চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কৃষকলীগের উদ্যোগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে আজ ১ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী “জাতীয় শোক দিবস” উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের মাসব্যাপী কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
সকাল ১০টায় সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ নেতা খোকন কান্তি আচার্য্য, পৌর আওয়ামীলীগ নেতা মাসুকুল কবির সহ ডাঃ মোঃ অলিউর রহমান, মোঃ আলাউদ্দিন, আবুল বাছের চৌধুরী, এহসানুল হক, আঞ্জুআরা বেগম প্রমুখসহ জেলা ও শহর কৃষকলীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন চাইবেন লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও।
আজ ২২ মে সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা জানান।
ফিরোজুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে জয়লাভ করেন। এর আগে তিনি সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদে টানা পাঁচবার চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সাবেক সদস্য।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফিরোজুর রহমান। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদে ৫ বারে ২৬ বছর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। পরে সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। এই জনপদের কাছে আমার ঋণ রয়েছে। জীবনের শেষ সময়ে মনের একটি ইচ্ছা জানাতে এখানে উপস্থিত হয়েছি।
তিনি বলেন, কৈশর জীবনে ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের আন্দোলন সংগ্রামে চোঙ্গা হাতে নিয়ে মিছিল করেছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে খুব কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। আমি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনে দলের কাছে মনোনয়ন চাইব। সে লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমার জীবনের শেষ নির্বাচন হিসেবে আমি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। আমার জীবনের এই ইচ্ছাটুকু আপনাদের মাধ্যমে আজ সকলের কাছে প্রকাশ করেছি। আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর কাছে দোয়া ও সহযোগিতা চাই। আগামী সংসদ নির্বাচনে আমি যেন দলীয় মনোনয়ন পাই সে জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার রহমত কামনা করি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফিরোজুর রহমানের ছেলে শেখ ওমর ফারুক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামরুল হাসান খাঁন, সমাজসেবক মুন্সী শাহআলম প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীর আনন্দ মিছিলে প্রকাশ্যে গুলি করে আশরাফুল ইসলাম ইজাজ ওরফে আয়াশ আহমেদ ইজাজ (২৩) নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে খুনের ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসান আল ফারাবী ওরফে জয়কে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। ঘটনার পর গত বুধবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংগঠনের শৃংখলা ও মর্যাদা পরিপন্থী এবং অপরাধমূলক কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে হাসান আল ফারাবী ওরফে জয়কে (সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা) কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হয়।
নিহত আশরাফুল ইসলাম ইজাজ কলেজপাড়ার আমিনুল ইসলামের ছেলে। ইজাজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সম্মান দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও জেলা ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী।
গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পৌর এলাকার কলেজপাড়া খান টাওয়ারের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে আজ ৬ জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ইজাজের লাশ ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসে পৌছেনি।
পুলিশ জানায়, দুপুরে ইজাজের লাশ নিয়ে তার স্বজনরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে রওয়ানা হয়েছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই তার ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে ইজাজের হত্যা ঘটনায় এখনো থানায় কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত অভিযুক্ত হাসান আল ফারাবী ওরফে জয়কে গ্রেফতার করতে পারেনি। উদ্ধার করা হয়নি হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রও।
