চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ২ মাস আগে হত্যার শিকার এক গৃহবধু হত্যা মামলা ১১ লাখ টাকায় আপোষ মিমাংসা হয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল রবিবার বিকালে আখাউড়া পৌরসভা ভবনের ৩য় তলায় বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন পৌর কাউন্সিলর ও সালিশকারকের উপস্থিতিতে এক সভায় বিষয়টির আপস মিমাংসা হয়।
পৌর মেয়রের বড় ভাই দানিস খলিফার সভাপতিত্বে সভা সঞ্চালনা করেন ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শিপন হায়দার। বিকাল ৪টায় শুরু হয়ে সভা শেষ হয় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।
সালিশ সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র এনামুল আহসান খাদেম, বাবুল মিয়া, পৌর কাউন্সিলর জান্নাত হোসেন ঈশান, সাবেক কাউন্সিলর আতিকুর রহমান, কাজী লিটন খাদেম, রফিকুল ইসলাম শিশু, মোঃ তাজুল ইসলাম, ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি কাদির মোল্লা, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ মানিক মিয়া।
সভা শেষে ১৬ জনের একটি জুড়ি বোর্ড গঠন করা হয়। ওই জুড়ি বোর্ড নিহতের পরিবারকে ১১ লাখ টাকা দেয়ার রায় ঘোষণা করেন। আসামী পক্ষ তাৎক্ষনিক ২ লক্ষ টাকা সালিশ বোর্ডে জমা দেয়।
এদিকে হত্যা মামলা সালিশের মাধ্যমে শেষ হওয়া নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
গত ২২ জুন সকালে কথাকাটির জেরে আখাউড়া পৌরশহরের ৭নং ওয়ার্ডের চন্দনসার এলাকার সোমা আক্তার (২৭) নামে ওই গৃহবধুকে বেদম মারধর করে একই এলাকার আরিফ হাসান জিকু ও তার পরিবারের লোকজন। পরদিন শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত সোমা আক্তার চন্দনসারের জাকির হোসেন টিপু’র স্ত্রী। তার ৫ বছরের একটি মেয়ে ও ২ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। এ ঘটনায় সোমা আক্তারের পিতা মোঃ সেলিম মিয়া বাদী হয়ে আরিফ হাসান জিকুসহ তার পরিবারের ৪ জনকে আসামী করে আখাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ জিকুর মা হোসনে আরা বেগম (৫৫) কে আটক করে। বাকী আসামীরা এখনও পলাতক রয়েছে।
৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র এনামুল আহসান খাদেম, উভয় পক্ষের সম্মতিতে সালিশ বৈঠকে সোমা আক্তার হত্যার ঘটনাটি মিমাংসা করেছি। নিহতের পরিবারকে ১১ লক্ষ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শিপন হায়দার বলেন, সোমা আক্তারের হত্যার বিষয়টি শেষ হয়েছে। সোমার ২ সন্তানকে ৪ লক্ষ এবং তার বাবাকে ৭ লক্ষ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী এড. নাসির উদ্দিন বলেছেন, হত্যা মামলা আপোষ যোগ্য না। এটা আপোষ করা যায় না।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, হত্যা মামলা সামাজিক ভাবে মিমাংসা করার কোন সুযোগ নাই। আমরা একজন আসামীকে আটক করেছি। বাকীরা পলাতক আছে। তাদেরকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। এখন বাইরে কে কি করলো এটার আমাদের দেখার বিষয় না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী আখাউড়া উপজেলায় এ বছর লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন বাজারে পুরোদমে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন জাতের লিচু। রসালো, সুমিষ্ট ও মুখরোচক ফল হিসেবে লিচু পছন্দ বাঙালি সব শ্রেণির মানুষের কাছে। দাম হাতের নাগালের মধ্যে থাকায় খুশি বাগান মালিক ও ক্রেতারা। সেই সঙ্গে বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধির পাশাপাশি বেশ চাহিদাও বেড়েছে। বেড়েছে বেচাকেনাও।
এদিকে গাছে থোকায় থোকায় ঝুলে থাকা পাকা লিচু বাগানগুলোর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন ভ্রমণপিপাসু পর্যটক। লিচু বাগানে তারা প্রিয়জনদের সঙ্গে সেলফি তুলছেন। ফেরার সময় কিনেও নিয়ে যাচ্ছেন লিচু।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লিচুর চাষ শুরু হয়েছে গত দুই যুগ আগে। উপজেলার সীমান্তঘেঁষা মনিয়ন্দ, আখাউড়া উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিয়নের ধর্মনগর, কর্মমঠ, রাজমঙ্গলপুর, নোয়ামুড়া, ঘাগুটিয়া, শিবনগর, খারকোট, মিনারকোট, আজমপুর, আমোদাবাদ, রামধন নগর, চানপুর, রাজাপুর, কল্যাণপুর, আনোয়ারপুর, হীরাপুর, কুড়িপাইকাসহ আখাউড়ায় প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামে লিচুর চাষ হয়ে থাকে।
