চলারপথে রিপোর্ট :
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় পুকুরে পানিতে ডুবে চাচাত ভাই-বোন দুই শিশু মারা গেছে। আজ ৬ আগস্ট রবিবার দুপুরে উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের মবফারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দুই শিশু হলো ওই এলাকার ওবায়দুল হকের দেড় বছর বয়সী মেয়ে রহিমা বেগম এবং আবু তালেবের দুই বছর বয়সী ছেলে সাইদ মিয়া। তারা দুজন সম্পর্কে চাচাতো ভাই-বোন।
পুলিশ ও পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, বাড়ির বাইরে ওই দুই শিশু খেলছিল। একপর্যায়ে সবার অগোচরে পুকুরে পড়ে যায় তারা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর দুপুরে পুকুর থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করেন স্বজনরা।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি দুলাল হোসেন দুই শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ইউডি মামলা করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
সমগ্র বাংলাদেশ একটা পরিবারের মতো উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘যেখানে সরকারের দায়িত্ব হলো প্রতিটি নাগরিকের অধিকার সুরক্ষা দেওয়া।’
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আজ ২৬ আগস্ট সোমবার প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ কথা বলেন।
হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে ড. ইউনূস বলেন, তিনি এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চান যেখানে নির্ভয়ে সবাই নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারবে এবং যেখানে কোনো মন্দির পাহারা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। তিনি বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব হলো প্রতিটি নাগরিকের অধিকার সুরক্ষা দেওয়া এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।’
সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দেশে মানুষের মধ্যে কোনো বিভেদ থাকতে পারে না। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের সমান অধিকার। অন্তর্বর্তী সরকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার সুরক্ষায় দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
হিন্দু নেতৃবৃন্দ প্রধান উপদেষ্টাকে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, তারা বাংলাদেশে শান্তি-সম্প্রীতি ও এর সমৃদ্ধি এবং আন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্য কামনা করে শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদ প্রার্থনা করেছেন।
হিন্দু নেতারা জানান, দেশের বন্যা পরিস্থিতির কারণে দুর্গত এলাকাগুলোতে এবার জন্মাষ্টমী উদযাপন স্থগিত করে সেখানে খাদ্য ও ত্রাণ পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার ভূয়সী প্রশংসা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, এই বক্তব্য দেশে আসম্প্রদায়িক সমাজ গঠন এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে ভূমিকা করবে।
নেতৃবৃন্দ হিন্দু মন্দিরের জমিসহ হিন্দু জমি সম্পত্তি দখল হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন।
শুভেচ্ছা বিনিময়কালে হিন্দু নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু বৌদ্ধ খিস্ট্রান ঐক্য পরিষদের কাজল দেবনাথ ও মনীন্দ্র কুমার নাথ, আন্তর্জাতিক শ্রীকৃষ্ণ ভাবনা সংঘ ইসকনের চারু চরণ ব্রহ্মচারী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের বাসুদেব ধর ও সন্তোষ শর্মা এবং ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কর্নধার প্রীতি চক্রবর্তী।
সূত্র : বাসস।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় সংসদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচন উপলক্ষে ঋণ খেলাপিদের তথ্য চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় ঋণ খেলাপিকে অবৈধ ঘোষণা করতেই অর্থ মন্ত্রণালয়কে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।
ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবকে ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এবং লক্ষ্মীপুর-৩ নির্বাচনী এলাকার শূন্য আসনের নির্বাচন আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি অনুসারে ঋণ খেলাপি ব্যক্তিরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন না। নির্বাচনে ঋণ খেলাপি ব্যক্তি মনোনয়নপত্র দাখিল করলে যাতে তাদের প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করা যায়, তার জন্য আইনে নির্ধারিত সব ব্যাংক হতে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করা আবশ্যক।
এজন্য মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন বিকেল ৪টার পর মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের নাম, পিতা/মাতা/ স্বামীর নাম ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্ব উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হবে। সংগ্রহ করার জন্য এবং সে আলোকে বিভিন্ন ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন।
এই অবস্থায় নির্বাচন উপলক্ষে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন কিংবা তার পূর্বে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে প্রদান এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
চলারপথে রিপোর্ট :
বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজনগরে স্বর্ণ চুরির অভিযোগে অসহায় নারী ও তার শিশুসন্তানকে পেটালেন ইউপি চেয়ারম্যান ও আজিজনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জসিম উদ্দীন।
চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করলে পুলিশ এসে তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সোমবার রাতেই আজিজনগরে চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা। আহত মা ও শিশুকে উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- আজিজনগর ইউনিয়নের সোলাইমান বাজার ৬নং ওয়ার্ডের আশরাফপাড়ার বাসিন্দার মো. মোরশেদের স্ত্রী সেলিনা আক্তার (৩০) ও তার শিশুসন্তান মো. সেলিম ওরফে সোয়াদ (৯)। শিশুটি চাম্বি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। নির্যাতনকারী ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় সেলিনা আক্তারের স্বামী ও সোহাগের পিতা মো. মুরশেদ হাওলাদার লামা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
অপরদিকে ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনও লামা থানায় চুরির অভিযোগে করেছেন।
মো. মুরশেদ হাওলাদার বলেন, জসিম চেয়ারম্যানের স্ত্রী আমাকে ফোন করে গত শনিবার রাতে দেখা করতে বলেন। আমি আর আমার স্ত্রী দেখা করলে আমাদের ছেলে স্বর্ণ চুরি করার অভিযোগ করে আমাদের তিনজনকে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধর করেন এবং আমার আহত ছেলেকে আটকে রাখেন। আমার সম্পত্তি লিখে দিয়ে ছেলেকে নিয়ে যেতে বলেন। স্থানীয়দের সহায়তায় আমরা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে ছেলেকে উদ্ধার করি। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আহত মা ও ছেলেকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত দুবছর ধরে আমার ছেলেকে পড়ালেখার কথা বলে নিয়ে গিয়ে ঘরের কাজ করতে দেন চেয়ারম্যান। ঘরের কাজ করালেও দুই বছরে আমাদের কোনো টাকা দেয়নি।
আজিজনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক এনামুল হক ভূঁইয়া জানান, গত দুই বছর যাবত ছেলেটাকে লেখাপড়া করানোর কথা বলে চেয়ারম্যানের বাসায় রাখছে। ছেলেটা বাড়ির কাজকর্মও করত। কয়েক দিন আগে চেয়ারম্যানের বউয়ের স্বর্ণ চুরি হয়েছে। সে স্বর্ণ চুরির অপবাদে চেয়ারম্যান ছেলেটাকে পিটাইছে। তারপরে মাকে বাবাকে ডেকেও কিল ঘুসি থাপ্পড় দিছে। পরে ছেলেটাকে আটকিয়ে রাখে চেয়ারম্যান। এ সময় ৯৯৯ নাম্বারে ফোন পেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে তার বাবা-মায়ের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত আজিজনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, শিশু সোয়াদ আমার বাসা থেকে স্বর্ণ চুরি করেছে। ছেলেটা আমার কাছে দুই বছর ধরে ছিল। আমি তো শিশুটিকে ধরে এনে বেঁধে রাখিনি যে ৯৯৯ নাম্বারে পুলিশ এসে উদ্ধার করবে- এটি সত্য নয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানার ওসি মো. শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ৯৯৯ নাম্বারে কল পেয়ে আমরা শিশুটিকে উদ্ধার করে পিতা ও মায়ের জিম্মায় দিয়েছি। উভয়পক্ষ থানায় অভিযোগ দিয়েছে, আমরা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এ ঘটনায় থানায় মামলা হবে।
