চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ভোট কেন্দ্রের নাম ও খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত খসড়া তালিকাটি উপজেলা নির্বাচন অফিস, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদের নোটিশ বোর্ডে প্রকাশ করা হয়েছে। তবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত ভোটার স্থানান্তর ও হালনাগাদ কার্যক্রম চলবে।
প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী আখাউড়ায় ১ টি পৌরসভা ও ৫ টি ইউনিয়নে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৪৪ টি এবং ভোট কক্ষ ২৬৫ টি। মোট ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ২৫ হাজার ১৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৬৩ হাজার ৮৭১ এবং মহিলা ভোটার ৬১ হাজার ১৪৫ জন। পূর্বের ৫টি কেন্দ্রের স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, খসড়া ভোট কেন্দ্রের উপর যদি কারো কোন দাবি, আপত্তি বা সুপারিশ থাকে তাহলে ৩১ আগস্টের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত আবেদন করতে হবে। এরপর আর কোন আপত্তি গ্রহন করা হবে না। ১১ সেপ্টেম্বর আপত্তি নিষ্পত্তির শেষ তারিখ।
আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর খসড়া ভোট কেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত হবে। স্থান পরিবর্তিত ৫ টি কেন্দ্র হলো জাহানারা বেগম নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আখাউড়া টেকনিক্যাল আলীম মাদরাসা, রহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নুরপুর রুটি আব্দুল হক ভূইয়া উচ্চ বিদ্যালয় এবং ঘোলখার রানিখার উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র। স্থান সংকুলান না হওয়ায় বাদ দেওয়া হয়েছে টানপাড়া হাফেজিয়া মাদরাসা, পীর শাহ সুলতান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দেবগ্রাম, নুরপুর ক্যাপ্টেন মাহবুব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ঘোলখার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার সুফিয়া সুলতানা বলেন, গত নির্বাচনে ৪৪ টি কেন্দ্র ছিল। এবছরও তাই আছে। স্থান সংকুলান না হওয়ায় ৫টি কেন্দ্র স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। এসব বিষয়ে কারো কোন আপত্তি থাকলে ৩১ আগস্টের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ লিখিত আবেদন করতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বরাবরের মতো ব্যতিক্রম আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষীকি উদযাপন করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ার স্বেচ্ছায় রক্তদানের সংগঠন আত্মীয়। ষষ্ঠ বছরে পদার্পন উপলক্ষে ২ শতাধিক শিশ এবং বয়স্ক মানুষকে নতুন কাপড় উপহার দিয়েছে মানবিক এ সংগঠনটি। আজ ১৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকালে আখাউড়া উত্তর ইউনিয়নের ৫ টি আশ্রয়ন প্রকল্পে এসব উপহার দেয়া হয়। নতুন কাপড় পেয়ে খুশি ছোট্ট সোনামণিরা। আয়োজনে সহযোগিতায় ছিল তৈরি পোশাক বিক্রয় প্রতিষ্ঠান বেবি এন্ড মমস।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে আজমপুর লিচু বাগানে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আত্মীয়ের প্রতিষ্ঠাতা সমীর চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বাবুল, আখাউড়া উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান, শিক্ষক নেতা মৌসুমী আক্তার, পৌর কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী,
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন বেগ শাপলু, বেবি এন্ড মমসের স্বত্বাধিকারী মারজান উল করিম সুজন, আত্মীয়ের সমন্বয়ক সুজন সাহা, হৃদয় দেব, ইমদাদ কিবরিয়া, মিনহাজ মুনতাসীর প্রীতম, আকিব চৌধুরী, কাজী রুবেল প্রমুখ।
উল্লেখ, ২০১৮ সালে কলেজ বিশ্ববিদ্যালে অধ্যয়নরত ছাত্রদের একদল স্বপ্নবাজ তরুনদের সমন্বয়ে আত্মীয় প্রতিষ্ঠিত হয়। সখগঠনের নিবন্ধিত রক্তদাতা প্রায় ২ হাজার।
