অনলাইন ডেস্ক :
খুনের মাধ্যমে জিয়া পরিবারের উত্থান হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জিয়াউর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যের নির্মমভাবে হত্যা করে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তার ছেলে তারেক জিয়া গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জন মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে। তাদের উত্থানই হয়েছে খুনের মাধ্যমে।
আজ ২৫ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার প্রাচীন বিদ্যাপীঠ আড়ানী মনোমোহিনী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা একের পর এক উন্নয়ন করে চলেছেন। এ প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা কুপি, চেরাগ বাতি চেনে না। কারণ দেশে এখন শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি।
ঢাকায় ইতোমধ্যে মেট্রো রেল চালু হয়েছে। এ ছাড়া অনেকগুলো মেগাপ্রকল্প চলমান। অথচ মির্জা ফখরুল বলেন- দেশে উন্নয়ন হয়নি।
বিএনপির সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ আরো বলেন, ইদানীং লক্ষ করছি বিএনপি নেতাদের গলায় হতাশার সুর।
কারণ তারা ভেবেছিল তাদের সব চাওয়া পূর্ণ করে নির্বাচন হবে। তারা বিদেশিদের সাপোর্ট পাবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো দেশ তাদের আহ্বানে সাড়া দেয়নি। কারণ শেখ হাসিনার প্রতি সব দেশের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। তারা বুঝতে পেরেছে এ দেশে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সভাপতির বক্তব্যে বলেন, আমরা আজ যে স্কুল মাঠে শোকসভা করছি, এই স্কুল থেকে পড়ালেখা করে তৎকালীন মন্ত্রিত্ব করেছেন প্রভাষ চন্দ্র লাহিড়ী। এ অঞ্চলের মানুষ ক্রীড়া ও সংস্কৃতিপ্রিয় মানুষ।
তিনি বলেন, সকাল থেকে এখানে বৃষ্টি হচ্ছে। তার পরও মানুষ যেভাবে শোকসভায় সাড়া দিয়েছে তা দেখে মনে হচ্ছে ২০০৮ সালের নির্বাচনের ন্যায় এবারও আওয়ামী লীগে গণজোয়ার আসবে। এ দেশের জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। যত দিন বাংলাদেশকে সোনার বাংলা গড়তে না পারব তত দিন আমরা ক্ষমতায় থাকব।
শোকসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ দারা। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আদিবা আনজুম মিতা ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলফোর রহমান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, সাবেক সংসদ সদস্য জিন্নতুন নেছা তালুকদার, বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, জেলা যুবলীগের সভাপতি আবু সালেহ, আড়ানী পৌর মেয়র মুক্তার আলী, চারঘাট পৌর মেয়র একরামুল হক, বাঘার পাঁচজন ইউপি চেয়ারম্যান, বাঘা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা খাতুন লতা, রাজশাহী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রোকনুজ্জামান রেন্টু ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে জেলার শান্তি-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য জেলাবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
আজ ৬ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে পৃথক সময়ে দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেসক্লাব পরিদর্শনে এসে জেলা বিএনপির দুইপক্ষের নেতারা এ আহবান জানান।
দুপুর ১টার দিকে প্রেসক্লাব পরিদর্শনে আসেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান কচি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক জহিরের নেতৃত্বে জেলা বিএনপির একটি অংশ।
এসময় তারা সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বলেন, সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। তারা পেশাদারিত্বের সাথে সাংবাদিকতা করেন।
এ সময় তারা বলেন, প্রেসক্লাব সকলের। প্রেসক্লাবে হামলা কারো কাম্য নয়। নেতৃবৃন্দ প্রেসক্লাবে হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, আমরা মঙ্গলবারের জেলা বিএনপির বিজয় মিছিল বাতিল করেছি। এ সময় নেতৃবৃন্দ বলেন, আজকে ছাত্র সমাজ জাতিকে স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্ত করেছে। সাংবাদিকদের স্বধীনভাবে তাদের কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে। বক্তারা সরকারি স্থাপনা, প্রতিপক্ষের নেতা-কর্মীদের বাড়ি এবং সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে কেউ যাতে অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য জেলা বিএনপির সকল নেতা-কর্মীকে সজাগ থাকার আহবান জানান।
দুপুর দেড়টার দিকে প্রেসক্লাবে আসেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজের নেতৃত্বে বিএনপির অপর অংশ।
