চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দূর্গারামপুরে বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ৬৭তম সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান স্বাভাবিক রাখতে এভাবে ঋণ বিতরণ করে যাচ্ছে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন।
আজ ৭ আগস্ট সোমবার বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ঋণ বিতরণের অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা ও ইষ্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক, ইষ্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক এবং দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন।
এ সময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ডিজিএম মাইমূন কবির, কালেরকণ্ঠ শুভ সংঘের পরিচালক মো. জাকারিয়া জামান, বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো, চাঁন মিয়া সরকার, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক মো. মোশারফ হোসেন, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সিনিয়র অফিসার মো. আমির হোসেন আনোয়ার, অফিসার মো. শাহজাহান, আলমগীর হোসেন, মুজিবুর রহমান, মো. অলি উল্লাহ, মো. কবির হোসেন ও মো. বাছির মিয়া।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ইমদাদুল হক মিলন বলেন, পৃথিবীর কোথাও সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ করা হয় বলে আমার জানা নেই। মানুষের কল্যাণের জন্য এভাবে সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ করছে বাংলাদেশের সুনামধন্য ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ। মানুষের কল্যাণ হউক এইটাই বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের চিন্তাধারা।
তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিকভাবে দুর্বলদের এই ঋণ দিয়ে সচ্ছল করে তোলাই একমাত্র লক্ষ ও উদ্দেশ্য। অর্থনীতির মূল ধারায় বরাবরই অবহেলিত ও পিছিয়ে থাকা, সেসব তৃণমূল মানুষকে সামনে এগিয়ে নিতে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এর মাধ্যমে পাল্টে যাচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতির চিত্র। বাংলাদেশে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ একটি মডেলের নাম। এভাবে ধনাঢ্য ব্যক্তিরা যদি বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের মতো গরিব লোকদের কাছে এগিয়ে আসতেন, তাহলে হয়ত হতদরিদ্র লোকগুলো অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে উঠতে পারতেন।
সভাপতি ময়নাল হোসেন চৌধুরী বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে। দেশের অসহায় ও হতদরিদ্রদের মাঝে বিভিন্ন ক্লান্তিকালে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় বসুন্ধরা গ্রুপ।
সেখানে উপস্থিত সব মা-বোনদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এই ঋণের টাকা দিয়ে যাতে অসামাজিক ও অবৈধ কোনো ব্যবসায় কাজে বিনিয়োগ না করা হয়। আজ পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার ৩৪৪ জন হতদরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত লোক বসুন্ধরা গ্রুপের সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ পেয়ে ৩৩টি স্কিমের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এর জন্য দোয়া চান যাতে করে বসুন্ধরা গ্রুপ সব অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত লোকদের সেবা করতে পারে।
তিনি আরও জানান, সোমবার ৪৩১জন উপকারভোগীর মাঝে ৬৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ১৮৭ জনের প্রত্যেককে ১৫ হাজার করে ২৮ লাখ ৫ হাজার, দ্বিতীয় ধাপে ২৪৪ জনকে ১৫ হাজার করে ৩৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এই ঋণ শুধু নারীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এর মাধ্যমে তারা হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল এবং শাক-সবজি চাষসহ ৩২ ধরনের কাজে এই ঋণের অর্থ বিনিয়োগ করে উপকার পাচ্ছেন। ২০০৫ সাল থেকে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের সরাসরি তত্ত্বাবধানে নিয়মিত ঋণ দিয়ে যাচ্ছে। এই ঋণের পরিধি প্রথমদিকে শুধু বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে তা পার্শ্ববর্তী উপজেলা হোমনা ও নবীনগরে বিস্তার লাভ করেছে।
বাহেরচর গ্রামের নার্গিস আক্তার (৪০) বলেন, ৫ হাজার টাকার ঋণ পেয়ে দুইডা ছাগল কিন্না এহন বেশি হইতে হইতে প্রায় ২ লাখ টাকার ছাগল বেচ্চি। বসুন্ধরা আমারে ৩ বার টেহা দিছে। বসুন্ধরার হগল মালিকগনের লাইগা দোয়া করি আল্লায় যেন ভালো রাহে।
কমুলপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী ফুল মালা (৪০) জানান, আমার জামাই মাছের ব্যবসা করেন। আমি বসুন্ধরার ঋণের টাকা আমার জামাইয়ের কাছে দিয়ে মাছের ব্যবসায়ে লাগিয়েছি। এখন আমরা লাভে আছি।
দূর্গারামপুর গ্রামের রুপা (৩২) বলেন, আমি এই টেহা নিয়া সেলাই মেশিন কিনছি। আমি এবং আমার মাদরাসা পড়ুয়া মেয়ে হেইডা চালাই। যা দিয়া আমার পরিবারের খাওনের চাহিদা মিডাইয়া মাইয়ার মাদরাসার পড়ালেহার খরচ জোগাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কিমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণের স্বপ্নকে হৃদয়ে ধারণ করে আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াতে হবে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পাঠে ছাত্র ও যুব সমাজের মধ্যে আত্মনির্ভরশীলতা সৃষ্টি করবে। দেশ ও জাতির উন্নয়নের জন্য আমাদের সকলের বেশি করে বই পড়তে হবে।
