চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আইভি রহমান স্মরণে কিশোরগঞ্জে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কিশোরগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান।
জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য দিলারা বেগম আছমার সভপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান মানছুরা জামান নতুন।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ফেরদৌসী কামাল, মাহফুজ আরা পলক, সুলতানা সাজিদা ইয়াসমিন, সুমাইয়া রুনা, মাছুমা আক্তার, ফাহিমা আক্তার পলি, হাছিনা হায়দার চামেলী প্রমুখ।
সভা সঞ্চালনা করেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিলকিছ বেগম।
আলোচনা শেষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলায় তিতাস নদীতে ব্রিজের পিলারের সঙ্গে ধাক্কায় নৌকা ডুবিতে সংঘর্ষে নবম শ্রেণির ছাত্রীসহ ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ ০১ মার্চ বুধবার বিকালে শ্রীতারামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে রাত্রি চৌধুরী (১৫) নামে একজনের পরিচয় জানা গেছে। সে নবীনগর উপজেলার বড়াইল গ্রামের প্রহল্লাহের মেয়ে। সে বড়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। মৃত্যুর সংবাদে নিহত ছাত্রীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তার মরদেহ দেখার জন্য আত্মীয়স্বজন ও সহপাঠীরা ভিড় করছেন।
পুলিশ ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুধবার দুপুরে ২০-২৫ জন যাত্রী নিয়ে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা পার্শ্ববর্তী নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার রায়পুরা ইউনিয়নের বাঁশগাড়ি যাচ্ছিল। পথিমধ্যে শ্রীতারামপুর-গোপীনাথপুর গ্রামের মাঝে তিতাস নদীতে নির্মিত ব্রিজের পিলারের সঙ্গে ধাক্কায় নৌকাটি তলিয়ে যায়। এতে দুইজন মারা যায়।
নিহত রাত্রির মা সন্ধ্যা রানী বলেন, রাত্রি স্কুল ছুটি নিয়ে দাদার বাড়ি বাঁশগাড়ি যাচ্ছিল। নৌকায় ২০-২৫ জন লোক ছিল।
নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, নৌকাডুবির ঘটনায় দুইজন মারা গেছে। একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। ব্রিজের সঙ্গে ধাক্কায় নৌকাটি ডুবে যায়।
অনলাইন ডেস্ক :
গ্রামীণ, রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক এবং টেলিটক, যেকোনো সিম থেকেই নিজের নামে নিবন্ধিত হওয়া সিমের সংখ্যা জানতে পারবেন। এক্ষেত্রে কোনো টাকার প্রয়োজন নেই।
সিম কার নামে রেজিস্ট্রেশন রয়েছে বা সিমের মালিক কে এই তথ্য অনেক সময় জানার প্রয়োজন হয়। তবে এটি একটি গোপনীয় ব্যাপার। শুধুমাত্র নিজের তথ্য ছাড়া অন্যের তথ্য জানার কোনো উপায় নেই। তবে কোনো জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন আছে তা জানতে পারবেন সহজেই। এজন্য ওই সিম এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর প্রয়োজন।
সিম রেজিস্ট্রেশন যাচাই করবেন যেভাবে
প্রথমে মোবাইল থেকে *১৬০০১# ডায়াল করুন। এরপর ফিরতি মেসেজে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরের শেষের চারটি সংখ্যা চাওয়া হবে। সেখানে শেষের চারটি সংখ্যা দিয়ে সেন্ড করুন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, যেই সিম থেকে জানতে চাচ্ছেন বা কোডটি ডায়াল করছেন তা অবশ্যই একই জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা থাকতে হবে।
ফিরতি মেসেজেই ওই জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা নম্বরের তালিকা দেয়া হবে। সেই তালিকায় সব নম্বর দেওয়া হবে। কিন্তু নম্বরগুলো সম্পূর্ণ দেওয়া হয় না। এক্ষেত্রে প্রতিটি নম্বরের শুরুর তিন ডিজিট এবং শেষের তিন ডিজিট দেখানো হয়।
সিমের বর্তমান ব্যবহারকারী কে জানার উপায়
নিজের সিম ছাড়া অন্যের সিমের মালিকানা যাচাই করার উপায় নেই। তবে এক্ষেত্রে সিমটি কে ব্যবহার করছেন সেটি জানার কয়েকটি উপায় রয়েছে। তবে এগুলো শতভাগ কার্যকর নয়। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র সিমের বর্তমান ব্যবহারকারী কে, সে সম্পর্কে একটি ধারনা পেতে পারেন।
এক্ষেত্রে ট্রুকলার নামের একটি অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। এর মাধ্যমে জানতে পারবেন সিমের ব্যবহারকারী কে। এজন্য মোবাইলে ট্রুকলার অ্যাপ ইন্সটল করতে হবে। এরপর একাউন্ট খুলে সাইন ইন করলেই হবে। তখন সিমের ব্যবহারকারী কে তা দেখতে পাবেন।
মূলত মোবাইলে থাকা সকল নম্বর নামসহ ট্রুকলার অ্যাপের সার্ভারে চলে যায়। ফলে অ্যাপটি ওই সব নম্বরের তথ্য জেনে যায়। মূলত সেই তথ্যের ভিত্তিতেই অ্যাপটি কাজ করে।
এছাড়া আরো একটি উপায়ে জানতে পারবেন সিমের ব্যবহারকারী কে। এজন্য প্রথমে ওই সিম নম্বর ফোনে সেভ করুন। তারপর হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমো অ্যাপ ব্যবহার করুন। যদি ওই নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমো অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে নাম দেখতে পাবেন। আর যদি ছবি দেওয়া থাকে তাহলে সেটিও দেখতে পাবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ৩০ জুন থেকেই শুরু হবে।
