চলারপথে রিপোর্ট :
রিদপুরের আলফাডাঙ্গায় পাট কাটতে গিয়ে সাপের কামড়ে মো. ওয়াজ কুরুনী (২০) নামে এক কলেজছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
আজ ১৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার ভোররাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ওয়াজ কুরুনী উপজেলার বানা ইউনিয়নের রুদ্রবানা গ্রামের নেপুর মোল্যার ছেলে ও আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
এলাকা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বানা ইউনিয়নের রুদ্রবানা গ্রামের নেপুর মোল্যার ছেলে ওয়াজ কুরুনী ১৬ আগস্ট বুধবার দুপুরে বাড়ির পাশের বিলে পাট কাটছিলেন। এ সময় একটি বিষাক্ত সাপ তাকে কামড় দেয়। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন তাকে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে মৃত ঘোষণা করেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করে সংশিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. বাবার আলী জানান, ওয়েজ কুরুনীকে সাপে কাটলে আলফাডাঙ্গা হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীণ অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ভাবখন্ড গ্রামে সাপের কামড়ে বর্ষন মহন্ত (১১) নামের এক কিশোর মারা গেছে। ওই কিশোর ভাবখন্ড গ্রামের দেবাশীষ মহন্তের ছেলে। বৃহস্পতিবার তার লাশ দাহ করা হয়েছে।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে ওই কিশোরের বসতঘরের ভিতর মাটির গর্তের ভিতরে পা গেলে বিষধর সাপে কামড় দেয়। পরে তাকে পাশের আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্রেক্সে নিয়ে গেলে হাসপাতালে সাপের বিষের ওষুধ না থাকায় তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার বর্ষনের মরদেহ স্থানীয় শ্মশানে দাহ করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন আওয়ামী যুবলীগের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ ১১ নভেম্বর শনিবার। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের আজকের দিনে ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক যুব কনভেনশনের মধ্য দিয়ে যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে যুব নেতা শেখ ফজলুল হক মনি যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। ফজলুর হক মনি ছিলেন যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে দেশের যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই যুবলীগ সেই লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচন নিয়ে সংবিধান বা প্রচলিত আইনে যা আছে, তার বাইরে কোনো সংলাপ হতে পারে না বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তার মতে, সংবিধান ও আইন মেনে যদি কেউ নির্বাচনে আসে, তাহলে আলোচনারও প্রয়োজন থাকে না।
আজ ১৫ অক্টোবর রবিবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন। বাংলাদেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক ও সহিংসতামুক্ত জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে অর্থবহ সংলাপে বসতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনি পর্যবেক্ষক দল।
ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) ও ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) সমন্বয়ে গঠিত মার্কিন প্রতিনিধি দলটি গত সপ্তাহে বাংলাদেশ সফর করে। পাঁচ দিনের মিশন শেষে মার্কিন প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সরকার, রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশনসহ অংশীজনদের কাছে পাঁচটি সুপারিশ করেছে।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাকস্বাধীনতা, ভিন্নমতসহ বিভিন্ন সরকারের অবস্থান তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, তারা যে কথাগুলো বলেছেন, তার প্রায় সবই মেনে ফেলেছি। আরেকটি কথা, দেশে একটি সংবিধান আছে এবং সেই সংবিধানে বলা আছে নির্বাচন কিভাবে হবে। দেশে আইনও আছে। সংবিধান ও আইন মেনে নির্বাচন হবে। সংবিধানের বাইরে বা প্রচলিত আইনে যা আছে, তার বাইরে কোনো সংলাপ হতে পারে না। সংবিধান ও আইন মেনে যদি কেউ নির্বাচনে আসে, তাহলে কিন্তু আলোচনারও প্রয়োজন থাকে না।
‘গায়েবি’ মামলায় দ্রুত সাজা দিতে আইন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ শাখা খোলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আইন মন্ত্রণালয়ে একটি বিশেষ শাখা খোলা হয়েছে, যাদের কাজ হলো বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা ও গায়েবি মামলার তালিকা করে নির্দিষ্ট কিছু মামলার দ্রুতবিচার করে সাজা দিতে আদালতকে নির্দেশ দেওয়া। এ কাজ শুরু হয়েছে। এ অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি আশা করব বিএনপির মহাসচিব জেনেশুনে কথা বলবেন।
মামলা জটের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহবান আইনমন্ত্রীর
