অনলাইন ডেস্ক :
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করা শিক্ষার্থীদের ফলের ভিত্তিতে অনলাইনে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু হবে আগামী ১০ আগস্ট। আগামী ২০ আগস্ট পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ের আবেদন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। এবারও তিন দফায় আবেদন গ্রহণ করা হবে।
আজ ৬ আগস্ট রবিবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির বিস্তারিত তথ্য সংক্রান্ত নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
প্রথম পর্যায়ের নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর। এরপর ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় এবং ২৩ সেপ্টেম্বর তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে।
তিন ধাপের ফল প্রকাশের পর ২৬ থেকে ৫ অক্টোবর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে। ক্লাস শুরু হবে ৮ অক্টোবর থেকে।
ভর্তির জন্য কোনো পরীক্ষা বা হাতে হাতে কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না। কেবল অনলাইনে আবেদন করা যাবে।
অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া: অনলাইনে এই ওয়েবসাইটের (www.xiclassadmission.gov.bd) মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা একাদশে ভর্তির আবেদন করতে পারবে। ১৫০ টাকা আবেদন ফি জমা দিয়ে সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ দশটি কলেজে ভর্তির পছন্দক্রম দেওয়া যাবে আবেদনে।
একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে, তার মধ্য থেকে তার মেধা, কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে প্রকাশিত ফলাফলে।
অনলাইন ডেস্ক :
১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ১২০তম ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ছয় লাখ টাকার প্রথম পুরস্কার বিজয়ীর সিরিজের নম্বর ০৫৪৪২২২। আজ ৩১ জুলাই বৃহস্পতিবার ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার অফিসের সম্মেলন কক্ষে এ ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া তিন লাখ ২৫ হাজার টাকা বিজয়ী হয়েছে ০২৪১৭৬৮ নম্বর।
তৃতীয় পুরস্কার এক লাখ টাকা করে দুটি। এগুলো হলো ০৯৬৪০৫২ ও ০৫৫৩৮৪৫। চতুর্থ পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা বিজয়ী নম্বর দুটি হলো ০১৯৭১৪২ ও ০০৫৪৩৮২।
প্রচলনযোগ্য ১০০ টাকা মূল্যমানের ৮২টি সিরিজের ৪৬টি সাধারণ সংখ্যা এবারে পুরস্কারের যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে।
একক সাধারণ পদ্ধতিতে অর্থাৎ প্রত্যেক সিরিজের জন্য একই নম্বরে এই ‘ড্র’ পরিচালিত হয়। এগুলো হলো-কক, কখ, কগ, কঘ, কড়, কচ, কছ, কজ, কঝা, কঞ, কট, কঠ, কড়, কঢ, কথ, কদ, কন, কপ, কফ, কব, কম, কল, কশ, কষ, কস, কহ, খক, খথ, খগ, খঘ, খ, খচ, খছ, খজ, খঝ, খঞ্, খট, খঠ, খড়, খঢ়, খথ, খদ, খন, খপ, খফ, খব, খম, খল, খশ, খষ, খস, খহ, গক, গখ, গগ, গঘ, গত, গচ, গাছ, গজ, গঝ, গঞ, গট, গঠ, গড, গঢ, গথ, গদ, গন, গফ, গব, গম, গল, গশ, গষ, গপ, গস, গহ, ঘক ঘখ, ঘগ এবং ঘঘ।