এ উপজেলায় উৎপাদিত লিচুর মধ্যে পাটনাই, বোম্বাই, এলাচি, চায়না-২, চায়না-৩, বেদানা ও স্থানীয় জাতের লিচু রয়েছে। এখানকার মাটি লিচু চাষের উপযোগী হওয়ায় চলতি মৌসুমে লিচুর ভাল ফলন হয়েছে। এছাড়াও লিচু বিক্রি করে ন্যায্য মূল্য পেয়ে খুশি এখানকার চাষিরা।
আখাউড়ার লিচু বেশ রসালো ও সুমিষ্ট হওয়ায় জেলার বাইরেও বেশ কদর রয়েছে। প্রকারভেদে বাগান থেকে একশ লিচু বিক্রি হচ্ছে ২৫০ – ৩০০ টাকা দরে। যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটা ভালো হওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকার এসে তা নিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
এদিক লিচু বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করতে বিভিন্ন জেলা ছাড়াও রাজধানী ঢাকা থেকেও পরিবার পরিজনদের নিয়ে আসছে ভ্রমণপিপাসু পর্যটক।
আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের গ্রিন ভিলেজ পার্কের মালিক অ্যাডভোকেট মনির হেসেন চৌধুরী বলেন, আমার লিচু বাগানে বিভিন্ন জাতের শতাধিক লিচু গাছ রয়েছে। লিচু গাছে এবার অনেক ভালো ফলন হয়েছে। এ বছর গাছে ফুল আসার পরপরই দুই লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি। যারা কিনেছেন তারা অনেক লাভবান হয়েছেন।
আখাউড়ায় প্রধান লিচুর বেচাকেনা হচ্ছে পৌরশহরের সড়ক বাজারে। এছাড়াও আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন এবং স্টেশন সড়কের দুই পাশে প্রতিদিন লিচুর বাজার বসছে। ফলে স্টেশন সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রেলওয়ে স্টেশনগামী ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেটগামী ট্রেনযাত্রীদের।
কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এ উপজেলায় প্রায় ৩০০ হেক্টর জমিতে ফল চাষ হয়ে থাকে, তার মধ্যে চলতি মৌসুমে প্রায় ৭৫ হেক্টর জমিতে লিচু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছ।
এ বছর তীব্র খরা ও অনাবৃষ্টির কারণে কিছু কিছু বাগানে ফলন কম হলেও উৎকৃষ্ট লিচু উৎপাদনে কৃষি বিভাগ থেকে চাষিদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া।
তিনি আরো জানান, আখাউড়া উপজেলা থেকে এ বছর অন্তত দেড় কোটি টাকার লিচু বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া রেলওয়ে জংশনে মাইলেজ জটিলতা নিরসনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা।
আজ ২৭ আগস্ট রবিবার বেলা ১১টার দিকে আখাউড়া জংশন রেলস্টেশনের ৯ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আখাউড়া রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। রেলওয়ের লোকোমোটিভ রানিং স্টাফ, গার্ড, টিটিইসহ সব রানিং স্টাফরা এ বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি কবির আহমদ ভূঞাঁ সভাপতিত্ব করেন।
বিক্ষোভ শেষে সমাবেশে বক্তারা বলেন, আজকের মধ্যে (২৭ আগস্ট) ১৮ জুন জারি করা অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবাস শাখার চিঠি প্রত্যাহার এবং আগের মতো ন্যায় পার্ট অব পে ৭৫ শতাংশ মাইলেজ যোগে পেনশন ও আনুতোষিক নির্ধারণের সুস্পষ্ট আদেশ জারি করতে হবে। তা না হলে মাইলেজ নামের বেতন ও পেনশন কমানোর প্রতিবাদে ২৮ আগস্ট থেকে সর্বস্তরের রানিং স্টাফরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করবেন।
বক্তারা আরও বলেন, রেলের রানিং স্টাফরা ব্রিটিশ আইন অনুযায়ী পার্ট অব পে হিসেবে ট্রেন পরিচালনা করে আসছেন। বর্তমানে রানিং স্টাফদের আইবাস সিস্টেমে যোগদান করতে বলা হচ্ছে। এতে একজন রানিং স্টাফ ৩০ দিনের বেশি মাইলেজ সুবিধা পাবেন না। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তারা। বর্তমানে ৮ ঘণ্টা ট্রেন পরিচালনার পর বিশ্রামে যাওয়ার নিয়ম থাকলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রেন পরিচালনা করতে হচ্ছে। ব্রিটিশ আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের মাইলেজ সুবিধা দেওয়ার দাবি জানান তারা।