এদিকে রোববার দুপুরে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে একটি ওরিয়েন্টেশন কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এখানে তিনি বিচার বিভাগের দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত মামলাজটের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মেধা, দক্ষতা ও উদ্ভাবনী শক্তি দ্বারা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করার আহবান জানান। একই সঙ্গে তিনি বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষকে দ্রুত ও সহজে ন্যায়বিচার প্রদানের মাধ্যমে জাতিসংঘের এসডিজি ও সরকারের ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার আহবান জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের অভিযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ধাপে ধাপে সফলতার সাথে অগ্রসর হচ্ছে। প্রথম ধাপ রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের পথ ধরে এখন তার সরকার এসডিজি ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের পথে দুর্বার গতিতে অগ্রসর হচ্ছে। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যার দেখানো পথে ২০৪১ সালে আমরা অবশ্যই নতুন আরেক বাংলাদেশ দেখতে পাবো, যে বাংলাদেশ হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ-উন্নত বাংলাদেশ; আধুনিক ও উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার উপযোগী স্মার্ট বাংলাদেশ, যেখানে গড়ে উঠবে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ।
একটি জ্ঞানভিত্তিক উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিগত প্রায় দেড় দশক যাবৎ জ্ঞান অন্বেষণ, জ্ঞানচর্চা, জ্ঞানসৃষ্টি ও জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্র বৃদ্ধির লক্ষ্যে বহু যুগান্তকারী ও অভূতপূর্ব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে এবং এখনো করে যাচ্ছে বলে আনিসুল হক বক্তৃতায় উল্লেখ করেন।
আনিসুল হক বলেন, নব্য বিশ্বায়নের এ যুগে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারই জ্ঞান অন্বেষণ, জ্ঞানচর্চা ও জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্র বৃদ্ধির প্রধান মাধ্যম হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশ নামক নতুন এক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছে, যেখানে প্রবেশে কোনো শ্রেণি-ভেদ নেই, নতুন এই বাংলাদেশে প্রতিটি নাগরিকের সমান প্রবেশাধিকার রয়েছে। স্মরণ রাখা প্রয়োজন, বঙ্গবন্ধু কন্যা ২০৪১ সালে যে স্মার্ট বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, সেখানে জ্ঞানই হবে সবচেয়ে বড় শক্তি। যার জ্ঞান থাকবে স্মার্ট বাংলাদেশে সেই সমাজের উঁচু স্তরে পৌঁছে যাবে, তার বংশ পরিচয় যাই-হোক না কেন?
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যতবেশি দক্ষ হবেন, যিনি যত দ্রুত মানসম্পন্ন সেবা দিতে পারবেন, স্মার্ট বাংলাদেশে তিনি ততবেশি এগিয়ে যাবেন। সেই কারণে বিচারকদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী করে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া একটি দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের অন্যতম উপায় হলো সুষম মানবসম্পদ উন্নয়ন। আর মানবসম্পদ উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার হলো প্রশিক্ষণ। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতেও দরকার প্রশিক্ষণ।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) শেখ আশফাকুর রহমান বক্তৃতা করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস আজ। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘তামাক কোম্পানির কূটকৌশল প্রতিহত করি, শিশু সুরক্ষা নিশ্চিত করি।’ মূলত মানুষের সচেতনতার কারণেই এই দিবস পালন করা হয় পুরো বিশ্বে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, প্রতি বছর তামাক সেবনের কারণে ৮০ লাখের বেশি মানুষ মারা যায়।
সিগারেট, জর্দা নিয়মিত সেবন যেমন আপনার নিজের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, তেমনি আপনার আশপাশের মানুষ, বিশেষ করে শিশুর স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্যও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তামাক সেবন যে শুধু স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে তা নয়, পকেটের উপরও বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে। সিনেমা শুরু হওয়ার আগে যে বলা হয়, সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: ধূমপান ও তামাক সেবন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এমনকি সিগারেটের প্যাকেটেও লেখা থাকে নানা সতর্ক বার্তা। কিন্তু কে শোনে কার কথা। দিনদিন বেড়েই চলেছে ধূমপায়ী ও তামাক সেবনকারীর সংখ্যা।