উপরের সিরিজসমূহের অন্তর্ভুক্ত সাধারণ সংখ্যা পুরস্কারের যোগ্য বলে ঘোষিত হয়। যেমন—প্রাইজবন্ডের যে সংখ্যা প্রথম পুরস্কারের জন্য ঘাষিত হয়েছে সেই সংখ্যার প্রাইজবন্ড উল্লেখিত প্রতিটি সিরিজের প্রথম পুরস্কারের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
একইভাবে ২য়, ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম পুরস্কারের জন্য ঘোষিত সংখ্যাও তাদের মান অনুযায়ী প্রতিটি সিরিজের ক্ষেত্রে পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য।
ড্র-এর নির্ধারিত তারিখ থেকে ৬০ দিন আগে (বিক্রির তারিখ ধরে এবং ড্র-এর তারিখ বাদ দিয়ে) যেসব প্রাইজবন্ড বিক্রি হয়েছে, সেগুলো এই ড্রয়ের আওতায় আসবে। আয়কর আইন ২০২৩-এর ১১৮ ধারার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রাইজবন্ড পুরস্কারের অর্থ থেকে ২০ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তন করার বিধান রয়েছে।
এ ছাড়া পঞ্চম পুরস্কার হিসেবে ১০ হাজার টাকা করে পাবেন মোট ৪০ জন। তাদের নম্বরগুলো হলো ০০০৬৭৫৪, ০০৩১২৯৬, ০০৫৩৮১১, ০০৬৭৫৬৬, ০১০৪৩৩৪, ০১১১৩৭১, ০১৪৯৯৯২, ০১৬৪৬০৬, ০১৯৩৩৫৪, ০২২২০৯৫, ০২৫৪৯৪০, ০২৯৮২৬৬, ০৩২৩৩৬২, ০৩২৮১২২, ০৩৭৬৪২৩,০৪০৩৬৩৫, ০৪১৯৬১৪, ০৫২৪৯৩৫, ০৫৪১৭৩৪, ০৫৮২৯৮৬, ০৬১৩৭০৪, ০৬২৯৬৩৮, ০৬৫৭৭৩৪, ০৬৫৭৯৯৪, ০৬৬৫৭৫৭, ০৬৭৪৫২৪, ০৬৮৯৪১৯, ০৭০২৬৯৬, ০৭০৮০৩৩, ০৭৩৫১০২, ০৭৫১১৬৫, ০৭৫৫৭২৪, ০৭৭২৫৮০, ০৮২৪৯৮৮, ০৮৪১৫০৩, ০৮৪৮১৩৭ ও ০৮৭০২২২।
অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত আমরা ক্ষমতায় ছিলাম এবং আছি। আমাদের সময় ধারাবাহিকভাবে গণতন্ত্র অব্যাহত আছে। আমরা শিক্ষা, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান সব কিছুর জন্য কাজ করে মানুষের হৃদয় জয় করে তাদের ভোট পাই। আমাদের ভোট চুরির প্রয়োজন হয় না।
আজ ১ জানুয়ারি সোমবার বিকেলে ঢাকায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। রাজধানীর ধানমণ্ডির কলাবাগান ক্রীড়া চক্র মাঠে জনসভাটি অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
বিএনপির অবস্থান প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে তারা নির্বাচন বর্জন করছে, বর্জন করাটা খুব স্বাভাবিক।
ভোট চুরি করতে পারে না, নির্বাচন করবে না। কারণ এর আগে তো ভোট চুরি করে অভ্যস্ত, চুরি করা ভোট দিয়েই তো তাদের সৃষ্টি। ক্ষমতা দখল, ক্ষমতা চুরি, ভোট চুরি এ ছাড়া তো তারা আর কিছু পারে না। সে জন্য নির্বাচন করতে চায় না, নির্বাচন বানচাল করবে।’
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া, নির্বাচন বন্ধ করার সাহস নেই। তবে তাদের অগ্নিসন্ত্রাসের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে, এটা আমার কথা না, হাইকোর্টের আদেশ আছে, হাইকোর্টের রায় আছে যে ওই বিএনপি জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখল অবৈধ, এরশাদের ক্ষমতা দখল অবৈধ। তারাই ভোট চুরি করে, তারাই ভোট চুরি ছাড়া জিততে পারে না। ২০০৮-এর নির্বাচনে সেটা প্রমাণিত সত্য।
এখন আবার তারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়, কেন নির্বাচন বানচাল করবে?’
