অনলাইন ডেস্ক :
মালয়েশিয়ায় ৪২৫ অভিবাসীকে আটক করেছে, দেশটির কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন বিভাগ। রাজধানী কুয়ালালামপুরের চেরাসের তামান কনটের তিনটি ভিন্ন ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। যাদের বয়স ৮ থেকে ৫৪ বছর।
গতকাল শুক্রবার মধ্যরাত ১টায় অভিযানে ৮০ জন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা মোট ৬০০ জন দেশি-বিদেশি নাগরিকের কাগজপত্র চেক করেন এবং এর মধ্য থেকে যাদের কাগজপত্র নেই এমন ৪২৫ জন বিদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে। যার মধ্যে ৩৭২ জন পুরুষ এবং ৫৩ জন নারী রয়েছেন।
আটককৃতদের মধ্যে বাংলাদেশের ২৫২, মিয়ানমার ১০৮, ইন্দোনেশিয়া ৩০, নেপাল ২০, পাকিস্তান ৭, কম্বোডিয়া ৬ এবং ফিলিপাইনের ২ জন রয়েছেন।
কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের পরিচালক শ্যামসুল বদরিন মহসিন সাংবাদিকদের বলেছেন, পাস বা পারমিটের অপব্যবহার, অবৈধভাবে পরিচয়পত্র ছাড়াই (অতিরিক্ত অবস্থান) ও বিভিন্ন অরাধের কারণে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতদের বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ডিপোতে রাখা হয়েছে। ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট অ্যাক্ট ১৯৬৬ এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশনস ১৯৬৩ এর অধীনে আরও বেশি তদন্ত করা হবে বলেও যোগ করেন শ্যামসুল বদরিন মহসিন।
কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের পরিচালক শ্যামসুল বদরিন মহসিন বলেন, আমরা সবসময় জনগণের দেওয়া অভিযোগ এবং তথ্যের ভিওিতে ব্যবস্থা নেবো এবং যারা অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় থাকেন, তাদের পাসের অপব্যবহার এবং এই দেশে অনৈতিক কার্যকলাপ পরিচালনাকারী বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে আপস করব না।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বরেকর্ড গড়তে কতরকম অদ্ভুত ঘটনাই না ঘটান লোকজন। টানা সাত দিন কেঁদে সাময়িক দৃষ্টি হারিয়ে এমনই এক অদ্ভুত কাজ করেছেন টেম্বু এবেরে নামের এক নাইজেরিয়ান যুবক।
বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এবেরে গিনেস রেকর্ডে নাম উঠাতে জোর করে এক সপ্তাহ কান্না করেন। পরে তার মাথাব্যথা শুরু হয় ও চোখ-মুখ ফুলে যায়। এ ঘটনার পর ৪৫ মিনিট দৃষ্টিহীন ছিলেন এবেরে।
তবে রেকর্ড গড়তে ঝুঁকি নিয়ে নাইজেরিয়ানদের এমন কাজ না করার পরামর্শ দিয়েছে জিডব্লিউআর।
টেম্বু বিবিসিকে জানান, যেহেতু গিসেস বুকে নাম লেখানোর জন্যে তিনি আবেদন করেননি, তাই তার এই রেকর্ড গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ আমলে নিচ্ছে না।
অনলাইন ডেস্ক :
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসীদের তাড়াতে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে দেশটির অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কর্মস্থলে অনেকে ভয়ে যাচ্ছেন না । স্কুলে যেতে চাচ্ছে না শিশুরা। তারা ভয় পাচ্ছে। অনেক মা-বাবার কাজ বন্ধ। অবৈধ অভিবাসীদের খোঁজে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে বাসা-বাড়ি আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হানা দিচ্ছে দেশটির বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সংস্থার সদস্যরা। স্থানীয় সময় রবিবার থেকে শুরু হয় সাঁড়াশি এ অভিযান। অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)-এর পাশাপাশি অংশ নিয়েছেন এফবিআই ও ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশনসহ (ডিইএ) বিচার বিভাগের বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা। অভিবাসন, মাদক, অস্ত্র আর কাস্টমস বিষয়ক ভিন্ন ভিন্ন বিভাগের অভিযানে গ্রেফতারের সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ এখন প্রতিদিন শত শত বৈধ কাজগপত্রহীন অভিবাসীকে আটক করে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে। এর মাধ্যমে, যারা বেআইনিভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে তাদের বহিষ্কার করতে ২০২৪ নির্বাচনী প্রচারণার সময় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেয়া প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
