চলারপথে রিপোর্ট :
মহান স্বাধীনতার স্থপতি, সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জেলা পুলিশের উদ্যোগে আজ ১৯ আগস্ট শনিবার সকালে চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগীতা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা পুলিশ লাইনসে অনুষ্ঠিত চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগীতা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ.এস.এম শফিকুল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
তিনটি গ্রুপে ভাগ করে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। “ক” গ্রুপে প্লে থেকে ৩য় শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা “রং তুলিতে বঙ্গবন্ধু”, “খ” গ্রুপে চতুর্থ শ্রেনী থেকে পঞ্চম শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা “শোকাবহ আগস্ট” এবং “গ” গ্রুপে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা “বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ” বিষয়ের উপর চিত্রাঙ্কন করে। তিনটি গ্রুপে ২৭১ জন আঁকিয়ে অংশ গ্রহন করে। ছবি আঁকার জন্য আঁকিয়েদেরকে ১ ঘন্টা সময় দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শিশুদের নিয়ে এই আয়োজন। শিশুরা বঙ্গবন্ধুকে চিনবে, বঙ্গবন্ধুর ত্যাগের ইতিহাস ও স্বাধীনতার ইতিহাস জানবে। এই প্রজন্ম যেনো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর দর্শনে বলিয়ান হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে ভূমিকা রাখতে পডারে ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করতে পারে সেজনই আজকের এই আয়োজন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ শাহগীর আলম বলেন, ছোট শিশুরা এসেছে বঙ্গবন্ধুকে ধারন করতে, বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও তাঁর আদর্শকে ধারন করতে। বাচ্চারা বঙ্গবন্ধুকে ধারন করতে পেরেছে এটাই আমাদের অর্জন। আমাদের প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকে মিস করেছে, কিন্তু বর্তমান প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস জানতে পারছে। তিনি প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করার জন্য শিশুদেরকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগীতার আয়োজন করার জন্য তিনি জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ জানান।
আলোচনা সভা শেষে অতিথিগণ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের আর্থিক সহযোগিতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট এবং স্বনির্ভর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যৌথ আয়োজনে শিক্ষার্থীদের মাঝে গুজব প্রতিরোধে সেমিনার ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
সকালে শহরের সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে স্বনির্ভর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী পরিচালক ও জেলা এনজিও সমন্বয়কারী এস এম শাহীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ বদিউজ্জামান ভূইয়া, মাইটিভি জেলা প্রতিনিধি আ ফ ম কাউসার এমরান, সাংবাদিক মোহাম্মদ আরজু, সাকমিড এর প্রোগ্রাম অফিসার ইয়াসিন আহমেদ জিবু উপস্থিত ছিলেন।
পরে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে প্রায় ১৩০০ বন্দীর মাঝে উন্নত খাবার পরিবেশন করা হয়েছে।
১৪ এপ্রিল রবিবার দুপুরে গৃহায়ন ও গণপূর্ত র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির পক্ষ থেকে এই খাবার বিতরণ করা হয়।
খাবারের মধ্যে ছিল পোলাও, গরুর মাংস, মুরগির ফ্রাই ও মাংস, বিভিন্ন ধরনের ভর্তা, সালাদ ও তরমুজ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- জেল সুপার মো. শহিদুল ইসলাম, কারা পরিদর্শক এম সাইদুজ্জামান আরিফ, কারা পরিদর্শক অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলামসহ কারাগারে অন্যান্য কর্মকর্তারা।
জেল সুপার মো. শহিদুল ইসলাম জানান, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রীর পক্ষ থেকে কারাগারে বন্দীদের মাঝে উন্নত খাবার পরিবেশন করেছেন। এরমধ্যে পুরুষ ছাড়াও নারী-শিশু ছিল। মানবিক দিক বিবেচনা করে তিনি এই উদ্যোগ নিয়েছেন। উনার পক্ষ থেকে আমরা এসব বিতরণ করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শেখ রাসেলের ৬০ তম জন্মদিন উপলক্ষে শেখ রাসেল দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ ১৮ অক্টোবর বুধবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের নেতৃত্বে একটি র্যালি বের হয়।
র্যালি শেষে শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর বারী চৌধুরী মন্টুসহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নেতৃবৃন্দ পুষ্প স্তবক অর্পণ করে।
পরে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি জিয়াউল হক মীর।
সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম মাহমুদুর রহমান, সিভিল সার্জন মোঃ একরাম উল্লাহ, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুদল কুদদুছ, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ এস এম সফিকুল্লাহ, জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সহ-সভাপতি হাজী মোঃ হেলাল উদ্দিন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যাস লায়ন ফিরুজুর রহমান ওলিও, মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহ, ওয়াছেল সিদ্দিকী প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি অনষ্ঠানের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জয় স্মার্ট সার্ভিস এন্ডএমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
সভায় জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। সভায় বিভিন্ন প্রতিযোগীতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন দিনব্যাপী জাতীয় পিঠা উৎসব শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্প একাডেমীর ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা চত্বরে আজ ৩১ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকালে পিঠা উৎসব উদ্বোধন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম মাহমুদুর রহমান ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শামসুর রহমান।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এস আর ওসমানগনি সজীব।
উৎসবে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের ১৬টি স্টল বাহারী রকমের পিঠা প্রদর্শন করে।
অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পকলা একাডেমী সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ১৮জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শুরু হবে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন। এ বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঁচ লাখের বেশি শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সি শিশু সংখ্যা চার লাখ ৬২ হাজার ২৮৯ জন এবং ৬ থেকে ১১ মাস বয়সি শিশুর সংখ্যা ৫৫ হাজার ২৬৫ জন।
আজ ১৪ জুন বুধবার সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মিলনায়তনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ এই তথ্য জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৯টি উপজেলা ও একটি পৌর এলাকার (ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা) মোট ৩০৬ টি ওয়ার্ডের ২হাজার ৪৩৩টি কেন্দ্রে ১৮জুন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একযোগে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু হবে। এ সব কেন্দ্রে ৪১২জন স্বাস্থ্য সহকারি, ৯৬জন এ.এইচ.আই এবং ৪ হাজার ৮৬৬জন স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি বলেন, ক্যাপসুলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। ক্যাম্পেইন নিয়ে কেউ যাতে কোন ধরনের গুজন ছড়াতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য সাংবাদিকদের আহবান জানান।
প্রেসব্রিফিং প্রদর্শন করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মুনতাসির মনসুর।
বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম, মফিজুর রহমান লিমন, নজরুল ইসলাম বিল্লাল প্রমুখ।