চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধভাবে একটি পুকুর ভরাটের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে একটি ড্রেজার জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ ৪ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে শহরের পূর্বমেড্ডা তিতাসপাড়ার এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে তিতাসপাড়ার কালাগাজীর মাজার এলাকায় একটি বিশাল আকৃতির পুকুর ভরাট করে আসছিলো স্থানীয় প্রভাবশালীরা। নৌকা দিয়ে বালি এনে ড্রেজারের মাধ্যমে পুকুরটি ভরাট করা হচ্ছিল।
খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি ড্রেজার জব্দ করেন। অভিযানের খবর পেয়ে পুকুর ভরাটকারীরা পালিয়ে যায়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন ও সদর থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, মেড্ডা কালাগাজী মাজার সংলগ্ন একটি পুকুর ভরাট করার খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করি। এ সময় একটি ড্রেজার জব্দ করা হয়। ড্রেজারটি সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি জানান, ঘটনাস্থলে পুকুর ভরাটকারীদের পাওয়া যায়নি। এজন্য কাউকে আটক করে জরিমানা করা সম্ভব হয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন লাইনচ্যুৎ হওয়ার প্রায় ১০ ঘণ্টা পর ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রেলপথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। আজ ১০ মে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। ৯ মে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের পৈরতলা লেভেলক্রসিং এলাকায় মালবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়। উদ্ধার কার্যক্রমে শেষে আজ ভোর ৫টার দিকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। কিন্তু এক ঘণ্টা পর একই স্থানে কক্সবাজার এক্সপ্রেসের একটি বগি লাইনচ্যুৎ হয়। বগিটি উদ্ধারের পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. জসিম উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, দুই দফায় প্রায় ১০ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। শুক্রবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ৬০৩ নম্বর মালবাহী ট্রেনের একটি বগি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের অদূরে পৈরতলা রেল ক্রসিংয়ের সামনে লাইনচ্যুত হয়। আখাউড়া রেলওয়ে জংশন থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে দুর্ঘটনাকবলিত বগিটি উদ্ধারে কাজ শুরু করে। ভোরে পৌনে ৫টার দিকে বগিটি সরানো হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
দুর্ঘটনার কারণে তুর্ণা, নিশিথা, উপবন এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম মেইলসহ বিভিন্ন ট্রেন আটকা পড়ে। এতে যাত্রীদেরকে দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়। তবে ভৈরব ও আশুগঞ্জ স্টেশনে যাত্রীদেরকে শুকনো খাবার এবং পানি দিয়ে আপ্যায়ন করে রেল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, লাইনচ্যুৎ হওয়া মালবাহী ট্রেনের বগি উদ্ধারের পর একই স্থানে আবারও আজ ভোর ছয়টার দিকে কক্সবাজার এক্সপ্রেসের একটি বগির দুটি চাকা লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটে। এতে ডাউনলাইনে চট্টগ্রাম ও সিলেটের সাথে ঢাকার ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সকাল সাড়ে আটটার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার জসিম উদ্দিন বলেন, আখাউড়া থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন আসার পর আজ ভোরে মালবাহী ট্রেনের বগি উদ্ধার করে। এর এক ঘণ্টা পর একই স্থানে কক্সবাজার এক্সপ্রেসের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। উদ্ধারকারী ট্রেন আগে থেকে ঘটনাস্থলে থাকায় বগিটি দ্রুততম সময়ে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। সকাল ৭টায় আপলাইনে এবং সাড়ে ৮টায় ডাউনলাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
অজ্ঞাত ট্রেনে কাটা পড়ে মো. কবির আলম (৩২) নামের এক কাপড় ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
আজ ২ ডিসেম্বর শনিবার ভোরে শহরের শিমরাইল কান্দি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
কবির আলম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের গুজিয়াখাইল গ্রামের পশ্চিম পাড়ার আব্দুল করিমের ছেলে।
কবির আলম শহরের কাউতলী নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামের পাশে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ফাঁড়ির (আইসি) এসআই মো. সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কবির আলম ঢাকা বঙ্গ বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। গত বৃহস্পতিবার সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসে। কবির আলম শুক্রবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল।
শনিবার ভোরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা অজ্ঞাত ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন অতিক্রম করার সময় শিমরাইল কান্দি এলাকায় কবির আলম ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। সকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি আরো বলেন, কি কারণে ট্রেনের নিচে কাটা পড়েছে তা বলা যাচ্ছে না। কবির আলমের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ময়নাতদন্তের পরে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করব।
চলারপথে রিপোর্ট :
লাইসেন্স বিহীন এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পরিচালনা করার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দি ডাচ-বাংলা ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা শহরের পুরাতন জেল রোডে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারটিতে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জামশেদুল আলম।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন- জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার এহসানুল হক শিপন, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে ডা. সম্বিতা চক্রবর্তী ও ডা. আরিফুল ইসলাম এবং স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ছফিউর রহমান প্রমুখ।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জামশেদুল আলম জানান, দি ডাচ বাংলা ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে প্রতিষ্ঠানটিতে লাইসেন্স সহ বৈধতার কোনো কাগজপত্র ছিল না। এছাড়াও ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি অনেক অপরিচ্ছন্ন ছিল। তাই ভুক্তা অধিকার আইন এবং বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরি নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮২ এর ৮ ধারা প্রতিষ্ঠানটিকে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদেরকে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হলে ম্যানেজার তা প্রদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সূত্রে জানানো হয়েছে, পূর্ব নির্ধারিত পুলিশের নিয়োগ পরীক্ষা ২৫, ২৬, ২৭ অক্টোবর-২০২৪ এর পরিবর্তে আগামী ২৯, ৩০, ৩১ অক্টোবর যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে কোনো প্রতারক চক্রের মাধ্যমে প্রতারিত না হবার জন্যও আহবান জানানো হয়েছে। স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হবে বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফেসবুক পেইজ থেকে জানানো হলো। তবে কী কারণে তারিখ পরিবর্তন হলো তা উল্লেখ করা হয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ডিস্ট্রিক্ট পলিসি ফোরাম (ডিপিএফ)-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে গতকাল আজ ২৫ ডিসেম্বর সোমবার ফোরামের মাসিক সভা স্থানীয় কাউতলীস্থ স্বপ্নতরী কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিপিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি মোহাম্মদ আরজু মিয়া।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ডিপিএফর সহ-সভাপতি এস সি তাপসী রায়, সাধারন সম্পাদক মোঃ শরিফ উদ্দিন, এস এম শাহীন, আইয়ুব খান, মাহবুব খান, তাহের উদ্দিন ভূঁইয়া, আশিকুর রহমান, মোহাম্মদ পারভেজ, শিরিনা বেগম নারায়ন চক্রবর্তী, মেহেদী হাসান রজত, সোমা আক্তার, মদিনা বেগম প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে উঠান বৈঠক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাল্য বিবাহ বিরোধী সমাবেশ সহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।