সমাবেশে বক্তারা জানান, মাইলেজ নিয়ে কোনো টালবাহানা চলবে না। অধিকার হরণ করা হলে প্রয়োজনে নিয়মের বাহিরে অতিরিক্ত ডিউটি পালন করা হবে না।
এসময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, রানিং সংগঠনের সভাপতি কবির হোসেন ভুঁইয়া, গার্ড কাউন্সিলের আখাউড়া শাখার সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ হোসেন, টিটি অ্যাসোসিয়েশনের রাজীব হোসেন, লোকোরানিং অতিরিক্ত সম্পাদক সোলাইমান রশিদ, লোকো রানিং সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক আকরাম হোসেন, অর্থ সম্পাদক মো. এস আর মামুন, সহ প্রচার হাফিজুর রহমান, সদস্য মুশফিকুর রহমান চৌধুরী বিপ্লব তৌহিদুর মুরছালিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে।
আজ ২০ নভেম্বর সোমবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ আখাউড়ায় নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমার নিকট থেকে ফরম সংগ্রহ করেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগে সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, আওয়ামীলীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য মোঃ মনির হোসেন বাবুল, যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হাসান খলিফা, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ।
এর আগে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামলীগের দলীয় কার্যালয় থেকে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যায়। এসময় দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যায়।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা বলেন, ১৫ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে। তিনি আরো বলেন, আখাউড়ায় এ পর্যন্ত ১টি ফরম বিক্রি হয়েছে।
উল্লেখ্য, আনিসুল হক কসবা উপজেলার পানিয়ারুপ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক অ্যাড. সিরাজুল হক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জাহানারা হকের সুযোগ্য পুত্র।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী অ্যাড: আনিসুল হক বলেন, বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে মিথ্যার আর হত্যার। ১৯৭৫ সালের পরে বিএনপি যখন থেকে ক্ষমতায় এসেছিল তখন থেকেই বিএনপি হত্যার রাজনীতি শুরু করেছে। হত্যার রাজনীতি এবং মিথ্যা কথা বলার রাজনীতি এটাই বিএনপির আদর্শ। ঠিক সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ২০০১ সালে বিএনপি যখন আবারও ক্ষমতা দখল করে তখন বাংলার জনগণের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, ভাই-বোন পরিবার কাউকে তারা বাদ দেয়নি।
আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশনে সমবেত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, ২০০৪ সালে ২১ আগস্টের ঘটনা সবাই জানেন। বিএনপি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য ১৯ বার চেষ্টা করে। আল্লাহর রহমতে প্রতিবারই তিনি বেঁচে যান। ২০০৬ সালে বিএনপি প্রহসন করে। এইসবই বিএনপির আদর্শ। তারা এটা ছাড়া অন্য কিছু করতে পারে না।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আরো বলেন, আমরা র্ধয্যহীন ভাষায় বলতে চাই, বাংলার মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শুধু উন্নয়নই দেখে নাই রাজনৈতিক শান্তিও দেখেছে। আমরা এই রাজনীতিক শান্তি অব্যাহত রাখতে চাই। আমরা জনগণের কাছে জনগণের প্রাপ্য ভোটের অধিকার পৌঁছে দিয়েছি। ইনশাল্লাহ ২০২৪ সালে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সেটা আবারও প্রমাণ করবে।
এসময় তিনি নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র হয় তা নস্যাত করে দেওয়ার আহবান জানান। কেউ যেন জনগনের ক্ষতি করতে না পরে সে জন্য জনগণের পাশে থাকার আহবান জানান।
এর আগে তিনি ঢাকা থেকে আন্ত:নগর মহানগর প্রভাতী ট্রেনে সকাল সোয়া দশটায় আখাউড়া এসে পৌঁছেন। এসময় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মন্ত্রীকে স্বাগত জানায়।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইন সচিব গোলাম সারওয়ার, জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল প্রমুখ।