চলারপথে রিরেপার্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা রেস্তরা মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ শাহআলম (৫৫) এবং পৌর ছাত্রলীগের সদস্য শাকিবুল চৌধুরী অন্তর (২০) কে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
আজ ২ অক্টোবর বুধবার দুপুরে পৃথক অভিযানে শহরের কাউতলী এলাকা থেকে মোঃ শাহআলম এবং মধ্যপাড়া বর্ডার বাজার এলাকা থেকে শাকিবুল চৌধুরী অন্তরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত শাহ আলম পৌর এলাকার কাউতলী গ্রামের মরহুম আবদুল মালেক সর্দারের ছেলে এবং শাকিবুল চৌধুরী অন্তর মধ্যপাড়া (বর্ডার বাজার) এলাকার শফিকুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে। মোঃ শাহআলম বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বুধবার বিকেলে জেলা পুলিশ মিডিয়া উইংস থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গ্রেফতারকৃত দুজন গত ৪ ও ৫ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত ছিলেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোজাফফর হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃত শাহ আলম ও অন্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার এজাহারনামীয় আসামি। বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
লাইসেন্স বিহীন এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পরিচালনা করার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দি ডাচ-বাংলা ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা শহরের পুরাতন জেল রোডে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারটিতে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জামশেদুল আলম।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন- জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার এহসানুল হক শিপন, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে ডা. সম্বিতা চক্রবর্তী ও ডা. আরিফুল ইসলাম এবং স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ছফিউর রহমান প্রমুখ।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জামশেদুল আলম জানান, দি ডাচ বাংলা ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে প্রতিষ্ঠানটিতে লাইসেন্স সহ বৈধতার কোনো কাগজপত্র ছিল না। এছাড়াও ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি অনেক অপরিচ্ছন্ন ছিল। তাই ভুক্তা অধিকার আইন এবং বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরি নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮২ এর ৮ ধারা প্রতিষ্ঠানটিকে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদেরকে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হলে ম্যানেজার তা প্রদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পিকআপ ভ্যানের চাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। আজ ৩১ মে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় আরো তিন যাত্রী আহত হন।
নিহতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের চান্দিয়ারা গ্রামের আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে মিথুন মিয়া (২৮) ও একই ইউনিয়নের সুতিয়ারা গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে শামসু মিয়া (২৪)। আহতরা হলেন, সুতিয়ারা গ্রামের ইকরাম (১০), পৌর এলাকার মেড্ডার সিএনজি চালক এমরান (২৮), মনির (৩০)। আহতদেরকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে খাটিহাতা হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক মো. সারোয়ার ও সহকারি উপ-পরিদর্শক মৃণাল কান্তি জানান, সরাইল বিশ্বরোড থেকে ছেড়ে আসা একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা ঘাটুরা পল্লী বিদ্যুৎ এলাকা অতিক্রম করার সময় বিপরীত দিক একটি পিকআপ ভ্যান অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এ সময় পিছন দিক থেকে আরো একটি অটোরকিশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে দুইজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ দুর্ঘটনা কবলিত পিকআপ ও অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নন্দনপুরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে পিকআপ ভ্যান ও ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষে মো. ফজলুল হক নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনা ঘটে ৭ মার্চ শুক্রবার সকালে উপজেলার নন্দনপুর এলাকায়।
নিহত ফজলুল হক ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার বাঁশহাটি গ্রামের মো. আব্দুল লতিফের ছেলে। আহতরা জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার এসআই মো. সজিব মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের নন্দনপুর বিসিকের সামনে দ্রুতগতির একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পিকআপ ভ্যানে থাকা ফজলুল হক ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় আরো দু’জন গুরুতর আহত হয়েছেন।