চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় বাড়ির পাশের পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে ইজাজুল হক (১৫) নামে মানসিক প্রতিবন্ধী এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল রবিবার সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইজাজুল হক ওই গ্রামের মৃত সফর উদ্দিনের ছেলে। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে ইজাজুল সবার ছোট।
ইজাজুলের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ইজাজুল শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী ছিল। আজ আছরের নামাজের পর সে কাউকে না বলে নিজ বাড়ির দক্ষিণ পাশের পুকুরে গোসল করতে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পাওয়ায় সন্দেহবশত বাড়ির পাশের পুকুরে জাল ফেললে তার মরদেহ উঠে আসে।
ইজাজুল দীর্ঘদিন ধরে মৃগীরোগেও ভুগছিল বলে জানান তার মা খুশেদা বেগম।
সরাইল থানার পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) বাবুল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি ঘটনাস্থলে আছি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ইজাজুলের মৃতদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল–আশুগঞ্জ) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী লড়াইয়ে আছেন জামাতা ও শ্বশুর। তবে এ আসনে ভোটারদের মধ্যে আলোচনায় জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী রেজাউল ইসলাম ভূঞা ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈন উদ্দিনের নাম বেশি চাউর হচ্ছে।
এ আসনে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। ফলে এখানে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী নেই। তবে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ সাতজন প্রার্থী আছেন। এর মধ্যে জাপার প্রার্থী রেজাউল ইসলাম ভূঞা ও তাঁর শ্বশুর স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধার (ঈগল) নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টি নজর কাড়ছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তাঁরা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন।
এখানকার প্রার্থীরা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন (কলার ছড়ি), জাতীয় পার্টির প্রার্থী দলটির অতিরিক্ত মহাসচিব ও প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঞা, তাঁর শ্বশুর জাপার দুবারের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির (রওশন) সহসভাপতি জিয়াউল হক মৃধা (ঈগল প্রতীক), সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত মুফতি ফজলুল হক আমিনীর ছেলে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মো. আবুল হাসানাত আমিনী ও বিএনপির দলছুট সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে তৃণমূল বিএনপির মাইনুল হাসান, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের ছৈয়দ জাফরুল কদ্দুছ ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির রাজ্জাক হোসেন। সমঝোতার কারণে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শাহজাহান আলমকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে।
নেতা-কর্মীরা বলছেন, রেজাউল ইসলাম ভূঞা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কোড্ডা গ্রামের বাসিন্দা। একই আসনে তাঁর শ্বশুর সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা স্বতন্ত্র প্রার্থী। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও জামাই-শ্বশুরের দ্বন্দ্ব ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তখন তাঁরা একে অপরের সঙ্গে প্রকাশ্যে বিরোধে জড়ান। রেজাউল তখন মহাজোটের প্রার্থী ছিলেন। সে সময় ভোটের দুই দিন আগে নির্বাচন থেকে সরে যেতে বাধ্য হন রেজাউল। তবে শ্বশুর জিয়াউল হক মৃধা সিংহ প্রতীক নিয়ে শেষ পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে ছিলেন। গত ৫ নভেম্বরের উপনির্বাচনেও জিয়াউল হক অংশ নিয়েছিলেন।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার সঙ্গে বর্তমানে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মঈন উদ্দিনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। নির্বাচনে আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিএনপির প্রার্থী হয়ে ৮৩ হাজার ৯৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. মঈন উদ্দিন পেয়েছিলেন ৭৫ হাজার ৪১৯ ভোট। ওই নির্বাচনে জিয়াউল হক মৃধা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সিংহ প্রতীকে ৩৯ হাজার ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। কোনো কোনো নেতা-কর্মীর ভাষ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ও জনপ্রিয়তার কারণে সবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন মঈন উদ্দিন।
রেজাউল ইসলাম ভূঞা বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দল সারা দেশে ২৬টি আসন জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিয়েছে, যার একটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন। আশা করি, আওয়ামী লীগের সভাপতির আদেশ এখানে পালিত হবে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাঁকে হতাশ করবেন না।’
জাপার সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা বলেন, ‘কে নির্বাচন করল, সেটা দেখার বিষয় নয়। আমি এ জনপদে দুবার সংসদ সদস্য ছিলাম। আমার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে নির্বাচন করব।’
