চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে ১ হাজার ৯শত পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের আউলিয়া বাজার এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় মাদকদ্রব্য বহনকারী একটি মোটর সাইকেলও জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বিজয়নগর উপজেলার বামুটিয়া গ্রামের ইমরান মিয়া (৩৪) ও একই উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের আবদুল হক (৩৪)।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১ হাজার ৯শত পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় একটি মোটর সাইকেলও জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় বিজয়নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে আইনশৃংখলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ হল রুমে আয়োজিত সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) মোঃ মোজাহারুল হকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপি সভাপতি জমির উদ্দিন বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাছুম, উপজেলা জামাতের আমীর আবু সাঈদ, উপজেলা হেফাজত নেতা মাওলানা জহিরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের নেতা আবুল কালাম আজাদ, বিজয়নগর প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মোঃ জিয়াদুল হক বাবু, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দবীর উদ্দিন ভূইয়া প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, বর্তমান সরকার আইনের শাসন বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। কেউ যাতে বিনা অপরাধে মামলায় হয়রানি না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আইন নিজের হাতে তোলা যাবে না। মাদক ব্যবসায়ীদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলে মাদক থেকে দূরে রাখা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ১৬৮ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ১০০/১৫০ জনকে আসামী করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানায় আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিগত ২০১৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিএনপির নির্বাহী কমিটির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলের গাড়ি ভাংচুর, হামলা ও বিষ্ফোরনে ঘটনায় বিএনপি নেতা এস.এম. রাষ্টু বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার দুপুরে বিজয়নগর থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন।
বাদী এস.এম রাষ্টু বিজয়নগর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের মৃত মিয়া চান সরকারের ছেলে।
মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম ভূইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মৃধা, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফয়জুন নাহার টুনি, কাজী শফিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রতিষ্ঠাতা কাজী শফিকুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল খাঁন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাউছার ভূইয়া, জেলা যুব মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক আলম তারা দুলি, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এস.এম. মাহবুব, ইউপি চেয়ারম্যান কাজী ছৈয়দুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান শামীউল হক চৌধুরী শামীম, ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ভূইয়া, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, ইউপি চেয়ারম্যান সারোয়ার রহমান ভূইয়া, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান রতন, আওয়ামীলীগ নেতা তৈফিকুল ইসলাম মুকুল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সুর্নিমল সাহা, শিক্ষক জিয়াউর রহমান, পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়াসহ ১৬৮ জন।
এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ১০০/১৫০ জনকে আসামী করা হয়।
মামলায় বাদী এস.এম রাষ্টু অভিযোগ করে বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।
নির্বাচনের আগে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপজেলার মীর্জাপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে গেলে আসামীরা অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে বিএনপির প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের উপর আক্রমন করে। আসামীরা খালেদ মাহবুব শ্যামলের দুটি গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এলাকায় ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে ও বিএনপির নেতা-কর্মীদেরকে মারধোর করে। ঘটনার পরদিন বাদি থানায় মামলা করতে গেলে আসামীদের হস্তক্ষেপে মামলা করতে পারেননি। তাই মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাফায়েত আহমেদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে নিশ্চিত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে সামাজিক সম্প্রীতি ও বন্ধনকে সুসংহত করার লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৮ অক্টোবর বুধবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.এইচ. ইরফান উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা আনসার ভিডিপির কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ বিল্লাল হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা, বিজিবির সহকারী পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা লুৎফুর রহমান ওরফে নাছিমা মুকাই আলী, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মাহমুদুর রহমান মান্না, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবিত্রী রাণী, বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রাজু আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ দবির উদ্দিন ভূঁইয়া, ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুল, এ.এম শামীউল হক চৌধুরী শামীম, বিজয়নগর উপজেলা মডেল মসজিদ মসজিদের খতিব মাওলানা মিজবাহ উদ্দীন, উপজেলা পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি অশোক কুমার ভৌমিক, সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সকল ধর্মের এবং বর্ণের লোকজনকে একসাথে মিলেমিশে ধর্মীয় সম্প্রীতির বন্ধনকে আরো সুসংহত করতে হবে।
সমাবেশে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যগন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে পোস্টারে প্লাস্টিক ও ডিজিটাল ব্যানার লাগিয়ে নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ১০ হাজার টাকা করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ ২৮ মে মঙ্গলবার বিকেলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এই জরিমানা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও আচরণ বিধিমালা প্রতিপালন নিশ্চিত করণে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোজাহেরুল হক।
জরিমানাকৃত সমর্থকদের প্রার্থীরা হলেন- নাছিমা মূকাই আলী (ঘোড়া), জাবের আহমেদ জয় (আনারস) ও কাজী রফিকুল ইসলাম (কাপ-পিরিচ) প্রতীক।
বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ মাহবুবুল হক জানান, বিজয়নগর উপজেলায় তিন জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে ‘উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬’ এর সংশ্লিষ্ট বিধি লঙ্ঘনের অপরাধে ১০ হাজার করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের নির্বাচনি বিধিমালা যথাযথভাবে পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে হামলার ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। ১ মার্চ বুধবার সকালে মামলা করা হয়েছে।
বর্তমানে এলাকা পুরুষশূন্য। এ ঘটনায় ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুল ও একই গ্রামের হারিছ মিয়াকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
হামলায় আহত মো. মোশাররফ হোসেনের ছোট ভাই আজাদ হোসেন বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামি করে বিজয়নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু আহম্মেদ বলেন, হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য এলাকাজুড়ে পুলিশি নজরদারিতে রাখা হয়েছে এবং বাকি আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
ইছাপুরা ইউনিয়নের খাদুরাইল গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী আক্তার হোসেন ও বর্তমান চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুলের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জের ধরে গত মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে হোসেনের ছোট ভাই মো. মোশাররফ হোসেনকে (৪০) খাদুরাইল মোড়ে একা পেয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন প্রতিপক্ষরা। তাকে আহত অবস্থায় জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি ঢাকায় চিকিৎসাধীন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পুরো এলাকায় পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। বুধবার আহত মোশাররফের ছোট ভাই আজাদ হোসেন বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামি করে বিজয়নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।