চলারপথে রিপোর্ট :
দুই বছরের হাবিবকে বিছানায় রেখে মা ঘরের বাইরে যান। এ সময় জানালা ধরে খেলা করছিল সে। এরই মাঝে জানালার ছিটকিনি খুলে আসে তার হাতে। অবুঝ শিশু হাবিব সেই ছিটকিনি মুখে ঢুকিয়ে গিলে ফেলে। এরপরই শুরু হয় পেটব্যথা ও যন্ত্রণা। পরিবারও কিছু বুঝে উঠতে পারছিল না। অবশেষে দুইদিন অবজারভেশনে রেখে শিশু হাবিবের খাদ্যনালী থেকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বের করা হলো জানালার সেই ছিটকিনি। বর্তমানে শঙ্কামুক্ত হাবিব।
হাবিব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার শান্তিনগর গ্রামের জুয়েল মিয়ার ছেলে। জুয়েল মিয়ার ৩ ছেলে সন্তানের মধ্যে হাবিব কনিষ্ঠ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর বর্তমানে হাবিব সেখানেই চিকিৎসাধীন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাবিবের মা পাখি বেগম বলেন, আমার ছেলেটি অনেক চঞ্চল। ২ আগস্ট বুধবার সকালে তাকে আমি নাস্তা করিয়ে বসিয়ে রেখে একটু ঘরের বাইরে যাই। এসে দেখি তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তার মুখ খুলে প্রথমে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। পরে গলায় সাদা ধরনের কিছু একটা দেখা যায় এবং মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছিল। এই অবস্থায় তাকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে হাবিবের এক্স-রে করে দেখে গলায় কিছু একটা আছে। সেখান থেকে দ্রুত বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসি। আসার পর এক্স-রে করে চিকিৎসকরা দেখেন পেটের ভেতর একটা ছিটকিনি। চিকিৎসকরা তাকে দুইদিন অবজারভেশনে রাখেন। এর দুইদিন পর শুক্রবার রাতে আমার ছেলেকে অপারেশন করে খাদ্যনালী থেকে একটি ছিটকিনি বের করেন ডা. আবু সাঈদ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও হাবিবের অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক ডা. আবু সাঈদ জানান, এক্স-রে রিপোর্টে শিশুটির পেটের খাদ্যনালীতে ছিটকিনি দেখা যায়। পেটের ভেতরে খাদ্যনালী প্রায় ২০ ফুট লম্বা থাকে। অস্ত্রোপচারের সময় খাদ্যনালীর ভেতর থেকে খুঁজে বের করা হয়েছে ছিটকিনিটি।
তিনি জানান, শিশুটির খাদ্যনালী কেটে ছিটকিনিটি বের করা হয়েছে। তা কিছুদিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। তাকে আরও দুইদিন হাসপাতালে থাকতে হবে। তবে সে এখন সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় সংক্ষিপ্ত পদযাত্রা করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় বিএনপির ঘোষিত শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে দেশব্যাপী পদযাত্রার অংশ হিসেবে আজ ১৮ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে পৌরশহরের সড়ক বাজারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এর আগে বিএনপির নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নেয়। দুপুরে জেলা শহর থেকে ফিরে আখাউড়া ষ্টেশন থেকে পদযাত্রা করে বিএনপির দলীয় কার্যালয় পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইঞ্জি. মোঃ মুসলিম উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম. এ. রউফ চৌধুরী, মোঃ শাহজাহান চৌধুরী, যুবদল নেতা জাহের চৌধুরী প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতে পালানোর সময় নিষিদ্ধ সংগঠনের ছাত্রলীগ নেতা আব্দুর রহমান হারুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল ২৭ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আখাউড়া থানায় সোপর্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আব্দুর রহমান হারুন হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের ওলুকান্দি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি। তিনি চুনারুঘাট উপজেলার ওলুকান্দি গ্রামের আলফু মিয়ার ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের ইনচার্জ মো. খায়রুল আলম। তিনি জানান, কেউ যেন ভারতে পালিয়ে যেতে না পারে- সেজন্য আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ সতর্ক রয়েছে। যাদের পাসপোর্টে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তাদেরকে আমরা ইমিগ্রেশন করতে দিচ্ছি না। ওই ছাত্রলীগ নেতার নামেও নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চুনারুঘাট থানায় নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় ৯’শ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নাছির উল্লাহ ভূইয়া (৫৬) নামের এক আওয়ালীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় আখাউড়া-কসবা সড়কের মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃত নাছির উল্লাহ ভূইয়া মনিয়ন্দ ইউনিয়নের মিনারকুট গ্রামের মৃত হাসমত আলী ভূইয়ার ছেলে। তিনি ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের পাকা সড়ক থেকে নাছির উল্লাহ ভূইয়া আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে মাদকব্রব্য ৯০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্ধ করা হয়।