স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মঈন উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচন থেকে সরে যেতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর কোনো চাপ নেই।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোর এর স্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক নেতা রিয়াজ উদ্দিন জামির মৃত্যুতে সরাইল প্রেসক্লাবে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
আজ ১০ মার্চ শুক্রবার বাদ আছর সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আইয়ুব খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান বাবুলের সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন সরাইল প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কামরুজ্জামান ইউসুফ, অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল করিম, সাহিত্য ও পাঠাগার সম্পাদক জহিরুল ইসলাম রিপন, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ, প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ সামসুল আরেফিন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক দীপক কুমার দেবনাথ, উপজেলা ঠিকাদার সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম সেলু, সরাইল উপজেলা উদীচী শিল্পি গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক সুমন পারভেজ, ন্যাপ নেতা আব্দুল জব্বার প্রমুখ।আলোচনা সভা শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আইয়ুব খান।
সভায় সাংবাদিক নেতা রিয়াজ উদ্দিন জামির মৃত্যুতে সরাইল প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করার পাশাপাশি শোক সন্তোপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়। সাংবাদিক নেতা রিয়াজ উদ্দিন জামির মৃত্যুতে সরাইল প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে ৩ দিনের শোক ঘোষণা করা হয়।
এদিকে প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী মাস্টারের অসুস্থতায় দোয়া করাসহ প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিকদের সার্বিক মঙ্গল কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।
সভা শেষে উপস্থিত সকল সাংবাদিকবৃন্দ প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী মাস্টারের বাসায় তাঁকে দেখতে যান ও সার্বিক খোঁজ খবর নেন।
সরাইল প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তারের পক্ষে বেশ কদিন ধরে নির্বাচনী প্রচার কাজে অংশ নিচ্ছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় দুই সংসদ সদস্য। নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনে আজ ২৯ জানুয়ারি রবিবারও জনসভায় অংশ নেন তারা। ওই দুই সংসদ সদস্য হলেন র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ও উম্মে সালমা নাজমা বেগম শিউলী আজাদ।
বিকেলে সরাইল উপজেলার অরুয়াইলে উকিল আবদুস সাত্তারের জনসভায় অংশ নেন তারা। আবদুস সাত্তার সমর্থক গোষ্ঠীর ব্যানারে স্থানীয় কলেজ মাঠে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় সভাপতিত্ব করেন অরুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আবু তালেব।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমানের পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। নির্বাচনী সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর আসনের সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
সদর আসনের সাংসদ মোকতাদির চৌধুরী তার বক্তব্যে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচনে উকিল আবদুস সাত্তারকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাত্তার সাহেব চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন। তাই নির্বাচনে তাকে বিজয়ী করে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে হবে। আমি তাকে ব্যক্তিগতভাবে এবং আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে সমর্থন করি। তাই আপনাদের পাশের উপজেলার বাসিন্দা হিসেবে আপনাদের কাছে দাবি নিয়ে এসেছি, আবদুস সাত্তারকে উপনির্বাচনে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, বিএনপি উকিল আবদুস সাত্তারকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। তারেক জিয়া তার সঙ্গে বেয়াদবি করেছে। তার সঙ্গে এখন আর বিএনপি নাই। প্রধানমন্ত্রী তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। আমর তারা পাশে আছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশনা পাঠিয়েছেন দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বসিয়ে সাত্তার সাহেবের পক্ষে দলীয় নেতাকর্মীদের নামার জন্য। আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার বার্তা নিয়ে এসেছি। তাই ১ ফেব্রুয়ারির উপনির্বাচনে আবদুস সাত্তারকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করে সাত্তার সাহেবের অপমানের এবং তারেক জিয়ার বেয়াদবির জবাব দিতে হবে।
তিনি সভাস্থলের পাশের তিতাস নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজ দেখিয়ে বলেন, এ ব্রিজ কে করেছেন? শেখ হাসিনা। আগামী নির্বাচনের আরও এক বছর বাকি। তাই সাত্তার সাহেবকে বিজয়ী করলে এলাকার আরো উন্নয়ন হবে।
