চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লায় পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স পুলিশসহ অংশীদারি সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেটদের সেতুবন্ধ সৃষ্টি করে। এর মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার পথে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা দূর হবে।
বিচার বিভাগের সব অংশীদারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা সহজ হবে। ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে পুলিশকে যথাযথভাবে গ্রেফতার ও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন । এছাড়াও আসামি গ্রেফতার মালামাল জব্দ বিষয়ে যথাযথ ভাবে আইন অনুসরণ করে কাজ করার জন্য কুমিল্লা জেলার সকল ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং সংশ্লিষ্টদেরকেনির্দেশনা দেওয়া হয়।
কুমিল্লা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কনফারেন্স রুমে আজ ১৩ মে শনিবার আয়োজিত ‘পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি সম্মেলন-২০২৩’ অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
সম্মেলনে কুমিল্লার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল উদ্দিন প্রধান অতিথি ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো.সোহেল রানা।
এছাড়া সভায় কুমিল্লার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান কুমিল্লা জেলার সিভিল সার্জনের প্রতিদিন ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, কুমিল্লা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিভিন্ন পর্যায়ের ম্যাজিস্ট্রেট, কুমিল্লা পুলিশ অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি), কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতা পরিচালকদের প্রতিনিধি, র?্যাব ১১-এর প্রতিনিধি এবং বিজিবি-১০ এর প্রতিনিধি ও কুমিল্লা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক, কুমিল্লা সিনিয়র জেল সুপার, কুমিল্লা জেলার সকল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গণ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটরসহ কুমিল্লা জেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইনজীবী সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দেশে মতবিরোধ থাকতে পারে। তবে শেখ হাসিনার জন্যই আজ দেশে এত পরিবর্তন হয়েছে, যা আমাদের জীবদ্দশায় আশা করিনি।
আজ ৯ আগস্ট বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে লাউর ফতেহপুরে ব্যারিস্টার জাকির আহমেদ কলেজের শিক্ষাবৃত্তি ও শেখ হাসিনা একাডেমিক ভবন উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
একমাত্র শিক্ষাই পারে আমাদের আলোকিত পথে নিয়ে যেতে উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক জেলায় পর্যায়ক্রমে একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। নবীনগরে হবে কি না জানি না, তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করবো।
কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ব্যারিস্টার জাকির আহমেদের সভাপতিত্বে ও অধ্যক্ষ ইকবাল হোসেনের সঞ্চালনায় উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার শাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সব জায়গায় চাঁদাবাজি এবং মজুতদারি বন্ধ করতে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দলীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, এবারের নির্বাচনে আমি স্বতন্ত্র উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। এছাড়া আমাদের উপায় ছিল না। ভোটকেন্দ্রে যাতে ভোটার আসে, নির্বাচন যেন উৎসবমুখর হয়, সেদিকে নজর রেখে উন্মুক্ত করে দিয়েছি। আমাদের অনেকেই নির্বাচন করেছে। এ নিয়ে অনেকের মধ্যে মন কষাকষি আছে, দূরত্ব তৈরি হয়েছে। যা হয়ে গেছে, হয়ে গেছে। এখন এক হয়ে কাজ করতে হবে। কোথাও কোনো সমস্যা হলে আমরা সমাধান করবো। কিন্তু নিজেরা আত্মঘাতী সংঘাতে লিপ্ত হওয়া যাবে না। এবার নৌকার জোয়ার ছিল, এ জোয়ারেও জিততে না পেরে একে-ওপরকে দোষারোপ করে লাভ নেই।
আজ ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, সব জায়গায় চাঁদাবাজি এবং মজুতদারি বন্ধ করতে হবে। আপনারা বিভিন্ন এলাকার প্রতিনিধি, এতে আপনাদের নজর দিতে হবে। কৃষক যাতে প্রকৃত মূল্য পায়, সেদিকে নজর দিতে হবে। চাঁদাবাজি ও মজুতদারির জন্য যাতে পণ্যের দাম না বাড়ে সেটি দেখতে হবে।
নির্বাচন কমিশন নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ৮১টা সংস্কার প্রস্তাব কার্যকর করে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) স্বাধীন করে দিয়েছি। ইসি যাতে নিরপেক্ষ কাজ করতে পারে, সে ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এ সাহস আওয়ামী লীগেরই আছে। যার কারণে এ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। কিছু দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকেও বলা হচ্ছে, নির্বাচন হয়েছে ঠিক, অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। তাদের দেখাতে হবে কোথায় অবাধ সুষ্ঠু হয়নি? আমরা তো এতটুকু বলতে পারি, নির্বাচন অত্যন্ত অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। সব বাহিনী নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেছে। অনেকে চেয়েছে, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু না হোক, তাতে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে এবং স্যাংশনস দেওয়া যাবে। স্যাংশনস নিয়ে আমি বলেছিলাম, আমরাও স্যাংশনস দিতে পারি। না জেনে বলিনি, সব জানি বলেই বলেছি।
বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে যাতে না আসতে পারে, বার বার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। জনগণ আমাদের শক্তি, তারা চেয়েছে বলে এসেছি। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ আমাদের শক্তি। এ দলটির নেতাকর্মীদের ত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা এখানে। বার বার নির্বাচন নিয়ে চক্রান্ত হয়েছে। সব চক্রান্ত মোকাবিলা করে আমরা ক্ষমতায় এসেছি। ২০১৪ তে চেষ্টা করেছে, নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। ২০১৮ তে এসেও আবার পরাজয় জেনে সরে গেছে। নির্বাচন যেন না হয়, সে অপচেষ্টা করেছে। এবারও বানচাল করার চেষ্টা করেছে। এখনো লম্ফঝম্প করছে। কিন্তু কোনো লাভ হবে না। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে।
