চলারপথে রিপোর্ট :
পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে পাঁচ বছর আগে বড় ছেলে রমজান আলীকে কুয়েতে পাঠান ফারুক মিয়া। চার বছর পর অবস্থা একটু ভালো হলে নতুন বাড়ি করার পরিকল্পনা করে রমজান। বাবার কাছে টাকা পাঠিয়ে সেমিপাকা ঘর করতে বলে। এর কিছুদিন পর দেশে এসে বিয়ে করে। কিন্তু এবার বিদেশে ফিরে ঘর থেকে মা-বাবাকে নেমে যেতে বলে এবং তাদের ভরণপোষণ দিতে অস্বীকৃতি জানায় রমজান। এ নিয়ে পারিবারিক কলহের পরও স্ত্রীসহ অন্য সন্তানদের নিয়ে ওই বাড়িতেই ছিলেন ৭০ বছর বয়সী ফারুক মিয়া। শনিবার বাড়িতে পুলিশ গিয়ে তাঁকেসহ পরিবারের ৯ সদস্যকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায়।
ঘটনাটি নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের। আহতদের উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন প্রতিবেশীরা। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফারুক ও তাঁর স্ত্রী ছায়েরা বেগমকে (৬৫) জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়। তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন।
ওই দিনই চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন আহত অন্যরা। আহতরা হলেন ফারুক মিয়ার ছেলে সরাজ মিয়া (২৫) ও রায়হান মিয়া (৯), মেয়ে বিলকিস আক্তার (১৫) ও জান্নাত আক্তার (১২), ফারুকের চাচাতো ভাই শাহেদ মিয়া (৬৫), ভাতিজা আনোয়ার মিয়া (৩৫) ও তাঁর স্ত্রী জেসমিন আক্তার (২৫)।
ফারুক মিয়া বলেন, ‘আমরা বুড়া-বুড়ি অনেক কষ্ট কইরা রমজানরে কুয়েত পাঠাইছি। আমরা তারে বাড়ির জায়গা লেইখ্যা দেই নাই। এ কারণে পোলার বউ দুই দিন পরপর থানা থেইক্যা পুলিশ আইন্যা আমরারে হুমকি-ধমকি দিয়া ডর লাগায়। শনিবার পুলিশ আইন্যা আমাদের ঘর থেইক্যা বাইর হইতে চাপ দেয়। আমরা বাইর হইতে না চাইলে পুলিশ লাডি দিয়া পিডায়। আমারে বাঁচাইতে আইলে দুই পোলার হাতে হ্যান্ডকাপ লাগায়। পরে আমার বউ আর ছোট দুইডা আবুইদ্যারে (দুই শিশুসন্তান) মারধর করে। পুত হইয়্যা পুলিশরে টাকা দিয়ে বাপরে লাঠিপিডা করাইল! এইডা চিন্তা কইরা আমার ঘুম হয় না।’
ছায়েরা বেগম বলেন, ‘পুলিশ ও আমার পোলার বউ একসঙ্গে চাতলপাড় ফাঁড়ি থেইক্যা নৌকা দিয়া আইছে। নৌকাত থেইক্যা নাইম্যাই আমার জামাইর হাতে হাতকড়া পড়াই লাইছে। হেরপর ইচ্ছামতন লাডি দিয়া পিডাইছে। আমারেও মারছে। আমরা পুলিশরে বেশি টাহা দিতাম পারছি না। রমজান বেশি টাহা দিয়া বাড়িত পুলিশ আইন্যা আমরারে মাইর খাওয়াইছে।’
ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল হক বলেন, ফারুক মিয়ার পারিবারিক সমস্যা আমরাই সমাধান করতে পারি। পুলিশ কেন একপক্ষের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে তাদের মারধর করবে?
এদিকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে চাতলপাড় পুলিশ ফাঁড়ির তদন্ত কর্মকর্তা আবুল হাশেম বলেন, ‘গোপন খবরে জানতে পারি, জেসমিন আক্তার নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধর করছে ফারুক মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন। তাই আমরা গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করেছি। এ সময় কাউকে মারধর করা হয়নি। তারা নিজেরা মারধর করে আহত হয়েছে।’
নাসিরনগর থানা ওসি হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়ন যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ১০ নভেম্বর শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকালে শ্রীঘর এসই এসডিইপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক মোঃ ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে উদ্বোধক ছিলেন উপজেলা যুবলীগ আহবায়ক মোঃ রায়হান আলী ভূইয়া।
প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ভানু চন্দ্র দেব।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ লতিফ হোসেন, বুড়িশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ ছায়েব আলী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মরহম আলী। বক্তব্য রাখেন ভলাকুট ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রুবেল মিয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপি বলেন, যুবলীগ হচ্ছে আওয়ামীলীগের প্রাণশক্তি। যুবলীগকে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে। আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিজয় নিশ্চিতে যুবলীগকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার চৈতন্য দেব মহাপ্রভুর মন্দিরের বার্ষিক কীর্তনে সংঘবদ্ধভাবে চুরি করতে এসে পুলিশের হাতে ধরা খেয়েছেন আন্তঃজেলা চোরচক্রের ২৭ জন সদস্য।
আজ ৩ এপ্রিল সোমবার দুপুরে গোলাপগঞ্জ থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত দায়িত্বে গোলাপগঞ্জ সার্কেল) আশরাফুজ্জামান পিপিএম। আটককৃতদের মধ্যে ২৪ জন নারী ও তিনজন পুরুষ সদস্য রয়েছেন।
তারা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরের ধরমন্ডল গ্রামের জাহাঙ্গীর মিয়ার স্ত্রী নারজিন বেগম (৩০), শাহজাহান মিয়ার স্ত্রী নাজমা বেগম (৩২), শিপন মিয়ার স্ত্রী রিমা আক্তার (২৮), নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী মহিমা আক্তার (৩৫),আব্দুল্লাহ স্ত্রী পপি বেগম (৩০), রনি মিয়ার স্ত্রী আয়েশা বেগম (৩৫), জাহাঙ্গীর মিয়ার স্ত্রী সুমি বেগম (৩০),মতিন মিয়ার স্ত্রী বিলকিস বেগম (২৮,) হৃদয় মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (২২), আজিজ উদ্দিনের স্ত্রী শাহিদা বেগম (২৮) আলফাজ মিয়ার স্ত্রী লুৎফা বেগম (২৫), সুবারক মিয়ার স্ত্রী নাজমা বেগম (৩০), শামীম মিয়ার স্ত্রী রোকসানা বেগম (২৫), কুফাদ মিয়ার স্ত্রী সালমা বেগম (৩৫), আব্দুল ছত্তারের স্ত্রী তাছলিমা বেগম (৩৫), জাকারিয়া হোসেনের স্ত্রী রোজিনা বেগম (৩০), শাহিন মিয়ার স্ত্রী লাভলী আক্তার (৩৫), শামসুদ্দিনের স্ত্রী আছমা বেগম (৩৮), বাছির মিয়ার স্ত্রী পারভিন বেগম (৩০), আলমগীর মিয়ার স্ত্রী তাছলিমা আক্তার (৩৫), জলিল মিয়ার স্ত্রী অনুফা আক্তার (৩০), তাহের মিয়া স্ত্রী আমেনা বেগম (৩০), মোবারক মিয়ার স্ত্রী ফুলচান বিবি(২৮), তোফাজ্জেল মিয়ার স্ত্রী আছমা বেগম (২৫)।
বাকি তিনজন হলে, হবিগঞ্জের মাধবপুরের বাঘশুরা গ্রামের ইজাজ আলীর ছেলে সুহেল মিয়া, একই থানার ফতেপুর গ্রামের মো.শামীম মিয়ার ছেলে শাহিন আলম (২০) ও সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের ছত্তিশ গ্রামের সামছু মিয়ার ছেলে ছাইদুল ইসলাম।
এসময় তাদের কাছ থেকে নয়টি সোনার চেইন, এক জোড়া হাতের বালা, ৪ জোড়া চুড়ি, ১৪ জোড়া কানের দুল, আটটি রূপাসদৃশ্য চেইন, আটটি রূপাসদৃশ্য নুপুর, ছয়টি শাঁখা, সাতটি মোবাইল ফোন এবং পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আশরাফুজ্জামান পিপিএম জানান, চৈতন্য দেব মহাপ্রভুর মন্দিরের বার্ষিক কীর্তনে আগত পূণ্যার্থীদের বিভিন্ন জিনিস খোয়া যাওয়ার খবরে কঠোর গোয়েন্দা নজরদারিতে একে একে ২৭ জন চোরকে ধরতে সক্ষম হয় পুলিশ। প্রাথমিকভাবে চুরির সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে জানিয়েছে তারা সংঘবদ্ধভাবে চুরি করে এবং সকলেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানাধীন ধরমণ্ডল গ্রামের বাসিন্দা। মূলত চুরির উদ্দেশে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তারা দল বেধে অংশ নেয়। এর ধারাবাহিকতায় দুটি গাড়ি যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সিলেটে আসে তারা।
সোমবার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা পুলিশের সহকারী মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা ওসি শ্যামল বণিক।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর আধুনিক হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেডের নতুন সংযোজন অত্যাধুনিক রোগ নির্ণয়কারী প্রতিষ্ঠান “আধুনিক মাল্টিকেয়ার ডায়াগনষ্টিক এ- কনসালটেশন লিমিটেড” এর উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে দিনব্যাপী বিশেষায়িত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। আজ ৫ অক্টোবর শনিবার সকালে আধুনিক হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ সৈয়দ ইসরার কামালের সভাপতিত্বে “আধুনিক মাল্টিকেয়ার ডায়াগনষ্টিক এ- কনসালটেশন লিমিটেড”এর উদ্বোধন করেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূঁইয়া।