চলারপথে রিপোর্ট :
মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর ট্রেনে কাটা পড়ে জনি তম্পা নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। আজ ৩১ জুলাই সোমবার ভোরে লাউয়াছড়া বন সংলগ্ন ভাড়াউড়া চা বাগানের ৯ নম্বর সেকশন এলাকায় রেল লাইনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত জনি তম্পা লাউয়াছড়া খাসিয়া পুঞ্জির মৃত মেজরলি সু:ঙ-এর ছেলে। খবর পেয়ে জিআরপি পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের ধারণা সিলেটগামী পারাবত ট্রেনে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ জানায়, নিহত যুবকের এক হাত ও এক পা ট্রেনে কাটা ছিল। মাথায় আঘাত ছিল।
শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর সাব্বির আলী বলেন, আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে ১৯৯ বোতল ফেনসিডিলসহ বাবুল হোসেন (৪০) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার সাতগাঁও গ্রামের সামসু মিয়ার ছেলে। আজ ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার ভোরে অভিযানটি চালায় র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের একটি দল।
র্যাব সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের দলটি ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় একটি মোটরসাইকেল তল্লাশি চালিয়ে ১৯৯ বোতল ফেনসিডিল ও দুটি মোবাইল ফোনসেটসহ বাবুল হোসেনকে গ্রেফতার করে।
র্যাবের স্কোয়াড কমান্ডার মোহাম্মদ আক্কাছ আলী জানান, গ্রেফতার আসামি দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে ভৈরব থানায় মামলা দিয়ে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুরে থেকে বাবা-মায়ের কাছ থেকে কৌশলে ৭ মাসের এক শিশুকে অপহরণের পর বগুড়া থেকে উদ্ধার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুটির চাচীকে বোনসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ ২৮ আগস্ট সোমবার জিএমপির উপ-কমিশনার আবু তোরাব মো: শামছুর রহমান তার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো বগুড়া জেলার সদর থানার চকসূত্রাপুর এলাকার জাহাঙ্গীরের মেয়ে জাকিয়া সুলতানা জান্নাত (২৩) ও জাকিয়ার ছোট বোন রাকিবা আভান আঁখি (২১)। এদের মধ্যে জাকিয়া ওই শিশুটির চাচা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সদর থানাধীন বাঙ্গালগাছ এলাকার মাসুদের স্ত্রী।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপ-কমিশনার আবু তোরাব মো: শামছুর রহমান জানান, রবিবার দুপুরের পর গাজীপুর শহরের বাঙ্গালগাছ এলাকার রাজমিস্ত্রির সহকারি রহিম উদ্দিন (৫০) ও তার স্ত্রী হাবিবা আক্তার তাদের ৭ মাস বয়সের শিশু সন্তান রিয়াদ হোসেন ওরফে রোহানকে নিয়ে বাসায় বিছানায় শুয়ে বিশ্রাম করছিলেন। এ সময় ঘরে আসেন রহিম উদ্দিনের চাচাতো ভাই মাসুদের স্ত্রী জাকিয়া। কথাবার্তা বলার একপর্যায়ে শিশুটিকে তার বাবা-মায়ের কাছ থেকে কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে যায় সে। বেশকিছু সময়েও শিশুটিকে ফেরত না আনায় তার বাবা-মা জাকিয়ার কাছে যান। তারা জাকিয়াকে শিশু রিয়াদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। এসময় সে রহিম উদ্দিনের বাড়িতে যাওয়া ও শিশু রিয়াদকে নেওয়ার ব্যাপারে অস্বীকার করে। জাকিয়ার অস্বীকারের কারণে শিশুটির বাবা-মা কান্নাকাটি শুরু করে দেন। এতে আশেপাশের লোকজন ভীড় জমান। পরে জাতীয় সেবা নম্বর ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ কমিশনার (সদর জোন) ফাহিম আসজাদের নেতৃত্বে সদর থানা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার কাজ শুরু করে। এ সময় জাকিয়ার অসংলগ্ন কথাবার্তায় পুলিশের সন্দেহ হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে শিশু রিয়াদকে অপহরণের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করে জাকিয়া। এ সময় সে জানায় তার বোন আঁখির মাধ্যমে শিশুটিকে বগুড়ায় পাচার করা হয়েছে।
পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সহকারী পুলিশ কমিশনার ফাহিম আসজাদের নেতৃত্বে একটি টিম রাতেই বগুড়ায় গিয়ে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে অপহরণের পর অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে। এ সময় অপহরণকারী জাকিয়া ও তার বোন আঁখিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা শিশু অপহরণকারী দলের সক্রিয় সদস্য বলে তথ্য পাওয়া গেছে। সোমবার শিশুটিকে তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
আজ ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালের ট্রেন দুর্ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
১৯ ডিসেম্বর রেলভবনে ‘সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত রাজনৈতিক কারণে ট্রেনে নাশকতা সৃষ্টি’ বিষয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, পুরো ঘটনা তদন্ত না করে নির্দিষ্টভাবে বলা যাবে না।
সাম্প্রতিক সময়ে দুর্ঘটনা হওয়ার কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, কেউ যাত্রী হয়ে ট্রেনে উঠলে নিরাপত্তা দেওয়া তো রেলের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। বিএনপি-জামায়াত ২০১৩-১৪ সালেও একই ঘটনা ঘটিয়েছে। বাসের বদলে ট্রেনকেই এখন প্রধান হাতিয়ার করা হচ্ছে।
পরিকল্পিত দুর্ঘটনা ঘটাতে ফিশপ্লেট খুলে দিচ্ছে বলেও তিনি জানান।
রাজনৈতিক কর্মসূচি দিতেই পারে কিন্তু সহিংসতা করতে পারে না বলে মন্তব্য করেন রেলপথমন্ত্রী সুজন। তিনি বলেন, কর্ণফুলী সেতু থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথের অনেক যন্ত্রাংশ চুরি করার নামে খুলে নেওয়া হয়েছে যেন ট্রেন চলাচল করতে না পারে। তারা এ ধরনের নাশকতা ঘটিয়ে মনে করছে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা করা সম্ভব। যদিও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে কিন্তু তারা কর্মসূচি না দিলে তো এটা হতো না।
চলারপথে রিপোর্ট :
এক সময় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে অর্ধশতাধিক পণ্য ভারতে রপ্তানি হলেও এখন রপ্তানি হচ্ছে হাতে গোনা কয়েকটি পণ্য। মূলত এখন হিমায়িত মাছের ওপরই অনেকাংশে নির্ভর করে বন্দরের রপ্তানি বাণিজ্য। তবে মাছ রপ্তানি কমার কারণে ২০২২-২৩ অর্থবছরে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি কমেছে ৩৭৬ কোটি ২৩ লাখ টাকার পণ্য। যা এর আগের অর্থবছরের তুলনায় ৩০৪ কোটি টাকা কম। এছাড়া তলানিতে ঠেকে আছে বন্দরের আমদানি বাণিজ্যও। ফলে আশানুরূপ রাজস্ব পাচ্ছে না বন্দর এবং শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৯৪ সালে সর্বপ্রথম আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পণ্য রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য চললেও ২০০৮ সালে পূর্ণাঙ্গ বন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায় আখাউড়া স্থলবন্দর। মূলত এ বন্দর দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে পণ্য রপ্তানি হয়।