ঘটনার পর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে দেখা যায় ঘটনার পর ছাত্রলীগ নেতা ফারাবী তার হাতে থাকা পিস্তল কোমড়ে নিয়ে সরে যাচ্ছেন। ইজাজকে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয় বলে ওই ভিডিওতে ধারণা পাওয়া যায়।
স্থানীয় সূত্র ও জেলা ছাত্রলীগের একাধিক সূত্র জানায়, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসান আল ফারাবী ওরফে জয়ের সাথে দীর্ঘদিন ধরেই ইজাজের বিরোধ চলে আসছিলো।
গত বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট চলাকালে ভোট কেন্দ্রে জয় ও ইজাজের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যায় শহরের মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ফলাফলে চেয়ারম্যান পদে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন বিজয়ী হওয়ার খবর পেয়ে তার সমর্থকরা আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিলটি কলেজপাড়া এলাকার খান টাওয়ারের সামনে পৌছলে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসান আল ফারাবী ওরফে জয় মিছিলে প্রকাশ্যে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে আশরাফুল ইসলাম ইজাজ মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
পরে মিছিলে থাকা তার সহপাঠীরা দ্রুত ইজাজকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন।
পরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকগণও তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা নেয়ার পথে সে পথিমধ্যেই মারা যায়।
নিহতের মামাতো ভাই জুনায়েদ চৌধুরী জানান, কলেজপাড়ার বাসিন্দা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক ভিপি ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জালাল হোসেন খোকার অনুসারী ছিলো জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসান আল ফারাবী ওরফে জয়। সন্ধ্যায় আনন্দ মিছিল চলাকালে খোকার নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি মোটর সাইকেল নিয়ে এসে হাসান আল ফারাবী ওরফে জয় প্রকাশ্যে গুলি করে পালিয়ে যায়।
নিহতের চাচা আনিসুর রহমান বলেন, হাসান আল ফারাবী ওরফে জয় প্রকাশ্যে পিস্তল দিয়ে ইজাজের মাথায় বামদিক দিয়ে গুলি করে। তখন ইজাজ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। জালাল হোসেন খোকার নির্দেশে জয় ইজাজকে গুলি করেছে।
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ আরিফুজ্জামান বলেন, ইজাজের মাথার বাম পাশের কানের উপরে মারাত্মক একটি ক্ষত রয়েছে। তার সাথে আসা বন্ধুরা জানিয়েছেন ইজাজের গুলি লেগেছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন বলেন, নিহত ইজাজ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলো। সে আমার নির্বাচন করেছে। পূর্ব বিরোধের জের ধরে আনন্দ মিছিলে প্রকাশ্যে গুলি করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এই হত্যাকান্ডের বিচার চাই।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসলাম হোসাইন বলেন, ইজাজ হত্যা ঘটনায় এখনো থানায় কোন মামলা হয়নি। তার লাশ ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনা হচ্ছে। ঘাতক জয়কে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ বিভিন্ন তল্লাশী চৌকি বসিয়েছে। এখনো তাকে গ্রেফতার করা যায়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান মীর মুগ্ধ ও জাহিদুজ্জামান তানভীনসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফরোত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রগতিশীল সংগঠন আমরা ভোরের সাথীর আয়োজনে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৭ আগস্ট শনিবার সকালে লোকনাথ দীঘিরপাড় (ট্যাংকের পাড়ে) এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে আত্মত্যাগ কারীদরে শহীদ হওয়া ও আহত হওয়া সকল শিক্ষার্থীদের কথা তুলে ধরে বক্তারা বলনে, সবার জন্য সমান সুযোগ ও বৈষম্যহীন এক নতুন সম্ভাবনার রাষ্ট্র নির্মাণ করতে গিয়ে আন্দোলনে অংশ নিয়ে যারা শহীদ হয়েছেন আমরা তাদরে আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং যারা আহত হয়েছেন তাদরে দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এম এ কাশেম, নাসির উদ্দিন খন্দকার, রাহিম উদ্দিন রায়হান, এম এ নাছের বাহার, প্রবাসী স্বপন কুমার রায়, গৌরাঙ্গ সাহা, রাশেদ কবীর আখন্দ, আব্দুস সালাম, ইসকান্দর মির্জা, আরিফুল ইসলাম শামীম, আব্দুর রউফ, মোঃ নাসির