জো বাইডেন ক্ষমতায় থাকাকালে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে বহু অভিবাসী প্রবেশ করেছিলেন। তাদের বড় অংশের ঠিকানা হয়েছিল টেক্সাস। তখন টেক্সাসের গভর্ণর গ্রেগ অ্যাবট এই অভিবাসীদের বাইডেনের দল ডেমোক্রেটিক পার্টি শাসিত শহরগুলোয় পাঠিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে শিকাগোর স্থানীয় একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রশাসনের নানা তৎপরতার মুখে আতঙ্কে রয়েছেন শহরটির অনেক অধিবাসী। তাদের অনেকে স্কুল বা কাজে যাচ্ছেন না। যেমন শহরটির উপকণ্ঠে বসবাস করা দুই বোন ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে স্কুলে যাচ্ছে না। তাদের মা–বাবাও কাজে যাওয়া বন্ধ রেখেছেন।
ইউএস কমিটি ফর রিফিউজিস অ্যান্ড ইমিগ্র্যান্টস নামের আরেকটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এনা মারিয়া বেনা বলেন, ‘শিশুরা স্কুলে যেতে চাচ্ছে না। তারা ভয় পাচ্ছে। তারা মা–বাবার কাছ থেকে এসব বিষয়ে শুনছে। সম্প্রদায়ের মানুষের কাছ থেকে শুনছে। আমার মনে হয়, যখন শিক্ষার্থীরা ভয়ের কারণে স্কুলে যেতে চায় না, তখন ওই সম্প্রদায়ের মনের অবস্থা কী, তা অনেকটাই বোঝা যায়?’
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের নির্দেশে স্থানীয় সময় গত রবিবার থেকে ঝটিকা অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)-এর পাশাপাশি অংশ নিয়েছেন এফবিআই ও ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশনসহ (ডিইএ) বিচার বিভাগের বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা। গতকালপরিচালিত দেশব্যাপী অভিযানে ৯৫৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই অভিযান এক সপ্তাহ ধরে চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ট্রাম্পের ইশারায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসী তাড়ানোর দায়িত্ব পেয়েছেন টম হোম্যান। তিনি আইসিইর সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক। সিএনএনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে হোম্যান ঝটিকা অভিযান শুরুর দিনকে ‘একটি ভালো দিন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাঁর মতে, এই অভিযান ‘মোড় বদলে’ দেওয়ার মতো একটি ঘটনা।
সাক্ষাৎকারের সময় ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের শিকাগো শহরে ছিলেন টম হোম্যান। তিনি বলেন, এ বিষয়ে (অবৈধ অভিবাসন) পুরো প্রশাসনকে কাজে লাগিয়েছেন। শিকাগোর জননিরাপত্তা এবং জাতীয় নিরাপত্তা হুমকিগুলোর ওপর নজর রাখতে আজ আমরা সরকারের সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকে মাঠে নামিয়েছি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে আইসিই লিখেছে, রবিবার দেশজুড়ে ৯৫৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে শিকাগোয় এই ‘বাড়তি অভিযান’ ছাড়াও আটলান্টা, পুয়ের্তো রিকো, কলোরাডো, লস অ্যাঞ্জেলেস, অস্টিন ও টেক্সাস শহরে অভিবাসনসংক্রান্ত কর্মকর্তাদের তৎপরতা লক্ষ করা গেছে।
শিকাগোতে ট্রাম্পের অভিবাসনবিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে শহরটির অভিবাসীদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার সংগঠনগুলো। আদালতে দাখিল করা নথিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, শিকাগোয় অভিবাসীদের জন্য ছাড় থাকার কারণে শহরটি ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযানের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এটা সংবিধানের প্রথম সংশোধনীতে যে বাগ্স্বাধীনতার অধিকার দেয়া হয়েছে, সেটি খর্ব করে। একইসাথে চতুর্থ সংশোধনীতে অযৌক্তিক তল্লাশি ও আটকের বিরুদ্ধে যে সুরক্ষা দেয়া হয়েছে, তা লঙ্ঘন করে।
স্টাফ রিপোর্টার:
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছয় দিনব্যাপী ‘ভিজিট বাংলাদেশ-২০২২’ শুরু হয়েছে। এবার ১১টি দেশের ১৪ বিশিষ্ট ব্যক্তি বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি ইত্যাদি সরাসরি দেখার সুযোগ পাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, করোনা মহামারির কারণে ২০১৯ সালের পর এই প্রথম ‘ভিজিট বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারের ভিজিট বাংলাদেশে ১১টি দেশের ১৪ বিশিষ্ট ব্যক্তি অংশ নেন। এদের মধ্যে আলজেরিয়া, বাহরাইন, বুলগেরিয়া, কম্বোডিয়া, চীন, ওমান, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, স্পেন ও ভিয়েতনামের গণমাধ্যম কর্মী, বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা রয়েছেন। প্রথম দিন বৃহস্পতিবার তারা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ভিজিট বাংলাদেশে অংশগ্রহণকারীদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী অংশগ্রহণকারীদের স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি, অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি, স্বাধীন গণমাধ্যম, রোহিঙ্গা সমস্যা ইত্যাদি সম্পর্কে অবহিত করেন। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, ভিজিট বাংলাদেশে এ অংশ নেওয়া সবাই নিজ নিজ দেশে বাংলাদেশের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে ভূমিকা পালন করবেন।
