চলারপথে রিপোর্ট :
অপহরনের দুইদিন পর টেম্পু বেপারী (২৬) নামে এক যুবককে উদ্ধার ও তিন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার রাতে গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় অপহরণকারীদের কাছ থেকে মুক্তিপন বাবদ নেয়া নগদ ১ লাখ টাকাও উদ্ধার করা হয়।
আজ ২০ আগস্ট রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানা পুলিশ।
উদ্ধারকৃত টেস্পু বেপারী জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার পলবান্ধা বেপারীপাড়ার মোঃ আবদুস সালাম বেপারীর ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাউতলী গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন ও তিনি ট্রেনসহ বিভিন্ন এলাকায় হকারি করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন কসবা উপজেলার বাদৈর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে মোঃ ফারুক মিয়া (৪৫), একই উপজেলার কুইয়াপানিয়া গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে জাহের মিয়া ওরফে বোচন (৫৫) ও খিদিরপুর গ্রামের হান্নান মিয়ার ছেলে মাহবুবুর রহমান (২৬)।
পুলিশ জানায়, গত ১৭ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাউতলী ব্রীজের উপর থেকে টেম্পু বেপারীকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। পরে অপহরণকারীরা টেম্পু বেপারীর পরিবারের সদস্যদের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করেন। মুক্তিপনের টাকা না দিলে তাকে হত্যার হুমকি দেয় অপহরণকারীরা। অপহরণকারীদের কথামতো টেম্পু মিয়ার পরিবারের সদস্যরা বিকাশের মাধ্যমে ১ লাখ টাকা মুক্তিপন পাঠায় ও বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে।
পরে পুলিশ গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার গভীর রাতে কসবা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে টেম্পু মিয়াকে উদ্ধার ও তিন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে। এ সময় টেম্পু মিয়ার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে নেয়া মুক্তিপনের ১ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় কসবা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত যুবককে উদ্ধার করা হয়। এ সময় মুক্তিপন নেয়া নগদ এক লাখ টাকাসহ তিন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত তিন অপহরণকারী কসবার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কসবাসহ বিভিন্ন থানায় ৮/১০টি করে মাদকের মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা পৌরসভার পুরাতন বাজার এলাকায় আজ ১৩ মে মঙ্গলবার দুপুরে বড় পরিসরের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ফুটপাতে গড়ে ওঠা প্রায় দুই শতাধিক দোকানপাট উচ্ছেদ করে।
উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ছামিউল ইসলাম। উচ্ছেদ অভিযানে সাথে ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুর রহমান নাহিদ, কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল কাদের এবং সেনা সদস্যরা। স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিরা জনগণের চলাচলের জন্য ফুটপাত উচ্ছেদ উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
দোকানদারের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে পরিবার-পরিজনের ভরণপোষণ ফুটপাতের এ দোকান থেকেই চলছিল। হঠাৎ করে উচ্ছেদ হওয়ায় তারা চরম বিপাকে পড়েছেন।
প্রশানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে পৌরসভার শৃঙ্খলা রক্ষার্থে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তবে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ার কথাও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
আলোচিত ফারুক চৌধুরী হত্যা মামলার স্বাক্ষী আজারুল ইসলাম হৃদয় (২৬) কে পিটিয়ে আহত করেছে হত্যা মামলার আসামীরা। ৮ মার্চ বুধবার রাত ৯টায় কসবা পৌর এলাকার শাহপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আজারুলের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই আহতের চাচা মোঃ শাহ আলম চৌধুরী বাদী হয়ে আনোয়ার হোসেন আনার (৪৫)কে প্রধান আসামী করে ৮ জনের বিরুদ্ধে কসবা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ ও আহত আজারুল ইসলামের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে শাহপুর গ্রামের চাচার বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে ফারুক চৌধুরী হত্যা মামলার আসামীরা তার পথরোধ করে তাকে রড, লাঠি ও দা দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তার চিৎকারে পথচারীরা ও আশপাশের লোকজন তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত আজারুল ইসলামের মা আছিয়া বেগম জানান, আসামীরা হাইকোর্ট থেকে জামিনে এসে তার স্বামী ফারুক চৌধুরী হত্যা মামলা তুলে নেয়ার জন্য জন্য বাদীকে হুমকী-ধামকী দিয়ে আসছে। গত বুধবার তারা তার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেদম মারধোর করে আহত করে। এ অবস্থায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