এ সময় তিনি বলেন, জনগণের কাঙ্ক্ষিত বিজয় যাতে কেউ নস্যাৎ করতে না পারে সেজন্য জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদেরকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কেউ যাতে সরকারি স্থাপনা ও আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের বাড়ি-ঘরে হামলা করতে না পারে সেজন্য শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে দলের সকল নেতাকর্মী সজাগ থাকার আহবান জানান। জনসচেতনা বৃদ্ধির জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে শহরে মাইকিং করা হচ্ছে। তিনি বিশেষ করে কেউ যাতে সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা করতে না পারে সেজন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের খেয়াল রাখার আহবান জানান। নেতৃবৃন্দ পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন সাংবাদিকের উপর হামলা ও প্রেসক্লাবে হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এতে পাঁচটি আসনে বর্তমান সংসদ সদস্যদের পুনরায় মনোনয়ন দেওয়া হলেও পরিবর্তন করা হয়েছে একটি আসনে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ নবীনগর আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুলের পরিবর্তে এবার মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল।
আজ ২৬ নভেম্বর রবিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ঘোষণা দেন।
এছাড়াও আওয়ামী লীগের অন্যান্য মনোনীত প্রার্থীরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মো. শাহজাহান আলম সাজু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য র,আ,ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) এ.বি. তাজুল ইসলাম।
এদিকে, মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ২৮ অক্টোবর কমসূচি শেষে যে যার জায়গায় ফিরে যাবে এবং পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ওই দিন বসে পড়ার মতো কোনো কর্মসূচি দেওয়া হবে না।
আজ ২২ অক্টোবর রবিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে আগামী শনিবার ঢাকায় মহাসমাবেশ সফল করার উপলক্ষে সেখানে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে এক যৌথসভা হয়।
পরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বর্তমানে ফ্যাসিস্ট লুটেরা ও বেআইনি সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। তারা গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি রসাতলে নিয়ে গেছে। তারা আবারও একতরফা নির্বাচন করতে চায়। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীকে মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় সাজা দেওয়া শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত ১৩৬০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের মানুষ এখন এ সরকারকে দেখতে চায় না। তারা পরিবর্তন চায়। অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। তা না বলে প্রতিদিন জনগণ রাজপথে আন্দোলন দানা বাঁধছে। তারা তাদের দাবি আদায়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে আদায় করবে। আমাদের দ্বারা কিন্তু কোথাও অহিংস ঘটনা ঘটেনি। তবুও আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে মাত্র ৪ দিনেই ৪৮টি মামলা দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা আমাদের হুমকি দিচ্ছে। এটা চরম দুর্ভাগ্যজনক। আসলে তারাও বিরোধী দলকে নির্মূল করার জন্য ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে এক হয়েছে।
তিনি মহাসমাবেশ প্রসঙ্গে বলেন, আগামী ২৮ অক্টোবর আমাদের মহাসমাবেশ হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। সারাদেশের নেতাকর্মীরা আমাদের মহাসমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন। পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশে বলবো- কোথাও কিন্তু আপনারা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবেন না! এটা কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় হবে। ওবায়দুল কাদের যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে তাদের উদ্দেশ্য বোঝা যায় তারা বিনা কারণে আমাদের অফিসে আক্রমণ করেছে। আমরা আবারও বলছি ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। এজন্য নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমাদের থাকবে। আমরা কোনো নেতাকর্মীকে অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দেইনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ছয়টি নির্বাচনী আসনে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ, জাকের পার্টি, ওয়াকার্স পার্টি ও জাসদসহ নয়জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
আজ ১৭ ডিসেম্বর রবিবার জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমানের কাছে তারা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেন। এদিকে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে শাহজাহান আলম মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারকারীরা হচ্ছেন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কাজী মাসুদ আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের জাসদ প্রার্থী আক্তার হোসেন সাঈদ এবং জেলার ছয়টি আসনের জাকের পার্টির ছয়জন প্রার্থী।
জাকের পার্টির প্রার্থীরা দলের সিদ্ধান্তে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের কথা জানালেও জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থীরা ব্যক্তিগত কারণে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে জানান।