চলারপথে রিপোর্ট :
একশত পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার গভীর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের বিজেশ্বর গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন বিজেশ্বর গ্রামের মোঃ আহাদ (২৮), একই গ্রামের নাঈম ওরফে কালু (২০) ও ইফতেখার মিয়া ওরফে রবিন-(২২)।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদেরকে কাছ থেকে ১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ রবিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিখোঁজের চারদিন পর মো. তারু মিয়া (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ২৭ এপ্রিল শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের বুধল উত্তর পাড়ায় বাড়ির পার্শ্ববর্তী ডোবা থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সে বুধল উত্তর পাড়ার তিনু মিয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন জানান, বৃদ্ধ তারু মিয়া গত ২৪ এপ্রিল রাতে বুধল বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন। তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি। পরে ২৬ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার পরিবারের সদস্যরা। আজ দুপুরে বাড়ির পাশের ডোবায় একটি মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠায়। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সারাদেশে চলমান ধর্ষণ, ছিনতাই ও ডাকাতিসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে জেলার সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ, ইউনাইটেড কলেজ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজসহ সর্বস্তরের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।
সকাল ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে দুপুর ১টা পর্যন্ত মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে তারা। সারা দেশব্যাপী ধর্ষণকারী, ডাকাত ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকার ও প্রশাসনের নিকট দাবির পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে শিক্ষার্থীদের শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে শহর।
মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী ফাহিম মুনতাসির, মুনিয়া মাহিন অতিথি, জয়ন্তী বিশ্বাস, ফাইজান হাসনাত, তাসিন আরাফাত, নিশাত তাসনিম চৌধুরী, ওমর ফারুক প্রমূখ। বক্তারা বলেন, আবু সাইদ ও মুগ্ধদের রক্তের বিনিময়ে এই নতুন স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জিত হয়েছে। অথচ সরকার ও প্রশাসন দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। যে কারণে সারাদেশে ধর্ষণ, ডাকাতি, ছিনতাই ও হত্যার মতো ঘটনা অতিতের চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় আমরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবী করছি। এ অবস্থায় ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত করাসহ এসব অপরাধের সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা। অন্যথায় আগামীদিনে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শেখ রাসেলের ৬০ তম জন্মদিন উপলক্ষে শেখ রাসেল দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ ১৮ অক্টোবর বুধবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের নেতৃত্বে একটি র্যালি বের হয়।
র্যালি শেষে শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর বারী চৌধুরী মন্টুসহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নেতৃবৃন্দ পুষ্প স্তবক অর্পণ করে।
পরে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি জিয়াউল হক মীর।
সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম মাহমুদুর রহমান, সিভিল সার্জন মোঃ একরাম উল্লাহ, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুদল কুদদুছ, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ এস এম সফিকুল্লাহ, জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সহ-সভাপতি হাজী মোঃ হেলাল উদ্দিন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যাস লায়ন ফিরুজুর রহমান ওলিও, মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহ, ওয়াছেল সিদ্দিকী প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি অনষ্ঠানের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জয় স্মার্ট সার্ভিস এন্ডএমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
সভায় জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। সভায় বিভিন্ন প্রতিযোগীতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, অতীতের মত ব্যক্তি স্বার্থে জেলাপরিষদ থেকে কোন প্রকল্প গ্রহণের সুযোগ নেই। পরিষদ সভায় হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে অস্বীকারকারী কয়েকজন সদস্যকে উদ্দেশ্য করে, তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনায় ‘গ্রাম হবে শহর’ শীর্ষক গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে জেলাপরিষদ নিষ্টার সাথে দায়িত্ব পালন করবে।
আজ ১৯ মার্চ রবিবার জেলাপরিষদ সম্মেলন কক্ষে জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার এর সভাপতিত্বে এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজুর রহমান ওলিও, উপজেলা চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন আহম্মদ, উপজেলা চেয়াম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, উপজেলা চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী, উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, পৌরমেয়র মোঃ গোলাম হাক্কানী, মেয়র শিব শংকর দাস, মেয়র মোঃ তফাজ্জল হোসেন, নির্বাচিত সদস্যদের মধ্যে প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল আজিজ, সামছুল কিবরিয়া রাজা, প্যানেল চেয়ারম্যান (২) মোঃ নাছির উদ্দিন, প্যানেল চেয়ারম্যান (৩) সনি আক্তার, রুমানুল ফেরদৌসী এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসিরনগর, আশুগঞ্জ, বিজয়নগর, কসবা ও বাঞ্ছারামপুর প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি সহ বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প গৃহীত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হত্যা মামলায় তিন আসামির যাবজ্জীবন ও তিনজনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ ৯ জুন রবিবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক আব্দুল হান্নান এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, সদর উপজেলার উত্তর পৈরতলার দাড়িয়াপুর গ্রামের কানু দাসের ছেলে কাজল দাস (৩৯), রঞ্জন দাসের ছেলে জুনু দাস (৩৮) ও অশ্বিনী দাসের ছেলে অভিরাম দাস (৩৬)।এছাড়া কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, একই গ্রামের রঞ্জন দাসের ছেলে জুয়েল দাস (৩৯), হীরালাল দাসের ছেলে স্বপন কুমার দাস (৪৪) ও হরি দাসের ছেলে অশ্বিনী দাস (৭৬)। রায় ঘোষণার সময় শুধু স্বপন কুমার দাস উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৮ সালের ১৬ জুন রাতে নিখোঁজ হন শহরের উত্তর পৈরতলার সের আলী মিয়ার ছেলে মো. নাঈম। ১৮ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে স্বজনরা। পরে ২৩ জুন উত্তর পৈরতলা-কালিসীমা সড়কের সেতুর নিচ থেকে নাঈমের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে নাঈমের চাচা আলী মিয়া বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশ চার্জশিট দেন। কিন্তু আসামি পক্ষ নারাজি দিলে মামলাটি সিআইডিতে অধিকতর তদন্তের জন্যে স্থানান্তর করা হয়। পরে তদন্ত শেষে সিআইডি ২০১০ সালের ২৯ জুলাই ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন। ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর আদালত চার্জ গঠন করে। আদালত এ মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন ও তিনজনকে সাতবছর করে কারাদণ্ড দেন। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রকিব আহাম্মদ তুরান বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি।
তবে, বিবাদী পক্ষের আইনজীবী মো. রাকিব আহমেদ বলেন, মামলার জবানবন্দিতে নিজেদের না জড়িয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। কোনো সাক্ষী আসামির নাম বলতে পারেননি। এ রায়ে ন্যায় বিচার বিঘ্নিত হয়েছে।