আজ ১ জুন শনিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ পরীক্ষা এক মাস পেছানোর যে বিজ্ঞপ্তি ফেসবুকে ছড়িয়েছে, তা সত্য নয় বলেও জানিয়েছে শিক্ষা বোর্ড।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর তারিখ সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রচারিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটি
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা শাখা কর্তৃক ইস্যুকৃত নয়। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সময়সূচি অনুসারে আগামী ৩০ জুন থেকে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ধরনের অপপ্রচার থেকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। বোর্ডের চেয়ারম্যানের আদেশক্রমে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশার এ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে পূর্বের ঘোষিত রুটিন অনুযায়ী এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে ৩১ মার্চ শুক্রবার রাতে জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুধ উৎপাদন বাড়াতে অবদান রাখায় দেশের ৪১ জন খামারি ও উদ্যোক্তাকে ডেইরি আইকন পুরস্কার দিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। বিশ্ব দুগ্ধ দিবসে ১ জুন বৃহস্পতিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে ২য় বারের মতো চারটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয়।
এ বছর ডেইরি ক্যাটাগরিতে ২০ জন, দুধ ও মাংস প্রক্রিয়াকরণ ক্যাটাগরিতে ৯ জন, পশুখাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্যাটাগরিতে ৮ জন এবং খামার যান্ত্রিকীকরণ ক্যাটাগরিতে ৪ জন পেয়েছেন এক লাখ টাকা, ক্রেস্ট ও সনদ।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। আরো বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শমভু, স্থায়ী কমিটির সদস্য শহীদুল ইসলাম বকুল, স্থায়ী কমিটির সদস্য ছোট মনির, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ।
‘টেকসই দুগ্ধ শিল্প: সুস্থ মানুষ, সবুজ পৃথিবী’ এ প্রতিপাদ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন হয়। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। এছাড়া বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সহায়তায় ঢাকার ১১টি স্কুলে শিক্ষার্থীদের দুধ পান করানো হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী প্রতিনিধিদল কোনো পরামর্শ দেয়নি বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাকে কোনো পরামর্শ দেননি, জানতে চেয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলটি আজ ১১ অক্টোবর বুধবার দুপুরের পর সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠক করে। পরে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাইবার আইন নিয়ে কথা হয়েছে। এ ছাড়া অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়েও কথা হয়েছে। আমি ওনাদের বলেছি, শেখ হাসিনার সরকার অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার ব্যাপারে জনগেণের কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ। নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূরর্ণ হবে। এই সরকার অবাধ, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে এবং নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা বজায় রাখতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের যে আইন উপমহাদেশে নেই, এমনকি এদেশেও ৫০ বছর ছিল না, সেটি প্রণয়ন করেছি।
তিনি বলেন, তাদের মূল বক্তব্য ছিল ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এবং সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মধ্যে পার্থক্য নিয়ে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে যে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে তাতে কী পরিবর্তন রয়েছে সে বিষয়ে। আমি সেই পার্থক্যের কথা তাদের অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলেছি। নির্বাচন নিয়ে তারা আমাকে কোনো পরামর্শ দেননি, জানতে চেয়েছেন। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট, জুডিসিয়ারি সম্বন্ধে জানতে চেয়েছেন। আমি জুডিসিয়ারির সম্পূর্ণ ইতিহাস তুলে ধরেছি। তারা মামলাজট সম্বন্ধে জানতে চেয়েছেন, এজন্য আমরা কী করেছি তা বলেছি।
আনিসুল হক বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হওয়ার জন্য আইনের কিছু পরিবর্তন চেয়েছিল। সেই পরিবর্তনগুলো করা হয়েছে। আমি বলেছি, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই নির্বাচন সংক্রান্ত যেসব অফিস-আদালত, ডিপার্টমেন্ট রয়েছে সেগুলো নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। এই ৩টি জিনিস খেয়াল করলেই বোঝা যাবে, শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশ অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূরর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক সেটা তারা চায়।
সংলাপের বিষয়ে কিছু বলেছেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংলাপ হবে কিনা জানতে চাননি। কেউ নির্বাচনে আসবে না এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে কি-না, এটা জিজ্ঞাসা করেছেন। আমি বলেছি, শেখ হাসিনার সরকার চায় সব দল নির্বাচনে আসুক। কিন্তু কে নির্বাচনে আসবে, কে নির্বাচনে আসবে না- সেটা সেই দলের সিদ্ধান্ত।