চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে এসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মোহাম্মদ মিয়া চাঁন (৫৫) নামে এক বিএনপির নেতা মৃত্যুবরন করেছেন। আজ ১৯ আগস্ট শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাউতলী স্টেডিয়াম মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত মোহাম্মদ মিয়া চান উপজেলার চর-ইসলামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও চর-ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, জেলা বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচিতে যোগ দিতে মোহাম্মদ মিয়া চান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসেন। বেলা ১১টার দিকে মোহাম্মদ মিয়া চান একটি মিছিল নিয়ে কাউতলী স্টেডিয়াম মার্কেটের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি স্ট্রোক করেন। অচেতন অবস্থায় দলীয় নেতা-কর্মীরা তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বিজয়নগর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব লিটন মুন্সী জানান, কাউতলী থেকে নেতা-কর্মীরা পদযাত্রা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে যাওয়ার পথে কাউতলী স্টেডিয়াম মার্কেটের সামনে পৌছলে হঠাৎ করে তিনি স্ট্রোক করেন। পরে তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি বলেন, বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে চর-ইসলামপুর থেকে নৌকাযোগে দুই শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসেন মোহাম্মদ মিয়া। পরে কাউতলী থেকে পদযাত্রা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে যাওয়ার পথে কাউতলী স্টেডিয়াম মার্কেটের সামনে পৌছলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি অসুস্থ হন। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের নব নির্বাচিত সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।
আজ ১৭ আগস্ট শনিবার সকাল ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব হলরুমে এ দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং সিনিয়র সাংবাদিকরা উপস্থিতি ছিলেন।
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসিম উদ্দিন নব নিবাচিত সভাপতি জাবেদ রহিম বিজনের হাতে ফাইল তুলে বুঝিয়ে দেন।
নবাগত সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উভয় উভয়কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৬ মার্চ ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে ভারতের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি। শূন্য পদে গত ১৬ আগষ্ট শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট গ্রহন হয়। ভোটে মানব জমিনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টাফ রিপোর্টার জাবেদ রহিম বিজন বিজয়ী হয়।
প্রেস ক্লাব উপ-নির্বাচনের নির্বাচন কমিশনার, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার মো: ইকরামুল হক নাহিদ।
নির্বাচন তত্ত্বাবধান করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো: ইকবাল হোসেন।
নির্বাচনে জাবেদ রহিম বিজনের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ছিলেন স্থানীয় দৈনিক তিতাস কন্ঠের সম্পাদক সৈয়দ মিজানুর রেজা।
নির্বাচনে সদর মডেল থানা পুলিশ ছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা আর্মি ক্যাম্প ইনচার্জ সেনাবাহিনীর ৩৩ বীরের ওয়ারেন্ট অফিসার দিদারুল আলমের নেতৃত্বে সেনা সদস্যরা কিছু সময় দায়িত্ব পালন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
রাষ্ট্র পুনর্গঠন থেকে পিছিয়ে গেলে দেশ এবং দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আমরা যদি শুধু নিজেদের স্বার্থের জন্য তর্কে লিপ্ত থাকি, তাহলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার। আগামী দিনে সংসদ কীভাবে পরিচালিত হবে, সংসদের মেয়াদ কতদিন হবে, একজন মানুষ কতবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন-এমন বিভিন্ন বিষয় আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে সক্ষম। এগুলো নিয়ে আমরা মাত্রাতিরিক্ত আলোচনা করলে রাষ্ট্র পুনর্গঠন থেকে আমরা পিছিয়ে পড়ব। আর রাষ্ট্র পুনর্গঠন থেকে যদি আমরা পিছিয়ে যাই, তাহলে দেশ এবং দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আজ ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার আব্বাস উদ্দিন খান মডেল কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তারেক রহমান। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে আরো বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর জনগণের ভোট দেওয়ার কোনো উপায় ছিল না। জনগণের ভোট দেওয়ার ক্ষমতা অস্ত্রের বলে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। অস্ত্র দিয়ে আমরা দেখেছি কখনও ডামি নির্বাচন, কখনও আমরা দেখেছি ভোটারবিহীন নির্বাচন। সেকারণেই আমরা দেখেছি উন্নয়নের নাম করে লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে নিয়ে গেছে। কোনোরকম জবাবদিহিতা ছিল না বলেই দেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
তারেক রহমান আরো বলেন, ‘নির্বাচন অথবা বিচার ব্যবস্থা-প্রত্যেকটি ব্যবস্থাকে আবার পুনর্গঠন করতে হবে। রাষ্ট্রকাঠামোর এই পুনর্গঠন প্রক্রিয়া যত দ্রুত শুরু করা যাবে, আমরা তত দ্রুত দেশকে উন্নত করতে পারব। বিএনপি একমাত্র দেশকে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী গড়ে তুলতে সক্ষম হবে। এ সময় দেশ পুনর্গঠনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
জেলা বিএনপি’র আহবায়ক এডভোকেট আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো: সেলিম ভুইয়া, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো: মোস্তাক আহম্মেদ, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, বিএনপি’র কুমিল্লা বিভাগীয় সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সায়েদুল হক সাইদ, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহি কমিটির সদস্য শেখ মোঃ শামীম, সালাউদ্দিন শিশির, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও জেলা বিএনপি নেতা মোঃ কবির আহম্মেদ ভুইয়া প্রমুখ।