এভাবে উপনির্বাচনে জনসভায় অংশ নেওয়ার বিষয়টি আচরণবিধি লঙ্ঘন কিনা- এমন প্রশ্নে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ও উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহগীর আলম বলেন, এ ব্যাপারে প্রার্থীদের কাছ থেকে কোনো অভিযোগ নাই। তাছাড়া নির্বাচনের সবকিছুই শান্তিপূর্ণভাবেই চলছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াসহ অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, স্থানীয় নারী সংসদ সদস্য উম্মে সালমা ফাতেমা বেগম শিউলী আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, উপনির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈন, সাবেক ছাত্রনেতা ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশ আইন সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান আনসারী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মুজিবুর রহমান বাবুল, সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দিন ঠাকুর, সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন প্রমুখ।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা ও আশুগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন গঠিত। দুই উপজেলায় রয়েছে ১৭টি ইউনিয়ন। এর মধ্যে সরাইল উপজেলায় রয়েছে ৯টি ইউনিয়ন ও আশুগঞ্জ উপজেলায় রয়েছে ৮টি ইউনিয়ন।
উপনির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩১৩ জন। এর মধ্যে সরাইল উপজেলায় ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৯ এবং আশুগঞ্জ উপজেলার মোট ভোটার ১ লাখ ৩২ হাজার। উপনির্বাচনে মোট কেন্দ্র ১৩২টি। এরমধ্যে সরাইল উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ৮৪টি ও আশুগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৪৮টি ভোট কেন্দ্র করা হয়েছে।
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপনির্বাচন করার লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে প্রশাসন। নির্বাচনে সংসদীয় আসনে অফিসারসহ এক হাজার ১০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করার কথা রয়েছে। এছাড়াও থাকবে ৪ প্লাটুন বিজিবির সদস্য, র?্যাবের ৯টি টিম, পুলিশের ৯টি মোবাইল টিম ও ৪টি স্ট্রাইকিং টিম। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে ৩ জন পুলিশ, অস্ত্রধারী ২ জন আনসার, লাঠিধারী ১০ জন আনসার ও ২ জন গ্রাম পুলিশ। উপনির্বাচনে ১৭টি ইউনিয়নে ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, আমি বলেছিলাম ২০২৪-এ নির্বাচন হাসিনা করতে পারেন, কিন্তু এক বছরের বেশি মসনদে টিকতে পারবেন না। আল্লাহর দরবারে কোটি কোটি শুকরিয়া, ৭ মাসও টিকতে পারেনি। গণভবন থেকে হেলিকপ্টারে করে ওই যে উড়াল দিয়েছে, আর আসতে পারেনি।
৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অরুয়াইল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি হামিদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা আরো বলেন, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি, যদি সঠিক মানুষদের রাজনীতিতে নির্বাচিত করতে পারি, তাহলে বাংলাদেশে আর দ্বিতীয় হাসিনা তৈরি হতে দেব না।
তিনি আরো বলেন, অনেক সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, সংস্কার ভালো জিনিস। সংস্কার দেশের এবং মানুষের কল্যাণের জন্যই করা হয়। বিএনপির নেতাকর্মীরা সংস্কারের বিরুদ্ধে না। সংস্কার নিশ্চয়ই হবে, তবে সেটি মানুষের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা।
জনসভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ. বি. এম. মোমিনুল হক এবং সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইলে-আশুগঞ্জ) নির্বাচনী আসনে নতুন চমক আসছে। আজ ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকালে নিজ গ্রাম উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আইরল এলাকায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন জাতিসংঘের রেজিস্ট্রার্ড ডেলিগেট ও বিবিসি নিউজ টোয়েন্টিফোর এর হেড অব নিউজ সাংবাদিক এমডি জালাল।
আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা ও উপজেলার প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক্স ও অনলাইন মিডিয়া কর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে সাংবাদিক এমডি জালাল বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি, চারবারের সফল প্রধানমন্ত্রী, দেশরত্ন শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হিসেবে কাজ করে আসছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হিসেবে বিশ্বের ৪৭টি দেশ সফর করার সৌভাগ্য হয়েছে। এর মধ্যে নিজ নির্বাচনী এলাকা সরাইল- আশুগঞ্জ এর মানুষের পাশে থাকার যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। করোনাকালীন সময়ে নিজের ফ্লাট বিক্রি করার অর্থ দিয়ে নিজ এলাকার হত দরিদ্র মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছি। এলাকার শত শত কর্মহীন মহিলাদের সেলাই মেশিন দিয়ে কর্মসংস্থানের চেষ্টা করেছি। এলাকার হত দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি প্রদানসহ এলাকার শিক্ষা বিস্তারে অবদান রাখার চেষ্টা করেছি। সর্বোপুরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ধারাবাহিকতা এলাকায় অব্যাহত রাখার চেষ্টা করেছি।
তিনি আরো বলেন, খুব শীঘ্রই মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সফর সঙ্গী হিসেবে আমেরিকা যাব ইনশাল্লাহ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলে ইতিবাচক সাড়া পেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল- আশুগঞ্জ) নির্বাচনী এলাকায় সকলকে সাথে নিয়ে পুরোদমে নির্বাচননী প্রচারনার কাজ করব। এছাড়া নেত্রী যেভাবে আমাকে নির্দেশনা দিবেন ঠিক সেইভাবেই এলাকায় মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাব।
সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক মোঃ আইয়ুব খান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইসমত আলী, ডেপুটি কমান্ডার মোঃ আনোয়ার হোসেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা ইদ্রিছ আলী, আওয়ামী লীগ নেতা মাহফুজ আলীসহ জেলা ও উপজেলা থেকে আগত প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক্স ও অনলাইন মিডিয়াকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।