হোসেন, হুমায়ুন কবীর, কাজী হাবিবুর রহমান, মাঈনুদ্দিন উদ্দিন খাজা ও মনির খানসহ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সারা দেশব্যাপী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এক সময় তীব্র থকে তীব্র আকার ধারন করলে সারা দেশেরে ন্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ও অনেক কৃতি শিক্ষার্থী শহীদ হন এদের মধ্যে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) এর ছাত্র মীর মুগ্ধ, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ইসাবজেক্টের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী জাহিদুজ্জামান তানভীনসহ বেশ কয়েকজন রয়েছে। দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে মোনাজাত পরচিালনা করনে পাইকপাড়া জামে মসজিদের সাবেক খতিব মাওলানা জুনায়েদ কাসেমী।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে সামাজিক এই সংগঠনের সকল সদস্যবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ গ্রহন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে অবৈধভাবে মাটি কাটার ব্যবসা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক দেশ রূপান্তরের জেলা প্রতিনিধি ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কমের জেলা প্রতিনিধি মাইনুদ্দিন রুবেলের উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৯ এপ্রিল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ঢেউ এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, গণমাধ্যমকর্মী ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বেলাল, প্রেসক্লাবের কার্যকরী সদস্য শাহজাহান সাজু, খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজের উদ্যোক্তা ও পরিচালক হারুন অর রশিদ ও শাহীন মৃধা, প্রথম আলোর ব্রাহ্মণবাড়িয়া বন্ধু সভার সভাপতি অভিজিৎ রায় ও সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মিয়া, ঢেউ এর সদস্য শাহাদাত হোসেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সন্ত্রাসী কার্যক্রম যারা করে তাদের কোনো পরিচয় নেই। তারা সন্ত্রাসী। সুষ্ঠু বিচারের জন্যই আজ আমরা দাঁড়িয়েছি। সাংবাদিকরা কেন এখনও নিরাপদ না। সাংবাদিকদের ভয়ভীতি দেখানো যাবে না এটা সবার বুঝতে হবে। ভয় দেখিয়ে সত্য প্রকাশ থেকে সাংবাদিকদের নিভৃত করা যাবে না। বক্তারা অবলিম্বে মাইনুদ্দিন রুবেলের উপর হামলায় জড়িত প্রধান আসামী মোখলেছুর রহমান ওরফে লিটন মুন্সী ও কাইয়ুমসহ সকলকে গ্রেপ্তার করতে হবে। আন্দোলন করেই যদি সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করতে হয়, সাংবাদিকরা তাই করবে। হামলার প্রতিবাদ জানিয়েই যাবে। তারা জড়িতদের সকলকে দ্রুত গ্রেফতারের জন্য পুলিশের কাছে দাবি জানান।
মাইনুদ্দিন রুবেল বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ভিটি দাউদপুর গ্রামের বাসিন্দা। তবে তিনি দীর্ঘ ২০ বছর ধরে জেলা শহরের দক্ষিণ মৌড়াইলে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে আটটার দিকে জেলার বিজয়নগর উপজেলার মির্জাপুর এলাকায় উপজেলা পরিষদের সামনে মাইনুদ্দিনের ওপর হামলা করা হয়। উপজেলা যুবদলের বহিষ্কৃত সদস্য সচিব মোখলেছুর রহমান ওরফে লিটন মুন্সির নেতৃত্বে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কাইয়ুম মিয়াসহ তার সহযোগীরা এই হামলা চালায়। এ ঘটনায় পরদিন রাতে আহত সাংবাদিক মাইনুদ্দিন রুবেল বাদী হয়ে লিটন মুন্সী, কাইয়ুমসহ ১৩জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন কিন্তু পুলিশ এখনো মামলার কোন আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, এখনে কাউকে গ্রেফতার করতে পারিনি। ঘটনার পর থেকে আসামীরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গোসল করতে গিয়ে ডোবার পানিতে ডুবে আব্দুর রাহিম নামে এক প্রতিবন্ধী শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আজ ২৭ এপ্রিল শনিবার বিকেল ৫টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের বড়হরণ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত রাহিম (১১) ঐ গ্রামের সবুর মিয়ার ছেলে।
মৃতের চাচা আলী আজম জানান, আব্দুর রাহিম বিকেলে বাড়ির পাশে ডোবায় গোসল করতে গিয়ে ডুবে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন৷ রাহিম প্রতিবন্ধী ছিলো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মো. আসলাম হোসেন জানান, বিকেলে ডোবাতে ডুবে একটি প্রতিবন্ধী শিশু মারা গেছে। লাশ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা আছে।