চলারপথে রিপোর্ট :
নাটোরের বড়াইগ্রামে বড়াল নদীর উপর নির্মিত একটি সেতু ভেঙ্গে পড়ায় বড়াইগ্রাম পৌর সদরের সাথে ৯ গ্রাসের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বড়াইগ্রাম পৌরসভার চক-বড়াইগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বড়াইগ্রাম সরকারি কলেজের প্রভাষক শফিউল হাসান তিতু ও স্থানীয় কাউন্সিলর আব্দুস সামাদ সরকার জানান, সম্প্রতি বরেন্দ্র বহুমুখি উন্নয় কর্তৃপক্ষের অর্থায়নে বড়াল নদীটিকে বড়াল খাল নাম দিয়ে খনন করে। এসময় ওই সেতুর নিকবর্তী এলাকায় অধিক খনন করে ফেলে। এরপর বৃষ্টিসহ বন্যার পানির শ্রোত শুরু হলে ব্রীজটি ধসে পড়ে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
তারা আরো বলেন, এই পথে গোপালপুর, কুন্ডুপাড়া, জালোড়া, তালশো, মেরিগাছা, বাঘাইট, মহাননদগাছা, মল্লিকপুর, আটাই গ্রামের অন্তত ৫ লাখ মানুষ চলাচল করে। তাদের নিত্যপণ্য ক্রয় এবং কৃষি পন্য বিক্রির জন্য এই পথেই আনা-নেয়া করতে হয়। দ্রুত এর প্রতিকার না করতে পারলে এই এলাকার মানুষকে অন্তত ৫ কিলোমিটার ঘুরে কাঁচা সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে বড়াইগ্রাম পৌর মেয়র মাজেদুল বারী নয়নের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নাই।
এলজিইডি নাটোরের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, সেতুটি পৌর এলাকায়, তাই আমাদের পক্ষে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হয়েছে। তফসিল পুনর্নিধারণের কোনো সুযোগ নেই।
তবে কি বিএনপিকে ছাড়াই আরো একটি জাতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আপনারা বুঝে নেন।
আজ ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মলনে ইসি সচিব এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে মো. জাহাংগীর আলম বলেন, আপনারা আগে থেকেই জানেন যে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়সীমা শেষ হয়েছে। তাই বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন মনে করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলের সময়সীমা বর্ধিতকরণের কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আমরা ১ ডিসেম্বর শুক্রবার কয়টি দল কোন কোন আসনে মোট কতজন প্রার্থী অংশগ্রহণ করছে তা বিস্তারিত জানাতে পারবো।
নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন বিষয়ে ইসির এ মুখপাত্র বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব সাক্ষাৎ করেছিলেন। বিশেষত আইজিপি মহোদয় সামগ্রিক বিষয় অবহিত করেছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কমিশনের কোনো নির্দেশনা আছে কি না তা জেনে নিয়েছেন। পরবর্তী সময়ে সে অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন।
তিনি বলেন, কিছু কিছু প্রার্থী কোনো কোনো জায়গায় আচরণবিধি ভঙ্গ করায় আমাদের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি তাদের তলব করেছে। এছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও কাজ করছেন। তারা তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।
বেশ কয়েকটি দল এখনো মনোনয়নপত্র জমা দেয়নি। এরই মধ্যে সময় শেষ হয়েছে। সেসব দলের আর কোনো সুযোগ আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, সময়সীমা অতিক্রম হয়েছে। সময় বাড়ানোর আর কোনো সুযোগ নেই।
ভোটের ৫২ দিন আগে গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিল অনুযায়ী, ভোট হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। এছাড়া মনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর।
সেক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র জমার জন্য ১৪ দিন সময় দেওয়া হয় এবং প্রচারের জন্য সময় রয়েছে ১৯ দিন। ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ করতে হয়। অর্থাৎ, ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালাতে পারবেন প্রার্থীরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের একটি ফ্ল্যাট বাড়ি থেকে ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকার জালনোট এবং জাল নোট ছাপানোর সরঞ্জামসহ তিনজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি টিম। গ্রেফতারকৃতরা হলো ফেনী সদর থানাধীন আকরামপুর মৃত আবু তালেবের ছেলে মো. আলমগীর হোসেন (৩৪), চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানাধীন আদশা এলাকার মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে মোঃ রাসেল (৩২) ও কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী থানার রামখানা কদমতলা এলাকার আজিজ রহমানের ছেলে মোঃ রুবেল ইসলামও হৃদয় (২০)।
আটককৃতদের কাছ থেকে ৭ লাখ ৮০ হাজার জাল টাকা, ১টি ল্যাপটপ, ১টি প্রিন্টার, জালনোট তৈরির ডাইস ৩টি, জালনোট তৈরির গ্লাস ২টি, ট্রেসিং পেপার ১ কেজি ও ২৫০ পেজ নোট ও জাল নোট ছাপানোর প্রিন্টারে ব্যবহারের বিভিন্ন রংয়ের কালি উদ্ধার করা হয়।