গত ছয় বছরে সহস্রাধিক মানুষকে বিনামূল্যে রক্ত দিয়েছে সংগঠনের রক্তবীরেরা। রক্তদানসহ সামাজিক নানা কাজে প্রশংসা কুড়িয়েছে আত্মীয়।
মোহাম্মদ ইসমাইল, আখাউড়া :
গাজীপুরে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ এর সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদ ও সাংবাদিকদের পেশাগত ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে মুখে কালো ব্যাজ বেঁধে আখাউড়ায় মৌন প্রতিবাদ কর্মসূচি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৯ আগস্ট শনিবার দুপুরে পৌর মুক্তমঞ্চে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে আখাউড়া প্রেসক্লাব, সাংবাদিক কল্যাণ সোসাইটি, টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ও রিপোর্টার্স ইউনিটি যৌথভাবে অংশ নেয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, আখাউড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. শাহাদাত হোসেন লিটন, আখাউড়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি কাজী হান্নান খাদেম, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফজলে রাব্বি, সাংবাদিক কল্যাণ সোসাইটির সভাপতি নাসির উদ্দিন প্রমুখ।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, কাজী মফিকুল ইসলাম সহিন (বাংলাদেশ গার্ডিয়ান) জালাল হোসেন মামুন (দৈনিক দেশ রূপান্তর), রুবেল আহমেদ (দৈনিক কালবেলা), মোশাররফ হোসেন কবির (মোহনা টিভি) নাজমুল আহমেদ রনি (দৈনিক সময়ের আলো), সাদ্দাম হোসেন (আর টিভি) ও অমিত হাসান অপু (দৈনিক নবচেতনা) প্রমুখ।
এসময় বক্তারা তুহিন হত্যার দ্রুত বিচার এবং সারাদেশের সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। বক্তারা বলেন, একজন সাংবাদিককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা শুধু ব্যক্তিগত শত্রুতার ঘটনা নয়-এটি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর বড় ধরনের আঘাত। সাংবাদিককে হত্যা করা মানে সত্যকে হত্যা করা। সুতরাং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে সমাজে দুর্নীতি, অন্যায় ও অপরাধের খবর প্রকাশ পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে।
বক্তারা আরো বলেন, সাংবাদিকরা মাঠে কাজ করতে গিয়ে নানা ধরনের ঝুঁকি নেন-প্রভাবশালী মহলের হুমকি, হামলা, মিথ্যা মামলা কিংবা প্রাণনাশের ভয় নিয়েই তারা সংবাদের জন্য কাজ করেন। সুতরাং তাদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা অত্যন্ত জরুরি। সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিটি ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও বিচারের দাবি জানান তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রবমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন উপজেলা প্রশাসন।
আজ ১২ মার্চ মঙ্গলবার সকালে পৌরশহরের সড়ক বাজারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাবেয়া আক্তারের নেতৃত্বে আদালত পরিচালনা করা হয়।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ প্রশান্ত চক্রবর্তী ও আখাউড়া থানার ওসি মোঃ নূরে আলম। আখাউড়া থানা পুলিশ আদালতকে সহযোগিতা করেন।
এসময় আদালত সবজি, মাংস ও ফলের দোকান পরিদর্শন করেন। বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে দ্রব্যমূল্যের দরদাম যাচাই করেন। দোকানের দৃশ্যমান স্থানে পণ্যের মূল্য তালিকা টানিয়ে রাখার নির্দেশ দেন। ক্রয়মূল্যের চেয়ে অধিক দাম চাওয়ায় কয়েকজন বিক্রেতাকে সতর্ক করেন। এসময় ফলের দোকানে ক্রয়মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দাম চাওয়ার বিষয়টি আদালতে পর্যবেক্ষণে আসে। ক্রয়মূল্যের চেয়ে অত্যাধিক দামে তরমুজ বিক্রির অভিযোগ করেন বিক্রেতারা। ফলের মূল্য তালিকা টানিয়ে রাখারও নির্দেশ দেন আদালত। জেলা সদরসহ আশে পাশের উপজেলার ফলের বিক্রয় মূল্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ফল বিক্রি করার কথাও বলেন।