উল্লেখ্য ২০২০ সালের ১৩ এপ্রিল বেলা ১১ টায় ফারুক চৌধুরী স্থানীয় একজনের নামাজে জানাজা শেষে বাড়ি ফেরার পথে আসামীরা তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মোঃ শাহ আলম চৌধুরী বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি জেলা অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) তদন্তনাধীন রয়েছে। এই হত্যা মামলার প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী হলেন ফারুক মিয়ার ছেলে আজারুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, এই বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। আমরা আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।
উল্লেখ্য, নিহত ফারুক চৌধুরী দৈনিক যায়যায়দিনের কসবা প্রতিনিধি মোঃ শাহ আলম চৌধুরীর ছোট ভাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ট্রেনের ধাক্কায় তানজিল মিয়া (২৫) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। ২৮ মে মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার নোয়াপাড়া রেল ক্রসিংয়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তানজিল পার্শ্ববর্তী নবীনগর উপজেলার কাইতলা গ্রামের মৃত আনিসুর রহমান জুয়েল মিয়ার ছেলে। এসময় অপর দুই আরোহীকে গুরুতর অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন- জেলা কসবা উপজেলার পৌর এলাকার আড়াইবাড়ী গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে অলি মিয়া (২৫) ও একই গ্রামের বিল্লাল মিয়ার ছেলে খাইরুল ইসলাম ওরফে শাওন (২৫)।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তানজিল মিয়া, অলি মিয়া ও খাইরুল ইসলাম ওরফে শাওন তারা তিন বন্ধু। মঙ্গলবার বিকালে একটি মোটরসাইকেল নিয়ে তিনজনই ঘুরতে বের হয়েছিলেন। তারা গোপীনাথপুর ইউনিয়নের বাগানবাড়ি এলাকায় গিয়েছিলেন। রাত আটটার দিকে ফেরার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের কসবা উপজেলার নোয়াপাড়া রেলক্রসিংয়ে ট্রেন আসছে দেখেও দ্রুত পার হওয়ার সময় চট্টগ্রামগামী চট্টলা ট্রেনের সাথে সজোরে ধাক্কা লাগে। এতে তিনজনই মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে তিনজনকেই উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তানজিল মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত দু’জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুরুতর অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
পরিবার জানায়, তানজিল মিয়া দুবাই প্রবাসী। এক মাস আগে ছুটিতে দেশে এসে বিয়ে করেন। আহত অলি মিয়া আগামী ১ জুন সৌদি আরবে যাওয়ার কথা। খাইরুল ইসলাম শাওন ব্যবসা করেন।
কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. আজিজ আল মান্না বলেন, ট্রেনের ধাক্কায় তিনজনই মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তানজিল মিয়া হাসপাতালে আনার আগেই মারা যায়। আহতদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন খন্দকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ট্রেনের ধাক্কায় একজন মারা গেছে। দুইজন গুরুতর আহত হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ঘনিষ্ঠ আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. আব্দুর রশিদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ১৪ জুলাই সোমবার বিকেলে তার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের। এর আগে গতকাল রবিবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কসবা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী শামীমের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার আব্দুর রশিদ মেহারী ইউনিয়নের শিমরাইল সাতপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং মুসলিম মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত।
এ বিষয়ে কসবা থানার ওসি মো. আব্দুল কাদের বলেন, মেহারী ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সম্প্রতি সহিংসতা হয়। সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে যে মামলা করেছেন, সেখানে ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ অন্যতম আসামি। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শোনা যাচ্ছে তিনি আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।