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ছমিউদ্দিন বলেন, গ্রেফতারকৃত নাছির উল্লাহ ভূইয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের পূর্বক আজ শনিবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে ৩৪ কেজি গাঁজা ও ১টি সিএনজি অটোরিক্সা জব্দ করা হয়েছে।
আজ ১৩ মার্চ বুধবার দুপুরের দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম। এর আগে একই দিনে সকাল ৭টার দিকে পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান চালিয়ে আখাউড়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কুমারপাড়া এলাকার বাইপাস পাকা সড়কের উপর থেকে ৩৪কেজি গাঁজাসহ মাদক বহন কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি জব্দ করা হয়। এসময় পুলিশের সংকেত পেয়ে সিএনজি ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায় চালক ও মাদক ব্যবসায়ীরা।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম জানান, পুলিশ চেকপোষ্টে থামানোর সংকেত দিলে সিএনজি চালক সিএনজি ফেলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে সিএনজি তল্লাশী করে ২টি প্লাস্টিকের বস্তায় ৩৪ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। মাদক বিরোধী এ ধরনের বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য, কসবা-আখাউড়া আসনের বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী কবির আহমেদ ভূইয়া অভিযোগ করে বলেন, সাবেক অবৈধ আইন মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক ও তার দোসররা আখাউড়ায় বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম ব্যাহত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। মামলা-হামলা দিয়ে বহু নেতাকর্মীকে হয়রানি করেছে। আনিসুল হক ও তার দোসরদের বাঁধার কারণে বিএনপির সম্মেলন করতে পারিনি। রক্তপাত এড়ানোর স্বার্থে আমরা তখন সম্মেলন থেকে সরে আসি। ৫ আগষ্টের পর স্বাধীন রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আশা করি আখাউড়ার ইতিহাসে একটি নজির বিহীন সফল সম্মেলন করতে পারবো। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির সম্মেলনের প্রস্তুতি পরিদর্শন করতে এসে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও কেন্দ্র ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। দীর্ঘ ১৫ বছর পর বুধবার (২৭ নভেম্বর) আখাউড়ায় উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বিগত ২০০৯ সালের নভেম্বর মাসের ২৯তারিখ সর্বশেষ আখাউড়ায় বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকএর ৪টি পদে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা বিএনপির সভাপতি প্রার্থী হলেন বর্তমান আহবায়ক মোঃ জয়নাল আবেদীন আব্দু, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হলেন বর্তমান সদস্য সচিব মোঃ খোরশেদ আলম ভূইয়া, পৌর বিএনপির সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান আহবায়ক মোঃ সেলিম ভূইয়া ও সদস্য সচিব প্রার্থী মোঃ আক্তার খান। সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে উপজেলার ৫ ইউনিয়ন ও পৌর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রস্তুতি সভা করাহয়েছে। সম্মেলনেপ্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মী-সমর্থক উপস্থিত থাকবে বলে আশা করছে দলটির নেতারা। পৌর বিএনপির আহবায়ক ও সভাপতি প্রার্থী মোঃ সেলিম ভূইয়া বলেন, বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্বত:স্ফূর্ত ভাবে সম্মেলনে অংশ গ্রহণ করবে।
দীর্ঘ ১৫ বছর পর সম্মেলন করতে পেরে আমরা আনন্দিত।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ডাঃ খোরশেদ আলম ভূইয়া বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর পর স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের পতনের পর কসবা-আখাউড়ার গণমানুষের নেতা জেলা বিএনপির সদস্য কবির আহমেদ ভূইয়ার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে উৎসব মুখর পরিবেশে বিএনপির সম্মেলন করতে যাচ্ছি। একটি সেরা সম্মেলন করতে পারবো।