চলারপথে রিপোর্ট :
রেলপাত বসানোর কাজ পুরোপুরি শেষ। আনুষঙ্গিক অন্যান্য ফিটিংস লাগানোর কাজও শেষ হয়েছে। চলছে শেষ মুহূর্তের ঘষামাজা। সক্ষমতা যাচাইয়ের কাজও একই সঙ্গে চলমান।
সংশ্লিষ্টরা নিয়মিত আসছেন এর দেখভাল করতে। বলা চলে, পুরোপুরি প্রস্তুত আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ। অপেক্ষা ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের। আশা করা হচ্ছে, এ রেলপথ চালু হলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়বে। যাত্রী চলাচলে আরো ব্যাপকতা পাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী উল্লিখিত পথে মঙ্গলবার পরীক্ষামূলকভাবে এ পথে ট্রেন চালানোর কথা। তবে শোকের মাসের কারণে সেটি পিছিয়ে দেওয়া হয়। বুধবার এ বিষয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য সভায় পরীক্ষামূলক চলাচলের দিনক্ষণ ঠিক হতে পারে।
সেপ্টেম্বরে পরীক্ষামূলক চলাচলের পর ওই মাসেই দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী রেলপথটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে পারেন বলে আভাস পাওয়া গেছে।
এদিকে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মঙ্গলবার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি দেখতে আসেন। প্রায় ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তারা। প্রকল্প কর্মকর্তারা পরিদর্শনের সময় গত কয়েক দিনের মতো ‘গ্যাং কার’ নামে পরিচিত ‘ট্র্যাক কার’ পরিচালনা করা হয়। রেলওয়ের বিশেষ ওই কারটি আখাউড়ার গঙ্গাসাগর থেকে সীমান্তবর্তী শিবনগর পর্যন্ত ৬.৭৮ কিলোমিটার অংশ পর্যন্ত চলাচল করে।
গত ১৬ আগস্ট ‘গ্যাং কার’ বা ‘ট্র্যাক কার’ চালানো হয়ে। ‘গ্যাং কার’ নামে পরিচিত ‘ট্র্যাক কার’ বিশেষ আকৃতিতে নির্মিত রেলের ‘ইঞ্জিন’। এর সঙ্গে দুটি বগি সংযুক্ত করে উল্লিখিত পথে চালানো হয়।
দুই দেশের এ রেলপথের দৈর্ঘ্য ১২.২৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে ৬.৭৮ কিলোমিটার। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়ন ৫৭ কোটি পাঁচ লাখ টাকা এবং ভারতীয় ঋণ ৪২০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্প নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। প্রথমে প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ১৮ মাস। এরপর করোনার প্রভাবসহ নানা কারণে পাঁচ দফা মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ নির্মাণকাজের মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী বছরের জুন নাগাদ করা হয়েছে।
প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভারতের নয়াদিল্লির টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের বাংলাদেশ প্রধান শরৎ শর্মা মঙ্গলবার পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের বলেন, ‘গ্যাং কারে উঠে বাংলাদেশ অংশের পুরো রেললাইন পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। আরো কী কী কাজ করা দরকার সেটি পর্যবেক্ষণ করা হয়। কয়েক দিনের মধ্যেই রেলপথটি পুরোপুরি চলাচলের উপযোগী করে তোলা হবে।’
বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী ও আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মো. আবু জাফর মিয়া বলেন, ‘সীমান্ত পর্যন্ত রেললাইন বসানো হয়ে গেছে। ফিটিংস লাগানোও শেষ হয়েছে। লেভেল ঠিক রাখার কাজ চলছে। ইমিগ্রেশন ভবনের কাজ যেটুকু বাকি আছে, সেটি দ্রুত শেষ করা হবে।’ প্রকল্পের ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
একাধিক সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে রেলওয়ের এ সংযোগ প্রকল্পটি চালু হলে মূলত ভারতীয়রাই বেশি লাভবান হবেন। বিশেষ করে ভারতীয়রা আগরতলা থেকে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে কলকাতা গেলে বর্তমানের চেয়ে তিন ভাগের এক ভাগ সময় কম লাগবে। সূত্র : কালেরকণ্ঠ
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
আখাউড়ায় ৫৩ তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আখাউড়া উপজেলা স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা সমিতির আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মাঠে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে আজ ৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভিন রুহি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন আখাউড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ জয়নাল আবেদীন আব্দু।
বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার মালদার, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মোঃ ইকবাল হোসেন ভূইয়া, পৌর বিএনপির সভাপতি মোঃ সেলিম ভূইয়াসহ উপজেলা মাধ্যমকি একাডেমিক সুপার ভাইজার কফিল উদ্দিন মাহমুদ, উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আবু ইউসুফ নুরুল্লাহ, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক এএইচ মামুন, দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ আয়েত আলী বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ অতিথিরা পতাকা উত্তোলন করেন।
পতাকা উত্তোলন শেষে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা কুচকাওয়াজ, বাল্য বিবাহ রোধে সচেতনতামূলক নাটিকা, বেদের মেয়ের সাপের খেলাসহ মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লে প্রদর্শন করেন।
