চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় ৫৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
আজ ৯ আগস্ট বুধবার বেলা ১১ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ৫৮জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উপলক্ষে সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জিয়াউল হক মীর, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসাইন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা প্রমুখ।
সুবিধাভোগী অরুন মিয়া বলেন, স্ত্রী মরিয়ম বেগম ১৫ বছর আগে মারা যান। এরপর আর বিয়ে করিনি। ১৫ বছর ধরে চোখে দেখি না। টাইফয়েড জ্বর থেকে এমন হয়েছে। এলাকায় ভিক্ষা করে ও অন্যের থেকে সাহায্য নিয়ে চলতাম। তিনি বলেন, জমিসহ নতুন ঘর পেয়েছি। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
তিনি বলেন, বড় বোন ফরিদা খাতুনের স্বামী আলাই মিয়া ২০ বছর আগে মারা গেছেন। বর্তমানে বোন ও ভাগিনা লিটন মিয়াকে নিয়ে নতুন ঘরে থাকবো।
সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের আমিরপাড়ার দিনমজুর রাসেল মিয়া বলেন, স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে ভাড়া থাকতাম। ঠিকমতো ঘরভাড়া দিতে পারি না। ইটের নৌকায় শ্রমিকের হিসেবে কাজ করি। ১৫ বছর ধরে ইট নিয়ে কুমিল্লায় বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছি।
সুবিধাভোগী মাহমুদা বেগম বলেন, আমার স্বামী সুলতান মিয়া রিকশা চালান। হার্টে সমস্যা, অসুস্থ। রিকশা চালাতে পারে না। শহরের ফুলবাড়িয়ায় ভাড়া থাকি। আড়াই হাজার টাকা ঘর ভাড়া দিতে প্রতি মাসে কষ্ট হয়। ঘরের ভাড়া দিতে পারতাম না। নতুন ঘর দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।
সদর উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সুবিধাবঞ্চিত ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষদের পুনর্বাসন করার জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প- ২ প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলার ৫৮টি পরিবারকে ২ শতক জমিতে একটি সেমিপাকা গৃহ নির্মাণ করে ক শ্রেনীর ভূমিহীন ও গৃহ প্রদান করা হয়েছে। জেলায় মোট ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ৬ হাজার ১৪২টি। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে, দ্বিতীয় পর্যায়ে, তৃতীয় পর্যায়ে ও চতুর্থ পর্যায়ে (১ম ধাপ) মোট ৫ হাজার ৯৫২টি ঘর উদ্বোধন করা হয়।
বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের দেয়া ৫৮ টি ঘরের মধ্যে সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের আমীরপাড়ায় ২৫টি পরিবারকে, সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চিনাইর গ্রামে ১২ টি পরিবারকে এবং ১৯৯৭ সালে চিনাইর গ্রামের লাখুনিয়া দিঘীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ব্যারাকের জীর্ণশীর্ণ ঘরের স্থলে ২১ টি একক গৃহ নির্মাণ করে পূর্ব থেকে বসবাসকারী এই ২১টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তরের সময় প্রত্যেক সুবিধাভোগীকে একটি করে গাছ উপহার দেন অতিথিরা।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসাইন বলেন, উপকারভোগীদের নিকট ঘরের চাবি ও দলিল বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
জীববৈচিত্র্যে ভরপুর ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইট (বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা) সুন্দরবনে দেশি বিদেশি ইকোট্যুরিস্টদের (প্রতিবেশ পর্যটক) ঢল নেমেছে। শুক্র থেকে রবিবার (৩-৫ জানুয়ারি) পর্যন্ত তিনদিনেই এই ম্যানগ্রোভ বনের বাগেরহাটের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমণ করেছে ৭৫০০ দেশি-বিদেশি পর্যটক।
একই অবস্থা চলছে সুন্দরবনের দর্শনীয় পর্যটন স্পটগুলোতেও। চলতি পর্যটন মৌসুমে সুন্দরবনে পর্যটকদের ঢল সামাল দিতে হিমশিম থেতে হচ্ছে বন বিভাগকে।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ বলছে, পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে একটানা ৯ মাস হচ্ছে সুন্দরবনের পর্যটন মৌসুম। তবে শীত মৌসুমেই সুন্দবনে সব থেকে বেশি পর্যটক এসে থেকে। সুন্দরবনের প্রায় ৯০ ভাগ পর্যটকই পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের কটকা-কচিখালীর টাইগার পয়েন্ট, হরিণের বৃহৎ বিচরণ ক্ষেত্রসহ জামতলা ও কদমতলা সী-বিচ, হারবাড়িয়া, শরণখোলা, আলিবান্দা, ত্রিকোন আইল্যান্ড, দুবলা, পক্ষীরচর, ডিমের চর ও করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমণ করে থাকে।
