অনলাইন ডেস্ক :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী আজ শনিবার। ১৯৪৯ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তাঁর জন্ম।
সৃজনশীল ক্রীড়া, নাট্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং আবাহনী ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা শেখ কামাল মাত্র ২৬ বছর বয়সে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এক দল বিপথগামী সেনাসদস্যের গুলিতে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে শহীদ হন। ওই হত্যাকাণ্ডের প্রথম শহীদ তিনি। বঙ্গবন্ধুর ছেলে– এ পরিচয় দেওয়ার পর মেজর (বরখাস্ত) বজলুল হুদা তার স্টেনগান দিয়ে তাঁকে হত্যা করে বলে পরবর্তী সময়ে জানা যায়। ছাত্রলীগের একজন নিবেদিত, সংগ্রামী ও আদর্শবাদী কর্মী হিসেবে ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকা পালন করেন তিনি।
শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। পৃথক বাণীতে তারা বহুমাত্রিক, অনন্য সৃষ্টিশীল প্রতিভার অধিকারী, তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীক শেখ কামালের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
দিনটি উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি উদযাপিত হবে। প্রধানমন্ত্রী আজ সকাল সাড়ে ৯টায় তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর অবমুক্ত করবেন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সকাল ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উদযাপন ও শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থেকে বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ ও সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো আজ সকাল ৮টায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে আবাহনী ক্লাব প্রাঙ্গণে শহীদ শেখ কামালের প্রতিকৃতি এবং সকাল সোয়া ৯টায় বনানী কবরস্থানে তাঁর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপি নেতাদের আটক ও জামিন বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের বক্তব্যের ব্যাপারে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এরমধ্যে কৃষিমন্ত্রী মহোদয় বলেছেন তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তার উনার (কৃষিমন্ত্রীর) ব্যক্তিগত অভিমত। তা আমাদের দলের নয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন এটা দলের অভিমত নয়। আইনমন্ত্রী দৃঢ়তার সাথে বলেন, বিএনপির নেতা যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে নির্দিষ্ট মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিচার এবং তাদের জামিনের ব্যপারে শুধু আদালত কথা বলতে পারে। আর কেউ নয়।
আজ ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ার সড়ক বাজারে নির্বাচনী গণসংযোগে এসে সাংবাদিকদের সাথে তিনি এসব কথা বলেন।
‘গণভবনের নির্দেশে আইন চলে আদালতের নির্দেশে নয়’ বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী’র এমন অভিযাগ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, উনি (রিজভী) কোথায় বসে বসে বাণী ছাড়েন। উনার বাণীগুলো সম্পূর্ণ অসত্য, তথ্যভিত্তিক নয়। বাংলাদেশে বিচার বিভাগ স্বাধীন বলে তিনি মন্তব্য করে বলেন, যখন বিএনপি ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার পরিবারকে হত্যা করে এই দেশে স্বৈর শাসক চালাচ্ছিল তখন যেমন বিচার বিভাগকে করায়ত্ত করা হয়েছিল সেই অবস্থা এখন আর নাই।
কসবা-আখাউড়ার সংসদ সদস্য প্রার্থী আনিসুল হক বলেন, কসবা-আখাউড়ার জনগণের কাছে আমার চাওয়া হচ্ছে, তাদের ভালোবাসা। আমি গত ১০ বছর তাদের সেবা করেছি। তাদের ভালোবাসা পেয়েছি। কসবা আখাউড়ার উন্নয়নের জন্য যা কিছু করতে হয় তাই আমি করবো।
ষ্টেশনে এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. এ. মতিন, আখাউড়া উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান, দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জালাল উদ্দিন, যুবলীরে যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ।
পরে মন্ত্রী সড়ক বাজারে সাধারণ মানুষের সাথে গণসংযোগ করে লিফলেট ও ফুল দেন। গণনসংযোগ শেষে সেখান থেকে মন্ত্রী খড়মপুর কল্লা শাহ (র.) মাজার জিয়ারত করেন।
এর আগে তিনি বেলা ১২টায় ঢাকা থেকে মহানগর প্রভাতী ট্রেনে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন ষ্টেশনে এসে পৌঁছেন।
এসময় ষ্টেশনে সহস্রাধিক আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগস অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীলা তাকে অভিনন্দন জানান। তিনি অপেক্ষমান নেতাকর্মীদেরকে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আহবান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
র্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের একটি দল ৮৩ কেজি গাঁজা ও একটি পিকআপসহ রকিব (২৮) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে।
৩০ আগস্ট শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের জালুয়াপাড়া এলাকার ইটাখোলা মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার মৈন্দ গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে।
