চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের ১৫ সদস্যকে সুসজ্জিত গাড়িতে করে বিদায় জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১ আগস্ট) ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে তাদের বিদায় জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন। এসময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বিদায়ী পুলিশ সদস্যরা।
বিদায়ী পুলিশ সদস্যরা হলেন, পুলিশ পরিদর্শক মো. আলমগীর হোসেন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ মো. সাজিদুল হক, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. সোহেল সুলতান, পুলিশ কনস্টেবল মো. আনোয়ার হোসেন, মো. ইব্রাহীম, আব্দুর রশিদ, আবু সাদেক, মো. শাহ আলম, মো. সুলতান আহাম্মদ, মো. আবু ইউসুফ, মো. গোলজার হোসেন, বোরহান উদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ, মো. আজিজুর রহমান ও খোরশেদ মিয়া।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ লাইন্স সূত্রে জানানো হয়, জন্ম তারিখ অনুযায়ী সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের ১৫ সদস্য। তাই গত ৮ জুলাই মাসিক কল্যাণ সভায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের আনুষ্ঠানিক বিদায় জানানো হয়।
পরে জেলার পুলিশ সুপার তার সরকারি বাংলোতে তাদের সঙ্গে নিয়ে নৈশভোজ করেন। তাদের বিদায় স্মরণীয় করে রাখতে অনাড়ম্বর আয়োজনের নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।
গতকাল মঙ্গলবার তাদের প্রত্যককে নিজ বাড়িতে পৌঁছে দিতে পুলিশ লাইন্সের ভেতরে কয়েকটি পুলিশ ভ্যান ও মাইক্রোবাস ফুল-বেলুন দিয়ে সাজানো হয়। তাদের বিদায় জানাতে উপস্থিত হন পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা। এসময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বিদায়ী পুলিশ সদস্যরা। পরে বাড়িতে পৌঁছে দিতে সুসজ্জিত গাড়িগুলোতে তাদের বিদায় জানানো হয়।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, কেউ একবার পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করলে তিনি সারাজীবনই পুলিশ হিসেবে পরিচিত হয়। তার মধ্যে যেন সেই অনুভূতি না হয় তিনি ডিপার্টমেন্ট ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। তাদের আপন মনে করে তাদের সঙ্গে নৈশভোজ করেছি এবং সুসজ্জিত গাড়িতে নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
কান্দিপাড়ায় বাড়ির টয়লেট থেকে সিয়াম (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে কান্দিপাড়া এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সিয়াম পাওয়ার হাউস রোডের স্কলারস স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
হাসপাতাল ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সিয়াম বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল। তারপর সিয়াম বাসায় এসে টয়লেটে ঢুকে আর বের হয়নি। পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙে দেখেন সিয়াম টয়লেটের মেঝেতে পড়ে আছে। তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, কী ভাবে সিয়াম মারা গেছে তা সঠিক বলা যাচ্ছে না। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের লাইনচ্যুত বগি উদ্ধার শেষে সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর ডাউন লাইনে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। আজ (শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৭টা ৫০ মিনিটে ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। আজ ৬ সেপ্টেম্বর শনিবার রাত ৭টা ৫০ মিনিটে ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এর আগে বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের কাছে চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনটির একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এর ফলে ডাউন লাইনে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম-সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী মাস্টার সাকির জাহান জানান, ঢাকা থেকে আসা কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে নির্ধারিত যাত্রাবিরতি শেষে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার পর – স্টেশনের আউটারে রেলক্রসিংয়ের কাছে ‘চ’ বগিটি বিকট শব্দে লাইনচ্যুত হয়।
পরে আখাউড়া জংশন স্টেশন থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে দুর্ঘটনাকবলিত বগিটি উদ্ধারে কাজ শুরু করে। উদ্ধার কাজ শেষে রাত ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
পুকুরে ডুবে নূর মোহাম্মদ খাঁন নামে সাড়ে তিন বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আজ ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চাপুইর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মৃত নূর মোহাম্মদ খান চাপুইর গ্রামের মোঃ কামাল খানের ছেলে।
মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিনুল হক পাভেল জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির উঠানে অন্য শিশুদের সাথে খেলা করছিলো নূর মোহাম্মদ খান। এক পর্যায়ে সবার অগোচরে সে বাড়ির পাশের পুকুরে পানিতে পড়ে যায়।
পরে স্বজনেরা শিশুটিকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত কর্তব্যরত চিকিসৎক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে কমিটি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
আজ শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে গভ. মডেল গার্লস হাই স্কুলে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, বুরহান উদ্দিন (২১) ও ফয়সাল আনুমানিক (২৭)। বুরহান উদ্দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিটি কলেজের শিক্ষার্থী।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, ২৩ নভেম্বর শনিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনায় পৌর শহরের গভ. মডেল গার্লস হাই স্কুলের ভেতরে একটি সভার আয়োজন করা হয়। সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অবস্থান নেওয়া শহর ও উপজেলা থেকে শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হন। এক পর্যায়ে কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে এক পক্ষ ক্ষুদ্র বিষয়কে কেন্দ্র করে উত্তেজিত হয়ে পড়ে। পরে বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে মারধর শুরু হয়। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ২০-২৫ জন আহত হন। তবে গুরুতর হয়ে ফয়সাল জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি এবং বুরহানকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফ্ফর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে গুরুতরভাবে দুই জন আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে দুই পক্ষের কেউই থানায় অভিযোগ দেননি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের দাবিতে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। আজ ১২ জানুয়ারি রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত পাডায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে এই লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এসময় জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সহ মূখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ সহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত চত্বর, জেলা প্রশাসনের কার্যালয়সহ কয়েকটি সরকারি দপ্তরে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের দাবিতে লিফলেট বিতরণ করেন।
এসময় জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সহ মূখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ বলেন, সরকার আমাদের দাবি মেনে নিয়েছে। বলেছে সকল রাজনৈতিক দল সহ অংশিজনের মাধ্যমে তারা জুলাই বিপ্লবে ঘোষণা পত্র ঘোষণা করবে। আমরা সরকারকে সাধুবাদ জানাই। আমরা চাই জুলাই আন্দোলনকে বেগবান করেছে এবং সমর্থন দিয়েছে আমাদের ছাত্রজনতা, দেশের খেটে-খাওয়া মানুষ সহ নানান শ্রেণী পেশার মানুষের কথা যেন এই ঘোষণাপত্রে থাকে। এই নতুন বাংলাদেশ হবে সকলের। এখানে কোন বৈষম্য থাকবে না। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই ছিল। এই উদ্দেশ্যে আমরা গণসংযোগ চালাচ্ছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী বুশরা আক্তার বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা এই প্রচারণা শুরু করেছি। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের পর রাষ্ট্রীয় ভাবে ঘোষণাপত্র স্বীকৃতি পেয়েছিল। ২০২৪ কেন পাবে না? ২০২৪ তো ২২ হাজার আহত ভাই-বোন আছে, আড়াই হাজার শহীদ হয়েছেন। দেখা যাবে আগামী ৫ বছর পর তা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তাহলে পরবর্তী প্রজন্ম আর জানতে পারবে না এই বিপ্লব গণঅভ্যুত্থানের কথা। আমরা চাই আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের শহীদ ও আহত ভাইদের কথা জানুক। তাদের স্বীকৃতি দেওয়া হোক। তাই আমরা সবার মতামত চাই।