চলারপথে রিপোর্ট :
রাজধানীতে বিএনপি-জামায়াতের ‘নৈরাজ্য ও অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদে’ নাসিরনগরে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো।
আজ ৩১ জুলাই সোমবার দুপুরে নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়।
পরে সেখানে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য প্রদান করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অসীম কুমার পাল, সাধারণ সম্পাদক মো: লতিফ হোসেন, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক রায়হান আলী ভূঁইয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল চৌধুরী ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শুভ সিদ্দিকী প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশে আবার নতুন করে নৈরাজ্য শুরু করেছে। আন্দোলনের নামে তারা যদি সাধারণ মানুষের কোন ক্ষতি বা ধ্বংসাত্মক কাজ করে রাজপথে এর জবাব দেয়ার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা। এ সময়ে তারা বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে হঠাৎ ঝড়ে উড়ে গেছে ঘরের চালা আর বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ভুট্টা ও সবজি বাগান। বাতাসে মাদ্রাসার কাঁচ ভেঙ্গে তারাবি নামাজ পড়তে আসা আহত হয়েছেন ১০ মুসল্লি। বৃষ্টিপাতারে পরই উপজেলা সদর ছাড়া বাকি ১২৬টি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২৩ মার্চ শনিবার রাত আটটা থেকে শুরু হয়ে থেমে থেমে ভোর রাত পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়। বৃষ্টির কারণে জমির উঠতি ইরি বোর ধান, ভুট্টা, গম, সূর্যমুখীসহ বিভিন্ন ফসলের বেশ ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। এছাড়া নাসিরনগর-সরাইল-হবিগঞ্জ সড়কে গাছের ডালপালা পড়ে যানচলাচলের সাময়িক অসুবিধা হয়।
নাসিরনগর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঝড়ো বাতাসে নাসিরনগরের ১৩টি ইউনিয়নে বিভিন্ন ফসল আক্রান্ত হয়। বিশেষ করে ভুট্টা, সূর্যমূখী ও গ্রীষ্মকালীন সবজির বেশি আক্রান্ত হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে বোরো আবাদও কিছু আক্রান্ত হয়েছে। কি পরিমান ফসলের ক্ষতি হয়েছে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আল-মামুন বলেন, জেলা অফিসে ছয় হেক্টর ভুট্টা, সূর্যমূখী চার হেক্টর, গ্রীষ্মকালীন সবজি ক্ষতি হয়েছে বলে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। তবে বৃষ্টি যদি আর না হয় তাহলে আক্রান্ত ফসলের ক্ষয়ক্ষতি বেশি হবে না।
নাসিরনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আকস্মিক ঝড়ে উপজেলার দুইটি ইউনিয়নে তিনটি মাদ্রাসা ও কয়েকটি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের দারুল কোরআন মাদ্রাসা ঘরের টিনের চালা পাশের একটি গাছের উপর ঝুলতে থাকে। একই গ্রামের বড় মসজিদের দেয়ালে ফাটল দেখা দেয়। এছাড়া পশ্চিম পাড়ার নূল মিয়া ও উত্তর পাড়ার রহিম মিয়ার ঘর ঝড়ে পড়ে যায়।
অপর দিকে নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের কুন্ডা জামে মসজিদের তারাবি নামাজ পড়ার সময় বজ্রপাতের শব্দে জানালার কাঁচ ভেঙ্গে ১০ জন মুসল্লি আহত হয়। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইমরানুল হক ভূইয়া বলেন, ঝড়-বৃষ্টিতে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এখনো জানা যায়নি। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়, কৃষি কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে ক্ষতির পরিমাণ বলা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুইপক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ ১০জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।
আজ ২ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে উপজেলার সদরের পশ্চিমপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- মীর ফাহাদ (৩৮), মীর বশির আহমেদ (৬০), মীর আলতাফ হোসেন (৪০), মীর রাসেল (৫২), মীর মিনহাজ (৫০), মীর জালাল (৪৫), মীর রুবেল (৩৮), মীর নাসির (১৮), বাসিরুন্নেসা (৭০), মীর মাসুমা (২২)। এদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় মীর ফাহাদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে। তারা সবাই পারিবারিকভাবে একে অপরের আত্মীয় ।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা মীর বশিরের সাথে চাচাত ভাই মীর কাশেমের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। প্রায় একযুগ আগে মীর কাশেম সদর ইউনিয়নের কুলিকুন্ডা গ্রামের মীর আফতাজ উদ্দিনের কাছে জমি বিক্রি করে। পরবর্তীতে দেড় বছর আগে আফতাজের কাছ থেকে সেই জায়গা ক্রয় করে মীর বশির। কিন্তু মীর বশির জায়গার দখল নিতে পারছিল না। ঘটনার দিন উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে সেই জমি মাপার কথা ছিল। বেলা ১১টার দিকে উভয়পক্ষ উপস্থিত হলে তাদের মধ্যে বাগবিতন্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে উভয়পক্ষের নারীসহ প্রায় ১০জন আহত হয়।
