চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির ৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক আহবায়ক কমিটি গঠনের জের ধরে আজ ১২ আগস্ট শনিবার বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এসময় ৮-১০ জন আহত হয়।
শনিবার বিকেল চারটার দিকে জেলা শহরের পাওয়ার হাউজ রোড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জেলা বিএনপির পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।
কমিটিতে জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান ও জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলামকে সদস্য সচিব করা হয়।
আহবায়ক কমিটির অপর ৩জন সদস্য হলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন ও সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকী।
এদিকে শনিবার বিকেল চারটার দিকে জেলা শহরের পাওয়ার হাউজ রোড (কান্দিপাড়া আখড়ার মোড়) এলাকায় আরাফাত রহমান কোকোর জন্মদিন পালনকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও আহবায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আহবায়ক কমিটির সদস্য জহিরুল হক খোকনের নেতৃত্বে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেন।
একই সময়ে শহরের শিমরাইল কান্দি বিএডিসি (শেখ হাসিনা সড়ক) মোড় থেকে সদ্য ঘোষিত আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজের নেতৃত্বে নব-ঘোষিত কমিটির পক্ষে একটি আনন্দ মিছিল বের হয়ে কালীবাড়ি মোড়ের দিকে আসার পথে পাওয়ার হাউজ রোডের আখড়ার মোড়ে পৌছলে হঠাৎ করে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
এ সময় উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীরা লাটিসোটা ও বাঁশ নিয়ে একে অপরকে উদ্দেশ্য করে ইট-পাথর নিক্ষেপ করে। প্রায় ২০-২৫ মিনিট চলে উভয়পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল বিনিময়। এ সময় হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও জহিরুল হক খোকনের অনুসারীরা সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম ও বিএনপি নেতা (এই কমিটি ঘোষণার মূলহোতা) কবির আহমেদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দেন। দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় উভয়পক্ষের ৮-১০জন নেতা-কর্মী আহত হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলে উভয়পক্ষের নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করে। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বরিশল গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রহমান সানি লন্ডনে বসবাসরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী। তার প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে সানির বড় ভাই এক সময়ের আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কবির আহমেদ ভূঁইয়া (বর্তমানে বিএনপি নেতা) এই বিতর্কিত কমিটি করেছেন।
এ ব্যাপারে ৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক আহবায়ক কমিটির আহবায়ক আবদুল মান্নান বলেন, আমি ঢাকায় অবস্থান করছি। নতুন কমিটি দেয়ায় আনন্দ মিছিল হয়েছে বলে শুনেছি। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা আমি জানি না।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি বলেন, আরাফাত রহমান কোকোর ৫৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নেতা-কর্মীরা পাওয়ার হাউজ রোডে কেক কাটার আয়োজন করে। সেখানে সবাইকে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। কিন্তু কেউ কেউ আসেনি। আহবায়ক কমিটির ঘোষণা করায় একটি পক্ষ আনন্দ মিছিল ও সংবর্ধনার আয়োজন করে। আমাদেরকে উদ্দেশ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন বলেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ সময় একজনকে আটক করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জন্মের পর শিশুদের ধাপে ধাপে দেওয়া সম্প্রসারিত টিকা দান কার্যক্রমের (ইপিআই) টিকা গত এক মাস ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কোথাও নেই। ফলে কেন্দ্র এসেও সন্তানদের নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন মায়েরা। একাধিকবার এসেও টিকা না পাওয়ায় তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, ইপিআই কর্মসূচিতে শিশুদের রোগ প্রতিরোধযোগ্য বিভিন্ন ধাপে টিকা দেওয়া হয়। এর মধ্যে আছে যক্ষ্মা, পোলিও, ডিফথেরিয়া, হুপিং কাশি, ধনুষ্টংকার, হেপাটাইটিস-বি, হিমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি জনিত রোগ, হাম, নিউমোকক্কাল জনিত নিউমোনিয়া, রুবেলা। সময়সূচি অনুযায়ী টিকা না নিলে শিশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে না।
শিশু জন্মের পর প্রথম বিসিজি টিকা দিতে হয়। বয়স ছয় সপ্তাহ হলে আইপিভি টিকার প্রথম ডোজ ও ১৪ সপ্তাহে দ্বিতীয় ডোজ দিতে হয়। একই সময় পেন্টাভ্যালেন্ট (ডিপিটি, হেপাটাইটিস-বি, হিব), ওপিভি এবং পিসিভি টিকার প্রথম ডোজ দিতে হয়। কমপক্ষে চার সপ্তাহর ব্যবধানে এ সব টিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজ দিতে হয়। শিশুর ২৭০ দিন পূর্ণ হলেই এমআর (হাম ও রুবেলা) টিকার প্রথম ডোজ এবং ১৫ মাস হলেই দ্বিতীয় ডোজ দিতে হয়।
কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত একমাস ধরে বিসিজি টিকা ছাড়া শিশুদের কোনো টিকা মজুত নেই। ফলে শিশুদের সময় অনুযায়ী টিকাগুলো দেওয়া যাচ্ছে না।
গত শনিবার জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গিয়ে দেখা যায়, ইপিআই টিকা কেন্দ্রে স্টাফরা অলস সময় পার করছেন। মাঝে মধ্যে বিসিজি টিকা দিতে নবজাতকদের নিয়ে মায়েরা আসছেন। তাদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে দ্বিতীয় ধাপে টিকাগুলো দিতে আসা শিশুদের অভিভাবকদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
টিকার জন্য সন্তানকে কেন্দ্রে নিয়ে আসেন আসমা বেগম। তিনি বলেন, ‘আমার বাচ্চার তৃতীয় ধাপের টিকা দেওয়ার সময় ছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি। সেদিন আসার পর জানানো হয়েছিল টিকা নেই। কয়েকদিন পর আসবে। আজকে আসার পর টিকা কেন্দ্র থেকে একই কথা বলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
