অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানের সিরহারি রেলওয়ে স্টেশনের কাছে হাজারা এক্সপ্রেসের প্রায় ১০টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অর্ধ শতাধিক। খবর জিও নিউজের
আজ ৬ আগস্ট রবিবার ট্রেনটি করাচি থেকে রাওয়ালপিন্ডির দিকে যাচ্ছিল। পথে সিরহারি স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। তবে দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, পাকিস্তানের শাহজাদপুর ও নাওয়াবশা স্টেশনের মাঝামাঝি ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে উদ্ধারকারী দল।
পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনটিতে যাত্রীদের উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে জরুরি বিভাগ।
সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি আহতদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশও দিয়েছেন।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথের নির্দেশনা অনুযায়ী, বর্তমান সিডিপ্যাপ সেবাগ্রহীতারা আগামী ১ এপ্রিলের মধ্যে তাদের কেস পিপিএলে স্থানান্তর করতে পারবেন। যারা একবারেই নতুন, তারা ১ মার্চ থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ থেকে বারবার বর্তমান সেবাগ্রহীতাদের নিবন্ধন পিপিএলের সঙ্গে করার জন্য বলা হয়েছে। যারা এই স্থানান্তর করবেন না, তারা পরবর্তী সময়ে কী ধরনের সমস্যায় পড়বেন, তা এখনো স্পষ্ট করে বলা হচ্ছে না। তবে এই মুহূর্ত পর্যন্ত এটাই নিয়ম, সিডিপ্যাপের সেবাগ্রহীতারা তাদের একই রকম সেবা ও সুযোগ ধরে রাখতে চাইলে তাদেরকে পিপিএলের অধীনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এখন পর্যন্ত অন্য কোনো বিকল্প নেই। ডেডলাইন ১ এপ্রিল ধরেই কাজ চলছে। তবে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ১২ হাজার সিডিপ্যাপ সেবাগ্রহীতা রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন। এই রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সহজ। সেবাদাতা ও সেবাগ্রহীতাকে পিপিএলের সঙ্গে যাওয়ার জন্য কিছু নথিপত্রে সাইন করতে হবে। এখন যারা রেজিস্ট্রেশন করছেন, তাদের সেবা প্রদানের বিষয়টি ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
জানা গেছে, বাংলাদেশি কমিউনিটির পক্ষ থেকে যারা হোম কেয়ার সেবা দিচ্ছেন, তাদের বেশির ভাগই সেবাগ্রহীতাদের পরামর্শ দিচ্ছেন এখনই পিপিএলে স্থানান্তর না করতে। তারা অপেক্ষা করার জন্য বলছেন। সে হিসেবে অনেক সেবাগ্রহীতাই সিদ্ধান্ত নিতে অপেক্ষা করছেন। যেসব সেবাগ্রহীতা সিডিপ্যাপের মাধ্যমে সেবা পাচ্ছেন, তাদের পরিবার-পরিজনের মাধ্যমে সেবা নিচ্ছেন, তারা চাইছেন পিপিএল হোক বা এখন তিনি যেভাবে সেবা পাচ্ছেন ও তার সেবাদাতা যে সুবিধা পাচ্ছেন, সে ধরনের সেবা ও সুবিধা বহাল রাখতে। বাংলাদেশি মালিকানাধীন হোম কেয়ার এজেন্সিগুলোর বেশির ভাগই বলছে, ২৮ মার্চ থেকে ১ এপ্রিলের মধ্যে স্থানান্তর করলেই হবে। একটি সূত্র জানায়, বাংলাদেশি মালিকানাধীন হোম কেয়ার এজেন্সিগুলো তাদের রোগীদের নিয়েই পিপিএলের অধীনে যাবে। সে ক্ষেত্রে একেকটি এজেন্সি তাদের মতো করে পিপিএলের সঙ্গে সমঝোতা করবে।