র্যাব সূত্র জানায়, একজন মাদক ব্যবসায়ী পিকআপে করে গাঁজা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল থেকে ময়মনসিংহের গফরগাঁও এলাকায় যাচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে পেরে র্যাবের দলটি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের জালুয়াপাড়া ইটাখোলা মোড়ের কাছে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কের ওপর তল্লাশি চৌকি স্থাপন করে। ভোর সাড়ে ৬টার দিকে একটি পিকআপ বেপরোয়া গতিতে যাচ্ছিল। র্যাবের দলটি সংকেত দিয়ে পিকআপটি থামায়। এ সময় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি পিকআপ থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করলে র্যাব তাকে আটক করে। পরে পিকআপ তল্লাশি করে গাড়ির পিছনের বডির উপরে একটি বক্সের ভিতর থেকে ৮৩ কেজি গাঁজা এবং আটক ব্যক্তির দেহ তল্লাশি করে দুটি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার নাম রকিব বলে জানান।
র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মো. আশরাফুল কবির জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার রকিব পিকআপে করে গাঁজা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর এলাকা থেকে পাইকারি বিক্রির জন্য ময়মনসিংহের গফরগাঁও এলাকায় নিয়ে যাচ্ছিল বলে স্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দিয়ে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
১৯৭৫ সালের পরবর্তী সরকার মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে দেশের অগ্রযাত্রা বন্ধ করে দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ১৯৭৫-এর পর রাষ্ট্র ক্ষমতায় পালাক্রমে বসে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি এবং স্বৈরাচারী সামরিক শাসকেরা। শিক্ষাঙ্গনে চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়। সামরিক শাসক জিয়া ছাত্রদের হাতে তুলে দেয় অবৈধ অস্ত্র ও কালো টাকা। তাদের রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে। লাশের পর লাশ পড়তে থাকে ক্যাম্পাসগুলোতে।
আজ ৯ জুলাই রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ ২০২৩-২৪ এর নির্বাচিত ফেলোদের অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এ অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও ফেলোশিপপ্রাপ্তদের প্রাণঢালা অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়া। ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে প্রথম বাজেটে জাতির পিতা যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে প্রশাসনিক বিন্যাসের পাশাপাশি শিক্ষা ও গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করেন। ওই অর্থবছরে শিক্ষাখাতে এদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২১.১৬ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়। তিনি সব স্কুল-কলেজ পুনর্গঠন করেন এবং নতুন বিদ্যালয়-কলেজ ভবন নির্মাণ করেন। তিনি ১ লাখ ৬৫ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি এবং ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭২ সালে ড. কুদরাত-ই-খুদার নেতৃত্বে তিনি জাতীয় শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। কিন্তু, ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর ড. কুদরাত-ই-খুদা কমিশনের সেই রিপোর্ট আর বাস্তবায়ন করা হয়নি।
১৯৭৩ সালে তিনি মহান জাতীয় সংসদে বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস করার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন গঠন করেন। একই বছরে তিনি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৭৪ সালে জাতির পিতা ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা এবং আণবিক শক্তি বিভাগ’ নামে একটি স্বতন্ত্র বিভাগ সৃষ্টি করেন। আণবিক কমিশন গঠন করেন। ১৯৭৪ সালেই তিনি ‘শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়’ গঠন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫-এর পর রাষ্ট্রে গবেষণা তো দূরের কথা, শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়। সেশনজট অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। জাতির পিতা হাজিদের জন্য হিজবুল বাহার নামে একটি জাহাজ ক্রয় করেছিলেন। দুঃখের বিষয় জিয়াউর রহমান এ হিজবুল বাহার জাহাজকে প্রমোদ তরী বানিয়েছিলেন, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণদের নিয়ে যাওয়া হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে তখনই জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে শিক্ষাসহ প্রতিটি সেক্টরের উন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরা ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে শিক্ষা এবং গবেষণায় গুরুত্ব দেই। ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে প্রথম ১২ কোটি টাকা গবেষণা অনুদান প্রদান করি। পরবর্তীকালে গবেষণা ও প্রযুক্তির জন্য এ অনুদান ১০০ কোটিতে উন্নীত করি। আমরা ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়, ১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, সমুদ্র বিজ্ঞান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বায়োটেকনোলজি ইনস্টিটিউট, নভো থিয়েটার প্রতিষ্ঠা করি।
সিভিল সার্ভিস, শিক্ষাবিদ এবং দেশের যোগ্য নাগরিকদের জ্ঞান ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রীর ফেলোশিপ চালু করা হয়।
এই ফেলোশিপ প্রোগ্রামের আওতায় নির্বাচিত ফেলোদের যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডাসহ বিদেশে বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়। ফেলোশিপ প্রোগ্রাম শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ২৩৯ জন মাস্টার্স ফেলো এবং ৯৮ জন পিএইচডি ফেলো বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে গেছেন।
