চলারপথে রিপোর্ট :
টাঙ্গাইলের সখীপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাইসাইকেল ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ ৩১ জুলাই সোমবার বিকেলে উপজেলা মাঠে এ সব বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আলম।
একশত শিক্ষার্থীকে স্কুল ব্যাগ, খাতা, কলম অন্যান শিক্ষা উপকরণসহ দশটি বাইসাইকেল দেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার হায়দার কামাল, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ, চর্যাপদ গবেষক প্রফেসর আলীম মাহমুদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (ইউ.এস.ও) ডা. মো. রুহুল আমীন মুকুল, সখীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাকিল আনোয়ার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রাফিউল করিম, উপজেলা ট্রইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আসিস কুমার বর্মন, আদিবাসী কল্যাণ সংস্থার সভাপতি আশ্চার্য বর্মণ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেসরকারি হাসপাতাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসকরা কি লিখছেন তা নজরদারী করে ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিরা। চিকিৎসকদের চেম্বার থেকে কোন রোগী বের হলেই ১০-১২ জন প্রতিনিধি রোগীকে ঘিরে ধরে রোগীর হাত থেকে ব্যবস্থাপত্র হাতে নিয়ে মোবাইল ফোন দিয়ে একের পর এক ছবি তুলতে থাকে। বিষয়টি কি বা কেন তা বুঝতে পারে না রোগীরা। অনেকে ভয় পায় বিব্রত হয়। বিভিন্ন চেম্বারের সামনে দেখা যায় রোগীর চেয়ে প্রতিনিধির সংখ্যা বেশী।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ওষুধ কোম্পানী তাদের ওষুধ লেখার জন্য চিকিৎসকদের নানা উপঢৌকন দেয়। পরনের পোষাক, বেল্ট, সুগন্ধি, টিভি, ফ্রিজ, গাড়ি, খাতা কলম, এমনকি নগদ অর্থ উপঢৌকন হিসেবে দেয়া হয়। এর বিনিময়ে চিকিৎসকরা সে সব কোম্পানীর ওষুধ লিখে কিনা তা দেখতেই রোগীর কাছ থেকে ব্যবস্থা পত্র নিয়ে টানাটানি হয়।
আজ ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের বিপরীতে ক্রিসেন্ট হাসপাতালের সামনে এমনি এক দৃশ্য দেখা গেছে। এ সময় এক রোগীরা অভিযোগ করেন, হাত থেকে ব্যবস্থা পত্র টেনে নেয়ার ঘটনায় প্রথমে ভয় পেয়ে গেছি, বেশ কিছুক্ষণ দাড়াতে হয়েছে বিষয়টি বিব্রতকর।
ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধি এরোস্টাফার্মার মোঃ শাহীনের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা চিকিৎসকদের আমাদের কোম্পানীর ওষুধ লিখার জন্য অনুরোধ করি, সেটা লিখেছে কি না, তা দেখতে ছবি তুলেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাগেরহাট-ঢাকা মহাসড়কে ফকিরহাটের শটের বটতলা এলাকায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে সুমন (৩২) নামে এক ট্রাক ড্রাইভার নিহত হয়েছেন।
আজ ২৪ মার্চ শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে এই দুর্ঘটনার পর প্রায় আধাঘণ্টা মহাসড়কে যান চলচলাচল বন্ধ ছিল। খবর পেয়ে বাগেরহাট ও ফকিরহাট ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার ও ট্রাক দুটি সরিয়ে নিলে মহসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। নিহত ট্রাক ড্রাইভার সুমন কুমিল্লার মোকলেসুর রহমনের ছেলে।
বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের প্রধান পুলিশ পরির্দশক এস এম আশরাফুল আলম জানান, বাগেরহাট-ঢাকা মহাসড়কে ফকিরহাটের শটের বটতলা নামক স্থানে শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা মোংলাগামী ট্রাকের মধ্যে মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়। এতে মোংলাগামী ট্রাকটির চালক সুমন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। খবর পেয়ে বাগেরহাট ও ফকিরহাট ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ট্রাক দুটি সরিয়ে নিলে প্রায় আধাঘণ্টা পর মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ট্রাক চালকের লাশ উদ্ধার করে থানায় পাঠানো হয়। পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয় দুর্ঘটনার শিকার ট্রাক দুটি।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের প্রত্যেক মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচলের জন্য পৃথক লেন চেয়ে হাইকোর্টে একটি আবেদন দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি ‘বিশেষ’ ব্যক্তির অপরাধের কারণে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ না করারও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ ৯ মে মঙ্গলবার পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটে এ সম্পূরক আবেদন করা হয়। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৈমূর আলম খন্দকার, ইয়ারুল ইসলাম, ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম খোন্দকার।
সংশ্লিষ্ট আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, আবু হানিফ হৃদয় নামের যাত্রাবাড়ীর এক বাসিন্দা এ রিট করেন। এর আগেও তিনি এ সংক্রান্ত একটি রিট করেছিলেন। যেটি গত ১৫ জানুয়ারি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেন হাইকোর্ট।