২৫ জানুয়ারি নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ থেকে নতুন একটি নোটিশ জারি করা হয়েছে। সেখানে পিপিএলের অধীনে সেবাগ্রহীতাদের কেস স্থান্তান্তর করার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ থেকে নিউইয়র্কার্স স্টেটওয়াইড সিডিপ্যাপের ট্রান্সজিন প্রোগ্রেসের বিষয়ে বলা হয়েছে, নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ মেডিকেড কনজিউমার নির্দেশিত ব্যক্তিগত সহায়তা প্রোগ্রামকে (সিডিপিএপি) একক আর্থিক মধ্যস্থতাকারীতে (এফআই) স্থানান্তরিত করছে। নতুন এফআই হলো পাবলিক পার্টনারশিপ এলএলসি (পিপিএল)। কেস স্থানান্তরের বিষয়ে বলছে, পিপিএলে রূপান্তর শুরু হয়েছে ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এবং সব গ্রাহককে অবশ্যই এপ্রিলের মধ্যে স্থানান্তর করতে হবে। নিবন্ধনকরণ বিষয়ে বলছে, নতুন গ্রাহক এবং ব্যক্তিগত সহকারীরা ১ মার্চ থেকে পিপিএলের সঙ্গে নিবন্ধন করতে পারেন। ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষার বিষয়ে বলা হচ্ছে, স্বাস্থ্য অধিদফতর জোর দেয়, সমস্ত ব্যক্তিগত ডেটা স্থানান্তর প্রক্রিয়াজুড়ে সুরক্ষিত থাকবে। তদারকির বিষয়ে বলছে, একক স্টেটব্যাপী এফআই কাঠামো প্রোগ্রামটির তদারকি উন্নত করবে, জালিয়াতি হ্রাস করবে এবং আইনগুলোর সঙ্গে সম্মতি উন্নত করবে। রূপান্তর সুবিধার বিষয়ে বলছে, একক এফআই কাঠামো প্রোগ্রামে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিয়ে আসবে। আর একক এফআই কাঠামো আরও ভালো প্রতিবেদন এবং আইনগুলোর সঙ্গে সম্মতি সক্ষম করবে।
নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ আপডেটস নিউইয়র্কারদের স্টেটব্যাপী সিডিপ্যাপ ট্রানজিশন প্রগ্রেসে দেখা যাচ্ছে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ১২ হাজারেরও বেশি গ্রাহক হয়েছেন, যারা নিবন্ধনকরণ প্রক্রিয়া শুরু করেছেন বা শেষ করেছেন। নিবন্ধনকরণ উল্লেখযোগ্যভাবে ত্বরান্বিত হতে থাকবে। ১ এপ্রিল লক্ষ্যপূরণের জন্য নিউইয়র্ক ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ বিষয়গুলো মনিটরিং করবে।
স্টেট স্বাস্থ্য কমিশনার ডা. জেমস ম্যাকডোনাল্ড বলেছেন, এই রূপান্তরটি পরিকল্পনা অনুসারে এগিয়ে চলছে এবং আমরা ১ এপ্রিল সময়সীমা পূরণের জন্য ট্র্যাকে রয়েছি। পাবলিক পার্টনারশিপস এলএলসির সঙ্গে আমাদের অংশীদারির মাধ্যমে ১১টি ইন্ডিপেডেন্ট লিভিং সেন্টারসহ ৩০টিরও বেশি ফ্যাসিলেটর রয়েছে। আমরা নিউইয়র্কারদের জন্য আরও শক্তিশালী, আরও টেকসই ভোক্তা নির্দেশিত ব্যক্তিগত সহায়তা কর্মসূচি সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। যারা তাদের প্রয়োজনীয় যত্ন নেওয়ার যোগ্য, তারা যত্ন নেওয়ার উপযুক্ত সেবা পাবেন তাদের বাড়িতে।
নিবন্ধন করার জন্য ফোন করা যাবে ১-৮৩৩-২৪৭-৫৩৪৬ বা টিটিওয়াই : ১-৮৩৩-২০৪-৯০৪২-এ। পিপিএলের সমর্থন কেন্দ্রকে কল করতে হবে এবং পিপিএলের সদস্য প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করতে সহায়তা করবেন। কেউ চাইলে পিপিএলএফআরএসটি.কম/সিডিপ্যাপ-তে পিপিএলের ওয়েবসাইটে গিয়ে পিপিএল@হোম অ্যাক্সেস করা যাবে। পিপিএল বা আইএলসিএসসহ অন্য কোনো অনুমোদিত সিডিপ্যাপ সুবিধার্থীর সঙ্গে কাজ করতে পারবেন, যারা প্রক্রিয়াটির মাধ্যমে গাইড করতে পারে। অনুমোদিত সিডিপ্যাপ সুবিধার্থীদের একটি তালিকা রয়েছে সিডিপিএপি ফ্যাসিলেটর পিপিএল ফার্স্ট, সেখানে যে যার পছন্দ সেসব এফআইকে বেছে নিতে পারেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ইকুয়েডরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় ২০ জুলাই রোববার পশ্চিম ইকুয়েডরে একটি পিকআপ ট্রাক এবং একটি স্পোর্ট ইউটিলিটি যানের (এসইউভি) মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে কমপক্ষে নয়জন নিহত হয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
পানামা টুপি তৈরির জন্য বিখ্যাত উপকূলীয় শহর মান্তা এবং নিকটবর্তী শহর মন্টেক্রিস্টির সংযোগকারী মহাসড়কে ভোর ৫টার দিকে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছে আরো দুজন।
ইকুয়েডরের ট্র্যাফিক কমিশনের একজন তদন্তকারী জুয়ান কার্লোস মার্টিলো সাংবাদিকদের বলেন, ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ছয় এবং ১১ বছর বয়সী দুই শিশুও রয়েছে।
