চলারপথে রিপোর্ট :
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর উর্ধ্বগতির কারণে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। আস্তে আস্তে জিনিসপত্রের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। এদিকে ব্যবসায়ীরা যাতে মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট না করতে পারে সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজারগুলোতে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ভ্রাম্যমাণ আদালত অসাধু ব্যবসায়ীদের জরিমানা করছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাজারগুলোতে চালের দাম স্থিতিশীল পর্যায়ে থাকলেও শাক-সবজি ও মসলা জাতীয় দ্রব্য সামগ্রীর দাম চড়া।
শহরের সবচেয়ে বড় বাজার আনন্দ বাজারের বিশিষ্ট চাল ব্যবসায়ী মেসার্স সুমা ট্রেডার্সের পরিচালক মোঃ নাঈম হোসেন বলেন, বাজারে চালের কোন সংকট নেই। গত ৩ মাস ধরে চালের বাজার স্থিতিশীল। অন্যান্য বছরগুলোতে জুলাই-আগষ্ট মাসে বাজারে চালের যে দাম থাকে এবছর এই সময়ে চালের দাম আগের চেয়ে কম।
তিনি বলেন, বাজারে কাটারী ভোগ চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩১০০টাকা, কাটারী নাজির চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩০০০টাকা, ঘি-ভোগ চাল ৫০ কেজির বস্তা ২৯০০ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৫০ কেজির বস্তা ২৫০০টাকা, বিআর-২৯ চাল ৫০ কেজির বস্তা ২৪৫০ টাকা, মিনিকেট চাল ৫০ কেজির বস্তা ২৮০০ টাকা,পাইজাম চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩০০০ টাকা, নাজির শাইল চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩০০০টাকা, বোরো চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩৫০০ টাকা ও মোটা চাল ৫০ কেজির বস্তা ১৮০০টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
একই বাজারের আরেক চাল ব্যবসায়ী হাজী শামীম ট্রেডার্সের মালিক মোঃ শামীম হোসেন বলেন, গত ২ মাস ধরে বাজারে চালের দাম বাড়েনি। তিনি বলেন, বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের বিআর-২৮ চাল ৫০ কেজির বস্তা ২৪৫০ থেকে ২৫০০ টাকা, বিআর-২৯ চাল ৫০ কেজির বস্তা ২৩৫০ থেকে ২৪০০ টাকা, বিভিন্ন ধরনের কাটারীভোগ চাল ৫০ কেজির বস্তা ২৯০০ থেকে ৩২০০ টাকা, বিভিন্ন ধরনের মিনিকেট চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩২০০ টাকা থেকে ৩৫৫০ টাকা, নাজিরশাল চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩০০০টাকা, বিভিন্ন ধরনের বোরো চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩৬০০ থেকে ৩৭০০ টাকা ও বিভিন্ন ধরনের মোটা চাল ৫০ কেজির বস্তা ১৮০০ টাকা থেকে ২১০০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
একই বাজারের মেসার্স শরীফ ট্রেডার্সের কর্ণধার মোঃ বাহার উদ্দিন বলেন, বাজারে অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও চালের দাম বাড়েনি। গত প্রায় ৩ মাস ধরে চালের দাম স্থিতিশীল।
