চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত আরো একজনের পরিচয় মিলেছে। নিহত ব্যক্তি হলেন নোয়াখালি জেলার দক্ষিণ হাতিয়ার পূর্ব সোনাদিয়া গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে কামাল উদ্দিন হৃদয় (৪০)। তার ৩ বছর বয়সের ১টি ছেলে এবং ৬ বছরের ১টি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
তিনি ফলের ব্যবসা করতেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি ভিডিও কল করে স্ত্রী সন্তানের সাথে কথা বলেছিলেন এবং মাজারের দৃশ্য দেখান। সন্ধ্যা এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান এই মাজার ভক্ত। নিহতের শশুর জাবের হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ নিয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ৪ জনেরই পরিচয় পাওয়া গেলো। ১০ আগষ্ট বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আখাউড়া খড়মপুর কল্লা শহীদ (র.) মাজার শরীফের ওরসে মাজারের পশ্চিমে রেলপথে আন্ত:নগর পারাবাত এক্সপ্রেস ট্রেনের থাক্কায় নদীতে পড়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়। ৪টি মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কমীর্রা।
আখাউড়া থানার সাব ইন্সপেক্টর আবীর আহমেদ বলেন, নিহত ব্যক্তির মোবাইলের নম্বর থেকে কল দিয়ে নিহতের পরিবারের লোকজনকে ছবি পাঠালে তারা পরিচয় নিশ্চিত করে। পরে পিবিআই নিহতের ফ্রিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে এনআইডির তথ্য বের করে। তাদের দেওয়া তথ্যের সাথে এনআইডি কার্ডের নাম, বয়স ও বাবার নাম মিল আছে। তবে ঠিকানা কুমিল্লা লিখা। আমরা তাদেরকে লাশ নেওয়ার জন্য শুক্রবার রাতের ট্রেনে থানায় আসতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা না আসায় অজ্ঞাতানামা হিসেবে মরদেহটি আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামকে দেওয়ার জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নিহত কামাল উদ্দিন হৃদয়ের শশুর জাবের আহমেদ বলেন, আমার জামাতা চট্টগ্রামে ফলের ব্যবসা করতো। সে মাজারের ভক্ত ছিল। প্রতি বছরই ওরশের সময় মাজারে যেত। ওই দিন দুপুরে ভিডিও কল করে আমাদের সাথে বলে। মাজার এলাকার দৃশ্য দেখায়। মাগরিবের সময় ফোন করে বলেছিল ভিডিও কল করতে কিন্তু মোবাইলে চার্জ ছিল না। পরে ফোন চার্জ দিয়ে কল দিয়ে তার মোবাইলটি বন্ধ পাই। তারপর অনেকবার ফোন করেও ফোন সচল পাইনি। পরদিন শুক্রবার দুপুরে আখাউড়া থানা থেকে আমাদেরকে ফোন করে। পরে ছবি পাঠালে আমরা সনাক্ত করি। আমাদেরকে বলেছিল ৪/৫ ঘন্টার মধ্যে যাওয়ার জন্য। কিন্তু এত কম সময়ের মধ্যে যাওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে এ ঘটনায় ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে ১ হাজার ১৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ শ্বশুর বাড়ি থেকে জামাইকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তি হলো কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার ভৈরবপুর গ্রামের জজ মিয়ার পুত্র আরিফ হাসান (৪০)। সে পৌরশহরের দূর্গাপুর পশ্চিম পাড়ার আনোয়ারুল হকের জামাতা। আজ ২৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ভোরে শশুর বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার এস.আই মো. মশিউর রহমান ও এস.আই মোঃ আবির আহম্মেদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ভোর ৪টার দিকে দূর্গাপুরের আনোয়ারুল হকের বসত ঘরের সামনের রুম থেকে আরিফ হাসানের জ্যাকেটের পকেট থেকে উল্লেখিত ইয়াবা ট্যাবলেটসহ হাতে নাতে গ্রেপ্তার করে।
আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ধৃত আসামির বিরুদ্ধে মাদক মামলাসহ ৭টি মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আখাউড়া থানায় মাদক মামলা দায়ের পূর্বক তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভাগ্য বদলের আশায় ১৭ বছর আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন ফায়েজ মিয়া। সেখানে দাম্মাম শহরে তিনি একটি বড় কোম্পানিতে কাজ করতেন। এবার দেশে এসে কোরবানির ঈদ করার কথা ছিল। এরই মধ্যে গত ১৪ মে কর্মস্থল সৌদি আরবের দাম্মামে হঠাৎ স্ট্রোক করে তিনি মারা যান। বুক ভরা আশা নিয়ে বিদেশ পাড়ি দেওয়া ফায়েজ বাড়ি ফিরেছেন ঠিকই কিন্তু জীবিত নয় কফিনবন্দি হয়ে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২১ দিনের মাথায় আজ ৪ জুন মঙ্গলবার দুপুরে তার মরদেহ নিজ জন্মভূমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ার তারাগনে আসলে অশ্রুসিক্ত নয়নে শেষ বিদায় দেন আত্মীয়স্বজনসহ প্রতিবেশী।