সভায় সূচনা বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শোকপ্রস্তাব পাঠ করেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
এ সভায় আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, জেলা/মহানগর ও উপজেলা/থানা/পৌর (জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা) আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় সংসদের দলীয় ও স্বতন্ত্র সদস্য, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার দলীয় মেয়র এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা অংশ নিয়েছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিদেশিরা নাক গলাতে এলে মেনে নেবেন না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ডিসেম্বর ৩০ শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় নিজের দাদার নামে প্রতিষ্ঠিত শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন বানচালের যারা ষড়যন্ত্র করছে, তাদেরও একদিন উপযুক্ত শাস্তি পেতে হবে। তারাও শাস্তি পাবে একদিন। আর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কেউ যদি নাক গলাতে আসে, আমরা সেটা মেনে নেব না। বাংলাদেশ মানে নাই।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জনগণের অধিকার নির্বাচনের অধিকার; ভোটের অধিকার। আওয়ামী লীগ, আমরাই স্লোগান দিয়েছি—আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। আমরাই স্লোগান দিয়েছি—ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করব। আজকে আমরা ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি।
তিনি বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি। আর এই লক্ষ্য নিয়েই আমরা সামনে এগিয়ে যাব।
যারা নির্বাচন বানচাল করতে চায় তাদের বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এই দেশকে নিয়ে, দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে, তার জন্য সবাইকে সজাগ থাকার আমি আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, যে যেখানে আছেন, আগুন যারা দেয় বা যারা ক্ষতিগ্রস্ত করে, নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করে, ওদেরকে ধরিয়ে দিন। ওদের উপযুক্ত শাস্তি দিন।
বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আজকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয়, ওই বিএনপি-জামায়াত জোট মিলে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। মানুষ হত্যা শুরু করেছে। রেললাইনে মা-শিশুকে পুড়িয়ে মারে। রাস্তা-ঘাটে যেখানে-সেখানে আগুন দেয়। বাসে আগুন দিয়ে পোড়ায়। এই দুর্বৃত্তপরায়ণতা আমাদের বন্ধ করতে হবে।
এবার যারা প্রথমবারের ভোটার তাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, প্রথমবারের ভোট, এ ভোট যেন ব্যর্থ না হয়। তাই যারা নতুন ভোটার, শুধু কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া না, সারা বাংলাদেশের জন্য আমার আহ্বান; নতুন ভোটাররা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে সরকার গঠন করার সুযোগ করে দেবে। বাংলাদেশ যেভাবে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই উন্নয়নের পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করতে হবে। কারণ তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের অগ্রগতি। সেটাই আমরা বিশ্বাস করি।
নিজের নির্বাচনী এলাকার প্রার্থীদের কাছে ভোট চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা সব সময় আমাকে ভোট দিয়েছেন। আর আমার দায়িত্ব তো আপনারা নিয়েছেন। আমার নির্বাচন তো সব সময় আপনারাই করে দেন। আজকেও আমি আপনাদের কাছে এসেছি প্রার্থী হিসেবে। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেন। আমি সেটাই আপনাদের কাছে আবেদন করি।
জনসভা মঞ্চে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা। কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগেরা যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান হাজরা, সাবেক পৌর মেয়র শেখ কামাল হোসেন, অহিদুল ইসলাম হাজরা প্রমুখ। জনসভায় সঞ্চালক ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে থেকে সরে যাওয়ার কথা বলায় ট্রেনের চালককে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করেছেন কয়েক জন যুবক। এতে ট্রেনের একটি জানালার গ্লাস ভেঙে যায়।
নরসিংদী রেল স্টেশনে সিলেটগামী আন্তঃনগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের চালকের সঙ্গে তর্কে জড়ানোর জের ধরে মঙ্গলবার রাতে রেল স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এ ঘটনা ঘটে।
রেলওয়ে স্টেশন সূত্র জানায়, ট্রেনটি ঢাকার বিমানবন্দর রেল স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিলে ইঞ্জিনে চড়ে ভ্রমণ করতে চান নরসিংদীর পাঁচ তরুণ যাত্রী। ট্রেন চালক তাদের ইঞ্জিন থেকে নামিয়ে দিয়ে যাত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট বগিতে ভ্রমণ করতে বলেন। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে চালকের সঙ্গে তর্কে জড়ান এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। একপর্যায়ে তারা ইঞ্জিন থেকে নেমে যান। পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে ট্রেনটি নরসিংদী রেল স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে যাত্রাবিরতি দেয়। ওই সময় পাঁচ তরুণ ট্রেন চালকের সঙ্গে পুনরায় বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে তারা রেল লাইনের পাথর কুড়িয়ে চালক বরাবর ছুড়ে মারেন। এতে চালক বেঁচে গেলেও ট্রেনটির ইঞ্জিনের একটি জানালা ভেঙে গেছে। পরে তরুণরা পালিয়ে যায়।
নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির (ইনচার্জ) উপপরিদর্শক কার্তিক চন্দ্র রায় বলেন, ইঞ্জিনে চড়ে ভ্রমণ করতে বাধা দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে চালকের ওপর পাথর নিক্ষেপ করেন পাঁচ তরুণ। রেলওয়ে পুলিশ দৌড়ে তাদের ধরার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নরসিংদী রেল স্টেশনের মাস্টার ইমন খান বলেন, সিলেটগামী উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি এই স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয়। পাথর ছুড়ে মারার ঘটনায় ২০ মিনিট ট্রেনটি থেমে ছিল। পরে ১০টা ৫ মিনিটে ট্রেনটি আবার গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।