চলারপথে রিপোর্ট :
খাটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশের অভিযানে ৪ কেজি গাজা উদ্ধারসহ ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ ২২ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় খাটিহাতা হাইওয়ে থানার এএসআই মোঃ শফিকুল ইসলাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিশ্বরোড ওয়ালটন শো-রুমের সামনে থেকে তরিকুল ইসলাম বাদশা (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেন। এ সময় তার কাছ থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মূল্যের ৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত তারিকুল চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচর থানার উত্তরমল্লিকপুর বাজার এলাকার মোঃ তাজিল ইসলাম এর পুত্র।
এ ব্যাপারে খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে। হাইওয়ে পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে নিয়মিত বেড়েই চলছে হাতির চাঁদাবাজি। ভয়ে চাঁদা দিলেও হাতির ঘনঘন আগমনে অতিষ্ঠ এখানকার ব্যবসায়িরা। সড়কে হঠাৎ করে হাতি দেখে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছে শিশু শিক্ষার্থীরা।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মোড় থেকে সকাল বাজার পর্যন্ত প্রধান সড়কে দাঁড়িয়ে চাঁদা উত্তোলন করেছে একটি হাতি। স্থানীয় ব্যবসায়ি ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সম্প্রতি সরাইল সদরে হাতির সহায়তায় চাঁদা উত্তোলনের চিত্র প্রায়ই চোখে পড়ছে। হাতির উপরে বসে থাকেন মালিক। মালিকের ইশারায় বা সিগনালে হাতি প্রধান সড়কে ধীর গতিতে হাঁটে। হাঁটার সময় মালিকের সিগনালে হাতি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বা অটোরিকশার যাত্রীদের কাছে শোর বাড়িয়ে দিয়ে চাঁদা দাবি করে। টাকা দিলে শৌর উঁচু করে ঘুরিয়ে পিঠে বসা মালিকের কাছে টাকাটা দ্রুত পৌঁছে দেয়। হাতির শৌর বাড়িয়ে দিলে অনেক ব্যবসায়ি ও পথচারী ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। আকৃতি বড় হওয়ায় চাঁদা উত্তোলনের সময় সড়কের বিশাল অংশ দখল করে দাঁড়িয়ে থাকায় যানজট লেগে যায়।
ব্যবসায়ি নাদির হোসেন, আসমত আলী, জুলফিকারসহ অনেকেই বলেন, ২/৩ বা ১ মাস পরপর যদি আসে সমস্যা নেই। কিন্তু প্রতিমাসে ঘুরে ফিরে ৪-৫ বার আসছে। এমন নিয়মিত চাঁদাবাজিতে আমরা অতিষ্ঠ। টাকা না দিলে অথবা বিলম্ব হলে হাতিটি এমন ভাব ধরে মনে হয় শৌরের সাহায্যে মানুষকে উঠিয়ে নিবে। এটাতো আসলে মালিকরা প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। আমরা জানি না মালিক পিঠে বসে থেকে হাতিকে দিয়ে এভাবে চাঁদা উত্তোলন বিধি সম্মত কিনা। আমরা এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের আজবপুর মেঘনা নদীর কিনার ঘেষা প্রায় ৫০০ (পাঁচ শত) মিটার দীর্ঘ এলাকা ২ এপ্রিল মেঘনা নদীর ভাঙ্গনের ফলে আনুমানিক মোট ৫,৪৮০০ একর ভূমি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে বর্তমানে সিকন্তি ভূমিতে পরিণত হয়েছে। আরও বিলীন হওয়ার পথে ৬,৫৯০০ একর ভূমি ।
সূত্রে জানা যায়, আজবপুর মেঘনা নদীর তীরে আজপুর বাজারের সন্নিকটে অবস্থিত। আনুমানিক মোট ৫,৪৮০০ একর ভূমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে বর্তমানে সিকন্তি ভূমিতে পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে পর্যবেক্ষণে ভূমি বিলীন হয়ে যাওয়া কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের অনেকেরই বসতঘর, দোকান ও রেলডক ছিল। নদীর ভাঙ্গনে এসব নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
ভুক্তভোগী হাফিজ মোল্লা জানান, তার একটি রেলডক এবং একটি আধাপাকা ঘর ছিল যা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। মজনু মিয়া বলেন, তার একটি রেলডক এবং একটি বসত ঘর ও একটি দোকান ঘর ছিল যা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। জাহিদ মিয়ারও একটি আধাপাকা বসত ঘর ও একটি দোকান ঘর ছিল যা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায় ও আনোয়ার বলেন, তার ভিটি ভূমি ছিল যা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