গোটা সুন্দরবনের দেশি বিদেশি প্রতিবেশ পর্যটকের মধ্যে ৮০ ভাগ ভ্রমণ করেন বাগেরহাটের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রে।
গত তিন দিন শুধুমাত্র করমজলেই ৭৫০০ প্রতিবেশ পর্যটক ভ্রমণ করেছেন। মোংলা বন্দর থেকে নৌপথে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে পর্যটন কেন্দ্রে ঝুলন্ত ফুট ব্রিজ, ফুট ট্রেইল, ওয়াচ টাওয়ার, হরিণ, কুমির ও বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির বাটাগুর বাসকা কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্র, ম্যানগ্রেভ আরবোরেটাম ও ডলফিন প্যাভিলিয়ন থাকায় প্রতিবছরই শীত মৌসুমে পর্যটকের ঢল নামে।
মোংলার সাথে রেল সংযোগ ও পদ্মা সেতু চালুর পর রাজধানী ঢাকা থেকে সড়ক পথে এখন সুন্দরবনের দূরত্ব মাত্র ৩ ঘণ্টায় নেমে এসেছে। এসব কারণে সুন্দরবনের পর্যটন মৌসুমে পর্যটকদের জন্য নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।
দিনে এসে দিনে ফিরে যাওয়ার সুযোগ থাকার পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টায় ৬ বার রূপ বদলানো সুন্দরবনে প্রাণপ্রকৃতি দেখতে এখন প্রতিদিনই খুলনা, মোংলা, শরণখোলা থেকে কয়েকশত বিলাসবহুল লঞ্চ, ট্যুরিষ্ট বোটসহ জলযানে শত শত প্রতিবেশ পর্যটক ভ্রমণ করছে।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, সুন্দরবনে পর্যটন মৌসুমে গত মৌসুমের চেয়ে এবার সংখ্যা দ্বিগুণের কাছাকাছি পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সড়ক যোগাযোগ সহজতর হওয়ায় এখন মাত্র ৩ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকা থেকে সড়ক পথে সুন্দরবনে আসা যাচ্ছে। হোটেল-মোটেল বুকিংএর বিড়ম্বনা ছাড়াই পর্যটকরা স্বল্প সময়ে কম খরচে দিনের মধ্যেই সুন্দরবন ভ্রমণ করে গন্তব্যে ফিরতে পারবে। এসব কারণে ট্যুর অপারেটর ও পর্যটকরা সুন্দরবন ভ্রমণ করতে বন বিভাগের কাছ থেকে নির্ধারিত রাজস্ব দিয়ে আগাম অনুমতিপত্র নিচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে পর্যটকদের ঢল সামাল দিতে পর্যটকদের নিরাপত্তাসহ পর্যটন স্পটগুলো প্রস্তুত রয়েছে। বাঘ হরিণসহ বন্যপ্রানীদের নিরাপত্তা ও তাদের র্নিবিঘ্ন বসবাসের উপর অধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
বন বিভাগের জনবল কম থাকায় পর্যটক ও বনজীবীদের সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় পর্যটকদের সহয়তা কামনা করেন এই বন কর্মকর্তা।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২৬৩ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে বিতরণের জন্য ২ কোটি ৩ লাখ টাকা অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ে এ অনুদান অনুমোদন দেওয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এ সংক্রান্ত অনুমোদনের নথিতে স্বাক্ষর করেছেন। শিগগিরই সাংবাদিকদের এ কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণ করা হবে। এর আগে চলতি অর্থবছরে প্রথম পর্যায়ে ২৩৬ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে ১ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, গণমাধ্যমবান্ধব ও সাংবাদিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের কল্যাণে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট হতে দুস্থ, অস্বচ্ছল, দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিকদের এবং মৃত সাংবাদিকদের পরিবারের অনুকূলে আর্থিক সহায়তা বা কল্যাণ অনুদান প্রদান করা হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত ট্রাস্ট থেকে ৩ হাজার ৯৩২ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে ৩৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। সূত্র : বাসস
চলারপথে রিপোর্ট :
আষাঢ় আগেই বিদায় নিয়েছে, বিদায়ের পথে শ্রাবণ মাসও। এখনও প্রকৃতিতে ধরা দিচ্ছে না বর্ষা। এ কারণে গোমতী, তিতাস, কাঁঠালিয়া, হাবাতিয়া ও মাটিয়া নদী ঘেরা কুমিল্লার তিতাসে নৌকার হাটে চলছে খরা। লোকসানে পড়ছেন নৌকার ব্যবসায়ীরা; হতাশ হয়ে পড়ছেন নৌকা তৈরির কারিগররা।
বাতাকান্দি নৌকার হাটে গিয়ে দেখা গেছে, বিক্রির জন্য ছোট-বড় ও মাঝারি আকারের সারি সারি নৌকা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা বেশি। কারও মুখে হাসি নেই। রোদ্রের খরতাপে ছাতা কিংবা মাথায় গামছা দিয়ে ক্রেতার আশায় বসে আছেন বিক্রেতারা। নৌকার হাটের ইজারাদার জানান, অন্য বছরের তুলনায় এবার নৌকা বিক্রি খুবই কম। এখন সারাদিন দুই থেকে তিনটি নৌকা বিক্রি করা কষ্টকর।