আহত এডভোকেট মীর রাসেল জানান, আমার ভাই মীর বশির একটি জায়গা ক্রয় করে। কিন্তু সেই জায়গা মীর কাশেম দখল করে রেখেছে। আজ জায়গাটি দখল করতে গেলে মীর কাশেমের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমাদের উপর হামলা চালায়।
এ বিষয়ে মীর কাশেমের ভাতিজা মীর জালাল জানান, আমাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা। আমরা কাউকে আক্রমণ করিনি, তারাই আমাদের উপর হামলা করেছে।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা বলেন, ঘটনা শোনার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। প্রকৃত ঘটনার সাথে জড়িত দোষী ব্যক্তিদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের গুরুত্ব, ডেঙ্গু, মানব পাচার, অপপ্রচার, গুজব, মাদক, সন্ত্রাস, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ, জম্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) কর্মসূচির আওতায় নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রবিবার সকালে জেলা তথ্য অফিস ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ওই নারী সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
জেলা তথ্য কর্মকর্তা মো: ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: আমির আলী ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দাস। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, হ্যাপী চৌধুরী, আফরোজা আক্তার, খাদিজা বেগম প্রমুখ।
সমাবেশে প্রায় শতাধিক নারী উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূঁইয়া বলেন, আজকে দেশের প্রতিটি সেক্টরে নারী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি নারীদের গুজব থেকে বিরত থাকতে নানা বাস্তবমূখী উদাহরণ দেন। পাশাপাশি নানা সামাজিক কুপ্রথা প্রতিরোধ ও যৌতুক-বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তা নেয়ার জন্য উপস্থিতিকে আহবান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ফ্রিজ-টিভি কাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার গোকর্ণ ফুটবল একাডেমি’র আয়োজনে গোকর্ণ সৈয়দ ওয়াল্লী উল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনাল খেলায় গোকর্ণ কিংসকে ২-১ গোলে পরাজিত করে গোকর্ণ মটর সমিতি চ্যাম্পিয়ন হয়।
খেলা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহিন।
গোকর্ণ সৈয়দ ওয়াল্লী উল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক সভাপতি বসির উদ্দিন বাচ্চুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরীফ আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত পুরষ্কার বিতরনী সভায় জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম মোঃ কামরুজ্জামান খান, নিয়াজ মুহাম্মদ খান হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক সৈয়দ মোহাম্মদ তফছির, গোকর্ণ সৈয়দ ওয়াল্লী উল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজের প্রাক্তন ছাত্র সংসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন চৌধুরী শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ নোমান, গোকর্ণ ফুটবল একাডেমির সভাপতি সাকিন চৌধুরী, আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ ও ফুটবলপ্রেমি সংখ্যক দর্শক উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দিনের নাম নাসিরনগর থেকে মুছে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত পরাজিত প্রার্থী ও এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের বিরুদ্ধে নাসিরনগর থানায় মামলা হয়েছে।