আজ ৭ অক্টোবর শনিবার দুপুর নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান, গত ৬ অক্টোবর বিকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন মিজমিজি এলাকার আব্দুল আজিজ মোল্লার মালিকানাধীন ৪র্থ তলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে কতিপয় আসামীরা জালনোট প্রস্তুত করে বিক্রয় করে আসছে। সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানিক দলটি জাল নোট প্রস্তুত করা অবস্থায় ৩ জনকে গ্রেফতার করে এবং বিপুল পরিমাণ জালনোট ও সরঞ্জামাদি উদ্ধারপূর্বক জব্দ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা জানায়, জাল নোট প্রস্তুত করে বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব (ঈদ, পূজা, পহেলা বৈশাখ) সহ বিভিন্ন সময় ঢাকাসহ আশ-পাশের সকল জেলায় জালনোট বিক্রয় করে থাকে। এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে ডেস্ক :
বীমা সুবিধা বেড়েছে প্রবাসী কর্মীদের। বিদেশ যাত্রার সময় এক হাজার টাকা কিস্তি (প্রিমিয়াম) দেওয়া কোনো প্রবাসীর মৃত্যু বা অঙ্গহানি হলে বীমার আওতায় ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পাবেন কর্মী ও তার পরিবার। আর চাকরি হারিয়ে ছয় মাসের মধ্যে ফিরলে পাবেন ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ।
এসব সুবিধা রেখে আজ ১২ মার্চ রবিবার জীবন বীমা করপোরেশেনের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড।
এর আগে ২০১৯ সালে প্রবাসী কর্মীদের জন্য বাধ্যতামূলক বীমা চালু করে সরকার। ৯৯০ টাকা কিস্তিুতে দুই বছর মেয়াদী বীমায় সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হতো।
নতুন বীমা নিয়মে ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সীরা পাঁচ বছর মেয়াদী বীমা করতে পারবেন। বীমার মেয়াদ পূর্ণের ৯০ দিন পরও দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে পুরো ১০ লাখ টাকা পাবে কর্মীর পরিবার। দৃষ্টিহানী, হাতের কব্জি, পায়ের গোড়ালি কাটা পড়লে পুরো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। হাতের বা পায়ের একটি আঙ্গুল কাটা পড়লে লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
তবে প্রিমিয়াম জমা দেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে আত্মহত্যা করলে ক্ষতিপূরণ পাবে না কর্মীর পরিবার। এ ছাড়া এইডস ও মাদক গ্রহণে মৃত্যু হলে বীমা সুবিধা পাওয়া যাবে না।
জীবন বীমা করপোরেশন মুনাফার ৫০ শতাংশ ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মাধ্যমে প্রবাসীদের জন্য খরচ করবে। একে নজিরবিহীন সুবিধা বলেছেন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ।
বিদেশে কোনো মৃত্যু হলে সৎকারের জন্য ৩৫ হাজার এবং ক্ষতিপূরণ বাবদ তিন লাখ টাকা দেয় সরকার। তা অব্যহত থাকবে জানিয়ে ইমরান আহমদ বলেন, নিয়মানুযায়ী নিয়োগকারী কর্মীরা চিকিৎসা দেবে। কিন্তু তা পাওয়া যাচ্ছে না। কর্মীরা বিদেশে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না। তাদের জন্য বিকল্প ভাবতে হবে। যে দেশে কর্মী যাচ্ছে, সেই দেশে বীমা করা যায় কিনা- তা দেখা যেতে পারে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের সংগঠন বায়রার সাবেক সভাপতি বেনজির আহমেদ। তিনি বলেন, নতুন কর্মীরা বর্ধিত বীমা সুবিধা পাবেন। আগে থেকে যে লাখ লাখ কর্মী বিদেশে রয়েছেন, তাদেরও বীমার আওতায় আনা প্রয়োজন।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, প্রবাসী কর্মীদের পরিবার ও সন্তানরা অভিবাসনের সামাজিক মূল্য দিচ্ছে। তাদের জন্যও বীমা সুবিধা প্রয়োজন।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক শহীদুল আলম বলেন, যেসব নারী কর্মী যৌন নির্যাতনের শিকার করে হয়ে দেশে ফিরেছেন, বীমায় তাদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি নেই। কর্মীরা বিদেশে আইনের জটিলতায় পড়লে, এর জন্য বীমা থেকে সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন। একজন কর্মী তিন চার লাখ টাকা খরচ করে বিদেশ যান। চাকরি হারিয়ে ফিরলে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ পর্যাপ্ত নয়।
চুক্তিতে জীবন বীমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুল হক চৌধুরী এবং ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক হামিদুর রহমান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী।
অনলাইন ডেস্ক :
ইউরোপীয় ইউনিয়নের চার দেশ ইতালি, জার্মানি, গ্রিস ও রোমানিয়া বাংলাদেশ থেকে ৩ হাজার বাংলাদেশি কর্মী নেবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
আজ ১৪ জুলাই রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির বিদায়ী সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
