চলারপথে রিপোর্ট :
কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা আজ ২৩ আগস্ট বুধবার বিকেলে পাঁচ পকেটমারকে আটক করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় বুধবার বিকালে রিক্তা নামের এক নারীর ব্যাগ কেটে টাকা নিয়ে পালানোর সময় এলাকাবাসী পকেটমারের ৫ সদস্যকে আটক করেন।
পরে পুলিশকে খবর দিলে খবর পেয়ে পকেটমারের ৫ সদস্যকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আটককৃতরা হলো মো. শফিক (২০), হালিমা আক্তার (১৮), আলিয়া আক্তার (৪০), বর্ষা (২০), শিল্পী আক্তার (১৭)। তারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পকেটমারের কাজ করতো বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কালিয়াকৈর থানার এস আই মো. রিপন আলী খান জানান, পাঁচজন পকেটমারকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত পকেটমারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
একদফা দাবিতে সারাদেশে কঠোর অবস্থান নিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে অসহায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এই অবস্থায় ফের মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে একটি সরকারি সংস্থা। এরইমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগামাধ্যম ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের অসহযোগ কর্মসূচিতে সারা দিয়ে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে জড়ো হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই আন্দোলন। মুন্সিগঞ্জে সংঘর্ষে দুজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজে হামলা চালানো হয়েছে।
এদিন বেশ কিছু জায়গায় আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে পড়ে জায়গা ছেড়েছে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। কোথায় কোথায় পুলিশকে দেখা যায়নি। পরিস্থিতি খারাপ আকার ধারণ করলে ফের মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দেয় সরকারি একটি সংস্থা। এর খানিক পরই বন্ধ হয়ে যায় ফেসবুক ও হোয়াইটসঅ্যাপ।
এর আগে, গত ১৮ জুলাই সারাদেশে ইন্টারনেট পরিসেবা বন্ধ করে দেয় সরকার। পরে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে কারফিউ জারি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ১০ দিন বন্ধ থাকার পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে ফের চালু করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট সেবা। তবে এবার ফের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে মোবাইল ইন্টারনেটে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।তবে ব্রন্ডব্যান্ড লাইনে সামাজিক মাধ্যম চালু আছে।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকাগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে সপ্তাহে পাঁচদিন প্রাথমিকের ৩৫ লাখ শিক্ষার্থীকে পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এই ‘স্কুল ফিডিং’ কর্মসূচির আওতায় শিক্ষার্থীদের দুধ, ডিম, মৌসুমী ফল, কলা, ফর্টিফাইড বিস্কুট, কেক ও বনরুটি দেওয়া হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের ১৫০টি উপজেলার ১৮ থেকে ১৯ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
সরকারি স্কুল ফিডিং কর্মসূচি (ফেইজ-১) প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন এ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩৫ লাখ শিক্ষার্থীকে সপ্তাহে পাঁচদিন পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খাবার পরিবেশন করা হবে। প্রত্যেক স্কুলে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত টিফিন টাইম চলাকালে শিক্ষার্থীদের মাঝে এসব খাবার বিতরণ করা হবে।
প্রকল্পটি চূড়ান্তভাবে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের পর তিন বছরের জন্য প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে চার হাজার ৭৫৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন চার হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক অনুদান হিসেবে আসবে ৬৪ কোটি টাকা।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, তিনটি ধাপে পর্যায়ক্রমে পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খাবার বিতরণের জন্য একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রকল্পটি চূড়ান্তভাবে অনুমোদনের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব পাঠিয়েছে।
