চলারপথে রিপোর্ট :
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নেমে প্রাণ হারালেন ২ ছেলেসহ বাবা। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ বহদ্দারকাটা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- আনোয়ার হোসেন (৭০), তার ২ ছেলে শাহাদত হোসেন (৪৮) ও শহীদুল ইসলাম (২১)।
পুলিশ জানায়, সেফটি ট্যাংক পরিষ্কার করতে নেমে বিষক্রিয়ায় শাহাদাত ও শহীদুল ঘটনাস্থলে মারা যান। এসময় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন আনোয়ার হোসেন। তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত আড়াইটার দিকে তিনি মারা যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইউনুছ।
স্টাফ রিপোর্টার :
আগামী বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। ফি সর্বোচ্চ ২ হাজার ১৪০ টাকা ধরা হয়েছে। ২০২৩ সালের বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ টাকা ফরম পূরণের ফি বাবদ নেওয়া যাবে। গতকাল রোববার এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এসব কথা জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ২০ টাকা। ফরম পূরণ শুরু হবে ১৮ ডিসেম্বর। আগামী বছরের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ফরম পূরণ করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। জরিমানা ছাড়া ফরম পূরণের ফি জমা দেওয়া যাবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। ১০০ টাকা বিলম্ব ফি দিয়ে ৭ থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করা যাবে। বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের ফি জমা দেওয়া যাবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফির মধ্যে ব্যবহারিকসহ কেন্দ্র ফি অন্তর্ভুক্ত বলেও জানিয়েছে শিক্ষা বোর্ড। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ফি ২ হাজার ১৪০ টাকার মধ্যে বোর্ড ফি ১ হাজার ৬২৫ টাকা ও কেন্দ্র ফি ৫১৫ টাকা। ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ২ হাজার ২০ টাকা ফির মধ্যে বোর্ড ফি ১ হাজার ৫৩৫ টাকা ও কেন্দ্র ফি ৪৮৫ টাকা। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বেতন ও সেশন চার্জের টাকা নিতে পারবে স্কুলগুলো। তবে নবম ও দশম শ্রেণির মোট ২৪ মাসের বেশি বেতন ও সেশন চার্জ নেওয়া যাবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এসএসসি পরীক্ষার ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পত্রপ্রতি ১১০ টাকা, ব্যবহারিকের ফি বাবদ পত্রপ্রতি ৩০ টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের ফি বাবদ পরীক্ষার্থীপ্রতি ৩৫ টাকা, মূল সনদ বাবদ শিক্ষার্থীপ্রতি ১০০ টাকা, বয়েজ স্কাউট ও গার্লস গাইড ফি বাবদ ১৫ টাকা এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি বাবদ পরীক্ষার্থীপ্রতি ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীপ্রতি ১০০ টাকা অনিয়মিত ফি দিতে হবে। আর জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীদের ১০০ টাকা অনুমতি বা তালিকাভুক্তি ফি দিতে হবে।
শিক্ষার্থীদের তথ্য-সংবলিত সম্ভাব্য তালিকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ১৫ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হবে। সম্ভাব্য তালিকা থেকে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত বিলম্ব ফি ছাড়া অনলাইনে ফরম পূরণ করতে পারবে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। বিলম্ব ফি ছাড়া অনলাইনে ফি জমা দেওয়ার সময় ৫ জানুয়ারি শেষ হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে তিন চাকার যানবাহনের পাশাপাশি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা তৈরির কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাজধানীর সেতু ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ নির্দেশনার কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ইজিবাইক, নসিমন-করিমনের কারণে বেশিরভাগ সড়ক দুর্ঘটনা হচ্ছে। পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনা হচ্ছে মোটরসাইকেলেও। আমি মোটরসাইকেল ও তিন চাকার গাড়ি নিয়ে একটা নীতিমালা তৈরি করার জন্য সচিবকে নির্দেশ দিয়েছি। এর আগে কিছুটা কাজ হয়েছে এই নীতিমালা নিয়ে। এই নীতিমালার কাজ যেন দ্রুত শেষ হয়, সেই নির্দেশ দিয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, এখানে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনেরও দায়িত্ব আছে। তাছাড়া আমাদের হাইওয়ে পুলিশের সংখ্যা কম, এখানে জনবলেরও একটা ব্যাপার আছে।
এদিকে, মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) জানিয়েছে, ২০২৩ সালে সারা দেশে ৫ হাজার ৪৯৫টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ৫ হাজার ২৪ জন। এর মধ্যে শুধু ডিসেম্বরেই ৪৮৩টি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৬৪১ জনের।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় রোপা আমন ধানের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ১ হাজার ২শত জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ২৭ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ প্রধান অতিথি হিসেবে কৃষকদের মাঝে এই প্রণোদনা সার ও বীজ বিতরণ করেন।
সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা বেগমের সভাপতিত্বে সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সালমা সুলতানা, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ ইমরান ভূঁইয়া, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জীবন কৃষ্ণ ভট্টাচার্য, উপজেলা সমবায় অফিসার আজিজুর রহমান, তথ্য সেবা অফিসার ইতি রাণী দেবী, ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ ভূঁইয়া প্রমুখ।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা বেগম জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় খরিপ-২ মৌসুমে রোপা আমন ধানের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১হাজার ২শত জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার দেয়া হয়েছে।
প্রতি কৃষককে ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে নয়, নির্বাচনী অঙ্গনকে দুর্নীতিমুক্ত করতেই নির্বাচন ব্যবস্থায় করা হয়েছে সংস্কার প্রস্তাব। আজ ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে দেয়া প্রস্তাব ও তা বাস্তবায়নে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের করণীয় নিয়ে এ বিটের সাংবাদিকদের সংগঠনের (আরএফইডি) সদস্যদের সাথে আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, কোনো অসৎ উদ্দেশ্য নয়, নির্বাচনী অঙ্গনকে দুর্নীতিমুক্ত করতেই নির্বাচন ব্যবস্থায় সংস্কার প্রস্তাব করা হয়েছে। এদিন জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবির বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়ায় ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।
তিনি আরো বলেন, দেড় সপ্তাহের মধ্যে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র। চোখ এবং আঙ্গুলে ক্ষতিগ্রস্তদের ইসির নির্দেশনায় দেয়া হবে এনআইডি। নতুন ভোটার ছাড়াও স্মার্ট কার্ড এবং ভুল সংশোধনের সুযোগও পাবেন আহতরা।
এছাড়াও সারা দেশের সব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আন্দোলনে আহত এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা পাবেন এ সেবা।
অনলাইন ডেস্ক :
এখন থেকে যেকোনো কারখানায় শ্রমকল্যাণ সমিতি গঠন করতে করা যাবে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ ২২ এপ্রিল সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাণিজ্যিক প্রতিনিধি দল। তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, তারা (প্রতিনিধি দল) মূলত বাংলাদেশের শ্রম আইন, শ্রমিকদের অধিকার এবং তা নিয়ে আমরা কী কাজ করছি, তা নিয়ে আমার সাথে আলোচনা করেছেন। তাদের গুরুত্বপূর্ণ যে প্রশ্ন ছিল, সেটি হচ্ছে- বাংলাদেশে শ্রমিক আইনের যে সংশোধন হচ্ছে, সেটির বর্তমান পরিস্থিতি কী, কী করা হচ্ছে? ১১টা ব্যাপারে তাদের জানার ইচ্ছা ছিল এবং এ ব্যাপারে কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে, তা তাদের জিজ্ঞাসায় ছিল।
তিনি বলেন, তাদের প্রথম জিজ্ঞাসা ছিল, থ্রেশহোল্ড (ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের সম্মতির হার) নিয়ে। অর্থাৎ ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার জন্য যে কত শতাংশ শ্রমিক প্রয়োজন, সেটি নিয়ে। প্রথমে ২০১৬ সালের দিকে ৩০ শতাংশ ছিল। ২০১৭ সালে যখন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সম্মেলনে যাই, তখন এই থ্রেশহোল্ড ২০ শতাংশে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, তখন আমি বলেছিলাম, এটা আমরা আরও কমাব, তবে সেটি ধীরে ধীরে। এবার যখন সংশোধনী হয়, তখন প্রথম প্রস্তাব ছিল-এটাকে ২০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নিয়ে আসব। কিন্তু সেখানে একটা ক্যাভিয়েট (শর্ত) ছিল, এটা শুধু যেসব কারখানায় তিন হাজার বা তার চেয়ে বেশি শ্রমিক কর্মরত, তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে। কিন্তু সেই সীমাও উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
আনিসুল হক বলেন, শ্রম আইন নিয়ে সমস্যা যখন হয়েছিল, রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে ফেরত আনা হয়েছিল, তার পরের আলোচনায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি… আমরা এটা সবার জন্য করব, কোনো ক্যাপ (সীমা) থাকবে না। সেটিও আমরা মার্কিন প্রতিনিধিদের জানিয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, তারপরে বাংলাদেশ শ্রমিক আইন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ যেটা হচ্ছে, সেখানে প্রযোজ্য হবে। আগে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন লেবার অ্যাক্টে প্রযোজ্য হওয়ার কথা ছিল। সেই সংশোধনী আমরা করেছি। যে ১১টি বিষয় তারা জানতে চেয়েছিলেন, তাতে এগুলো ছিল।
তিনি বলেন, আমরা যেটা এরইমধ্যে শেষ করেছি, সেটি সম্পর্কে তাদের বলেছি। যেটা নিয়ে কাজ করেছি, সেটিও বলেছি… যেমন, শ্রমিক অধিকার নিয়ে। এটা চলমান কাজ। শ্রমিকদের অধিকার দিন দিন বাড়বে, কমবে না।
তবে শ্রমিকদের অধিকার দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন দেশ থেকে কী পাওয়া হচ্ছে, সেটি বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না বলে জানান আনিসুল হক। বলেন, কোনো দেশ কী আমাদের দেবে, কী আমাদের দেবে না-সেটির ওপর নির্ভর করে আমরা শ্রমিকদের অধিকারের ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করব না।
তিনি বলেন, সবসময় শ্রমিকদের অধিকার যা আছে, তার থেকে বেশি যাতে তারা পায় এবং অধিকার বাস্তবায়ন করা, তারা যাতে সেটি ভোগ করতে পারে, সেটি নিশ্চিত এই সরকার করবে।
বাংলাদেশের শ্রম আইন ও অধিকারের বিষয়ে শোনার পর মার্কিন প্রতিনিধিরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই আলোচনার পর মার্কিন প্রতিনিধিরা আমাকে বলেছে, তারা সন্তুষ্ট হয়েছে।