মোঃ বাহার উদ্দিন জানান, বাজারে বিভিন্ন ধরনের কাটারী ভোগ চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩২০০ থেকে থেকে ৩৪০০টাকা, বিভিন্ন ধরনের ঘি ভোগ চাল ৫০ কেজির বস্তা ২৯০০ থেকে থেকে ৩১০০টাকা, বিভিন্ন ধরনের পাইজাম চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩৪০০ থেকে থেকে ৩৬০০টাকা, বিভিন্ন ধরনের নাজিরশাল চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩০০০ থেকে থেকে ৩৪০০টাকা, বিভিন্ন ধরনের বোরো চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩৭০০ থেকে থেকে ৩৮০০ টাকা, বিভিন্ন ধরনের বিআর-২৮ চাল ৫০ কেজির বস্তা ২৩০০ থেকে থেকে ২৮০০টাকা, বিভিন্ন ধরনের বিআর ৪৯ চাল ৫০ কেজির বস্তা ২৫০০ থেকে থেকে ২৯০০ টাকা, বিভিন্ন ধরনের মিনিকেট চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩০০০ থেকে থেকে ৩২০০ টাকা, দেশী বাসমতি চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩৩০০ থেকে থেকে ৩৮০০টাকা, বালাম চাল ৫০ কেজির বস্তা ২৭০০ থেকে ৩০০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি জানান, বাজারে শুকনা দেশী মরিচ কেজি ৩৭০ থেকে ৩৯০ টাকা, ভারতীয় শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ৪২০ থেকে ৪৬০ টাকা, হলুদ প্রতিকেজি প্রকার ভেদে ১৬০ টাকা থেকে ২০০ টাকা, ধনিয়া প্রতি কেজি ১৯০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা, এলাচি প্রতি কেজি প্রকার ভেদে ১৫০০ টাকা থেকে ২৮০০টাকা, জিরা প্রতি কেজি ১০৭০ থেকে ১১০০টাকা, চিনি প্রতি কেজি ১২৮ থেকে ১৩৫টাকা, লবণ প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পিয়াজ দেশী প্রতি কেজি ৮০টাকা, পিয়াজ ভারতয়ি ৩৮/৪০টাকা, রসুন দেশী প্রতি কেজি ১৭০/১৯০ টাকা, রসুন ভারতীয় প্রতি কেজি ১৭৫/১৮৫ টাকা, আদা প্রতি কেজি ১৪০/১৭০ টাকা, আটা প্রতি কেজি ৪০/৪৫ টাকা, প্যাকেটজাত মসল্লা হলুদ (রাঁধুনী) ৫০০ গ্রাম ২৪০ টাকা, মরিচ (রাঁধুনী) ৫০০ গ্রাম ৪১০ টাকা, ধনিয়া (রাঁধুনী) ৫০০ গ্রাম ১৭৫ টাকা, জিরা (রাঁধুনী) ৫০০ গ্রাম ১০০০ টাকা, পোলাও চাল চাষী প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, বিভিন্ন ধরনের সয়াবিন ৫ লিটার ৮৪০/৮৬০ টাকা, মুশরির ডাল প্রতি কেজি ৯০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা, বুট ডাল প্রতি কেজি ৮০/ ৯০ টাকা, মুগ ডাল প্রতি কেজি ১২০/১৩০ টাকা, প্যাকেটজাত গুড়া দুধ ডানো ৫০০ গ্রাম ৪২৫, গুড়া দুধ মাস্ক ৫০০ গ্রাম ৪২৫, গুড়া দুধ ডিপ্লোমা ৫০০ গ্রাম ৪২৫, গুড়া দুধ ডানো পুষ্টি ৫০০ গ্রাম ৩৭০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
সবজির বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, টমেটো প্রতি কেজি ১৮০টাকা, সীম প্রতি কেজি ১৫০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৩০/৫০টাকা, ধনিয়া পাতা প্রতি কেজি ১২০টাকা, লেবু হালি ২০/৩০ টাকা, লাউ প্রতিপিস ৫০/৭০ টাকা, করলা কেজি ৭০ টাকা, জিঙ্গা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৩০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৪০ টাকা, কাঁচা কলা হালি ৩০/৩৫ টাকা, মুখী প্রতি কেজি ৬০টাকা, আলু প্রতি কেজি ৪০ টাকা, দেড়শ প্রতি কেজি ৪০টাকা, পেপে প্রতি কেজি ৪০টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৪০টাকা, ঝালি কুমড়া প্রতি পিস ৪০/৫০টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে শহরের কাজীপাড়ার খলিলুর রহমান বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে আমরা দিশেহারা। ব্যবসায়ীরা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অজহাত দেখিয়ে তাদের মনগড়া মতো দাম বাড়াচ্ছে। আগে ৫০০ টাকা দিয়ে যে জিনিস কিনতাম, সেই জিনিস কিনতে এখন ১০০০/১২০০ টাকা লাগে।
পৌর এলাকার পশ্চিম মেড্ডার গৃহিনী শামসুন্নাহার বলেন, বাজারের জিনিসপত্রে দাম বাড়ছেই। একবার বাড়লে আর কমেনা। তিনি বলেন, এভাবে দাম বাড়তে থাকলে আমরা কি করব?