পাঁচ বছর আগেও আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি হওয়া পণ্যের তালিকায় ছিল- হিমায়িত মাছ, পাথর, রড, সিমেন্ট, তুলা, ভোজ্য তেল, এলপি গ্যাস, প্লাস্টিক, শুঁটকি ও বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রীসহ অর্ধশতাধিক পণ্য। তবে সময়ের পরিক্রমায় ছোট হয়ে এসেছে সেই তালিকা। বর্তমানে হিমায়িত মাছ, রড, সিমেন্ট ও প্লাস্টিকসহ হাতে গোনা কয়েকটি পণ্য যাচ্ছে ভারতে।
রপ্তানিকৃত পণ্যের অর্ধেকই হিমায়িত মাছ। আর মাছের মধ্যে রয়েছে রুই, পুঁটি, পাঙ্গাস, তেলাপিয়া ও পাবদাসহ সব ধরনের চাষের মাছ। প্রতি কেজি মাছের রপ্তানি মূল্য আড়াই মার্কিন ডলার। প্রতিদিন (ছুটির দিন ব্যতিত) গড়ে এক থেকে দেড় লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয় ভারতে।
তবে, গেল কয়েক মাস ধরে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানি কমেছে আশঙ্কাজনক হারে। আগে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ টন মাছ রপ্তানি হলেও এখন তা কমে অর্ধেকে নেমেছে। ফলে সামগ্রিকভাবে বন্দরের রপ্তানি আয় কমেছে। মূলত সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে তাজা মাছ পাচারের কারণে রপ্তানি ক্রমেই কমছে বলে অভিযোগ মাছ রপ্তানিকারকদের।
আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া বলেন, আখাউড়া উপজেলার সীমান্তের কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে প্রতিনিয়ত তাজা মাছ পাচার হচ্ছে। এর ফলে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা হিমায়িত মাছের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। বিষয়টি বিজিবি, বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। এটি বন্ধ না করতে পারলে যে কোনো মুহূর্তে হিমায়িত মাছের রপ্তানি বন্ধ হয়ে পড়বে।
এদিকে, ভারত থেকে পণ্য আমদানিও এখন অনিয়মিত। সদ্য বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে গম, ভুট্টা পাথর ও পেঁয়াজ। নিজেদের চাহিদা মতো পণ্য আমদানির সুযোগ পাওয়ায় আমদানি বাণিজ্যে খুব একটা আগ্রহ নেই ব্যবসায়ীদের। এতে করে বন্দরের রাজস্ব আদায়ও তলানিতে ঠেকেছে।
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভারতে রপ্তানি হয়েছে ৩৭৬ কোটি ২৩ লাখ ২০ হাজার ৯১১ টাকার পণ্য। আর ভারত থেকে আমদানি হয়েছে মাত্র ৬৫ কোটি ৯৩ লাখ ৬১ হাজার ৫২৮ টাকার পণ্য। আমদানি পণ্য থেকে শুল্ক কর্তৃপক্ষ রাজস্ব পেয়েছে ৫৫ লাখ ৭৮ হাজার ৬৯৮ টাকা। তবে বিগত ২০২১-২২ অর্থবছরে ভারতে রপ্তানি হয়েছিল ৬৮০ কোটি ১১ লাখ ৯৯ হাজার ১৭৪ টাকার পণ্য। ওই অর্থবছরে আমদানি হয়েছিল ২৮৮ কোটি ৪১ লাখ ১৩ হাজার ৪৬৮ টাকার পণ্য।
স্থলবন্দরের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে সড়ক ও রেল যোগযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় অনেক পণ্য এখন নিজ দেশ থেকেই সংগ্রহ করেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা। ফলে রপ্তানি বাণিজ্য বাড়ার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে আমদানি বাণিজ্যের মাধ্যমে এখনও বন্দরটির ঘুড়ে দাঁড়ানোর সুযোগ আছে। সেজন্য যখন যে পণ্যের চাহিদা, সেটি আমদানির সুযোগ দিতে হবে ব্যবসায়ীদের।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফোরকান আহমেদ খলিফা বলেন, কখন কোন পণ্যের চাহিদা তৈরি হবে- সেটি আগে থেকে বলা যায় না। সেজন্যই আমরা সব পণ্য আমদানির জন্য বন্দর খুলে দেওয়ার দাবি করে আসছি। কিন্তু আমাদের সেই দাবি পূরণ হচ্ছে না। সম্প্রতি এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে কিছু পণ্যের তালিকা দিয়ে আমদানির অনুমতি চাওয়া হয়েছে। কিন্তু সেটির এখনও সুরাহা হয়নি।