এদিকে, ক্রেতাদের অভিযোগ আদালতের অভিযানের সময় বাজার দর এক রকম থাকে। আদালত চলে গেলে বেড়ে যায়। তবে কাঁচামাল ব্যবসায়ীদের দাবী, আড়তদরা বেশি দামে পাইকারী বিক্রি করে তাই দাম বেড়ে যায়।
পারভেজ মিয়া নামে এক ব্যক্তি বলেন, সকালে একটি তরমুজের দাম ১হাজার টাকা চেয়েছে। পরে ৫০০ টাকায় সেই তরমুজ কিনেছি। এখন আদালত থেকে সেই তরমজু আড়াই শ টাকা হয়ে গেছে। আসলে আদালত চলে গেলে আবারও দাম বেড়ে যাবে। খেজুরের দামেও একই অবস্থা।
এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া আক্তার বলেন, রমজানে দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হবে। আজ প্রথম দিন আমরা ব্যবসায়ীদেরকে সতর্ক করে দিয়েছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী আখাউড়া স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছেন।
আজ ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে সাড়ে ১২টায় তিনি আখাউড়া স্থলবন্দরে এসে পৌঁছেন।
এসময় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য জাহাঙ্গীর কবির ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ হাসান আলী সঙ্গে ছিলেন। তিনি স্থলবন্দর, শুল্ক ষ্টেশন, ইমিগ্রেশন এলাকা ঘুরে দেখেন। সীমান্তের শূণ্য রেখায় পর্যন্ত গিয়ে বন্দরের অবকাঠামোসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ খবর নেন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন। এসময় বন্দরের ব্যবসায়ীদের সাথেও কথা বলেন। ব্যবসায়ীরাও তাদের সুযোগ-সুবিধার কথা বন্দর চেয়ারম্যানকে অবকগত করেন।
পরিদর্শন শেষে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, সরেজমিনে আখাউড়া স্থলবন্দর দেখতে এসেছি। এ বন্দরে ১৫ একর জায়গা রয়েছে। এরমধ্যে কিছু জায়গায় উন্নয়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ একটি প্রজেক্ট নিয়েছে। এ প্রজেক্টের আওতায় আখাউড়া স্থলবন্দর এবং তামাবিল স্থলবন্দরে ২১৭ কোটি টাকায় উন্নয়ন কাজ করা হবে। দ্রুত এর এ কাজ শুরু হবে। কাজ শেষ হলে আখাউড়া স্থল বন্দরে বিরাট পরিবর্তন আসবে। ফলে এখানে ব্যবসার আকার এবং সুযোগ অনেক বেশি হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে প্রজেক্টি শেষ হবে বলে তিনি জানান।
স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য ও প্রজেক্ট পরিচালক জাহাঙ্গীর কবির জানান, এখানে পাকা ইয়ার্ড, গুদাম, কাঁচামালের পার্কিং, ওয়েব্রীজ, ট্রান্সশিপমেন্ট শেড, বিভিন্ন সরকারি সংস্থার অফিস এবং আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। যাতে ব্যবসায়ীরা খুব সহজে সকল সেবা নিতে পারেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আক্তার, আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারি পরিচালক মাহমুদুর রহমান, সিএন্ডএফ এজেন্ট সভাপতি হাসিবুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফোরকান খলিফা, ব্যবায়ী নেছার উদ্দিন ভূঁইয়া প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় ১১৫০ কেজি ভারতীয় কফিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ধরখার থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো কসবা উপজেলার হারিয়াবহ গ্রামের শামসু মিয়ার ছেলে কাউছার মিয়া (৪০), বড়টুবার কুদ্দুস মিয়ার ছেলে আবু কালাম (৪২), ধজনগর গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে সেলিম মিয়া (৫৫)।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবুল হাসিমের নেতৃত্বে এস. আই মোবারক হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করেন।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসিম শুক্রবার দুপুরে জানান, অভিযানে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা দায়েরের পর তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালতে পাঠানো হবে।