মার্টিলো বলেন, নিহতদের সংখ্যা বিবেচনা করে ধারণা করা হচ্ছে যে, কমপক্ষে একটি গাড়িতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হচ্ছিল।
ইকুয়েডরে মৃত্যুর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো সড়ক দুর্ঘটনা। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুধুমাত্র ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটিতে ৪ হাজার ৭৫৬টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে যার মধ্যে ৫৬৫ জন মারা গেছে।
গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় ২ হাজার ৩০০ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, যার এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি চালকের অনভিজ্ঞতা বা বেপরোয়ার কারণে ঘটেছে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল গোড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পুরো সক্ষমতায় উৎপাদন বুঝিয়ে দিতে পেরে সম্মানিত বোধ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান গৌতম আদানি।
আজ ১৫ জুলাই শনিবার তিনি গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে টুইট বার্তায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আদানি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল গোড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পুরো সক্ষমতায় উৎপাদন বুঝিয়ে দিতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। ভারত ও বাংলাদেশের সাহসী সেই দলকে আমি স্যালুট জানাই যারা করোনা মহামারির মধ্যেও কাজ শুরু করে মাত্র সাড়ে তিন বছরে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উৎপাদনে নিয়ে এসেছেন।
জানা গেছে, স্বল্প সময়ের জন্য ঢাকা সফর করে ফিরে গেছেন ভারতের আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গোড্ডা জেলায় আদানি গ্রুপের নির্মিত ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পুরোপুরি চালু হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাতে সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় আসেন তিনি।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে নিজস্ব উড়োজাহাজে করে ঢাকায় নামেন গৌতম আদানি। বেলা ১১টার দিকে তিনি গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এরপর দুপুর সোয়া ১টার দিকে আবার নিজস্ব উড়োজাহাজে করে ঢাকা ছাড়েন তিনি।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
ক্যালিফোর্নিয়া রিপাবলিকান দলীয় কংগ্রেসম্যান কেভিন কিলি বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে অবৈধ অভিবাসীদের মেডিকেড সুবিধা বাতিল করার লক্ষ্যে একটি বিল উত্থাপন করেছেন। কিলির ধারণা যে এটি বাস্তবায়িত হলে প্রতি বছর শুধু ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্য ৬.৫ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করতে পারবে।
২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্য সব অবৈধ অভিবাসীকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য মেডিকেড তালিকাভুক্তি প্রসারিত করে।
কিলি বিলের বিষয়ে বিবৃতিতে বলেন, ‘এই সাধারণ জ্ঞানের আইনটি নিশ্চিত করে যে করদাতাদের অর্থায়ন করা স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলো তাদের জন্যই সংরক্ষিত হয় যারা আইনত যোগ্য, আমেরিকার নাগরিক এবং আইনী বাসিন্দা।’ কিলি আরও উল্লেখ করেন, নিম্ন আয়ের ব্যক্তিদের জন্য করদাতাদের অর্থায়ন করা পাবলিক হেলথ কেয়ার সিস্টেম- মেডিকেডে নথিভুক্ত অনেক আমেরিকান ইতিমধ্যেই ডাক্তার খুঁজে পেতে রীতিমতো হিমসিম খাচ্ছেন।