পৌর এলাকার বাগানবাড়ির বাসিন্দা লোকমান হোসেন বলেন, বাজারে যেতে ভয় করে। প্রতিদিনই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। শহরের হালদারপাড়ার বাসিন্দা শামীম হোসেন বলেন, জিনিসপত্রের দাম বাড়ার কারনে এখন আর চাহিদামতো জিনিসপত্র কিনতে পারিনা। খুবই কষ্ট হচ্ছে আমাদের মধ্যে নিম্ন আয়ের মানুষদের।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যাতে স্থিতিশীল পর্যায়ে থাকে সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব সময় বাজারে নজরদারী করা হয়। আমরা বাজারগুলো সব সময় মনিটরিং করি। কেউ যাতে পন্য সামগ্রী মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদেরকে জেল-জরিমানা করা হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ খেজুর ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। খেজুরের প্যাকেটে এর জাত ও মূল্য না থাকায় ওই ৪ ব্যবসায়ীকে মোট ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ১১ মার্চ মঙ্গলবার এ অভিযান পরিচালনা করে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান সূত্রে জানা যায়, খেজুরের বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে আজ মঙ্গলবার পৌর এলাকার কোর্ট রোড, মসজিদ রোড ও থানা রোডের দোকানগুলোতে অভিযান চালানো হয়।
এ সময় কয়েকটি দোকানে জাত ও দাম না লেখা এবং ক্রয় রশিদ না থাকার বিষয় পরিলক্ষিত হয়। অভিযানের সময় খোলা খেজুর ডেকে বিক্রি করার বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য ব্যবসায়ীদেরকে বলা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৩৬ বোতল ফেন্সিডিল, ১০৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ২ কেজি গাঁজাসহবিপুল পরিমান মাদকসহ ৭ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃংখলা বাহিনী। এ সময় একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়। আজ ৬ অক্টোবর রোববার সকালে ও শনিবার বিকেলে পৃথক অভিযানে জেলার নাসিরনগর, আশুগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-৯-এর সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ মশিহুর রহমান সোহেল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ মিডিয়া উইংস থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের সেলিনা আক্তার (৪০), একই এলাকার লাকী আক্তার (৩২), উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের মোঃ ফরিদ মিয়া (৩৪) ও একই এলাকার রুমা আক্তার (৩০), হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার নাজমুল (২৯), আশুগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের আবদুল জলিল (৪৫) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রামের মোঃ ইমন মিয়া (২৩)।
পুলিশ মিডিয়া উইংস থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, রোববার সকালে আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে থেকে ১৪০ বোতল ফেন্সিডিলসহ নাজমুল ও আবদুল জলিলকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।
অপর অভিযানে রোববার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রাম থেকে ১০৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মোঃ ইমন মিয়াকে গ্রেফতার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পুলিশ।
পৃথক অভিযানে শনিবার রাতে র্যাব সদস্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা থেকে ৯৬ বোতল ফেনসিডিল এবং ২ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী সেলিনা আক্তার, লাকী আক্তার, মোঃ ফরিদ মিয়া ও রুমা আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্প-২- প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন ৫ম পর্যায়ে (২য় ধাপে) ঘর পাচ্ছে ৫০টি পরিবার।