ঢাকায় ১৫টি নির্বাচনী আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি এই ১৫টা রত্ন আপনাদের সামনে তুলে দিলাম। তারা আপনাদের সেবা করবে, ঢাকার মানুষের সেবা করবে।’
জনসভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে এখনই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে না। তফসিল ঘোষণার প্রায় দুই মাস আগে ভোটের তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে। স্বল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করার প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারে জনগণকে সেই বিশ্বাসে ফেরানোটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দিন। পাশাপাশি নির্বাচনে এআইও একটা চ্যালেঞ্জ বলে জানান তিনি। আজ ৯ আগস্ট শনিবার সকালে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রংপুর বিভাগের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন তিনি।
সিইসি বলেন, আমাদের ওপর আস্থা আছে বলেই ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির কাছে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জাতিকে ড. ইউনূসের দেওয়া ওয়াদার কারণে আমরাও খুব প্রেসারে পড়ে গেছি, সেই অনুযায়ী আমরা পরিকল্পনা করছি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দিন।
এসময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ভোটের তারিখ নির্ধারণ হওয়ার দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে। গণ অভ্যুত্থান তথা বিপ্লবের পর পৃথিবীর যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো। তাই নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলার চ্যালেঞ্জ আমরা মোকাবিলা করতে পারব। নির্বাচন সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্য যাচাই না করে বিশ্বাস করবেন না। এছাড়াও বিগত সময়ে যারা নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত ছিল, তাদের যথাসম্ভববাদ দিয়ে নতুন লোক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সংযুক্ত করার কথাও জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
বিকেলে তিনি রংপুর বিভাগীয় কার্যালয় মিলনায়তনে বিভাগের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী এবং প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন দুলাল তালুকদার।
অনলাইন ডেস্ক :
বিনাপরোয়ানা গ্রেফতার এবং সর্বোচ্চ শস্তি কোটি টাকা জরিমানা ও ১৪ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে সাইবার নিরাপত্তা বিল–২০২৩ পাস হয়েছে।
আজ ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিলটি পাসের জন্য প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে জনমত যাচাইয়ের জন্য দেওয়া প্রস্তাবে আলোচনায় বিরোধী দলের সদস্যরা বিলটি বিভিন্ন ধারা নিয়ে আপত্তি তোলেন ও বিরোধিতা করেন। বিশেষ করে পরোয়ানা ছাড়া সাংবাদিকদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিয়ে তারা বিরোধিতা ও আপত্তি জানান। তবে বিরোধী দলের সদস্যদের জনমত যাচাই প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকোচ হয়েছে যায় এবং বিলটি পাস করা হয়। এ সময় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে এ বিলটি পাস করা হয়।
এই বিলের ২৭ ধারায় সাইবার সন্ত্রাসী কার্য সংঘটনের অপরাধ ও দণ্ড সম্পর্কে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করা এবং জনগণ বা উহার কোনো অংশের মধ্যে ভয়ভীতি সঞ্চার করিবার অভিপ্রায়ে কোনো কম্পিউটার বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে বৈধ প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন বা বেআইনি প্রবেশ করেন বা করান; কোনো ডিজিটাল ডিভাইসে এইরূপ দূষণ সৃষ্টি করেন বা ম্যালওয়্যার প্রবেশ করান যাহার ফলে কোনো ব্যক্তির মৃত্যু ঘটে বা গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হন বা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়; বা জনসাধারণের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ ও সেবা ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংসসাধন করেন বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর উপর বিরূপ প্রভাব বিস্তার করেন; বা ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক, সংরক্ষিত কোনো তথ্য-উপাত্ত বা কম্পিউটার ডাটাবেইজে প্রবেশ বা অনুপ্রবেশ করেন বা এইরূপ কোনো সংরক্ষিত তথ্য-উপাত্ত বা কম্পিউটার ডাটাবেইজে প্রবেশ করেন যাহা বৈদেশিক কোনো রাষ্ট্রের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বা জনশৃঙ্খলা পরিপন্থি কোনো কাজে ব্যবহৃত হইতে পারে অথবা বৈদেশিক কোনো রাষ্ট্র বা কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সুবিধার্থে ব্যবহার করা হইতে পারে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে সাইবার সন্ত্রাস অপরাধ। যদি কোনো ব্যক্তি এই অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ১৪ বৎসর কারাদণ্ডে বা অনধিক ১ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
