চলারপথে রিপোর্ট :
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় পুকুরে পানিতে ডুবে চাচাত ভাই-বোন দুই শিশু মারা গেছে। আজ ৬ আগস্ট রবিবার দুপুরে উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের মবফারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দুই শিশু হলো ওই এলাকার ওবায়দুল হকের দেড় বছর বয়সী মেয়ে রহিমা বেগম এবং আবু তালেবের দুই বছর বয়সী ছেলে সাইদ মিয়া। তারা দুজন সম্পর্কে চাচাতো ভাই-বোন।
পুলিশ ও পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, বাড়ির বাইরে ওই দুই শিশু খেলছিল। একপর্যায়ে সবার অগোচরে পুকুরে পড়ে যায় তারা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর দুপুরে পুকুর থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করেন স্বজনরা।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি দুলাল হোসেন দুই শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ইউডি মামলা করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
চুনারুঘাট উপজেলার লক্ষীপুর বাজারে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৮টি দোকান ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আর এতে করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দোকান মালিকদের। আজ ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে লক্ষীপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ততক্ষণে দোকানে থাকা বেশিরভাগ মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, লক্ষীপুর বাজারে একটি দোকান ঘরে হঠাৎ করেই আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পান তারা। পরে তা আশপাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় স্থানীয়রা জগ, মগ ও বালতির পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও আগুনের লেলিহান শিখা বাড়তেই থাকে। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ততক্ষণে আগুনে পুড়ে যায় অন্তত ৮টি দোকানের মালামাল। দোকান মালিকদের দাবি আগুনে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাদের। যদিও আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে জানা যায়নি। তবে ব্যবসায়ীদের ধারণা বৈদ্যুতিক সর্টশার্কিট থেকে সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে।
চুনারুঘাট থানার (ওসি) মোঃ রাশেদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ বাজারে তুচ্ছ ঘটনায় দুই গ্রামের সহস্রাধিক মানুষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ ১০ সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল ১০টা থেকে দফায় দফায় চলা এ সংঘর্ষে উভয় গ্রামের ১০-১২ জন আহত হয়েছে। এ সময় রেলপথ থেকে আনা পাথরের ঢিলে উভয়পক্ষের লোকজন আহত হওয়ার পাশাপাশি বাজার এলাকার বাড়িঘর ও দোকানপাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। খবর পেয়ে সকাল ১১টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ থানার একদল পুলিশ এসে সংঘর্ষ থামাতে ব্যর্থ হয়। পরে গাইবান্ধার থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার উপজেলার মহিমাগঞ্জ টাউন ক্লাব মাঠে একটি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে একই ইউনিয়নের গোপালপুর ও জিরাই গ্রামের কয়েকজন যুবকের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের একজন সদস্য বিরোধ মিমাংসার জন্য সেখানে এগিয়ে গেলে তাকে লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
এরই জের ধরে পরদিন রবিবার সকাল ১০টার দিকে জিরাই ও গোপালপুর গ্রামের কয়েকশ মানুষ লাঠি, রামদাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মহিমাগঞ্জ বাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে মাথায় হেলমেট পরে ব্যাগে বহণ করা রেলপথ থেকে আনা পাথরের টুকরা দিয়ে উভয় দিক থেকে বৃষ্টির মতো ঢিল ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। এ সময় উভয় পক্ষে ১০-১২ জন মাথায় আঘাত পেয়ে আহত হয়। আহতদের মধ্যে আটজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলো গোপালপুর গ্রামের আবুল কালাম (৩৫), ফেরদৌস (২০), জোহা (৫৫) ও রানা (৩২) এবং জিরাই গ্রামের সজিব (২০), মিঠু (৩০), ইসরাইল (৩৫) ও হানিফ (২০)। আহতদের বিভিন্ন চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল মিয়া, মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম প্রধান, গাইবান্ধার সহকারী পুলিশ সুপার উদয় কুমার সাহা, গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম উভয় গ্রামের লোকজনের সাথে পৃথক পৃথক বৈঠক করে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদারীপুরের রাজৈরে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আসা বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল ধ্বংস করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার টেকেরেহাট বন্দরের সওদাগর কুরিয়ার সার্ভিস থেকে এসব চায়না দুয়ারী জব্দ করা হয়। পরে রাজৈর উপজেলা মৎস্য অফিসে নিয়ে এসব দুয়ারী ধ্বংস করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) খাদিজা আক্তার।
মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, পাবনা থেকে অপূর্ব নামের প্রেরক টেকেরহাট বন্দরের সওদাগর কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে কার্তিক নামক প্রাপকের কাছে চায়না দুয়ারীর ২৪ টি প্যাকেট পাঠায়। যাতে ২৪০ পিচ দুয়ারী রয়েছে। যাদের আনুমানিক মূল্য প্রায় ১০ লক্ষ টাকা।