সবশেষে শীতকালীন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ছাত্রছাত্রী, প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং শিক্ষকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।
এ সময় উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওঃ বোরহান উদ্দিন, কৃষি অফিসার তানিয়া তাবাস্সুম, নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত বনিক, দেবগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মাহজু রহমানম, আমোদাবাদ শাহআলম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী মোঃ তারেক, রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান, তুলাই শিমুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আখাউড়া উপজেলা মাধ্যমিক অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ২২ টি স্কুল ও মাদরাসার ছাত্রছাত্রীরা ৪৬ টি ইভেন্ট/ খেলাধুলায় অংশ নেয়।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিনিয়র শিক্ষক কাজী সাফিয়া খাতুন।
অনলাইন ডেস্ক :
সরাসরি হজে পাঠানোর ক্ষেত্রে হজ এজেন্সির জন্য সর্বনিম্ন হজযাত্রীর কোটা কমিয়েছে সৌদি সরকার। ৫০০ জন থেকে ওই কোটা ২৫০ জনে নামিয়ে আনা হয়েছে। ফলে যেসব এজেন্সির হজযাত্রী ২৫০ জন হবে তারা এখন সরাসরি হজে লোক পাঠাতে পারবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি সরকার সরাসরি হজযাত্রী পাঠাতে কোটা কমানোর এ সিদ্ধান্তের কথা জানায়। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ২৭ জানুয়ারি শনিবার হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এবং এজেন্সিগুলোকে এটি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ নভেম্বর ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে হজ এজেন্সিগুলোকে জানানো হয়, সৌদি সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, হিজরি ১৪৪৫/২০২৪ সনের হজ মৌসুমে অনুমোদিত প্রতিটি হজ এজেন্সির সর্বনিম্ন ৫০০ জন হজযাত্রী থাকলে ওই এজেন্সি সৌদি আরবে সরাসরি হজযাত্রী পাঠাতে পারবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কোটা কমানোর চিঠিতে জানিয়েছে, সৌদি সরকার ২০২৪ সালের হজের জন্য বাংলাদেশসহ সব দেশের হজ এজেন্সির সর্বনিম্ন কোটা প্রথমে দুই হাজার জন এবং পরবর্তী সময়ে ৫০০ জন নির্ধারণ করে পত্র দেয়। সর্বনিম্ন কোটা ৫০০ জনের পরিবর্তে আগের মতো বাংলাদেশের সব এজেন্সিকে হজযাত্রী পাঠানোর সুযোগ দেওয়ার জন্য ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক সৌদি সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, ধর্মমন্ত্রীর নির্দেশে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার সর্বশেষ গত ২৪ জানুয়ারি সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার আবদুল ফাত্তাহ সুলেমান মাশাত এবং হজ অ্যাফেয়ার্স অফিসের মহাপরিচালক ড. বদর আলসোলামির সঙ্গে টেলিফোনে কোটার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানান।
অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ জানুয়ারি ভাইস মিনিস্টারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের হজ এজেন্সির সর্বনিম্ন কোটা ৫০০ জনের পরিবর্তে ২৫০ জন নির্ধারণের কথা ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে জানানো হয়।
এ ক্ষুদে বার্তার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী কোনো হজ এজেন্সি ২৫০ জন হজযাত্রী থাকলে সরাসরি সৌদি আরবে পাঠাতে পারবে। যেসব এজেন্সির হজযাত্রীর সংখ্যা ২৫০-এর কম সেসব এজেন্সিকে অন্য এজেন্সির সঙ্গে সমন্বয় করে লিড এজেন্সি নির্ধারণ করে হজযাত্রী পাঠাতে হবে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে জানানো হয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৪ সালেও বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটা ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি এজেন্সির কোটায় এক লাখ ১৭ হাজার জন হজ পালন করতে পারবেন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
এবার হজে যেতে সরকারি-বেসরকারি হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয় গত ১৫ নভেম্বর। গত ১০ ডিসেম্বর নিবন্ধন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নিবন্ধনে সাড়া না পাওয়ায় তিন দফা সময় বাড়ানো হয়। সর্বশেষ বাড়ানো নিবন্ধনের সময় আগামী ১ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশনে সতর্ক ব্যবস্থা নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আখাউড়া ইমিগ্রেশনে একটি হেলথ ডেস্ক খোলা হয়েছে। ভারতের আগরতলা হয়ে বাংলাদেশে আসা প্রত্যেক পর্যটককে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মীরা পর্যটকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। গত ৭ জুন থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সোমবার সকালে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি.এম. রাশেদুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ হিমেল খানকে সঙ্গে নিয়ে স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি স্বাস্থ্য কর্মীদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের কার্যক্রম দেখেন।