গত রোববার নাসিরনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৭৩ এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী নাসিরনগর থানায় এই এজাহার দায়ের করেন। যা নাসিরনগর থানার মামলা হিসেবে রজু করা হয়। এজাহারে বলা হয়, গত ২২শে ডিসেম্বর নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী জনসভায় তৎকালীন সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের নাম নাসিরনগর থেকে মুছে ফেলার হুমকি প্রদান করেন। এতে ওই ব্যক্তি (ফরহাদ হোসেন) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ এর বিধান এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এর ১১ বিধির বিধান লঙ্ঘন করেছেন মর্মে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন দিয়েছেন। বর্নিত অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৭৩ এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এর বিধি ১৮ এর অধীন এজাহার দায়ের করার জন্যে নিম্ন স্বাক্ষরকারী (নাসিরনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম)কে নির্দেশনা প্রদান করেন।
এর আগে গত ১১ই জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনের আদেশক্রমে উপ-সচিব (আইন) মোঃ আব্দুছ সালাম এক চিঠিতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে অনতিবিলম্বে এজাহার দায়ের করার নির্দেশ দেন। ওই চিঠিতে বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের বিরুদ্ধে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন প্রেরণের উল্লেখ করে বলা হয় অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় এজাহার দায়ের করার জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
এর আগে নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দিনের নাম নাসিরনগর থেকে মুছে ফেলার হুমকি দেওয়ায় অভিযোগে সংসদ সদস্য ও আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজা মোঃ ফরাহদ হোসেনকে ‘তলব’ করেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
গত ২৩ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকের অনলাইন সংস্করণে ‘চেয়ারম্যানের নাম শুছে দিতে চান এম.পি, হাত ভাঙার হুমকি আওয়ামী লীগ নেতার’ শিরোনামে খবর প্রকাশ হলে সেটির সূত্র ধরে তাকে তলব করেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। পরে খবরটি স্থানীয় দৈনিকসহ একাধিক জাতীয় পত্রিকায় ছাপা হয়।
নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি তলব করার পর তৎকালীন সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোঃ ফরাহদ হোসেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র সহকারি জজ ও নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রেজাউল হকের কাছে স্বশরীরে হাজির হয়ে লিখিত জবাব দেন।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সোহাগ রানা বলেন, রবিবার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দেয়া অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, এর আগে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রেজাউল হকের কাছে স্বশরীরে হাজির হয়ে ফরহাদ হোসেন তার লিখিত বক্তব্যে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, তাঁর প্রদত্ত বক্তব্যের খন্ডিত অংশের বিকৃত করে মিডিয়া কুচক্রের মাধ্যমে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয়েছে। লিখিত জবাবে তিনি নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মানার অঙ্গীকার করেন।
লিখিত জবাবে তিনি উল্লেখ করেন, তার বক্তব্যের মাধ্যমে চেয়ারম্যানের কর্মকান্ডের কারণে তার নাম জনগণের হৃদয় থেকে মুছে যাবে বুঝিয়েছেন। তিনি কাউকে কোনো প্রকার হুমকি প্রদান করেননি। পত্রিকার রিপোর্টের ভিত্তিতে নেয়া নির্বাচনী তদন্ত কমিটির পদক্ষেপ প্রশংসার দাবিদার। পত্রিকার রিপোর্ট মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বিধায় কারণ দর্শানোর দায় থেকে অব্যাহতি চান তিনি।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম ৪৩ হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের বহিষ্কৃত উপদেষ্টা (কলার ছড়ি প্রতীক) আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামানের কাছে।
এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের বহিষ্কৃত উপদেষ্টা, বিশিষ্ট শিল্পপতি সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান (কলার ছড়ি প্রতীক) ৮৯ হাজার ৪২৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বি.এম. ফরহাদ হোসেন-(নৌকা প্রতীক) পেয়েছেন ৪৬ হাজার ১৮৯ ভোট।