একমাত্র আমদানি বাণিজ্যের মাধ্যমেই বন্দরে আবার কর্মচাঞ্চল্যতা ফিরে আসতে পারে। যার মাধ্যমে সরকারও বিপুল অংকের রাজস্ব পাবে’- উল্লেখ করেন ফোরকান আহমেদ খলিফা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, বন্দরগুলো থেকে সরকারের রাজস্ব আহরণের বিষয়টি অনেকাংশেই আমদানি বাণিজ্যের ওপর নির্ভর করে। এক্ষেত্রে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি অনিয়মিত হওয়ায় রাজস্ব আদায় হচ্ছে কম। আমদানি বাড়াতে ব্যবসায়ীরা যেসব পণ্য আমদানির জন্য তালিকা দিয়েছেন- সেটি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা ও চিঠি চালাচালি হচ্ছে। অচিরেই এ বিষয়টি সমাধান হবে বলে আশা করছি।
ডেস্ক রিপোর্ট :
২৫ ডিসেম্বর থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার জেলায় জেলায় পৌঁছাবে । এখন ব্যালট পেপার মুদ্রণের কাজ চলছে।
আজ ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ কথা জানান।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ইসি ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যালট পেপার মুদ্রণের কাজ শেষ হবে। এর আগেই ২৫ ডিসেম্বর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় জেলায় জেলায় পৌঁছানো শুরু হবে পেপার।
১৮ তারিখ প্রতীক বরাদ্দ শেষ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ৩০০ আসনে প্রার্থীদের তালিকা পেয়ে গেছি, সে অনুযায়ী ব্যালট পেপার প্রিন্টিংয়ের কাজ চলমান। বিজি প্রেসের তিনটি প্রেসে ব্যালট পেপার প্রিন্ট হচ্ছে। যে সব নির্বাচনী আসনে প্রার্থিতা নিয়ে মামলা রয়েছে, ওই সব আসনে পরে ছাপানোর কাজ শুরু হবে।
৪০টির বেশি আসনে মামলা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ব্যালট মুদ্রণ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে চাই। যে সব নির্বাচনী এলাকায় কোনো মামলা নেই, সেখানের পেপার আগে মুদ্রণ হবে। যে সব নির্বাচনী এলাকায় মামলা রয়ে গেছে, হাইকোর্টের আদেশে প্রার্থিতা ফিরে পেতে পারে, কারও প্রার্থিতা চলে যেতে পারে, সেসব এলাকায় আগে মুদ্রণ করলে পুনরায় মুদ্রণ করতে হবে। আগেরগুলো বাতিল হয়ে যাবে, এক্ষেত্রে যেসব আসনে প্রার্থিতা নিয়ে মামলা রয়েছে সেসব আসনে মুদ্রণ পরে হবে।
ব্যালট পেপার মুদ্রণে সুনির্দিষ্ট বাজেট নেই জানিয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, বিজি প্রেসের চাহিদার ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে তাদের ৩৩ কোটি টাকা দিয়েছি। যে ভোটার আছে, তত সংখ্যক ব্যালট ছাপানো হবে। ২৫ তারিখের পর জেলা পর্যায়ে ব্যালট পেপার পাঠানো শুরু হবে। যেগুলো শেষ হবে সেগুলো আগে চলে আসবে। ব্যালট পেপার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে চলে যাবে। তারপর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সংরক্ষিত হবে। কেননা ভোটের দিন জেলা থেকে উপজেলায় এগুলো পাঠানো সম্ভব হবে না। ভোটের দিনের জন্য মালামাল ও ব্যালট বাছাই করতে হয়। সেগুলো আগেই করতে হবে।
ব্যালট ও নির্বাচনী সামগ্রীর নিরাপত্তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যালট পেপার নিরাপত্তা কীভাবে দেবে সেটা নিরাপত্তা বাহিনী ঠিক করবে। নিরাপত্তার মাধ্যমে ব্যালট পেপার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যাবে। ইসি তো কোনো স্পেসিফিক বাহিনীকে বলে দেবে না, যে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। নিরাপত্তা বাহিনী নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। সব নিরাপত্তা সামগ্রী পেয়ে গেছি। স্ট্যাম্পটা নির্বাচনী এলাকায় পৌঁছায়নি। অন্যান্য সামগ্রী আগেই পৌঁছে গেছে। ২-৩ দিনের মধ্যে স্ট্যাম্প পৌঁছে যাবে।