স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, ভারতে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট বৃদ্ধির ফলে ভারত থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং করে তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয়। তাছাড়া গলা ব্যাথা, সর্দি, কাশি আছে কিনা জানতে চাই। তাদেরকে মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দিই। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত ইমিগ্রেশনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। প্রতিদিন ৭০-৮০ জন পর্যটক বাংলাদেশে আসে বলে জানান তারা।
এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি. এম. রাশেদুল ইসলাম বলেন, করোনা প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিদর্শনা অনুযায়ী ইমিগ্রেশনে স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যক্রম পরিদর্শন করেছি। তাদের কার্যক্রম সন্তোষজনক। এখানে আমরা কিছু যাত্রীকে বিনামূল্যে মাস্ক দিয়েছি। এছাড়াও এ বিষয়ে সরকারের যে নির্দেশনা রয়েছে আমরা তা যথাযথভাবে প্রতিপালন করবো।
আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হিমেল খান বলেন, সম্প্রতি আমাদের দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। বিশেষ করে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। সেজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বাড়তি সতর্কতা হিসেবে আখাউড়া স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশনে একটি স্ক্রিনিং বুথ খোলা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এখানে স্বাস্থ্য কর্মীরা ভারত থেকে আসা পর্যটকদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করছেন। পাশাপাশি নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা এবং মাস্ক ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দুই শিফটে দুজন করে স্বাস্থ্য কর্মী দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে কোভিড রোগীর জন্য।
চলারপথে রিপোর্ট :
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ডাকাতের গুলিতে মো. সোহাগ নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় ১ এপ্রিল শনিবার রাত আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সোহাগ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার ৬ নং নাটেশ্বর ইউনিয়নের নজরপুর গ্রামের আব্দুল হাকিম ট্যান ডলার বাড়ির মো. কোবাদ মিয়ার ছেলে। সোহাগের মৃত্যুতে তার গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
ছয় ভাই-বোনের মধ্যে ছোট ছেলেকে হারিয়ে সবাই পাগল প্রায়। কোনোভাবে সোহাগের এই মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছেন না পরিবারের লোকজন। মৃত্যুর খবরে সোহাগের স্ত্রী এক বাচ্চা নিয়ে অসহায় অবস্থায় রয়েছেন।
স্থানীয় প্রবাসীরা জানান, রাত আটটার দিকে জোহানেসবার্গে সোহাগের কনফেকশনারী দোকানে ডাকাত দল অতর্কিত গুলি চালিয়ে তাকে হত্যা করে। বর্তমানে সোহাগের মরদেহটি আফ্রিকার হিলব্র ক্লিনিকে রাখা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতি রয়েছে। হাওড়া বাঁধ ভেঙে নতুন করে আরো কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে কৃষি জমি ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। সকাল থেকেই আখাউড়া-আগরতলা সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি উঠছে। স্থলবন্দর এলাকায় পানি উঠায় ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, আজ ২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান। এ সময় দুর্গতদের মাঝে শুকনো খাবার চিড়া, গুড়, ওরস্যালাইন বিতরণ করা হয়।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী, পুলিশ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হয়ে চলে দিনভর চলে। রাতে কিছু সময় বৃষ্টি বন্ধ থাকে। শেষ রাত থেকে আবারো শুরু হয় বৃষ্টি। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে আসা পাহাড়ি ঢল, বৃষ্টির পানি ও হাওড়া বাঁধ ভেঙে সীমান্তবর্তী উপজেলার দক্ষিণ, মোগড়া ও মনিয়ন্দ ইউনিয়নের বাউতলা, বীরচন্দ্রপুর, কালিকাপুর, বঙ্গেরচর, উমেদপুর, সেনারবাদি, সাহেবনগর, কুসুমবাড়ি, টানোয়াপাড়া সহ অন্তত ৩৫টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে যায়।
গাজীরবাজার এলাকায় অস্থায়ী সেতু ভেঙে স্থলবন্দরগামী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়েছে।
আখাউড়া উপজেলা কৃষি অফিসার তানিয়া তাবাসসুম বলেন, সাড়ে ১৬শ হেক্টর কৃষি জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এরমধ্যে রুপা আপন ১৬০০ হেক্টর।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহী বলেন, উপজেলার ৩৫টি গ্রাম পানিবন্দি রয়েছে। পানিবন্দি মানুষকে আশ্রয়ের জন্য কয়েকটি প্রাইমারি ও হাই স্কুল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত সেতু মেরামতের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগকে খবর দেওয়া হয়েছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুরুল আলম জানান, হাওড়া নদী ও জাজীর খালসহ বিভিন্নস্থানে পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে। তা অতিক্রম করলে আরো নতুন করে এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ভারতের ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা পানির কারণে আখাউড়া উপজেলার ১টি পৌরসভাসহ ৫টি ইউনিয়ন এবং কসবা উপজেলার ১টি ইউনিয়ন বন্যা দেখা দিয়েছে। দুই উপজেলায় প্রায় ১২শ পরিবার আক্রান্ত হয়েছে। ১৫ মেট্রিক টন চাল ও ৫ লাখ টাকা বরাদ্ধ করেছি। এরইমধ্যে ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা দুর্গতদের পাশে রয়েছি।