কিলি বলেন, ‘ক্যালিফোর্নিয়া প্রতি বছর এখানে অবৈধ অভিবাসী প্রত্যেককে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য ৬.৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে। অন্যদিকে আমাদের নিজস্ব নাগরিকদের অনেকেই ডাক্তারের কাছে যেতেও পারে না।’
ক্যালিফোর্নিয়ায় অভয়ারণ্য রাজ্যের আইন বহাল রয়েছে। বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউজমের আহ্বানে রাজ্যকে ‘ট্রাম্প-প্রুফ’ করার একটি বিশেষ অধিবেশন চলছে। প্রধানত রাজ্য ও ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্থানীয় মামলার জন্য ২৫ মিলিয়ন ডলার প্রদান এবং নির্বাসন প্রতিরক্ষার আইনি সহায়তার জন্য আরও ২৫ মিলিয়ন ডলার প্রদানের বিষয়ে এই অধিবেশন ডাকা হয়।
এদিকে ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রায় ২.৭ মিলিয়ন অবৈধ অভিবাসী বাস করে। তাদেও সংসারে জন্ম নেওয়া শিশুদের জন্মগত নাগরিকত্ব প্রদান বন্ধ করার ট্রাম্প প্রশাসনের নির্বাহী আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে একটি মামলা দায়ের করেছে ক্যালিফোর্নিয়া প্রশাসন। বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে আদালতে বিচার না করা পর্যন্ত এই আদেশের বিরুদ্ধে একটি প্রাথমিক নিষেধাজ্ঞা এখন কার্যকর হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুরে মাত্র এক কেজি গাঁজা পাচার করার চেষ্টার দায়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
ওই ব্যক্তির নাম তাঙ্গারাজু সুপিয়াহ। তার বয়স ছিল ৪৬ বছর। ২০১৮ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন দেশটির আদালত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৩ সালে মালয়েশিয়া থেকে সিঙ্গাপুরে গাঁজা আনার চক্রান্ত করেছিলেন তিনি।
তবে, এ মৃত্যুদণ্ড যেন কার্যকর করা নয় সেজন্য তার পরিবার, মানবাধিকার কর্মী এমনকি জাতিসংঘের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছিল।
তাঙ্গারাজুর পরিবার জানিয়েছে আজ ২৬ এপ্রিল বুধবার ভোরে চাঙ্গি কারাগারে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
মানবাধিকার কর্মীদের দাবি, গাঁজা পাচারের সঙ্গে তাঙ্গারাজুর সম্পৃক্ততা খুবই কম ছিল এবং তিনি যথাযথ আইনি অধিকার পাননি। তবে সিঙ্গাপুরের সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই তাঙ্গারাজুর দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
তাঙ্গারাজুর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছিলেন, তিনি কখনো ওই মাদক স্পর্শ করেননি এবং তার কাছ থেকে কোনো মাদক পাওয়াও যায়নি। তবে আদালতের বিচারক জানান, তদন্তে পাওয়া গেছে তাঙ্গারাজু এরসঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং ফোন কলের ইতিহাস ঘেটে এর প্রমাণও পাওয়া গেছে।
মাদক নিয়ে বিশ্বের যে কয়েকটি দেশে কঠোর আইন রয়েছে সেগুলোর মধ্যে সিঙ্গাপুর অন্যতম। দেশটির দাবি, মাদককে ঠেকাতে এমন আইনের প্রয়োজনীয়তা আছে।
গত বছর মাদক বিষয়ক অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে সিঙ্গাপুরে ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। যার মধ্যে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিও ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি হেরোইন পাচার করেছেন।
সিঙ্গাপুরে মাত্র এক কেজি গাঁজা পাচারের দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলেও, দেশটির প্রতিবেশী থাইল্যান্ডে উল্টো গাঁজার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়। সিঙ্গাপুরের আরেক প্রতিবেশী মালয়েশিয়া মাত্র এক সপ্তাহ আগে মৃত্যুদণ্ডের বিধানই বাতিল করে দেয়।