নৌকা বিক্রি করতে হাটে আসা গোপাল চন্দ্র দাসের বাড়ি হোমনা উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামে। তাঁর ভাষ্য, প্রতি বছর বর্ষার শুরুতে নৌকার হাট জমে ওঠে। এবার তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। সাড়ে ১০ হাত নৌকা তৈরিতে তাঁর সাড়ে চার হাজার টাকা খরচ হয়। অথচ ক্রেতা বলছেন তিন হাজার, সাড়ে তিন হাজার টাকা। নৌকা বিক্রি করে সংসার চালানো ও কিস্তি দেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘৭০ হাজার টাকার কাঠ কিনছি এখন পর্যন্ত। মাত্র ১২টি নৌকা বিক্রি করেছি।’
নৌকা ব্যবসায়ী রতন সাহা জানান, প্রতি বছর আষাঢ় মাস থেকে নৌকার বিক্রি শুরু হয়। কিন্তু এবার পানি না হওয়ায় নৌকা বিক্রি নেই বললেই চলে। ক্রেতার অভাবে তৈরি করা নৌকা এখন রোদ্রে পুড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
হাটে কথা হয় হোমনার খন্দকার চরের জহিরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি সাড়ে ১০ হাজার টাকার একটি নৌকা ৫ হাজার টাকায় কিনেছি। তবে আমার ওপর জুলুম করা হইছে। এক হাজার টাকা খাজনা দিতে হয়েছে।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন মাস্টারের ভাষ্য, বর্ষার রূপ এখন প্রকৃতি থেকে হারিয়ে গেছে। বিশেষ করে তিতাসে বিভিন্ন অপরিকল্পিত রাস্তা নির্মাণ করায় শত শত বিঘা জমিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। জলাবদ্ধতার মধ্যে আবার কচুরিপানার আগ্রাসন। ফলে জমিতে ফসল হচ্ছে না। বর্ষা মৌসুমে মানুষ মাছ ধরে খেত, সেটাও বন্ধ হয়ে গেছে। তাই দিন দিন তিতাস নৌকার চাহিদা কমতে শুরু করেছে।
চলারপথে ডেস্ক :
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জন্মনিবন্ধন সনদের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি শীঘ্রই চালু হবে। ফলে সেবাগ্রহীতারা মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) যে কোনো প্রতিষ্ঠান যেমন- বিকাশ, নগদ, রকেটের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করতে পারবেন। এছাড়া অনলাইনে ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেও ফি দেওয়া যাবে।
সম্প্রতি জন্মনিবন্ধনের প্রক্রিয়া সহজীকরণ–সংক্রান্ত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
জানা গেছে, বৈঠকে সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্ন্যান্স ইনোভেশন ইউনিট থেকে ১৬টি সুপারিশ করা হয়। সেসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়।
সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্ন্যান্স ইনোভেশন ইউনিটের পরিচালক বলেন, জন্মনিবন্ধন সংশোধন কিংবা আবেদনের ফি ট্রেজারি চালান অথবা নগদ জমা দিতে হয়, যা প্রক্রিয়াকে অনেক জটিল ও সময়সাপেক্ষ করে তোলে। ফি জমা দেওয়ার জন্য যে কোনো মোবাইল ব্যাংকিং বা অনলাইন ব্যাংকিং প্রক্রিয়া রাখতে হবে।
এর প্রেক্ষিতে রেজিস্ট্রার জেনারেল উল্লেখ করেন, অর্থ মন্ত্রণালয় ও রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের সমন্বয় পেমেন্ট গেটওয়ে চালুর কাজ প্রক্রিয়াধীন। শীঘ্রই এটি কার্যকর হবে বলে অর্থ বিভাগ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার হালতি বিলে বেড়াতে গিয়ে গোপনে এক কলেজছাত্রীর গোপন ভিডিও ধারণের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় কৌশিক (২১) নামে এক কলেজছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার রাতে জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার গালিমপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত কৌশিক একই এলাকার জুয়েল ইসলামের ছেলে ও বাগাতিপাড়া ডিগ্রি কলেজের ছাত্র। ভুক্তভোগী ছাত্রী একই উপজেলার বাসিন্দা।
নলডাঙ্গা থানা পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৬ জুলাই দুপুরে নলডাঙ্গা উপজেলার হালতি বিলে প্রেমিকা নিয়ে বেড়াতে আসে প্রেমিক কৌশিক। এসময় প্রেমিকার ছবি তোলার ফাঁকে গোপনে নগ্ন ভিডিও চিত্র ধারণ করে কৌশিক। পরে কৌশিক তার প্রেমিকাকে অনৈতিক প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখান করে ভুক্তভোগী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কৌশিক তার প্রেমিকার নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী গত ৬ আগস্ট বাদী হয়ে নলডাঙ্গা থানায় কৌশিকের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করে।
নলডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম জানান, অভিযুক্ত কৌশিককে গ্রেফতার এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। বৃস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।