তামাক মূলত হৃৎপিণ্ড, লিভার ও ফুসফুসকে আক্রান্ত করে। ধূমপানের ফলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (এমফাইসিমা ও ক্রনিক ব্রংকাইটিস সহ) ও ক্যানসার (বিশেষত ফুসফুসের ক্যানসার, প্যানক্রিয়াসের ক্যানসার, ল্যারিংস ও মুখগহ্বরের ক্যানসার) হতে পারে। তামাক সেবনের কারণে এসব রোগে বিশ্বে প্রতিবছর ৮ মিলিয়নের বেশি মানুষ মারা যায়। যার সংখ্যা ২০৩০ সালে আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য রাষ্ট্রগুলো বিশ্বব্যাপী তামাক সংকট এবং মহামারি দ্বারা সৃষ্ট রোগ ও মৃত্যুর প্রতিক্রিয়া হিসেবে ১৯৮৭ সালে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস তৈরি করেছিল। ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসেম্বলি ১৯৮৭ সালে ডব্লিউএইচএ৪০.৩৮ রেজোলিউশন পাস করে, ৭ এপ্রিলকে ‘বিশ্ব ধূমপানমুক্ত দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালে রেজোলিউশন ডব্লিউএইচএ৪২.১৯ সিদ্ধান্ত হয় যে ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালন করা হবে।
২০০৮ সালে, ডব্লিউএইচও তামাকের যে কোনো ধরনের বিজ্ঞাপন বা প্রচার নিষিদ্ধ করেছিল। বিশ্বের বৃহত্তম তামাক উৎপাদনকারী ও ভোক্তা দেশ চীনে আনুমানিক ৩০ কোটি মানুষ ধূমপায়ী। ২০১৪ সালে বিশ্বের মোট সিগারেটের ৩০ শতাংশ এরও বেশি উৎপাদিত এবং খাওয়া হয়েছিল চীনে। বিশ্বের মোট ধূমপায়ী মানুষের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের অর্ধেকেরও বেশি তামাকে আসক্ত। দেশটিতে প্রতি বছর এক কোটিরও বেশি মানুষ তামাক ব্যবহারে মারা যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সৌরভ হোসেন (২০) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ ১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বিনাই এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহত সৌরভ হোসেন ক্ষেতলাল উপজেলার আটিদাশড়া গ্রামে শহিদুল ইসলামের ছেলে।
(ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, সৌরভ উপজেলার বিনাই গ্রামে মোহাম্মদ আলী নামে এক ব্যক্তির নির্মাণাধীন ভবনে নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে কাজ করছিলেন। এ সময় অসাবধানতাবশত নির্মাণাধীন ভবনের পাশে গরুর সেডে বৈদ্যুতিক সংযোগকৃত ছেঁড়া তারের সঙ্গে জড়িয়ে গুরুতর আহত হন সৌরভ। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
২৪ জানুয়ারি বুধবার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাঙালির দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান একটি মাইলফলক ঘটনা।
এই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগিয়ে যায়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত বাঙালির মুক্তির সনদ ৬-দফা ভিত্তিক গণ-আন্দোলনের আদর্শকে ধারণ করে অগ্রসরমান সংগ্রামের পথপরিক্রমায় ১৯৬৯ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়নসহ প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেন এবং ১১-দফা দাবি ঘোষণা করেন। এই ১১-দফা দাবির মূল ভিত্তি ছিল বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ৬-দফা। ৬-দফা ভিত্তিক ১১-দফা দাবিতে ছাত্রসমাজের সমস্যাকেন্দ্রিক দাবি-দাওয়ার পাশাপাশি কৃষক ও শ্রমিকদের স্বার্থ সংক্রান্ত দাবিসমূহ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই আন্দোলনের অন্যতম প্রধান দাবি ছিল আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ রাজবন্দিদের মুক্তি।
৬-দফা এবং পরবর্তীতে ১১-দফা কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে সংঘটিত হয় ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান। ’৬৯-এর ১৭ জানুয়ারি ছাত্রনেতারা দেশব্যাপী সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মঘটের ডাক দিলে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোনেম খান ছাত্র আন্দোলন দমনের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেন। সরকারি নিপীড়নের প্রতিবাদে ২০ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ছাত্রসভা ও প্রতিবাদ মিছিলের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এ মিছিলে পুলিশের গুলিতে ছাত্রনেতা আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান (আসাদ) নিহত হলে আন্দোলন আরো তীব্র হয়। শহীদ আসাদের আত্মদানের পর ২১, ২২ ও ২৩ জানুয়ারি শোক পালনের মধ্য দিয়ে সর্বস্তরের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ২৪ জানুয়ারি অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়।
পাকিস্তানি সামরিক শাসন উৎখাতের লক্ষ্যে ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি সংগ্রামী জনতা শাসকগোষ্ঠীর দমন-পীড়ন ও সান্ধ্য আইন ভঙ্গ করে মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণে এদিন ঢাকায় সচিবালয়ের সামনের রাজপথে নবকুমার ইনস্টিটিউটের নবম শ্রেণির ছাত্র কিশোর মতিউর রহমান ও রুস্তম শহীদ হন। মানুষ আরো বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। গণঅভ্যুত্থানের প্রবল চাপে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অভিযুক্ত এবং নিরাপত্তা আইনে আটক ৩৪ জনকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় স্বৈরশাসক আইয়ুব খান।
এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি লাখো জনতার উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করা হয়। ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সামরিক স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের পতন ঘটে। এর পর থেকে ২৪ জানুয়ারি গণঅভ্যুত্থান দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।