এদিকে দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর জেলা বিএনপির এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে জেলার সর্বত্রই ছিল উৎসবের আমেজ। সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিভিন্ন রং-বেরঙের ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসতে থাকে। দুপুর ১২টার আগেই দলীয় নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সমাবেশস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
হালদারপাড়াস্থ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় মিলনায়তনে সমন্বিত সাংস্কৃতিক পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাথে এক প্রতিনিধি সভা আজ মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তিতাস পাড়ে অভাবনীয় উন্নয়নের রূপকার, অসাম্প্রদায়িক চিন্তা চেতনার লেখক ও কলামিস্ট, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের জন্মের সাথে যুক্ত ছিলাম বলেই নিজের মধ্যে একটি আকাক্সক্ষা জাগে যে এ দেশটিকে কিভাবে সুন্দর করা যায়। সেই বোধ থেকেই রাজনীতিতে এসেছি। রাজনীতিও এখন আর আগের মত সহজ নয়। রাজনীতির সমীকরণ অনেক জটিল হয়ে গেছে। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে অনেক সমীকরণ নিয়ে মাঠে অনেক প্রার্থী থাকতে পারেন। আমি আবার চতুর্থবার আমার নিজ দল থেকে মনোনয়ন পেয়েছি। একজন নির্বাচিত সংসদ সদস্য হয়ে আমার সংসদীয় কর্মকালে আমি কতটুকু কি করেছি, তার বিচারভার সদর উপজেলা ও বিজয়নগরবাসীই ভালো করে জানবেন। আমি চেষ্টা করেছি এই দুটি উপজেলার অবকাঠামোগত উন্নয়ন, একই সাথে আইনশৃঙ্খলা সুরক্ষার মাধ্যমে সমাজে শান্তি সমুন্নতকরন, চাঁদাবাজি ভূমিদস্যুতা রাহাজানি, ছিনতাই মুক্ত জনপদ গড়ে তোলা। শিক্ষাঙ্গনে অনেক কিছুই করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়সহ নতুন নতুন কলেজ, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয় ইত্যাদি একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও গড়ে তোলা হয়েছে। পুরনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রায় প্রতিটিতেই একাধিক শিক্ষা ভবন গড়ে তোলা হয়েছে। মানসম্মত শিক্ষার ব্যাপারে আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিল এবং আগামীতেও থাকবে ইনশাল্লাহ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জনপদ ঐতিহ্যগতভাবেই একটি উদার সংস্কৃতিচর্চার একটি সমৃদ্ধ জনপদ। দীর্ঘকাল থেকেই এখানে অসাম্প্রদায়িক চেতনা সমুন্নত ছিল। কিন্তু হাল আমলে আমাদের এই সংস্কৃতি চর্চাকে অবদমিত করার জন্য অনেক প্রচেষ্টাই এখানে সংঘটিত হয়েছে। মানুষের ঐক্যবদ্ধ অসাম্প্রদায়িক চেতনার কাছে এসব প্রচেষ্টা পরাভূত হয়েছে। আবারো যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়িক চেতনার সংস্কৃতিবান্ধব সরকার যদি ক্ষমতায় না আসে তবে তার প্রাথমিক ধাক্কা সংস্কৃতি কর্মীদের উপরই বর্তাবে। তাই আমি মনে করি, অসাম্প্রদায়িক চেতনার যে ধারা বর্তমানে বহমান আছে আগামীতেও তা যেন অব্যাহত থাকে সেজন্য সংস্কৃতি কর্মীদেরকে দায়িত্বশীল হয়ে ভোটের মাঠে কাজ করতে হবে। এলাকার উন্নয়নধারা অব্যাহত রাখতে আবারো নৌকাকে জয়যুক্ত করুন।’ ২৯টি সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘সমন্বিত সাংস্কৃতিক পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন প্রতিনিধি সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় সমন্বিত সাংস্কৃতিক পরিষদের উপস্থিত সকল সদস্যবৃন্দ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর পক্ষে সকল শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঈদ আনন্দ হউক সবার- এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নানা শ্রেণী পেশার ৫ শতাধিক পরিবারের মাঝে প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ২ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো: হাবিবুর রহমান। ঈদ সামগ্রীর মধ্যে ছিল চাউল ৫ কেজি, আটা ২ কেজি, তেল ১ লিটার, পোলার চাউল, মুসুর ডাল, লবন, চিনি, সেমাই, ট্যাংসহ ১০ ধরণের খাদ্য সামগ্রী। মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি এইচ.এম জাকারিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: ইকবাল হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসীম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ এনায়েত হোসেন মিঠু।
এ সময় বক্তারা বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারো মানবিক ডাকে সাড়া দিয়ে মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশন যে উদ্যোগ নিয়েছে তা অনুকরণীয়। সমাজের বিত্তবানরা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এগিয়ে এলে সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
প্রসঙ্গত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের প্রয়াত সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামির সহযোগিতায় গড়ে উঠা এ সংগঠনটি ১১ বছর ধরে এ মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘আমার জীবন আমার সম্পদ, বীমা করলে থাকবে নিরাপদ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ ০১ মার্চ বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় বীমা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সকালে জেলা প্রশাসকের অফিস প্রাঙ্গণ থেকে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের নেতৃত্বে একটি র্যালি বের হয়ে শহরের কাউতলী মোড় প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের অফিস প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়।
পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় বীমা দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও জীবনবীমা করপোরেশনের ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান, ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর ইনচার্জ মোহাম্মদ আরজু, ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর এরিয়া প্রধান মোঃ মিজানুর রহমান, ফারইষ্ট লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর ইনচার্জ মোঃ তাজুল ইসলাম, পপুলার ইন্সুরেন্স কোমপানীর ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান,সানফ্লাওয়ার লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর ইনচার্জ মোঃ আবুল বাশার প্রমুখ।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা ও জনগণের আগ্রহ ও বিশ্বাস সৃষ্টির মাধ্যমে বীমা কোম্পানী গুলোকে কাজ করতে হবে।
সভায় জাতীয় বীমা কোম্পানী গুলোর পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম কে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।