চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে ৮ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তাজুল ইসলাম নামে এক পাচারকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ ২৫ জুলাই সকালে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের তুলাইশিমুল এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। তিনি ওই এলাকার মিনারকুট গ্রামের মৃত মালু ভূইয়ার ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের তত্ত্বাবধানে এস আই মোঃ মশিউর রহমান খান, সঙ্গীয় ফোর্সসহ একটি চৌকস টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকাল ৮ টার দিকে তুলাইশিমুল পাকা রাস্তায় একটি সিএনজি তল্লাশি করে ৮ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করে। এসময় তাজুল ইসলামকে আটক করে।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, আসামীর বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় নিয়মিত মাদক মামলা রুজু করা হয়েছে। তাকে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় মুরাদ হোসেন নামে এক প্রার্থীকে দলীয়ভাবে সমর্থন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত সভায় বিধি লংঘন করে বানানো ব্যানারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা, আইনমন্ত্রী অ্যাড: আনিসুল হক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলের ছবি ব্যবহার করা হয়।
নির্বাচনী বিধিতে উল্লেখ আছে, নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী নিজ ছবি ও প্রতিক ব্যতীত অন্য কারো নাম, ছবি বা প্রতীক ব্যবহার করতে পারবেন না।
তবে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী কোনো রাজনৈতিক দলের মনোনীত হলে সেই ক্ষেত্রে তিনি কেবল তাহার দলের বর্তমান দলীয় প্রধানের ছবি পোস্টার ও লিফলেটে ছাপাইতে পারিবেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় পৌর কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় পরিচিতি সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী। সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফার সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহবায়ক জয়নাল আবেদীনসহ তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
সভার শুরুতেই তাকজিল খলিফা ঘোষণা দেন যে, মুরাদ হোসেনকে সমর্থন দেওয়ার জন্যই এ সভা। দলের সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে মুরাদ হোসেনকে আনারস প্রতিকে জয়যুক্ত করতে কাজ করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
মসজিদে আছরের নামাজ আদায় করে বাসায় ফিরছিলেন বৃদ্ধ নাসির মিয়া। রাস্তা পারাপারের জন্য দাঁড়িয়ে সুযোগের অপেক্ষা করছিলেন। আচমকা বেপরোয়া গতির একটি মোটরসাইকেল এসে থাক্কা দেয় তাকে। সড়কে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এতে ডান পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত পান তিনি।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ দিন পর ১১ জুন মঙ্গলবার দুপুরে নাসির মিয়া মৃত্যুবরণ করেন। প্রবাস ফেরত নাছির মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় পৌরশহরের রেলওয়ে কুমার পাড়া বাইপাস এলাকার বাসিন্দা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আখাউড়া-সুলতানপুর ফোরলেন সড়কের পাশে নাসির মিয়ার বাড়ি। প্রতিদিনের মতো গত ২ জুন খড়মপুর দক্ষিণ পাড়া মসজিদে আছরের নামাজ পড়তে যান তিনি। নামাজ শেষে ফেরার পথে বাসার সামনে সড়কের অপর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন পারাপারের জন্য। ব্যস্ত সড়কে হঠাৎ পশ্চিম দিকে আসা একটি মোটর সাইকেল তাক্কে সজোড়ে থাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। তার ডান পা, পাজড়ের হাড় ভেঙ্গে যায়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পান তিনি। স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করান। চিকিৎসা শেষে সোমবার বাড়িতে নিয়ে আসেন তাকে। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
নিহত নাসির মিয়ার ছেলে ইসমাইল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেলের আঘাতেই আমার বাবার মৃত্যু হয়েছে। সড়ক দূর্ঘটনা রোধে গাড়ির কাগজপত্র যাচাই করা দরকার। তাহলে এভাবে কারও স্বজনকে অকালে প্রাণ দিতে হবে না।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় রাস্তায় মোটর সাইকেল পার্কিং করে সাধারণ জনগণের চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার দায়ে ১৫টি মোটর সাইকেলের মালিককে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে পৌরশহরের সড়ক বাজারে পৃথক দুটি আদালত প্রত্যেক মোটর সাইকেল মালিককে ৫০০ টাকা করে ৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেন।