আজ ৯ জুন রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ এই তথ্য জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুজিব শতবর্ষে “ বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” এই শ্লোগান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার আশ্রয়ণ-২-প্রকল্পের আওতায় ‘ক’ শ্রেনীর ভূমিহীন (যাদের জমি নেই ঘরও নেই) তাদের পুর্নবাসনের জন্য ৫ম পর্যায়ে (২য় ধাপে) ৫০টি পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে এই ঘর গুলো নির্মাণ কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। ২শতাংশ খাস জমিতে দুই কক্ষ বিশিষ্ট প্রতিটি আধা পাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ৩ লাখ ৪ হাজার ৫ শত টাকা। সব গুলো ঘর একই নকশায় নির্মিত হচ্ছে। ৫ম পর্যায়ে (২য় ধাপে) সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের আমিরপাড়া এলাকায় ৫০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব ঘরের উপকারভোগীদের তালিকা নির্বাচন সম্পন্ন করেছেন সদর উপজেলা প্রশাসন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, ৫ম পর্যায়ে (২য় ধাপে) সদর উপজেলায় ৫০ টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ঘরের কাজ শত ভাগ শেষ হয়েছে। কোরবানির ঈদের আগেই ১১ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর ৫০টি পরিবারকে ঈদ উপহার হিসেবে ঘরের চাবি ও দলিল বুঝিয়ে দেয়া হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, সদর উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেনসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেসরকারি হাসপাতাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসকরা কি লিখছেন তা নজরদারী করে ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিরা। চিকিৎসকদের চেম্বার থেকে কোন রোগী বের হলেই ১০-১২ জন প্রতিনিধি রোগীকে ঘিরে ধরে রোগীর হাত থেকে ব্যবস্থাপত্র হাতে নিয়ে মোবাইল ফোন দিয়ে একের পর এক ছবি তুলতে থাকে। বিষয়টি কি বা কেন তা বুঝতে পারে না রোগীরা। অনেকে ভয় পায় বিব্রত হয়। বিভিন্ন চেম্বারের সামনে দেখা যায় রোগীর চেয়ে প্রতিনিধির সংখ্যা বেশী।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ওষুধ কোম্পানী তাদের ওষুধ লেখার জন্য চিকিৎসকদের নানা উপঢৌকন দেয়। পরনের পোষাক, বেল্ট, সুগন্ধি, টিভি, ফ্রিজ, গাড়ি, খাতা কলম, এমনকি নগদ অর্থ উপঢৌকন হিসেবে দেয়া হয়। এর বিনিময়ে চিকিৎসকরা সে সব কোম্পানীর ওষুধ লিখে কিনা তা দেখতেই রোগীর কাছ থেকে ব্যবস্থা পত্র নিয়ে টানাটানি হয়।
আজ ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের বিপরীতে ক্রিসেন্ট হাসপাতালের সামনে এমনি এক দৃশ্য দেখা গেছে। এ সময় এক রোগীরা অভিযোগ করেন, হাত থেকে ব্যবস্থা পত্র টেনে নেয়ার ঘটনায় প্রথমে ভয় পেয়ে গেছি, বেশ কিছুক্ষণ দাড়াতে হয়েছে বিষয়টি বিব্রতকর।
ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধি এরোস্টাফার্মার মোঃ শাহীনের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা চিকিৎসকদের আমাদের কোম্পানীর ওষুধ লিখার জন্য অনুরোধ করি, সেটা লিখেছে কি না, তা দেখতে ছবি তুলেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে আটক চট্টগ্রামের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়।
আজ ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়াম থেকে তাকে নিয়ে হেলিকপ্টারটি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।
গত ১২ সেপ্টেম্বর সকালে ভারতে পালানোর সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া সীমান্তে আটক হন চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের ওই সংসদ সদস্য। অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তার বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় মামলা দেয়।
ওই মামলায় রাতেই তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। পরে চট্টগ্রামে দায়ের হওয়া একাধিক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংশ্লিষ্টদের কাছে চিঠি আসে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারের সুপার শহিদুল ইসলাম জানান, অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলায় ফজলে করিম কারাগারে ছিলেন। বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যান। পরে পুলিশের তত্ত্বাবধানেই তাকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়।
পুলিশ সুপার মো. জাবেদুর রহমানও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সাংবাদিকদেরকে তিনি জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে ফজলে করিমকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তাকে বহনকারী হেলিকপ্টার স্টেডিয়াম থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।