পাবনা থেকে টেকেরহাট বন্দরে চায়না দুয়ারী আসছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে রাজৈর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মানিক মল্লিক শুক্রবার দুপুরে সওদাগর কুরিয়ার সার্ভিসের অফিসে অভিযান পরিচালনা করে এই বিপুল পরিমাণ দুয়ারী জব্দ করেন্। পরে রাজৈর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খাদিজা আক্তার ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এসব দুয়ারী পুড়িয়ে ধ্বংস করেন।
রাজৈর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মানিক মল্লিক জানান, এটাই রাজৈর উপজেলার চায়না দুয়ারীর সবচেয়ে বড় চালান ছিল। তবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বরিশালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মাকে দেখে বাড়ি ফেরার পথে চলন্ত থ্রি-হুইলারের ওপর গাছ পড়ে মাদ্রাসা শিক্ষক মনিরুল ইসলামের (৫০) মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মাহিন্দ্রা চালক মাহাবুবসহ চারজন আহত হয়েছেন।
বরিশাল সদর উপজেলার বরিশাল-বুখাইনগর সড়কের চাঁদেরহাট এলাকায় সোমবার গভীর রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত দুইজনকে বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন আজ ৮ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত মনিরুল মনিরুল ইসলাম চরমোনাই জামিয়া রশিদিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার গণিতের শিক্ষক ছিলেন। তার স্থায়ী বাড়ি বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলায়। তিনি চরমোনাই এলাকায় অবস্থান করে চাকরি করতেন।
আহতরা হলেন- মাহিন্দ্রা চালক মাহাবুব, চরমোনাই মাদ্রাসার ছাত্র আল আমিন, সায়েম হোসেন ও ইমাম হোসেন। তারা সবাই চরমোনাই ইউনিয়নের বাসিন্দা।
চরমোনাই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সৈয়দ শীষ মুহাম্মদ মামুন প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানান, বরিশাল নগরীর কীর্তনখোলা নদীর অপর প্রান্ত বেলতলা খেয়াঘাট থেকে যাত্রীবাহী থ্রি-হুইলার মাহিন্দ্রায় ওঠেন মনিরুল। তিনি মাহিন্দ্রাযোগে চরমোনাই মাদ্রাসার দিকে যাওয়ার পথে চাঁদের হাট এলাকায় পৌঁছলে গাছের গোড়ার মাটি নরম হয়ে বিশাল একটি রেইনট্রি গাছ গাড়ির ওপর পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন মাদ্রাসাশিক্ষক মনিরুল। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করেন। পরে গুরুতর আহত দুইজনকে বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিহত শিক্ষক মনিরুল ইসলাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মায়ের চিকিৎসার খোঁজখবর নিয়ে ফিরছিলেন।
ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, মাদ্রাসাশিক্ষকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। পরে চরমোনাই জামিয়া রশিদিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল আব্দুল কুদ্দুসের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এখন আইনের কোনো পরিবর্তন আনতে হলে, আগে শর্তযুক্ত মুক্তি বাতিল করতে হবে। তাকে বিদেশ পাঠানোর ব্যাপারে বর্তমানে আইনের অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নাই।
আজ ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের নিজ কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এ সব কথা বলেন তিনি।
এর আগে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে সচিবালয়ে সাক্ষাৎ করেন জাতিসংঘের মুক্তচিন্তা, মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিকাশ ও সুরক্ষা বিষয়ক বিশেষ র্যাপোটিয়ার আইরিন খান।
আনিসুল হক বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ (১) এর ক্ষমতাবলে শর্ত যুক্তভাবে সাজা স্থগিত রেখে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং সেটা প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতায়। এখন আইনের যে পরিস্থিতি তাতে যদি কোনো পরিবর্তন আনতে হয় সেক্ষেত্রে খালেদা জিয়াকে আগে যে শর্তযুক্ত মুক্তি দেওয়া হয়েছে সেটাকে বাতিল করতে হবে। তার পরে অন্য বিবেচনা করা যাবে।
তিনি বলেন, আমি বলেছিলাম, উনাকে (খালেদা জিয়া) বিদেশে যাওয়ার আবেদনটা প্রথমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করতে হয়। সেই আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় এবং আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ওপরই নির্ভর করে এই ব্যাপারটা। কারণ হচ্ছে এটা আইনের ব্যাপার।
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, আইনের যে অবস্থান এখন, সেই অবস্থানে ইট ইজ অ্যা পাস্ট ট্রানজেকশন। আমার মনে হয়, আইনের সেই অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নেই।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, আমাদের (স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের) মধ্যে কোনো ঠেলাঠেলি নেই। আমি পরিষ্কারভাবে আবারও বলছি, যদি কোনো আবেদন আসে; সেই আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে আইনের শাসন আছে। আমরা আদালতের রায়কে শ্রদ্ধা করি। খালেদা জিয়াকে আদালত শাস্তি দিয়েছেন। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, ৪০১ ধারায় উনাকে যে শর্তযুক্ত মুক্তি দেওয়া হয়েছে, সেটা সরকারের নির্বাহী আদেশে দেওয়া হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করেই শর্তযুক্ত মুক্তি দেওয়া হয়। যা তিনি মেনেছেন।