চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির রোল মডেলের বাংলাদেশ এখন স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বের দরবারে প্রশংসা লাভ করছে বাংলাদেশ। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করে তিনি উন্নয়ন অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন দেশকে।
আজ ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে কদমতলী কান্দু শাহ মাজার মাঠে সরকারি সুবিধাভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘দেশের সর্বস্তরের মানুষকে শেখ হাসিনা আপনজন মনে করে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গে তুলনা করলে মনে হয় আমরা কোনো অংশে পিছিয়ে নেই। সামনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও বিশ্বনেতাদের প্রশংসা অর্জন করবে তিনি।’
দরিয়াদৌলত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ বি এম মাহবুবুর রহমান উজ্জলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সায়েদুল ইসলাম বকুল ভূইয়া, পৌর মেয়র তফাজ্জল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম শহিদুল হক বাবুল, শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক সৈয়দ আ. আজিজ, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এম এস রানা, সাধারণ সম্পাদক আ. রাজ্জাক, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি হিমেল সরকার, সাধারণ সম্পাদক সামুয়েল আহমেদ, কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক আশিকুল ইসলাম মাসুদ প্রমুখ।
এর আগে তিনি বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নবনির্মিত তিনতলা ভবনের শুভ উদ্বোধন এবং বাঞ্ছারামপুরের নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকসহ ১৪টি নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়ন শাখা অফিস উদ্বোধন করা হয়েছে। ১২ অক্টোবর শনিবার বিকাল ৩ টায় সোনারামপুর বাজার হাজী সিদ্দিক মার্কেটে অফিস উদ্বোধন করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়ন শাখার সেক্রেটারী মো: আল মামুনের সঞ্চালনায় জামায়াতে ইসলামি সোনারামপুর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা নাজমুল আলম আরিফ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আমীর মাওলানা কাজী আবুল বাশার, উপজেলা সহকারী সেক্রেটারী মাওলানা আলাউদ্দীন সাদী, উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য শামীম নূর ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাহজাহানপুর ওয়ার্ড সভাপতি মাসুদুর রহমান, ওয়ারী ওয়ার্ড সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: মো: ইসমাইল, উপজেলা ইসলামি ছাত্র শিবির সেক্রেটারী সোহেল আহমেদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন দরিয়াদৌলত ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মো: শাহ আলম, মো: লিটন মিয়া, মো: মতিউর রহমান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সোনারামপুর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মো: নাসির উদ্দিন, জামায়াত কর্মী আনিসুর রহমান, মো: আলমগীর মাস্টার, মো: মমিন মাস্টার ডা: শফিক, ডা: রফিকুল ইসলাম, ডা: মফিজুল ইসলাম, ডা: আবুল হোসাইন, মো: ইউনূস বিন রমজান, রুবেল মিয়া, অনিক, সেলিম, মো: ইদ্রিস, মো: জালাল উদ্দিন, জুবায়ের ফয়সাল, মো: ইসমাইল, মো: আবদুল জব্বার, আবু হানিফ, মনির হোসেন, আবুল কালাম, আল মামুন, রাসেল আহমেদ, হাবীব, দ্বীন ইসলাম, আবু হানিফ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
তিতাস নদীর ওপর নির্মিত শেখ হাসিনা ওয়াই সেতুর কোটি টাকার জমি দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করা হয়েছে। আরো দোকানঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে দোকানপাট নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় সেতুর জায়গা দখলমুক্ত করতে ইউএনওর কাছে আবেদন করেছেন হোমনা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের আহসান উল্লাহ নামে এক ব্যবসায়ী। গত ১৫ মার্চ আবেদন করলেও রহস্যজনক কারণে বন্ধ হচ্ছে না দোকান নির্মাণের কাজ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর ও কুমিল্লার হোমনা উপজেলার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ রক্ষা করতে নির্মাণ করা হয় শেখ হাসিনা ওয়াই সেতু। এই সেতুর নিচের এলজিইডির জায়গায় দোকানঘর তুলে দখল করে নিয়েছেন কয়েকজন ব্যক্তি। কয়েকজন ব্যক্তি দোকানঘর নির্মাণ করে দখল কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বাধা দিতে গেলে উল্টো হুমকি-ধমকি ও মিথ্যা মামলার ভয় দেখানোর ঘটনা ঘটছে। সেতুর পিলার ঘেঁষে দোকানপাট নির্মাণ করার কারণে বহু বছরের পুরোনো রামকৃষ্ণপুর বাজারে যাওয়ার রাস্তা বন্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমন কি, মানুষের চলাচলের রাস্তাও বন্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বুধবার সরেজমিন দেখা গেছে, সেতুর নিচে সরকারি জমি দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করছে ১২-১৫ জন। পিলার ঘেঁষে এসব দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। বাজারের ব্যবসায়ীদের দাবি, দোকান নির্মাণে ভূমি অফিস থেকে বাধা দেওয়া হলেও মানছে না কেউ।
অভিযোগদাতা আহসান উল্লাহ বলেন, ‘রামকৃষ্ণপুর গ্রামের শাহ আলম এলজিইডির জায়গা দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করছেন। এতে আমার ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, হাঁস-মুরগি ও গরুবাজারের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে। তাই আমি বাদী হয়ে ইউএনওর কাছে অভিযোগ করেছি। ভূমি অফিস থেকে বাধা দিলেও মানছেন না শাহ আলম গংরা।’