ছয় দিনব্যাপী ভিজিট বাংলাদেশের অংশ হিসেবে বিদেশি অতিথিরা ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, শহীদ মিনার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা পরিদর্শন করবেন। তারা টুঙ্গিপাড়ায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন।
তারা তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন এবং একটি শিল্প পার্ক ঘুরে দেখবেন। এছাড়া অতিথিরা শুক্রবার বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসের প্যারেড অনুষ্ঠানেও উপস্থিত থাকবেন। আগামী ২০ ডিসেম্বর এবারের ভিজিট বাংলদেশের সমাপ্তি হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রে দুর্ঘটনাক্রমে ৩ বছর বয়সী একটি শিশু তার এক বছর বয়সী বোনকে গুলি করে হত্যা করেছে। সোমবার ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে এ ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির
সান ডিয়েগো কাউন্টির ফলব্রুকে হ্যান্ডগান দিয়ে গুলি করে ওই শিশু। সোমবার সকালে বোনকে গুলি করার পর ওই শিশুটি স্থানীয় পুলিশে ফোন করে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ দেখতে পায় তার বাসা রক্তে রঞ্জিত।
পরে মাথায় আহত অবস্থায় উদ্ধার করে এক বছরের কন্যাশিশুকে। পুলিশ জানতে পারে বাড়িতে তিন বছর বয়সী শিশুটি একটি অনিরাপদ হ্যান্ডগান হাতে পেয়ে যায়। তা দিয়ে সে গুলি করে বোনকে। আহত শিশুকে পালোমার হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে সে মারা যায়।
অনলাইন ডেস্ক :
তাইওয়ানে নতুন প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন দেশটির ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) নেতা উইলিয়াম লাই। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাইওয়ানের স্থানীয় গণমাধ্যমের মতে, প্রায় ৫০ লাখ ভোট পেয়েছেন উইলিয়াম লাই। যা দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
এর মাধ্যমে তাইওয়ানের ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি) থেকে টানা তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলো। তাইওয়ানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন পরপর দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় সংবিধান অনুযায়ী তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেননি।
শনিবারের এ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মোট তিনটি দল থেকে তিনজন লড়ছিলেন। তারা হলেন, ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির উইলিয়াম লাই, তাইওয়ান পিপলস পার্টির কো ওয়েন-জে এবং কুওমিনতাং (কেএমটি) দলের হাউ ইউ-ইহ। ইতোমধ্যেই বাকী দুই প্রতিদ্বন্দ্বী উইলিয়াম লাইয়ের জয় স্বীকার করে নিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
নির্বাচনটি শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা) শুরু হয়ে শেষ হয় বিকাল ৪টায় (বাংলাদেশ সময় ২টা)। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা। এতে শুরু থেকেই এগিয়ে ছিলেন উইলিয়াম লাই।
দেশটির নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, উইলিয়াম লাই পেয়েছেন মোট ভোটের ৪২ শতাংশ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাউ ইউ-ইহ পেয়েছেন ৩৩ শতাংশ ভোট। আর কো ওয়েন-জে পেয়েছেন ২৫ শতাংশ ভোট।
প্রসঙ্গত, ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি প্রচণ্ডভাবে তাইওয়ানের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাতন্ত্রে বিশ্বাসী। অর্থাৎ তারা কখনোই তাইওয়ানকে চীনের অংশ বলে মনে করে না। এক কথায় স্বায়ত্তশাসন।
অন্যদিকে পিপলস পার্টি পুরোপুরি চীনপন্থি দল। তাদের মতে, চীনের ছায়া তাইওয়ানের জন্য মঙ্গল। আর সবচেয়ে ছোট দল কুওমিনটাংয়ের নীতি ‘ভারসাম্যে’। নিজের স্বাধীনতা অটুট রেখে চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখায় বিশ্বাসী।