বাদ আছর আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিনগর বাইতুল মামুর জামে মসজিদ মাঠে বাদ আসর জানাযা শেষে সাতপুকুরপাড়ে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়। এর আগে, ভোরে সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে সেখান থেকে পরিবারের সদস্যরা তার মরদেহ গ্রহণ করেন। এরপর সড়ক পথে নিহতের মরদেহ লাশবাহী একটি অ্যাম্বুল্যান্স করে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। নিহতের মরদেহ দুপুরে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে শুরু হয় শোকের মাতম। পরিবার-পরিজন আর স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।
নিহতের মরদেহ এক নজর দেখেতে পাড়া প্রতিবেশী আত্মীয়স্বজনসহ এলাকার শত শত লোকজন তার বাড়িতে ভিড় করেন। ফায়েজ আখাউড়া পৌর শহরের তারাগন এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। তার পরিবারে স্ত্রী, ৩ মেয়ে ১ ছেলে রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ১৭ বছর আগে ফয়েজ মিয়া সৌদি আরব পাড়ি জমান। সেখানে দাম্মাম শহরে তিনি একটি বড় কোম্পানিতে কাজ করতেন। সর্বশেষ গত প্রায় ৫ বছর আগে দেশে আসেন। এবার কোরবানির ঈদের আগে দেশে আসার কথা ছিল। গত ১৪ মে স্ট্রোক করে মায়াভরা এ পৃথিবী থেকে না ফেরার দেশে চলে যান।
চাচাতো ভাই আলাউদ্দিন বলেন, ফায়েজ একজন কর্মঠ লোক ছিল। দেশে থাকতে কাজ ছাড়া কিছুই বুঝতো না। পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফোটাতে অনেক কষ্ট করে বিদেশে যায়। এরপর এই পরিবারটা ভালই চলছিল। হঠাৎ করে এভাবে সে মারা যাবে তা কখনো ভাবতে পারছি না। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে দুপুরে নিহতের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে এসেছে। বাদ আসর জানাযা নামাজ শেষে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
মাওলানা হাফেজ নুরুল ইসলাম বাবুল বলেন, ফায়েজ খুব ভালো একজন মানুষ ছিল। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতো বড় হওয়ার। এভাবে চলে যাবে তা কখনো ভাবতে পারিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে আখাউড়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে স্মরণসভায় রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজলা পারভীন রুহির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে শাহাদাতবরনকারী শিশু জাবিরের বাবা কবির হোসেন ভূইয়া, চোখে গুলিবিদ্ধ আহত ছাত্র সামি, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সজিব মিয়া, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মো: হিমেল খান, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মো. জয়নাল আবেদীন আব্দু, পৌর বিএনপির আহবায়ক মো. সেলিম ভূঁইয়া, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মো: ইকবাল হোসেন, সেক্রেটারী মো: বোরহান উদ্দিন হান্নান খাদেম, আলহাজ্ব মো: বিল্লাল হোসেন প্রমূখ।
সভায় বক্তারা গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট, শহিদ ও আহতদের আত্মত্যাগ এবং তাদের পরিবারের কষ্টের কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন আসলে ‘ছাত্র-জনতার এই আত্মত্যাগ জাতির জন্য হলো একটি অনুপ্রেরণা। তাদের স্মরণে আমাদের প্রত্যেককে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ ও জাতির জাতীর কল্যাণে সমাজের জন্য কাজ করতে হবে।
শহীদদের স্মরণ করতে হবে। তাদেরই যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে। আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত শহীদ জাবেরের বাবা তুলাই শিমুল গ্রামের কবির হোসেন ভূইয়া তার ছেলের স্মরণে আখাউড়া থেকে তুলাই শিমুল পর্যন্ত শহীদ জাবিরের নামে সড়কের নাম করণ করার দাবি জানান।
পরে জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুথানে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ও আহদদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করে মাওঃ কেফায়েত উল্লাহ।