জানা গেছে, ১০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দেশের একমাত্র ওয়াই আকৃতির শেখ হাসিনা তিতাস সেতুটি ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করা হয়। আগে সেতুটি দেখার জন্য আসতেন দর্শনার্থীরা। কিন্তু সেতুর জায়গা দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করায় সৌন্দর্য ফিকে হয়ে গেছে। দখলদারদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবারের ঈদের সময় সেতু এলাকায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা।
স্থানীয়দের জোর দাবি, ভূমিখেকোদের কবল থেকে জমি উদ্ধার করে রামকৃষ্ণপুর বাজার রক্ষা ও সেতুর সৌন্দর্য ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
রামকৃষ্ণপুর বাজারের ইজারাদার সফিকুল ইসলাম আকন্দ বলেন, সেতুটি নির্মাণের পরে বাঞ্ছারামপুর, হোমনা ও মুরাদনগরে যাতায়াতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসছে। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বিষয়টিকে পুঁজি করে সেতুর জায়গা দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করছেন রামকৃষ্ণপুর গ্রামের শাহ আলম। এ কারণে আমি ইজারা নিয়েও গরুবাজার বসাতে জায়গা পারছি না। অবৈধ দখল বন্ধ না হলে সেতুর দুই পাশের আরও জায়গা বেহাত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে শাহ আলম বলেন, ‘শুধু আমি না, অনেকেই দোকানঘর নির্মাণ করে দখল করছেন। তাদের দেখে আমিও দোকানঘর নির্মাণ করেছি। সরকারের প্রয়োজন হলে জায়গা ছেড়ে দেব।’
চান্দেরচর ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (নায়েব) আমান উল্লাহ জানান, উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নির্দেশে সরকারি জমি দখলকারী শাহ আলমকে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু বাধা অমান্য করে দোকানঘর নির্মাণ করছে।
হোমনা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামের ভাষ্য, সেতুর জায়গা অধিগ্রহণ করেছে এলজিইডি বিভাগ। জমির মূল্যও পরিশোধ করা হয়েছে। এ জমি দখল করতে দেওয়া হবে না।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইউসুফ হাসান জানান, অভিযোগ পেয়ে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের মাধ্যমে নিষেধ করা হয়েছে। সমস্ত স্থাপনার তালিকা করে উচ্ছেদ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্ষেমালিকা চাকমার দাবি, অভিযোগ পেয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জমিটি এলজিইডি বিভাগের হওয়ায় সরাসরি ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব হচ্ছে। দখল বন্ধ না হলে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, ওয়াই সেতুর নিচের বাঞ্ছারামপুর অংশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। হোমনা অংশে অবৈধ দখলদার থাকলে তা দ্রুত অপসারণ করার জন্য হোমনা উপজেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করা হবে।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাধীনতা কাপ মহিলা ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণ সোমবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গভ. মডেল গার্লস উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে খেলো বাংলাদেশে স্পোর্টস সোসাইটি ও ভারত-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মৈত্রী পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। খেলো বাংলাদেশে স্পোর্টস সোসাইটি’র প্রধান উপদেষ্টা আ. ফ. ম কাউসার এমরানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাবেদ রহিম বিজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, গভ. মডেল গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক পারভীন আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ পাল বাবু, প্রেসক্লাবের সাবেক আইসিটি সম্পাদক মুজিবুর রহমান খান, ভারত-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মৈত্রী পরিষদ এর সভাপতি করবী চক্রবর্তী, সাধারন সম্পাদক সঞ্জয় দাস। সুষ্মিতা সাহার সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য দেন খেলো বাংলাদেশে স্পোর্টস সোসাইটির সাধারন সম্পাদক শিশির সিকদার।
ব্যাডমিন্টন খেলায় এককে রূপালী চ্যাম্পিয়ন, অনিতা রানার আপ হন। দ্বৈতে রূপালী ও নন্দিনি চ্যাম্পিয়ন এবং জান্নাত ও লিটা রানার আপ হন। এককে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ রূপালী ও দ্বৈতে জান্নাত। অতিথিরা খেলোয়ারড়দের হাতে নগদ টাকা ও ক্রেস্ট তুলে দেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘খেলো স্পোর্টস সোসাইটি নারীদের নিয়ে ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন খেলার মতো যেসব আয়োজন করছে সত্যিই প্রশংসনীয়। নারীদেরকে এগিয়ে নিতে হলে আমাদেরকে সুযোগ করে দিতে হবে। নারীরা এখন সমানতালে এগিয়ে চলছে’।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা, পৌর ও কলেজ শাখা ছাত্রদলের আয়োজনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে আজ ১৯ জানুয়ারি রবিবার র্যালি ও মিছিল বের করে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন নেতাকর্মীরা। পরে বিকাল ৪টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা অডিটরিয়ামে আলোচনা সভা শেষে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জিসান সরকার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ওমর ফারুক, বাঞ্ছারামপুর পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ইব্রাহিম সরকার, বাঞ্ছারামপুর পৌর ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব মনিরুল হাসান আব্দুল্লাহ, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আজিজ শাওন, তেজখালি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, ছাত্রনেতা সোহাগ আহমেদ, সিফাত, নাকিব, সাগর, শুভ ও প্রমুখ।