বিলের ২৮ ধারায বলা হয়েছে, ওয়েবসাইট বা কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করে এইরুপ কোনো তথ্য প্রকাশ, সম্প্রচার, ইত্যাদি যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে বা জাতভাবে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করিবার বা উস্কানি প্রদানের অভিপ্রায়ে ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এইরূপ কিছু প্রকাশ বা প্রচার করেন বা করান, যাহা ধর্মীয় অনুভূতি বা বীয় মূল্যবোধের উপর আঘাত করে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অরাধ। যদি কোনো ব্যক্তি এ ধরণের অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ২ বৎসর কারাদণ্ডে বা অনধিক ৫ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
বিলের ৩২ ধারায় বলা হয়েছে, হ্যাকিং সংক্রান্ত অপরাধ ও দণ্ড। যদি কোনো ব্যক্তি হ্যাকিং করেন, তাহা হইলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১৪ (চৌদ্দ) বৎসর কারাদণ্ডে বা অনধিক ১ (এক) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
এ বিলের ৪২ ধারায় পরোয়ানা ব্যতিরেকে তল্লাশি, জব্দ ও গ্রেফতার প্রসঙ্গে বলা আছে, যদি কোনো পুলিশ অফিসারের এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, কোনো স্থানে এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে বা হইতেছে বা হইবার সম্ভাবনা রহিয়াছে বা সাক্ষ্য প্রমাণাদি হারানো, নষ্ট হওয়া, মুছিয়া ফেলা, পরিবর্তন বা অন্য কোনো উপায়ে দুষ্প্রাপ্য হইবার বা করিবার সম্ভাবনা রহিয়াছে, তাহা হইলে তিনি, অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, উক্ত স্থানে প্রবেশ করিয়া তল্লাশি এবং প্রবেশে বাধাপ্রাপ্ত হইলে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ; উক্ত স্থানে তল্লাশিকালে প্রাপ্ত অপরাধ সংঘটনে ব্যবহার্য কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, তথ্য-উপাত্ত বা অন্যান্য সরঞ্জামাদি এবং অপরাধ প্রমাণে সহায়ক কোনো দলিল জব্দকরণ; উক্ত স্থানে উপস্থিত যে কোনো ব্যক্তির দেহ তল্লাশি; উক্ত স্থানে উপস্থিত কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ করিয়াছেন বা করিতেছেন বলিয়া সন্দেহ হইলে উক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার। এবং এর অধীন তল্লাশি সম্পন্ন করিবার পর পুলিশ অফিসার তল্লাশি পরিচালনার রিপোর্ট ট্রাইব্যুনালের নিকট দাখিল করিবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, ভারতীয়দের জন্যও অনুকরণীয়। বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের জন্য ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে দুই দেশেরই মানুষ আত্মত্যাগ করেছেন। বাংলাদেশ ও ভারতের ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের যে মিল রয়েছে তা পরবর্তী প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম অব্যাহত থাকবে।
আজ ৩ মার্চ শুক্রবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা ও মানুষের কল্যাণে বাংলাদেশের যে অগ্রগতি তা সারা পৃথিবীর কাছে অনুকরণীয়। বাংলাদেশ ও ভারতের উন্নয়নের যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তা চলমান থাকবে।
তিনি বলেন, মার্চ মাস হলো বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক মাস। এই মাসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এই মাসেই। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু অনেক আত্মত্যাগ করেছেন। বাংলাদেশর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে আসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।
এর আগে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা জানান তিনি। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করেন।