, তিনি এই সংসদে বসতে পারলেন না। তাকে একসময় গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হয়েছিল। আবার একজন রিট করল, তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা হলো। সেটা আবার আপিল করে স্থগিত করা হয়েছিল বলেই তিনি এই সংসদে বসতে পেরেছিলেন। যিনি বারবার নির্বাচিত হয়ে আসেন, তার ওপর এ ধরনের আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। তারপরে তিনি আসতে পেরেছিলেন। তবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নিলেন।’ নতুন প্রজন্মকে আব্দুল হাইয়ের মতো ত্যাগী নেতাদের অনুসরণের আহ্বান জানান তিনি।
সংসদ সদস্য আব্দুল হাই ছাড়াও সাবেক সংসদ সদস্য শামছুল হক ভূঁইয়া, আবুল হাসেম খান, পিনু খান, নজির হোসেন ও মোখলেছুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষাসৈনিক, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর একুশের পদকপ্রাপ্ত গোলাম আরিফ টিপু, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ড. প্রণব কুমার বড়ুয়ার মৃত্যুতে সংসদ অধিবেশনে শোক প্রকাশ করা হয়।