নাজনীন বেগম নামের আরেক নারী বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রথম টিকা দিয়েছিলাম ২৮দিনের মাথায়। আজকে ছিল দ্বিতীয় ডোজের তারিখ। কিন্তু টিকা না থাকায় পরে আসতে বলেছে।’
এ বিষয়ে জেলার ইপিআই সুপারিন্টেনডেন্ট আমিনুল ইসলাম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একবছরে ৯১ হাজার শিশুকে টিকা দিয়ে থাকি। জেলার ৯৮টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে ২৪টি কেন্দ্রে মাসে একবার করে টিকা দেওয়া হয়। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন টিকা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রতি তিন মাস পর পর টিকা পাঠানো হয়। এতদিন ঢাকাতেই টিকা ছিল না। আমরা কিছুদিনের মধ্যে টিকা পেয়ে যাবো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, টিকার জন্য আমরা চাহিদা পাঠিয়েছি। যেন দ্রুত টিকা আসে, চেষ্টা করে যাচ্ছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
গণঅভ্যুত্থানের একমাস পূর্ণ হওয়ায় শহীদদের স্মরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় র্যালি ও আলোচনা সভা হয়েছে। আজ ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের টেংকেরপাড় মাঠে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শহীদি মার্চের এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী আল মামুন, দুর্জয় মাহমুদ, রেহেনা বুশরা, মুনিয়া, রিয়াদুল ইসলাম, আবু বাশার সানি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক গাজী মোঃ নিয়াজুল করিম প্রমুখ। সভায় বক্তারা ছাত্র আন্দোলনে সকল শহিদ ও আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারও তার বাহিনী ছাত্রদের উপর নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতন চালিয়েছে। দেশে যেই সরকার গঠন করুক এসব ঘটনার দ্রুত বিচার করতে হবে, অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। এছাড়াও বক্তারা বলেন, যারা দেশে পুণরায় বৈষম্য সৃষ্টি করতে চাইবে তাদেরকে আওয়ামীলীগ সরকারের পতন থেকে অভিজ্ঞতা নিতে হবে। একটি মহল ছাত্রদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রটাচ্ছে উল্লেখ করে তারা বলেন, ধ্বংস নয় বরং শিক্ষার্থীরা বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়তে মাঠে নেমেছে। তাই সকল অপপ্রচার থেকে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। একটি সুন্দর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে এগিয়ে যেতে হবে। পরে একটি র্যালি টেংকের পাড় থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃতীয় লিঙ্গের একমাত্র প্রার্থী আনোয়ারা ইসলাম রানী জয়লাভ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ ২৪ ডিসেম্বর রবিবার সকালে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন মুক্তমঞ্চের সামনে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে নির্বাচনী সভায় এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মোকতাদির চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। তার সমর্থনে প্রতিবন্ধী ঐক্য ফোরাম নির্বাচনী জনসভার আয়োজন করে। সভায় হাজারও প্রতিবন্ধী অংশ নেন। সকাল ৯টা থেকেই কাউকে হুইলচেয়ারে করে কেউবা সাদা ছড়ি হাতে আসতে দেখা যায়।
এ সময় উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, তৃতীয় লিঙ্গের যে প্রার্থী আছেন তিনি জয়ী হবেন বলে আশা করি। ভবিষ্যতে শারীরিক প্রতিবন্ধীরাও সংসদে যাবেন বলে মনে করি।
রংপুর-৩ আসনে ঈগল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন তৃতীয় লিঙ্গের আনোয়ারা ইসলাম রানী। এ ছাড়া এই আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের (লাঙ্গল), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আব্দুর রহমান রেজু (একতারা), বাংলাদেশ কংগ্রেসের একরামুল হক (ডাব), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সহিদুল ইসলাম (মশাল) এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শফিউল আলম (আম) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বক্তব্য দিতে গিয়ে খেলু নামের একজন হিজড়া বর্তমান সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি বলেন, বর্তমান সরকার আমাদেরকে ভোটের অধিকার দিয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। মোকতাদির চৌধুরীর এমন আয়োজন বাংলাদেশে প্রথম বলে উল্লেখ করেন তিন। এ জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতা মো. হেলাল উদ্দিন, হাজি হেলাল উদ্দিন, মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, মাহবুব আলম খোকন, মো. লোকমান হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আয়োজনের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ডা. সাইফুদ্দিন খান শুভ্র। সঞ্চালনায় ছিলেন মো. হেদায়েতুল আজিজ মুন্না।
চলারপথে রিপোর্ট :
১৪ ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্র মৈত্রীর উদ্যোগে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে একটি মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে সরকারি কলেজের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে ১৯৮৩ সালের এই দিনে মজিদ খানের কুখ্যাত শিক্ষানীতি বাতিলের প্রতিবাদে এবং স্বৈরাচার আর স্বৈরশাসনের সাম্প্রদায়িক, গণবিরোধী শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুস্পস্তবক অর্পন করেন।পরে শহীদ মিনারের পাদদেশে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য অ্যাড.মোহাম্মদ নাসির মিয়া, বিজয়নগর উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড দীপক চৌধুরী বাপ্পী,জেলা যুব মৈত্রীর সভাপতি কাজী তানভীর মাহমুদ শিপন, সাবেক ছাত্র মৈত্রী নেতা ও জেলা যুব মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, জেলা ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ছাত্র মৈত্রী নেতা মারিয়া,রেশমা, লিসা, রূপম, বসির, তাজিম প্রমুখ।