চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে ছেলের হাতে লিল মিয়া (৭৫) নামের এক বৃদ্ধ খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ ১৪ আগস্ট সোমবার দুপুরে উপজেলার জিনোদপুর ইউনিয়নের কাঠালিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ বৃদ্ধের ছেলে জসিমকে (৪০) আটক করেছে। নবীনগর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, লিল মিয়ার ছেলে জসিম প্রায় ১৫ বছর যাবত মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত। সোমবার দুপুরে লিল মিয়া জমিতে পাট কাটতে যান। এ সময় জসিমকে পাট কাটায় সহযোগিতা করতে বলেন লিল মিয়া। এ নিয়ে ছেলের সঙ্গে লিল মিয়ার বাকবিতণ্ডা হয়। এরই জেরে ধান ভাঙার ছিয়া দিয়ে জসিম তার বাবার মাথায় আঘাত করেন। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে লিল মিয়া মারা যান।
তিনি আরো জানান, এই ঘটনায় ঘাতক ছেলে জসিমকে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
শফিকুল ইসলাম বাদল :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নবীনগর উপজেলার নবীনগর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের ভোলাচং গ্রামের রঞ্জিত পোদ্দার দীর্ঘ ২২ বছর যাবত তাঁর উদ্ভাবিত প্রযুক্তিতে নিজ হাতে তৈরি করেন সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যসম্মত চানাচুর। প্রথম দিকে তিনি অল্প পরিমানে এ চানাচুর বানিয়ে তাঁর ডালপুরী- সিঙ্গারার দোকানে বিক্রি করতে শুরু করলে দ্রুত আশেপাশের এলাকায় এ চানাচুরের জনপ্রিয়তা ও চাহিদা বেড়ে যায়। অল্প সময়ের মধ্যে দুর-দুরান্ত থেকে এমন কি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশীরা ও এ চানাচুর খেতে ও পরিবার-আত্মীয় স্বজনদের জন্য নিতে আসেন ভোলাচং পশ্চিম বাজারে রঞ্জিত পোদ্দারের দোকানে। সেই ধারাবাহিকতায় রঞ্জিত পোদ্দার ও তার ছেলে শিবু শংকর পোদ্দার দীর্ঘ দিন ধরে কোন কেমিক্যাল বা রং ব্যবহার না করে বাড়িতেই চানাচুর তৈরি করে বিক্রি করে আসছেন। রঞ্জিতের তৈরি চানাচুরের ব্যবসায়িক নাম “রঞ্জিত চানাচুর”।
জানা যায়- ১৮০ টাকা কেজি দরে দৈনিক প্রায় ২২ থেকে ২৫ কেজি চানাচুর বিক্রি করেন তিনি । এতে যা আয় হয় তাতে ভাল ভাবেই চলে তাঁর সংসার। এ ব্যবসার জন্য জনতা ব্যাংকের লোন আছে কিন্ত বর্তমানে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তাদের (রঞ্জিতের চানাচুর) নাম ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ ভাবে এ তাদের নাম দিয়ে চানাচুর বিক্রি করে আসছেন। এতে ক্রেতারা হচ্ছেন বিভ্রান্ত ও প্রতারিত। ফলে বিক্রি যেমন কমে যাচ্ছে তেমনি বাড়ছে ব্যবসায় দুর্নাম। এ বিষয়ে ভোলাচং পশ্চিম বাজারে অবস্থিত রঞ্জিত পোদ্দারের “রঞ্জিত স্টোর” দোকানে গিয়ে খোঁজ করে জানা যায় – বার্ধ্যক জনিত কারনে রঞ্জিত পোদ্দার মারা গেছেন কয়েক বছর আগে। বর্তমানে দোকানটি পরিচালনা করছেন তার ছেলে শিবু শংকর পোদ্দার। তাঁর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান- “আমার বাবা এ দোকানে এক সময় সিঙ্গারা-ডালপুরীরর সাথে তাঁর হাতে বানানো চানাচুর বিক্রি করতেন। তিনি সব সময় চাইতেন বাজারের অন্যান্য দোকানের সিঙ্গারা, সমুচ ও ডালপুরী থেকে তার বানানো গুলো যেন ভিন্ন স্বাদের মুখরোচক ও স্বাস্থ্য সম্মত হয়”। আমি সে গুনগত মান ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর।
নবীনগর প্রতিনিধি :
নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের উদ্যোগে আজ ১ ফেব্রুয়ারি বুধবার পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত। পিঠা উৎসবে উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বশির আহাম্মদ সরকার পলাশ, সদস্য মুরাদ পারভেজ, মনা মিয়া, সেলিনা বেগম, বিদ্যালয়ের সুযোগ্য প্রধান শিক্ষক কাওসার বেগম এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মুরাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুরাদ পারভেজ এবং সভাপতি মহোদয় ম্যানেজিং কমিটির পক্ষ থেকে প্রত্যেক ষ্টলকে ১ হাজার টাকা করে সম্মানি প্রদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে ছেলের চুরির অপবাদ সহ্য করতে না পেরে কেরির বড়ি খেয়ে বাবা অহেদ মিয়া আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ৩১ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের কুড়িঘর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, নান্দুরা গ্রাম থেকে গরু চুরি করে গত ৩০ জুলাই বুধবার দুপুরে শালগাঁও কালিসিমা বাজারে বিক্রি করতে গেলে গরুসহ ধরা পড়েন গরু চোর সুহেল মিয়া। পরে তাকে আটক করে স্থানীয় লোকজন মারধর করেন।
সুহেল চুরি করতে গিয়ে ধরা খাওয়ার পর তার পরিবার নিয়ে স্থানীয় লোকজন নানা কটূক্তি করেন। সেই অপমান সহ্য করতে না পেরে কেরির বড়ি খেয়ে আত্মহত্যা করেন বাবা অহেদ মিয়া। তারা আরো জানায়, সে এর পূর্বেও একাধিকবার চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন। পরিবারের সদস্যরা তাকে চার মাস কুমিল্লা মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করে চিকিৎসা করান। সেখান থেকে এসে পুনরায় সে চুরি করা শুরু করেন।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীনূর ইসলাম জানান, এ বিষয়ে নিহত পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে সিএনজি অটোরিকসার ধাক্কায় জবা রাণী বিশ্বাস (০৭) নামে এক স্কুল ছাত্রী নিহত হয়েছে।
আজ ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে নবীনগর টু রাধিকা সড়কের শিবপুর কলেজ মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জবা রাণী বিশ্বাস শিবপুর গ্রামের সূূর্য বিশ্বাস এর মেয়ে। সে শিবপুর সুর সম্রাট আলাউদ্দিন খাঁ বিদ্যানিকেতনের প্রথম শ্রেনীর ছাত্রী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে জবা বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার জন্য বের হন। পথিমধ্যে দোকান থেকে খাবার কিনতে যাবার সময় একটি সিএনজি চালিত অটোরিকসা তাকে ধাক্কা দিলে সে গুরুতর আহত হয়।
এসময় স্থানীয় লোকজন তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করেন। পথিমধ্যে তার মৃত্যু বরণ করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, নিহতের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে রয়েছে। নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট ডেস্ক :
নবীনগর পুকুরে পানিতে ডুবে শিবা আক্তার নামে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আজ ১৫ এপ্রিল শনিবার সকালে উপজেলার সাতমোড়া ইউনিয়নের জগনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সে ওই গ্রামের শিপন মিয়ার মেয়ে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, শিবা সকালে বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে খেলা করার সময় পানিতে পড়ে যায়। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধ্যান পাওয়া যায় নি। পরে পুকুর থেকে অচেতন অকস্থায় উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার পানিতে ডুবে শিশু মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।