রিটে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করে সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়। এরপর নতুন করে তিনি একই বিষয়ে আবার রিট করেন।
ওই রিট বিচারাধীন অবস্থায় গত ২২ এপ্রিল উদযাপিত ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পদ্মা সেতু মোটরসাইকেল চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয় সরকার যা এখনও কার্যকর রয়েছে। এ পর্যায়ে আগের রিটের সঙ্গে রিটকারী হানিফ হৃদয় হাইকোর্টে সম্পূরক আবেদন দায়ের করেন।
গত বছরের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হয়। পরদিন ২৬ জুন যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। তবে এদিন ভয়াবহ দুর্ঘটনার কারণে পরে এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, ২৭ জুন ভোর ৬টা থেকে পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় মোটরসাইকেল চলাচলের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভালুকায় বাড়ির উঠানে রান্না করার সময় খেজুর গাছের গুড়ি ভেঙে পড়ে গাছের চাপায় চায়না আক্তার (৩৫) নামে এক গৃহবধূর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ ২৫ মার্চ শনিবার সকালে উপজেলার মল্লিকবাড়ীর ইউনিয়নের গোবুদিয়া গ্রামে। নিহত চায়না আক্তার ওই এলাকার নুরুল ইসলামের স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, ওই গৃহবধূর বাড়ির ওঠানে তার অসুস্থ শাশুড়ির জন্য রান্না করার সময় হঠাৎ উঠানের পাশে থাকা খেজুর গাছটির গুড়ি ভেঙে গৃহবধূর উপরে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। খেজুর গাছের গুড়ি পচে নষ্ট হয়ে ওই নারীর উপর পড়ে তার মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলার প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল সমগ্র জেলায় পৌষের শেষ দিক থেকে শীত জেঁকে বসেছে। শীতের দাপটে যেখানে মানুষ থেকে শুরু করে প্রানীকুল তটস্ত।
সেখানে শীতের পাখায় ভর দিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও মলাদহ বিলে অতিথি পাখির আগমন ঘটেছে। ফলে বিভিন্ন এলাকা থেকে পাখিপ্রেমীরা দল বেঁধে আসছেন পাখি দেখতে ঘাটাইল উপজেলার মলাদহ বিলে। বিলটির অবস্থান উপজেলার আনেহলা ইউনিয়নের সবুজ শ্যামল এক গ্রাম ডাকিয়া পটল। এ গ্রামের বুক চিরে বয়ে গেছে বিশাল এক জলাধার। নাম তার মলাদহ। এ ছাড়া রয়েছে আরো ছোট কয়েকটি বিল।
শীতকাল এলেই এই মলাদহ বিল অতিথি পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত হয়ে উঠে। বিলটি পাখির কারণে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে। পাখির বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি, উড়ে চলা, নীরবে বসে থাকা-মানুষকে আকৃষ্ট করে তোলে মুহুর্তেই। তাই দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন একনজর পাখি দেখার জন্য এখানে আসেন।
এখানে উল্লেখযোগ্য পাখিগুলো হচ্ছে বালিহাঁস, পাতিহাঁস, সারস, পানকৌড়ি, নারিলা ও ডাহুক। চারদিকে সবুজ শ্যামলের সমারোহে বিলগুলো। মাঝখানে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বিলবেষ্টিত ডাকিয়া পটল গ্রাম। সকালে এ গ্রামের বিলের কচুরিপানার মাঝে জলকেলিতে মাতে অতিথি পাখি। আর বিকেলের সোনালি রোদে গ্রামের গাছের ডালে ডালে পানকৌড়িসহ বিবিভন্ন পাখির পালক জ্বলজ্বল করে। এ গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে শত ব্যস্ততার মাঝেও পাখি দেখে অনেক পথচারি একটু দাঁড়িয়ে চোখ জুড়িয়ে নেন।
স্কুলশিক্ষক বাবর হোসেন জানান, ফেব্রুয়ারি মাসে শীতের মৌসুম চলে গেলে পাখি যখন চলে যায় তখন বুকটা ফাঁকা লাগে। আবার যখন শীতে ফিরে আসে তখন বুক ভরে যায়। পাখিদের সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব। এখানে পাখি আসে বলেই প্রতিদিন অনেক পাখিপ্রেমী দেখতে আসেন।
পাখিপ্রেমী আব্দুল মোতাকাব্বির স্বাধীন বলেন, পাখি আমাদের পরিবেশ রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রাখে। তাই আমাদের দেশে আসা অতিথি পাখি যাতে নিরাপদে থাকতে পারে সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।
আনেহলা ইউপি চেয়ারম্যান তালুকদার মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, পাখি আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য ধরে রাখে। তাই পাখিদের প্রতি সকলকে সহনশীল হতে হবে। আমার ইউনিয়নের যেসব স্থানে অতিথি পাখি আসছে, সেখানে যাতে তারা নিরাপদে থাকতে পারে সেজন্য পরিষদের পক্ষ থেকে নজরদারি রয়েছে।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জাফরুল হাসান রিপন বলেন, ‘পাখি প্রকৃতির অলংকার। এ অলংকার ধ্বংস করা মানে পরিবেশ ধ্বংস করা। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য পাখির বিচরণ ক্ষেত্র মুক্তভাবে রক্ষা করতে হবে। অতিথি পাখিরা যেন ‘মুক্ত আকাশে, খালে, বিলে, হাওর বাঁওড়ে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে তার ব্যবস্থা অবশ্যই আমাদের করতে হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরতিজা হাসান দৈনিক যায়যায়দিন কে জানান, ‘প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য পাখির বিচরণ ক্ষেত্র মুক্তভাবে রক্ষা করতে হবে। আমাদের দেশ ক্রমে ক্রমে অতিথি পাখির জন্য ঝুঁকি পূর্ণ হয়ে উঠেছে। শুধু আইন দিয়েই পাখি শিকার বন্ধ করা যাবে না, এ জন্য প্রয়োজন সবার সচেতনতা।’