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আধুনিক হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নাক,কান গলা বিশেষঞ্জ সার্জন সহযোগী অধ্যাপক ডা. রোকন উদ্দিন ভুইয়া, ডায়াগনষ্টিক এ- কনসালটেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কুন্ডা ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন ভূইয়া,পরিচালক ডা: মুকবুল হোসেন,পরিচালক ডাঃ পান্না বনিক,হাজ্বী রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, মো: শাহেদুল ইসলাম,মো: ফরহাজদুক ভুইয়া, স্বপন দেবনাথ, মো: মনিরুজ্জামান,আশরাফুল ইসলাম বাবুল,বীরেন্দ্র বিশ্বাসসহ পরিচালকবৃন্দ, সাংবাদিক, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সুশীল সমাজ উপস্থিত ছিলেন। পরে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে“আধুনিক মাল্টিকেয়ার ডায়াগনষ্টিক এ- কনসালটেশন লিমিটেড” এর উদ্বোধন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করে।
অন্যদিকে আধুনিক হাসপাতাল কনফারেন্স কক্ষে উন্নত চিকিৎসা’ প্রত্যাশা, প্রাপ্তি ও করণীয় শীর্ষক সাংবাদিক, চিকিৎসক, সুশীল সমাজ ও আধুনিক হাসপাতালের পরিচালকগণের অংশগ্রহণ এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময়কালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত অত্যাধুনিক “আধুনিক মাল্টিকেয়ার ডায়াগনষ্টিক এ- কনসালটেশনে সকল পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। যা রোগী একই স্থানে সকল পরীক্ষা ও চিকিৎসা সেবা পাবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে ২০১৬ সালের আলোচিত সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত ৮টি মামলার মধ্যে নাসিরনগর উপজেলা সদরের পশ্চিমপাড়ার পুরাতন দূর্গামন্দিরে অগ্নিসংযোগ মামলার রায়ে উপজেলার সাবেক দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনকে ৪ বছর করে কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
আজ ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ এই রায় ঘোষনা করেন। কারাদন্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালত পুলিশের পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) কাজী দিদারুল আলম রায় ঘোষনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোঃ আবদুল আহাদ, উপজেলার হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখি, মোঃ মোখলেছ মিয়া, মোঃ মফিজুল হক, খসরু মিয়া, নাজির রহমান, মোঃ মাফুজ মিয়া, ইদু মিয়া, সায়হাম রাব্বি শ্যাম, মীর কাশেম, আনিস মিয়া, তাবারক রেজা ও সজিব চৌধুরী।
রায় ঘোষণার সময় সাবেক চেয়ারম্যান শেখ মোঃ আবদুল আহাদসহ ৮জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাবেক চেয়ারম্যান দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখিসহ ৫জন পলাতক রয়েছেন। দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে সবার বাড়ি নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
নাসিরনগর থানা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের বাসিন্দা রসরাজ দাসের ফেসবুক আইডি থেকে ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করে একটি পোস্ট দেয়ার অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর রাতে নাসিরনগর উপজেলা সদরের হিন্দু অধ্যুষিত কয়েকটি গ্রামে হামলা চালিয়ে কয়েকটি মন্দিরসহ বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দুষ্কৃতিকারীরা। এসব ঘটনায় নাসিরনগর থানায় আটটি মামলা দায়ের করা হয়।
উপজেলা সদরের পশ্চিমপাড়ার পুরাতন দূর্গামন্দির ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নাসিরনগর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাধন কান্তি চৌধুরী বাদী হয়ে ১৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলাটি দীর্ঘ তদন্ত শেষে ১৩জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ এই মামলার রায়ে উপজেলার সাবেক দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনকে ৪ বছর করে কারাদন্ডাদেশ দেন।
এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, সাক্ষ্য-প্রমান ও বিচার বিশ্লেষন করেই এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং এটি অনুকরনীয় রায় হয়ে থাকবে।
এ ব্যাপারে আসামী পক্ষের আইনজীবী কামরুজ্জামান মামুন বলেন, মামলার রায়ে আমরা সংক্ষুব্দ। যে কোন মামলার সাজা দিতে গেলে নূন্যতম সাক্ষ্য-প্রমাণ প্রয়োজন। কিন্তু সাক্ষ্য-প্রমাণহীন এই মামলায় ১৩ জনকে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ঠেকাতে বাজার মনিটরিং করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইমরানুল হক ভূঁইয়া।
আজ ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা সদর বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে বাজারে যান উপজেলা তিনি।
এসময় তিনি মুদির দোকান, সবজির দোকান, ফলের দোকান, মুরগির দোকানে অভিযান চালান। অভিযানে মূল্য তালিকা না রাখায় চার ব্যবসায়ীকে ১১ হাজার টাকার জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরকে সর্তক করা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইমরানুল হক ভূইয়া অভিযানের কথা স্বীকার করে জানান, রমজান মাস উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নিয়মিত বাজার তদারকির অংশ হিসেবে এই অভিযান চালানো হয়।
নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। কোন অসাধু ব্যবসায়ী যদি বাজার অস্থিতিশীল করতে চায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।