সপ্তাহে পাঁচদিন নানা ধরনের খাবার পরিবেশন করবো। এরমধ্যে থাকবে দুধ, ডিম, ফর্টিফাইড বিস্কুট, কলা ও মৌসুমী ফল। যেদিন দুধ দেওয়া হবে, দুধের সঙ্গে বনরুটি থাকবে। যেদিন ডিম দেওয়া হবে, ডিমের সঙ্গে কলা এবং ফর্টিফাইড বিস্কুট থাকবে। মৌসুমী ফল দেওয়া হলে সঙ্গে অন্য খাবার থাকবে
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় খাদ্যসামগ্রী/স্কুল ফিডিং ক্রয়, পরিবহন ও পরিদর্শন খাতে ব্যয় হবে চার হাজার ১৮১ কোটি টাকা। যা মোট প্রকল্প ব্যয়ের ৮৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ। প্রকল্পে মোট ২১ হাজার জন টিফিন মিল ম্যানেজার থাকবেন, এ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০ কোটি টাকা। ভেন্ডর পরিবহন, খাদ্য বিতরণ, গোডাউন, সার্ভিস চার্জ ও প্যাকেজিং খাতে ২৮২ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। চার লাখ ২০ হাজার অ্যাপ্রন ও রুমাল কিনতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ কোটি টাকা।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১ জুন একনেক সভা থেকে বাতিল করা হয় ‘প্রাইমারি স্কুল মিল’ প্রকল্প। প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ছিল ১৭ হাজার ২৯০ কোটি টাকা। প্রাথমিক বিদ্যালয়গামী সব শিক্ষার্থীকে পর্যায়ক্রমে স্কুল মিল কার্যক্রমের আওতায় এনে তাদের শিক্ষা, পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তায় অবদান রাখা, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার সরবরাহের মাধ্যমে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পুষ্টি চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়। প্রকল্প থেকে খিচুড়ি রান্নার ফরমেট বাতিল করা হয়।
তখন একনেক সভায় সিদ্ধান্ত হয়, প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন খিচুড়ি রান্না করলে বাচ্চাদের পড়ালেখার ক্ষতি হবে। প্রকল্পের ফরমেট পরিবর্তন করে একদিন দুধ, একদিন ডিম ও একদিন বিস্কুটসহ খাবারে বৈচিত্র্য থাকতে হবে। বাচ্চাদের খাবার দেওয়ার জন্য একনেক সভায় ‘প্রাইমারি স্কুল মিল’ প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। সভা থেকে খাবারের ফরমেট পরিবর্তন করতে বলা হয়েছিল।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় আমরা ৩৫ লাখ শিক্ষার্থীকে টিফিন টাইমে পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খাবার দিতে চাই। এতে একদিকে শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ হবে অন্যদিকে প্রাথমিকে ঝরে পড়ার শঙ্কাও থাকবে না।
স্কুল ফিডিং ক্রয়, পরিবহন ও পরিদর্শন খাতে ব্যয় হবে চার হাজার ১৮১ কোটি টাকা। যা মোট প্রকল্প ব্যয়ের ৮৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ। প্রকল্পে মোট ২১ হাজার জন টিফিন মিল ম্যানেজার থাকবেন, এ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০ কোটি টাকা। ভেন্ডর পরিবহন, খাদ্য বিতরণ, গোডাউন, সার্ভিস চার্জ ও প্যাকেজিং খাতে ২৮২ কোটি টাকা ব্যয়
প্রকল্পের আওতায় কী ধরনের খাবার পরিবেশন করা হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সপ্তাহে পাঁচদিন নানা ধরনের খাবার পরিবেশন করবো। এরমধ্যে থাকবে দুধ, ডিম, ফর্টিফাইড বিস্কুট, কলা ও মৌসুমী ফল। যেদিন দুধ দেওয়া হবে, দুধের সঙ্গে বনরুটি থাকবে। যেদিন ডিম দেওয়া হবে, ডিমের সঙ্গে কলা এবং ফর্টিফাইড বিস্কুট থাকবে। মৌসুমী ফল দেওয়া হলে সঙ্গে অন্য খাবার থাকবে। বরিশালে যেমন আমড়ার সময় আমড়া, রাজশাহীতে আমের সময় আম, সঙ্গে দুধ পরিবেশন করা হবে। এভাবে ১৫০টি উপজেলায় ৩৫ লাখ শিক্ষার্থীকে টিফিনে খাবার দেওয়া হবে।
সরকারি স্কুল ফিডিং কর্মসূচি (ফেইজ-১) নামের নতুন প্রকল্পটি নিয়ে প্রকল্প মূল্যায়ন সভা করবে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগ। শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার কীভাবে বিতরণ করা হবে এবং এর আগে কেন ‘প্রাইমারি স্কুল মিল’ প্রকল্প বাতিল করা হয়েছিল, এ বিষয়গুলো ক্ষতিয়ে দেখছে পরিকল্পনা কমিশন।
পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের উপপ্রধান (শিক্ষা) মীর্জা মোহাম্মদ আলী রেজা বলেন, প্রকল্পের প্রস্তাব আমাদের হাতে এসেছে। সামনে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভা হবে। সভায় বিস্তারিত আলোচনার পর প্রকল্পটি একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে। ৩৫ লাখ শিক্ষার্থীকে পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ টিফিন দেওয়া প্রস্তাবিত এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য
অনলাইন ডেস্ক :
সৌদি আরবের আল নাজাদ অঞ্চলের আপিপ শহরে কাজে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনায় তিন জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
১৩ জুন বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ও সৌদি সময় সকাল ৯টার দিকে আপিপ থেকে নির্মাণ কাজে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার সময় তিন শ্রমিকের মধ্যে সবুজ গাড়ির চালক ছিলেন। নিহতরা হলেন সবুজ চৌকিদার (৩৮), মো. সাব্বির (২১) ও মো. রিফাত (২০)।
নিহত শ্রমিকদের মধ্যে সবুজ ফরিদগঞ্জ উপজেলার চরদুখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের পশ্চিম বিশকাটালি গ্রামের জামাল চৌকিদারের ছেলে। অপর নিহত সাব্বির পার্শ্ববর্তী হাইমচর উপজেলার আলগী দক্ষিণ ইউনিয়নের চরভাঙা গ্রামের ছৈয়াল বাড়ির ইসমাইল ছৈয়ালের ছেলে এবং রিফাত আলগী উত্তর ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
আজ ১৪ জুন শুক্রবার সকালে নিহত তিন শ্রমিকের বাড়িতে গিয়ে শোকের মাতম দেখা গেছে। আসন্ন ঈদুল আজহার সময় দুর্ঘটনাটি প্রতিটি পরিবারে হৃদয় বিদারক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। রিফাত তিন বছর আগে সৌদি আরবে যায়। সে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো।
রিফাতের বাবা বলেন, কয়েকদিন আগেও ছেলের সাথে কথা হয়েছে। বাবার আবেদন ছিল ছেলে যেন বাড়িতে এসে ঈদ করে। কিন্তু তা আর হলো না। রিফাত খুব কম বয়সী। এমন দুর্ঘটনায় সবাই মর্মাহত। ছেলেটি তাদের সংসারে উপার্জনের হাল ধরেছিল।
নিহত সাব্বিরের বাবা ইসমাইল ছৈয়াল ও মা ফাতেমা বেগমের একটাই দাবি তাদের সন্তানকে দেশে আনার জন্য যেন সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হয়। মা ফাতেমা বেগম ছেলের শোকে অনেকটা বাকরুদ্ধ। প্রতিবেশীরা সান্ত্বনা দিয়েও মাকে বুঝাতে পারছেন না। কিছু সময় পর পর ছেলের নাম নিয়ে কেঁদে উঠেন।
সাব্বিরের বোন স্নেহা বলেন, ভাই আমাকে ফোনে অনেক স্বপ্নের কথা বলতেন। দেশে আসলে কি কি করবেন। গত কয়েকদিন আগে কথা হলে আমি দেশে আসার জন্য বলি। কিন্তু ভাইয়ের আর আসা হলো না। দুই ভাইয়ের মধ্যে আমি ছোট। বড় ভাইও সৌদিতে থাকেন। সাব্বির ও রিফাতকে সৌদিতে কাজের জন্য নিয়ে যায় সবুজ চৌকিদার। তিনি তাদেরকে আপিপ শহর ও আশপাশের এলাকায় ভবন নির্মাণের কাজ করাতেন। নিজেদের গাড়িতে করে তারা কাজে আসা-যাওয়া করতেন। গাড়িটির চালক ছিলেন সবুজ।
জামাল চৌকিদার বলেন, তার ছেলে সবুজ প্রায় ১৮ বছর সৌদিতে থাকেন। বেশ কয়েকবার দেশে এসেছেন। তার স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। তাদেরকেও ভ্রমণ ভিসায় কয়েকবার সৌদিতে নিয়েছেন। সর্বশেষ দুই সপ্তাহ পূর্বে দেশ থেকে স্ত্রী ও সন্তানদের সৌদিতে নিয়েছেন। তারা এখন সৌদি আরবে আছেন।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশি সময় ৪টায় সবুজসহ তিন জনের দুর্ঘটনার খবর পান। রাত ১০টায় সেখানে অবস্থানরত স্বজনদের মাধ্যমে জানতে পারেন দুর্ঘটনার পর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
সবুজের মৃত্যুতে তার মা ও স্বজনরা শোকাহত। তার মৃত্যুতে ছেলের বউ ও নাতনিরা কেমন আছেন। তাদের কথা মনে করে কেঁদে উঠেন। আমি আমার ছেলেকে নিজ চোখে এবং একটু ছুঁয়ে দেখতে চাই।
নিহত তিনটি পরিবারের দাবি, তাদের সন্তানের মরদেহ আনার বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো যাতে সহযোগিতা করে।
হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা জানান, সৌদি আরবে দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের এখন পর্যন্ত জানানো হয়নি। তবে আমাদের জানালে তাদের জন্য যেসব করণীয় আছে, তাদের সবধরনের সহযোগিতা করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাঙ্গলকোট উপজেলার জোড্ডা পূর্ব ইউপির বাইয়ারা গ্রামে স্বামী-সন্তানের স্বীকৃতির দাবিতে প্রবাসীর বাড়িতে দুই স্ত্রী অবস্থান করছেন। আজ ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল থেকে প্রবাসীর বাড়িতে তারা অবস্থান নেন।
ওই প্রবাসীর নাম মাহফুজুর রহমান। তিনি ওই গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে।
জানা যায়, প্রবাসী মাহফুজ ২০১৬ সালের মার্চ মাসে জেলার লাকসাম উপজেলার গাজীমুড়া গ্রামের ফজর আলীর মেয়ে সোনিয়া আক্তার মুন্নীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। মাহফুজ-মুন্নী দম্পতির একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। দীর্ঘদিন সংসার করার পর গত মার্চে চাঁদপুর জেলার বাবুরহাটের কাদের ব্যাপারীর মেয়ে আর্নি আক্তারকে চাঁদপুর কোর্টের মাধ্যমে বিয়ে করেন ওই প্রবাসী। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রথম স্ত্রী মুন্নী কোর্টে মামলা করেন। এ মামলা চলমান রয়েছে। এ অবস্থায় গত জুন মাসে পারিবারিকভাবে একই গ্রামের সাইদুল হকের মেয়ে রিমুর সঙ্গে বিয়ে হয়। শুক্রবার সকাল থেকে স্বামী ও সন্তানের স্বীকৃতির দাবিতে মাহফুজের বাড়িতে অবস্থান করে প্রথম দুই স্ত্রী।
এ সময় প্রবাসী মাহফুজের মাসহ পরিবারের লোকজন তাদের ওপর হামলা করে। ভুক্তভোগীরা ৯৯৯ নাম্বারে কল করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
বিষয়টি জানার পর সংবাদ সংগ্রহ কর গেলে সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেন এসআই সাইফুল ইসলাম।
ভোক্তভোগীরা বলেন, আমরা স্বামী দাবিতে একত্রিত হয়েছি; কিন্তু এখানে আসার পর আমাদের মারধর করে মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
তবে মারধর ও হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেন প্রবাসী মাহফুজের মা কাউসার বেগম।
জোড্ডা পূর্ব ইউপির সদস্য জালাল আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে আগেও আলোচনা হয়েছে। কিন্তু তারা সমাধানে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। পরে তারা মামলা করেন।
এসআই সাইফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে একাধিক মামলা রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাদের মামলার রায়ের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেওয়ার বিষয়ে পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, সাংবাদিককে সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। বিষয়টি সম্পর্কে জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাটোর শহরের অদূরে কালিকাপুর আমহাটি এলাকার ৩২ নম্বর রেলওয়ে ব্রিজের নিকট রেল লাইনের পাশ থেকে ট্রেনে কাটা এক যুবকের মাথা বিচ্ছন্ন লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এলাকাবাসী লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। নিহত যুবক মির্জাপুর তেঘর পাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে মাহাবুর।
নিহতের দুলা ভাই পারভেজ মোল্লা,বন্ধু শহীদ সহ উপস্থিত স্বজনরা জানান, ৮/৯ মাস আগে মাহাবুরের বিয়ে দেয়া হয়। সে বাড়ি থেকে শশুর বাড়িতে আসছিল। তারপরেই তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। তারা জানান, ছেলেটি মস্তিস্কে সমস্যা ছিল। মাঝে মধ্যে ঠিক থাকলেই মাঝে মধ্যেই উল্টা পাল্টা আচরণ করতো। তাদের ধারণা সে ট্রেনের নিচে মাথ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এ বিষয়ে শান্তাহার জি আর পি থানারএস আইনরেশ চন্দ্র জানান, তার আত্মীয় স্বজন জানিয়েছেন মাহাবুরে মস্তিস্ক বিকৃতি ছিল। সে ট্রেনের নিচে মাথা দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তিনি বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হবে। তখন মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে সে আত্মহত্যাই করেছে।