আদালত পরিচালনা করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাবেয়া আক্তার ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী। আখাউড়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নুরে আলম। আদালত সূত্রে জানা যায়, শহরে জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা পরিস্কার রাখার জন্য আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় নির্ধারিত স্থানে গাড়ি না রেখে রাস্তায় অবৈধ পার্কিং করার দায়ে ১৫ মোটর সাইকেল মালিককে জরিমানা করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাবেয়া আক্তার বলেন, রাস্তা পরিস্কার জন্য সড়ক পরিবহন আইনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে রাস্তায় গাড়ি রেখে চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় ১৫টি মোটর সাইকেল মালিককে জরিমানা করা হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ২১ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যন পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যন (পুরুষ) পদে ৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যন পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যতই ভোটের দিন এগিয়ে আসছে ততই জমে উঠছে ভোটের লড়াই। শেষ মুহুর্তে প্রার্থীরা সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিরামহীন ভাবে গণসংযোগ ও প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। ভোটারদের মন জয় করতে চেষ্টার কোন কমতি রাখছেন না। প্রার্থীদের পাশাপাশি তাদের কর্মী সমর্থকেরা নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেনা। নিজ প্রার্থীর জন্য ভোটাদের কাছে ভোট চাইছেন। করছেন উঠান বৈঠক, সভা-সমাবেশ। শহর থেকে গ্রামীন জনপদে প্রার্থীদের পোষ্টার শোভা পাচ্ছে। বেলা ২টার পর শুরু হয় মাইকের প্রচার।
জানা গেছে, এবার উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ও দলীয় মনোনয়ন দেয়নি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। সকলের অংশগ্রহণের সুযোগ রেখে নির্বাচন উন্মুক্ত রেখেছে।
সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ হোসেন ভূইয়া দুই বারের ভাইস চেয়ারম্যান হওয়া সত্বেও উপজেলা পর্যায়ে তার পরিচিতি কম। ভোটারদের মধ্যে আলোচনা আছে, মুরাদ হোসেন মানুষের সাথে মিশেছেন কম।
অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ মনির হোসেন তিন বার মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। এসব কারণে উপজেলা জুড়ে মনির হোসেনের ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। অভিজ্ঞতা ও পরিচিতির কারণে তিনি অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন।
এদিকে, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ত্রি-মুখী লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে। মোঃ জুয়েল রানা (টিউবওয়েল), সাহাবউদ্দিন বেগ (মাইক) ও মাজিদুল ইসলামের (চশমা) মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে শোনা যাচ্ছে। ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ায় শাহাব উদ্দিন উপজেলা জুড়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কাছে পরিচিত।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পিয়ারা বেগম পিওনা (হাঁস) এবং রোকসানা আক্তার (কলস) এর মধ্যে তীব্র লড়ায়ের আভাস পাওয়া গেছে। তবে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ায় এবং মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় পিওনা আক্তার সবার কাছে পরিচিত। রোকসানা আক্তারের বাড়ি ধরখার ইউনিয়নে এবং স্বামীর বাড়ি মনিয়ন্দ ইউনিয়নে। ওই দুই ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষের সমর্থন পেলে তিনি চমক সৃষ্টি করতে পারেন। এছাড়া তানজিনা আক্তার (ফুটবল) এবং রিনা আক্তার (পদ্ম ফুল) তারাও ভোটের লড়াইয়ে দাপটের সাথে লড়ছেন।
তবে ভোটের হিসাব যাই হোক, সাধারণ মানুষের ভাবনায় সুষ্ঠু ভোট। সাধারণ মানুষ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বিঘ্নে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রয়োগ করতে চায়।
৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে আখাউড়া আখাউড়া উপজেলা গঠিত। এ উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৮৭০। এরমধ্যে পুরুষ ৬৫ হাজার ৯৭৬, মহিলা ৬১ হাজার ৮৯১ এবং হিজড়া ভোট ৩।