চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের ঘন্টাব্যপি সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১৫জন আহত হয়েছে। উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আখিতারা গ্রামে আজ ২০ আগস্ট রবিবার সকাল ১১টায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত রাতে আখিতারা বাজারে চায়ের দোকানে আখিতারা গ্রামের মো, আব্বাস উদ্দিন এর ছেলে মামুন খান ও একই এলাকার মো, আরব আলীর ছেলে মাহমুদের বাক-বিতন্ডা হয়। এর জের ধরে সকালে দু’পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
ঘন্টাব্যাপী চলমান সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন লোক আহত হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের স্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ও মাহে রমজানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সেক্টর সদর দপ্তর, সরাইল ও সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর ব্যবস্থাপনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দুঃস্থ ও দরিদ্র জনগণের মাঝে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ৮ এপ্রিল সোমবার বিকালে উপজেলার চাউরা কবি সানাউল হক ডিগ্রী কলেজ মাঠে ১০০টি দরিদ্র পরিবারের মাঝে এ ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সরাইল ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সৈয়দ আরমান আরিফ, পিএসসি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিঙ্গারবিল ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ভুইঁয়া, মেম্বার মামুন চৌধুরী, চাউরা কবি সানাউল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি আসাদুল হক শিপন, সিনিয়র শিক্ষক আবু সালেহসহ, সরাইল ২৫ ব্যাটালিয়নের অন্যান্য অফিসার ও সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
খাদ্য সামগ্রী মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, চিনি, সয়াবিন তৈল ও আলু এবং ইফতার ও রাতের খাবার।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সব সময়ই সমাজের দরিদ্র ও বিপন্ন মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এবং ভবিষ্যতেও আমাদের এই কাযক্রম অব্যাহত থাকবে বলে বিজিবির পক্ষে থেকে জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন সরাইল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু।
আজ ২১ এপ্রিল রবিবার দুপুরে সরাইল সদরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন।
এ সময় উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডি এম দুলালসহ উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এডভোকেট নুরুজ্জামান জানিয়েছেন, তারেক রহমানের নির্দেশ ও বিএনপির কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া বিএনপির অপর নেতাকর্মীরাও দলকে ভালোবেসে হাই কমান্ডের নির্দেশ বাস্তবায়নে অতি দ্রুতই এই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন বলেও জানান তিনি।
জানা যায়, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এডভোকেট তপু মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
২২ এপ্রিল সোমবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার তারিখ। একদিন আগেই রবিবার তিনি সংবাদ সম্মেলন ডেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) সংসদীয় আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. রেজাউল ইসলাম ভূইয়াকে ওই এলাকার বহিরাগত ও মুসাফির বলা হচ্ছে অন্য প্রার্থীদের পক্ষ থেকে। এর জবাব দিয়েছেন রেজাউল ইসলাম।
৪ জানুয়ারি বুধবার বিকেলে সরাইলে অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী জনসভায় তিনি জানান, সরাইলে তাঁর বাড়ি আছে, জমি আছে। যেহেতু কথা উঠেছে সেহেতু জয়ী হতে পারলে সরাইলে একটি মুসাফিরখানা করা হবে। ওই মুসাফিরখানায় থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য, রেজাউল ইসলামের শ্বশুরবাড়ি সরাইল উপজেলায়। তাঁর পৈতৃক বাড়ি জেলার সরাইল উপজেলার কোড্ডা গ্রামে। তবে এ আসনে প্রার্থী হয়েছেন রেজাউল ইসলামের শ্বশুর, জাতীয় পার্টির নেতা সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা।
রেজাউল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসন থেকেও মনোনয়ন চেয়েছিলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে প্রথমে দলের নেতা আব্দুল হামিদ ভাসানীকে মনোনয়ন দেয় জাতীয় পার্টি। পরে দলটির প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয় অতিরিক্ত মহাসচিব রেজাউল ইসলামকে। জাতীয় পার্টির সঙ্গে আসন ভাগাভাগির সমঝোতায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে হয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. শাহজাহান আলম সাজুকে।
এ অবস্থায় শ্বশুর-জামাইয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েন জাতীয় পার্টির নেতারা।
এদিকে জনসভায় রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘কিছুদিন আগে সরাইলে একজনের বাসায় লাঞ্চ করেছিলাম। আমাকে বলা হলো মুসাফির। আল্লাহর দুনিয়ায় সবাই মুসাফির। সেই হিসেবে এটা মেনে নিলাম।
তবে আমি বহিরাগত না। আমার জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। কিন্তু সরাইলে আমার বাড়ি আছে, জমি আছে। হলফনামায়ও এটা উল্লেখ করছি আমি। আর যেহেতু আমাকে মুসাফির বলা হয়েছে সেহেতু আমার জায়গায় একটি মুসাফিরখানা করব। তিনতলা ভবন করে এক ও দুই তলা মুসাফিরদের জন্য রাখব। এখানে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। শুধু এলাকার মানুষ না, বাইরের মানুষও এ সেবা পাবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন ২০২৩ উপলক্ষে সরাইলে প্রার্থীদের নিয়ে উদ্বুদ্ধকরণ ও মতবিনিময় সভা আজ ৩০অক্টোবর সোমবার দুপুর ১২টায় সরাইল উপজেলা সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
সরাইল উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উদ্বুদ্ধকরণ ও মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো.শাহগীর আলম।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহিদ খালিদ জামিলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিনসুলতানা, সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো.শাহগীর আলম তিনি বলেন, নির্বাচন শতভাগ অবাধ,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।ভোটাররা নির্বিঘ্নে তার ভোট প্রয়োগ করবে। তিনি বলেন,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাচনের দিকে সারা দেশের নজর রয়েছে। এখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টিম সব সময় সজাগ থাকবে। তিনি বলেন,১৭টি ইউনিয়নের ১৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।প্রার্থীদের সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ থাকলে। আমাদেরকে লিখিত ভাবে জানাবেন আমরা ব্যবস্থা নিবো।কেউ যদি ইচ্ছাকৃত বিতর্কিত করতে চান তাহলে আমরা হার্ড লাইনে থাকবো। এসময় প্রার্থীদের উদ্দেশ্য করে জেলা প্রশাসক বলেন,আপনারা বলেছেন নির্বাচন ১৬ আনা’ না’ তিনি বলেন, ৩২ আনা সঠিক নির্বাচন হবে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, সাবেক এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী এড: জিয়াউল হক মৃধা, জাতীয় পার্টি’র মনোনীত প্রার্থী মো: আব্দুল হামিদ ভাসানী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী রাজ্জাক হোসেন, নোয়াগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনসুর হোসেন, ইউপি সদস্য মো. সরুজ মিয়া প্রমুখ। জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যম কর্মিসহ উপস্থিত ছিলেন।