আজ ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়নের উদ্যোগে শাহ-রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শিক্ষার্থীদের মাঝে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, একদল ষড়যন্ত্রকারী নির্বাচন বানচাল করার উদ্দেশ্যে দেশ-বিদেশে ঘুরে ঘুরে মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়ই সামনের সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহনে নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আওয়ামী লীগকে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম তুষারের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আমেরিকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ লামাগনা সদস্য ট্রাস্টিবোর্ড ড. কারমেন জেড, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ডক্টর হাসিনা খান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন পরিচালক ওমর ফারুক বাবলু, বিশিষ্টি শিক্ষানুরাগী ফারাহ ইসলাম প্রভা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কি মিত্র চাকমা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি প্রিন্সিপাল আবুল খায়ের দুলাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সায়েদুল ইসলাম ভূঁইয়া বকুল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জলি আক্তার, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী আতিকুর রহমান, পৌর মেয়র তফাজ্জল হোসেন, শাহ রাহাত আলী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এস এম সোহেল রানা, ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মোজাম্মেল হক চৌধুরী, মাওলানা জাকির হোসেন, শাহ রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল করিম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়া প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
স্ট্রোকের রোগী নাজমা বেগমের (৫০) শরীরে পরপর চারটি ইনজেকশন দেওয়ার ফলে মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুরে এ ঘটনার পর আক্তার হোসেন ও ইদ্রিস চৌধুরী নামে দুই অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশে তুলে দেয় স্থানীয়রা। এদের মধ্যে আক্তার হোসেন নাজমা বেগমের সাবেক স্বামী। পরে পুলিশ তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি রবিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
জানা গেছে, গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে আক্তার হোসেনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দশদনা গ্রামে। অপর ব্যক্তি ইদ্রিস চৌধুরীর বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে। তারা দুইজন চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় থাকতেন। ইদ্রিস নিজেকে পল্লী চিকিৎসক দাবি করে নাজমার শরীরে ইনজেকশনও দিয়েছিলেন। যদিও তিনি এ সংক্রান্ত কোনো সনদ পুলিশকে দেখাতে পারেননি।
ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আমিনুল ইসলাম জানান, গত ২ ফেব্রুয়ারি নাজমা স্ট্রোক করার পর তার শরীরের একপাশ অচেতন হয়ে যায়। পরে তার বর্তমান স্বামী সাহাব উদ্দিন তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর চিকিৎসকের পরামর্শে নাজমা হাসপাতাল ছেড়ে যান। এরপর থেকে তিনি ফৌজদারহাটে তার বোনের বাড়িতে থাকছিলেন।
শনিবার দুপুরে আক্তার হোসেন ইদ্রিস চৌধুরীকে নিয়ে নাজমার বোনের বাড়ি যান। এরপর চিকিৎসক পরিচয় দেওয়া ইদ্রিস চৌধুরী নাজমার শরীরে পরপর চারটি ইনজেকশন পুশ করেন। পরে নাজমার মৃত্যু হলে স্থানীয়রা অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এ ঘটনায় নিহত নাজমার স্বামী সাহাব উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করলে অভিযুক্তদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। নাজমার লাশ সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রার্থী ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম। তিনি এক লাখ ৯৩ হাজার ৮৭০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয় পার্টির আমজাদ হোসেন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৮১৭ ভোট।
৭ জানুয়ারি রবিবার রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান তার কার্যালয়ে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে মোট ৭৬ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৬৪ হাজার ৪৩৩ জন। আসনটির ৯১টি ভোট কেন্দ্রের ৫৬৬টি ভোটকক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত ২৪ ঘন্টায় গ্রেফতারী পরোয়ানার আসামীসহ একাধিক মামলার ২জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। ১৬ অক্টোবর বুধবার রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ভাদুঘর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে মোঃ অলিউল্লাহ (৬৬) এবং রূপসদী গ্রামের মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মোঃ কামাল মিয়া- (৫৯)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫টি রাম দা, ৩টি টেটা, ২টি ছুরি, ৩ টি বল্লম, ৪৫০ ইউরো, ১২২ ইউএস ডলার ও নগদ ৭ লাখ ৩০ হাজার ৮শত টাকা উদ্ধার করা হয়।
আজ ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে যৌথবাহিনীর পক্ষ থেকে দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। যৌথ বাহিনীর দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী বুধবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রামের জমি সংক্রান্ত মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামী মোঃ অলিউল্লাহকে গ্রেফতার করে।
একই সময়ে যৌথ বাহিনীর অপর একটি টিম বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী গ্রামে অভিযান চালিয়ে একাধিক মামলার আসামী ও সন্ত্রাসী মোঃ কামাল মিয়াকে গ্রেফতার করে।
এ সময় তার কাছ থেকে ৫টি রাম দা, ৩টি টেটা, ২টি ছুরি, ৩ টি বল্লম, ৪৫০ ইউরো, ১২২ ইউএস ডলার ও নগদ ৭ লাখ ৩০ হাজার ৮শত টাকা উদ্ধার করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল চাপায় মো. আয়াত (৩) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
৩ মার্চ রবিবার সন্ধ্যায় বাঞ্ছারামপুর উপজেলার পাড়াতলী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আয়াত উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের বাঁশগাড়ি গ্রামের মামুন সিকদারের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার সন্ধ্যায় পাড়াতলী এলাকায় আইসক্রিম কিনতে যাওয়ার জন্য রাস্তার পাশে মায়ের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিল আয়াত। এ সময় স্থানীয় রবিউল নামে এক যুবকের বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেলের চাপায় আয়াত গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রেফার্ড করে। ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আয়াতের মা ফারজানা আক্তার এনি বলেন, আয়াত আমার সঙ্গে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। এক যুবকের দ্রুতগতির মোটরসাইকেল আয়াতকে চাপা দেয়। এতে আমার ছেলে মারা গেছে। আমাদের তো কোনো দোষ ছিল না। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন জানান, শিশু মৃত্যুর ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।