ড. হাছান জানান, এই ৩ হাজার কর্মীর দক্ষতার ওপর নির্ভর করে ভবিষ্যতে আরো কর্মী নেয়ার সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন ইইউ রাষ্ট্রদূত। পাশাপাশি বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পরও ২০৩২ সাল পর্যন্ত যেন আমাদের পণ্যের জন্য ইইউ থেকে জিএসপি বা শুল্কহ্রাস সুবিধাসহ এখন যে অন্যান্য সুবিধা পাই, সেগুলো যেন অব্যাহত থাকে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময় ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ১১-১২ জুলাই অনুষ্ঠিত বিমসটেক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দ্বিতীয় রিট্রিট সম্মেলনের বিষয়ে সাংবাদিকদেরকে মন্ত্রী জানান, জলবায়ু পরিবর্তন, চিকিৎসা, জ্বালানি নিরাপত্তা খাতে সহায়তা এবং নেপাল ও ভুটানে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে সবুজ শক্তি ব্যবহার বৃদ্ধি নিয়ে রিট্রিটে কথা হয়েছে।
তিনি জানান, আগামী সেপ্টেম্বর মাসের চার তারিখে থাইল্যান্ডে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন। সেখানে বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব নেবে বাংলাদেশ।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতব্যাপী মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে প্রতিবাদী সংগীতযাত্রা ‘সং মার্চ’ শুরু করেছে জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। আজ ২৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটায় পল্টনের মুক্তাঙ্গন থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
মুক্তাঙ্গন থেকে পিকআপভ্যানে করে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করতে করতে সংগীত যাত্রা শুরু করেন জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সদস্যরা। এই ‘সং মার্চ’ থেকে ভারতব্যাপী মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে ভারতীয় দূতাবাসে প্রতিবাদলিপি দেবেন তারা।
‘সং মার্চ’ পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি কবি মুহিব খান বলেন, ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর থেকে সারা ভারতজুড়ে নানা সময়ে নানা স্থানে নানাভাবে সেখানকার মুসলমানদের ওপর হত্যা, গুম, ধর্ষণ, ধ্বংসযজ্ঞ, উচ্ছেদ ও লাঞ্ছনাসহ নানারকম নির্যাতন সংঘটিত হয়ে আসছে। বিশেষ করে ১৯৯২ সালে অযোধ্যায় ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা থেকে নিয়ে ২০০২ সালে গুজরাটের নৃশংস মুসলিম হত্যা ও ধর্ষণযজ্ঞ, ২০১৩ সালে মুজাফফরাবাদের মুসলিম হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ, ২০২০ সালে দিল্লিজুড়ে মুসলিম হত্যা ও মসজিদসহ বিভিন্ন মুসলিম ঐতিহাসিক স্থাপত্যকলা ধ্বংসযজ্ঞ, সর্বশেষ ভারতীয় মুসলিম জনগোষ্ঠীর সম্পদ হরণ ও প্রতিকার হননের অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে ভারতের পার্লামেন্টে গৃহীত ওয়াকফ আইন সংশোধন বিলকে কেন্দ্র করে ভারতীয় মুসলমানদের ওপর যে নিধন ও নির্যাতন চলছে আমরা বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর অঙ্গ ও অংশ হিসেবে এবং আধুনিক বিশ্বের মানবতাবাদী সভ্য মানুষ হিসেবে এসবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
কবি মুহিব খান আরো বলেন, আমরা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভারতের ধর্মান্ধ উগ্রবাদী গোষ্ঠীর ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং কখনো কখনো এসব কর্মকাণ্ডে ভারত সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পৃষ্ঠপোষকতার বিরুদ্ধে শ্লোগান, সংগীত এবং সুস্পষ্ট বক্তব্যের মাধ্যমে দেশ ও বিশ্বকে জানিয়ে দিতে চাই যে, ভারতসহ পৃথিবীর যেকোনো ভূখণ্ডে নির্যাতিত মুসলমানদের পাশে আমরা আছি। শুধু মুসলিমরাই নন, নির্যাতন অন্যায় ও অমানবিকতার শিকার যেকোনো মানুষের পক্ষেই আমাদের অবস্থান। আমরা ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনারের মাধ্যমে ভারতীয় মুসলিমদের নাগরিক অধিকার, রাজনৈতিক অধিকার, সামাজিক অধিকার, সাংস্কৃতিক অধিকার এবং নিজ ধর্মীয় অনুশাসন পালনের পূর্ণাঙ্গ অধিকার নিশ্চিত করতে এবং ভারতীয় মুসলমানদের সামগ্রিক নিরাপত্তা ও মর্যাদা সুরক্ষায় সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নিতে ভারত সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানাচ্ছি।
কবি মুহিব খান বলেন, আমরা উগ্রতা ও সহিংসতায় বিশ্বাসী নই। আমরা চাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। আমরা চাই ধর্মান্ধ উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের পতন। আমরা চাই পৃথিবীর সব দেশের সব মানুষ নিজেদের ন্যায্য অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকুক। আমরা চাই বিশ্ব মানবতা এবং প্রতিটি মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতার বিজয় হোক।