প্রসঙ্গত, এ ঘটনায় সোমবার রাতে অসহায় নারী ও শিশুকে চুরির অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে আহত করার প্রতিবাদে চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে শিল্প কারখানা ও প্রযুক্তি স্থানান্তর, আরো বেশি বিনিয়োগ নিয়ে আসা এবং বাংলাদেশের যুবশক্তিকে কাজে লাগানোর জন্য তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. ওমের বলাতের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই আহ্বান জানান।
বাংলাদেশকে বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে কাজ করছে এবং এ ব্যাপারে তিনি তুরস্কের সহায়তা চান। তিনি বলেন, ‘আমাদের তরুণদের সুযোগ দিতে আমরা আপনার সহায়তা চাই। এটি আমার দেশের জন্য আপনাদের কাছে আবেদন।’
তিনি আরো বলেন, ‘আপনার কারখানা পরিচালনার জন্য আমাদের তরুণদের ব্যবহার করুন, যাতে আপনারা এই অঞ্চলে পণ্য সরবরাহ করতে পারেন।’
প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ও তুরস্ক পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে একটি স্বপ্নের সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও তুরস্কের সম্পর্ক অত্যন্ত উষ্ণ। আমরা এটি সব ক্ষেত্রে প্রসারিত করতে চাই।’
অধ্যাপক ইউনূস তুরস্কের প্রতিনিধিদলে উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের অনেক কিছু করার আছে। কিছু ক্ষেত্রে আমরা আপনাদের সমর্থন, প্রযুক্তি এবং বিনিয়োগ চাই। আপনারা প্রযুক্তির নেতৃত্ব দিচ্ছেন; আপনারা এখানে প্রতিরক্ষা শিল্প গড়ে তুলতে পারেন। আসুন একটি সূচনা করি… আমরা আপনাদের যে কোনো প্রয়োজনের জন্য প্রস্তুত।’
বাংলাদেশ ও তুরস্ক দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা পোশাক শিল্পের বাইরে প্রসারিত করতে পারে উল্লেখ করে তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. ওমের বলাত বলেন, আমরা প্রতিরক্ষা শিল্প, স্বাস্থ্যসেবা, ওষুধ এবং কৃষি যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সহযোগিতা গড়ে তুলতে পারি।
আরও পড়ুন
ডালিম খেলে কী কী উপকার হয়?
তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমরা ভারতের মতো বাজারগুলোকে প্রতিস্থাপন করতে পারি এবং বাংলাদেশে আমদানি ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে পারি। অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে সব স্তরে সহযোগিতা হতে পারে।’
তিনি আরো বলেন, আমরা বাংলাদেশ ও তুরস্কের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে পারি। সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
বন্দর নগরী চট্টগ্রামে শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা করেছে আওয়ামী লীগ। আজ ১৮ জুলাই মঙ্গলবার নগরীর পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে প্রথমে জমায়েত ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এর পর সেখান থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি নিউমার্কেট মোড় ও লালদীঘির পাড় হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইদানীং কিছুদিন পর পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চট্টগ্রামে আসছেন। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ শক্তিশালী সংগঠন। যদি বাড়াবাড়ি করেন, তাহলে আপনাদের আন্দোলন বঙ্গোপসারে ফেলে দেওয়া হবে। কেউ রক্ষচক্ষু দেখালে আওয়ামী লীগও বসে থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করবে। নির্বাচন কমিশনই নির্বাচন পরিচালনা করবে। দেশে সংবিধান মেনে নির্বাচন হবে। আমাদের দেশ চলবে আমাদের আইনে। কারও প্রেসক্রিপশনে নয়। বিএনপির অনেক আশাই ছিল– যুক্তরাষ্ট্র-ইইউ নির্বাচন নিয়ে কিছু বলবে। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে তারা কিছু বলেনি। এ জন্য তারা (বিএনপি) হতাশ।
হাছান মাহমুদ বলেন, পৃথিবীর অনেক মানুষকে দিয়ে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন।
তিনি বলেন, মাঝে মধ্যে তাদের (বিএনপি) হাঁটা কর্মসূচি, দৌড় কর্মসূচি থাকে। তবে রাতে বিভিন্ন দূতাবাসে ধরনা দেয়। সঙ্গে থাকে তাদের নারীনেত্রী রুমিন ফারহানা। তবে এখন তারা বুঝতে পেরেছে, এভাবে ধরনা দিয়ে আর লাভ নেই। তাই মির্জা ফখরুল কথা ঘুরিয়ে দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী সভাপতিত্ব এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক সঞ্চালনা করেন।