পিএইচডির জন্য স্কলারশিপ নিশ্চিত করতে আবেদনকারীদের প্রথমে তাদের নিজস্ব সামর্থে বিশ্বের ১০০ সর্বোচ্চ র্যাঙ্কিংয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটিতে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে।
মাস্টার্সের জন্য স্কলারশিপ নিশ্চিত করতে আবেদনকারীদের প্রথমে তাদের নিজস্ব সামর্থে বিশ্বের ২০০ সর্বোচ্চ র্যাঙ্কিংয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটিতে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে।
ভর্তি নিশ্চিত হলেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের (জিআইইউ) অধীনে বৃত্তির জন্য আবেদন করা যাবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন জিআইইউর মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ আবদুল লতিফ।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনে বাংলাদেশিদের জয়-জয়কার। দেশটির ভার্জিনিয়া স্টেট পার্লামেন্টের সিনেটর হিসেবে বাংলাদেশি আমেরিকান সাদ্দাম সেলিম বিজয়ী হয়েছেন। ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ফিলাডেলফিয়া সিটির কাউন্সিল অ্যাট লার্জ (মেয়রের সমপর্যায়ের ক্ষমতাবান) পদে বিজয়ী হয়েছেন আরেক বাংলাদেশি আমেরিকান ড. নীনা আহমেদ।
এদিকে নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলে পুনরায় জয়ী হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভ’ত শাহানা হানিফ। মিলবোর্ন সিটির নির্বাচনে কাউন্সিলর হিসেবে পুনরায় জয়ী হয়েছেন নুরুল হাসান এবং সালাহউদ্দিন মিয়া। হাডসন সিটি কাউন্সিলেও ৪ বাংলাদেশি আমেরিকান পুনরায় বিপুল বিজয় পেয়েছেন। এরা হলেন, কাউন্সিলম্যান শেরশাহ মিজান, দেওয়ান সারওয়ার এবং রনী ইসলাম ও ওয়ার্ড সুপারভাইজার আব্দুস মিয়া।
অপরদিকে মিশিগান স্টেটের হ্যামট্রমিক সিটির প্রো-টেম মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনরত কামরুল হাসান টানা চতুর্থবারের মতো আবারো বিজয়ী হয়েছেন। এই সিটির নির্বাচনে প্রথমবারের মত কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হলেন মোহতাসিন সাদমান। বিজয়ীরা ডেমক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী ছিলেন।
নোয়াখালী জেলা সদরের সন্তান সাদ্দাম সেলিম ৭০% ভোট পেয়ে স্টেট সিনেটর হওয়ায় মার্কিন মুল্লুকে বাংলাদেশি আমেরিকান সিনেটরের সংখ্যা ৪ হলো। একই মর্যাদায় স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ হিসেবে গত চার টার্ম যাবত নির্বাচিত হয়ে আসছেন নিউ হ্যামশায়ার স্টেটের আবুল খান। নির্বাচিত প্রবাসীদের মধ্যে তিনিই একমাত্র রিপাবলিকান।
অপর সিনেটররা হলেন শেখ রহমান, মাসুদুর রহমান এবং নাবিলা ইসলাম। বিশ্বের রাজধানী খ্যাত নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে প্রথম মুসলিম নারী ও প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য কাউন্সিলওম্যান হিসেবে নির্বাচিত হলেন শাহানা হানিফ। তিনি ৭৫% ভোট পেয়েছেন। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার উপদেষ্টা এবং ফিলাডেলফিয়া সিটির ডেপুটি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী ড. নীনা আহমেদ এবার তৃণমূলের ভোটে ফিলাডেলফিয়া সিটির কাউন্সিলওম্যান অ্যাট লার্জ হিসেবে জয়ী হওয়ায় প্রবাসীরা উৎসবে মেতেছেন।
উল্লেখ্য, ড. নীনা এর আগে পেনসিলভেনিয়া স্টেট অডিটর জেনারেল এবং লেফট্যানেন্ট গভর্ণর পদে ডেমক্র্যাটিক পার্টির টিকিটে লড়েছেন। কিন্তু জয়ী হতে পারেননি। সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনায় রেখেই সিটি মেয়রের সমমর্যাদার একটি আসনে বিজয়ী হলেন। ড. নীনা হচ্ছেন এই সিটির প্রথম দক্ষিণ এশিয়ান কাউন্সিলম্যান ও প্রথম মুসলিম নারী।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ায় টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা পদত্যাগ করেছেন। আজ ১৯ নভেম্বর রবিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে তাঁরা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। ২০১৮ সালে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীরা পদত্যাগ করলেও প্রধানমন্ত্রীর উপেদষ্টারা পদত্যাগ করেননি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ায় টেকনোক্র্যাট দুই মন্ত্রী ও এক প্রতিমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর সাতজন উপদেষ্টাকে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ চিঠি দিয়েছিল।
এরপর আজ বিকেলে তাঁরা পদত্যাগ করেছেন।
বর্তমানে সরকারের মন্ত্রিপরিষদে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা হলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কাজ করছে। ২০১৮ সালেও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের পদত্যাগ করার জন্য চিঠি দিয়েছিল।
এবারও তারা কাজ করছে। এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের এক যুগ্ম সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের পদত্যাগের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে শুনেছি। তবে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন কি না, সেটা জানি না।’
মন্ত্রীসভার যেসব সদস্য ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত নন তাঁদের টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী বলা হয়।