গত ৭ এপ্রিল সোমবার বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর রহমান ও সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোশারফ হোসাইন, সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তাগণ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জনপ্রতিনিধি, ভুক্তভোগীসহ শত শত জনতার উপস্থিতিতে বিলীন হয়ে যাওয়া এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখে যান ।
এ বিষয়ে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সরাইল উপজেলা প্রশাসক মোঃ মোশারফ হোসাইন জানান, নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর রহমান বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ব্রাহ্মণবাড়িয়া’কে সাথে নিয়ে তিনি বিলীন হয়ে যাওয়া এলাকাগুলো ঘুরে দেখেন। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। এলাকাবাসীকে ভাঙ্গনের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়েছে। আমরা স্থানীয়ভাবে আপাতত, জিও ব্যাগের মাধ্যমে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরকে বলে দিয়েছি। এব্যাপারে, উপজেলা প্রশাসনের ১% তহবিল থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৪৯টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ১৫৫০ ফুট অবৈধ গ্যাস লাইন উত্তোলন এবং ১ জনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সরাইল উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাছরিন সুলতানা আজ ৬ মার্চ বুধবার সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের হালুয়াপাড়া ও দক্ষিণ আরিফাইল গ্রামে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। জরিমানাপ্রাপ্তের নাম নূর আলম। তিনি হালুয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সরাইল উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাছরিন সুলতানা বলেন, উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে।
একটি চক্র বিভিন্ন বাসা বাড়িতে এই অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিচ্ছেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে হালুয়াপাড়া ও দক্ষিণ আরিফাইল গ্রাম থেকে ৪৯টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ১৫৫০ ফুট অবৈধ গ্যাস লাইন উত্তোলন করা হয়। পাশাপাশি বাসাবাড়ির গ্যাস সংযোগ নিয়ে অবৈধভাবে বাণিজ্যিক কাজে গ্যাস ব্যবহার করার দায়ে নূর আলম নামে একজনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে রাস্তা পারাপারের সময় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় সামসু মিয়া (৫৭) নামে এক পথচারি নিহত হয়েছে।
আজ ২ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাড়িউড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সামসু বাড়িউড়া গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে।
খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, দুপুরে সামসু মিয়া সড়ক পারাপারের সময় একটি প্রাইভেটকার তাকে ধাক্কা দিলে তিনি সড়কের পাশে ছিটকে পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
তিনি বলেন, ঘাতক প্রাইভেটকারটি আটক করা গেলেও চালক পালিয়ে গেছে। এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নগদ ছয় লাখ টাকা, মাদক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সুমন মিয়া নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার খাটিহাতা এলাকা থেকে আশুগঞ্জ আর্মি ক্যাম্পের একটি দল সুমনকে আটক করে। আটককৃত সুমন মিয়া ওই এলাকার সোলেমান মিয়ার ছেলে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর ইমতিয়াজ মাহমুদ খান।
সেনাবাহিনী সূত্র জানায়, সুমন দীর্ঘদিন ধরে খাটিহাতা এলাকায় মাদক ব্যবসার করে আসছিলেন। গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে সেনা সদস্যরা তার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে তার কাছ থেকে নগদ ছয় লাখ ৬৩ হাজার ৪১০ টাকা, এক হাজার ৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২২ বোতল এস্কাফ সিরাপ, ১০ গ্রাম গাঁজা, ছয়টি দেশীয় অস্ত্র ও তিনটি মোবাইল ফোন জব্দ করে। উদ্ধারকৃত মাদক ও টাকা সহ তাকে সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোজাফফর হোসেন জানান, আটক মাদক ব্যবসায়ী ও উদ্ধারকৃত আলামত থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।