চলারপথে রিপোর্ট :
২য় ধাপের তফসিলে আগামী ২১ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
চলছে মনোয়নপত্র দাখিলের কার্যক্রম। এবার অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হচ্ছে। ২১ এপ্রিল মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখ। এদিকে, শনিবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন। এছাড়াও কয়েকজন প্রার্থী আবেদন প্রক্রিয়ায় রয়েছে। মনোনয়ন দাখিল করা প্রার্থীরা সবাই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে সূত্রে জানা গেছে। ২৩ এপ্রিল মনোনয়নপত্র বাছাই ও ২ মে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আবুল কাসেম ভূইয়া, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বোরহান উদ্দিন, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেন ভূইয়া, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনির হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সামদানী (ফেরদৌস)।
এছাড়াও বাছির মো. আরিফুল হক, মোহাম্মদ আলী ভূঁইয়া ও জাহাঙ্গীর আলম নামে দুজন আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, মোঃ জুয়েল রানা, মনিয়ন্দ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাজিদুল ইসলাম ওরফে মিন্টু মৃধা ও গোলাম মোস্তফা। সোহেল রানা নামে একজনের আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পিয়ারা আক্তার পিওনা, রোকসানা আক্তার, তানজিনা আক্তার ও মনিয়ন্দ ইউপির সাবেক মেম্বার বিনা আক্তার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচনে প্রতিটি পদে একজন করে প্রার্থী দেওয়ার লক্ষে সম্প্রতি সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে একটি সভা হয়।
সভায় উপস্থিত প্রার্থীরা দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচন করার বিষয়ে একমত হয়। অপর দিকে আওয়ামীলীগের কয়েকজন প্রবীণ একই বিষয়ে পৃথক একটি সভা করেন উপজেলা কমপ্লেক্সের ভেতরে জেলা পরিষদের ডাক বাংলোতে। এরপর থেকেই উপজেলা নির্বাচন নিয়ে জনমনে কিছুটা আগ্রহ বেড়েছে। আওয়ামীলীগের দৃশ্যমান দলীয় কোন্দল না থাকলেও চেয়ারম্যান পদটি নিয়ে একটি স্নায়ু চাপ রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। দু’পক্ষই চাইছে চেয়ারম্যান পদটি নিজস্ব বলয়ে রাখতে।
আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি, জাতীয় পার্টি বা অন্য কোন পার্টির নেতাকর্মী মনোনয়ন দাখিল করেননি। আখাউড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদ আহমেদ শিকার বলেন, ২য় ধাপে আগামী ২১ মে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আমরা বাংলাদেশের সংবিধান মেনে চলি। তার কারণ হচ্ছে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে এই সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। সেই সংবিধান মেনেই নির্বাচন করব। যারা সংবিধান মানে না তারা নিজেদেরকে বাংলাদেশের নাগরিক বলাটা সঠিক হবে না।
আজ ১৪ জুলাই শুক্রবার সকালে আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বিএনপির নেতারা অনেক কথাই বলতে পারে।
এর আগে তিনি আখাউড়া ষ্টেশনে উপস্থিত নেতাকমীর্দের উদ্দেশ্যে বক্তৃতায় বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন এক উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে পরিচিত হয়েছে। আমরা শেখ হাসিনার পলিকল্পনা অনুয়ায়ী তাঁর নেতৃত্বে কাজ করব এবং ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব। এর আগে তিনি ঢাকা থেকে আন্ত:নগর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে সকাল সাড়ে ১০টায় আখাউড়া এসে পৌঁছেন।
এসময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল’সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগ সহ সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে তিনি সড়ক পথে নিজ উপজেলা কসবার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। তিনি বিকালে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের টানমান্দাইল গ্রামে ফুটবল খেলার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।