চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ১৯৫টন ভাঙা পাথর আমদানি করা হয়েছে। আজ ২৬ আগস্ট শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আগরতলা বন্দর হয়ে ৯টি ট্রাকে করে এসব পাথর আখাউড়া স্থলবন্দর আসে।
এর মধ্য দিয়ে প্রায় দেড় মাস বন্ধ থাকার পর আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আবারও পণ্য আমদানি শুরু হয়েছে।
পাথরগুলো আশুগঞ্জ-আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত নির্মাণাধীন চারলেন মহাসড়কের নির্মাণকারী ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকনস্ ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড আমদানি করেছে। আখাউড়া স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স খলিফা এন্টারপ্রাইজ পাথরগুলো বন্দর থেকে ছাড়করণের কাজ করবে।
মেসার্স খলিফা এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি মোজাম্মেল হক জানান, বন্দর দিয়ে এক হাজার টন ভাঙা পাথর আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যেই বাকি পাথরগুলো চলে আসবে। এরপর বন্দর থেকে পাথর ছাড়করণের কাজ শুরু হবে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সুপারিনটেনডেন্ট মো. সামাউল ইসলাম জানান, গত ১০ জুলাই ভারত থেকে ১০ টন আদা আমদানি হয়েছিল। এরপর আর কোনো পণ্য আমদানি হয়নি। শনিবার সন্ধ্যায় ৯টি ট্রাকে করে ১৯৫ টন ভাঙা পাথর এসেছে। যদিও এদিন ১০টি ট্রাকে করে ২২০ টন পাথর আসার কথা ছিল। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত শুল্ক ও মাশুল পরিশোধের পর পাথর খালাস করবে।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দুই হাজার ৭০০ টন চুনোপাথর আমদানি করেছিল এফকনস্ ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় এক আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে দুই নারীসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন ভৈরবের শিবপুর গ্রামের বাবুল মিয়া, সিলেট সদর বালুরচর কদমতলীর একনারী ও মাধবপুরের বগলা বাজার ধল্যাখালের এক নারী। এর আগে সোমবার রাতে পৌর শহরের সড়ক বাজার ভূঁইয়া আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে থানা পুলিশ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে আবাসিক হোটেলগুলোকে অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে। প্রকাশ্যে দিনেদুপুরে নির্ভয়ে আবাসিক হোটেলে যৌনকর্মীরা যাচ্ছেন। এতে করে বাজারের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এমন অভিযোগ স্থানীয়দের রয়েছে। পুলিশ জানায়, পৌর শহরের সড়ক বাজার এলাকায় ভূঁইয়া আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কাজ চলছে। এমন গোপন সংবাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে রাতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় অসামাজিক কাজে জড়িত থাকায় ২ নারীসহ ৩ জনকে হাতে নাতে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আখাউড়া থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কাজে জড়িত থাকায় ৩ জনকে হাতে নাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসব অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। গ্রেফতারকৃতদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, অপরাধ নির্মূলে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ভেকু দিয়ে কৃষি জমি থেকে অবৈধ ভাবে মাটি কাটার দায়ে দুই ব্যক্তিকে এক লক্ষ জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ২৪ এপ্রিল বুধবার দুপুরে উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের বনগজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়।
পুলিশের সহায়তায় আদালত পরিচালনা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রাহাতুল ইসলাম। জরিমানা দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন বনগজ গ্রামের রৌশন আলী বেপারী ও ভাটামাথা গ্রামের মোঃ সালাহ উদ্দিন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তরা বিক্রির উদ্দেশ্য ভেকু দিয়ে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটছিল। খবর পেয়ে বেলা ২ টার দিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রাহাতুল ইসলাম ঘটনাস্থল বনগজে গিয়ে মাটি কাটার সময় তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে মাটি কাটার সত্যতা পাওয়ায় প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রাহাতুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় প্রশাসনের বাজার মনিটরিং অভিযানকালে আদালতের সাথে থাকায় সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আজ ১ এপ্রিল শনিবার বেলা সাড়ে তিনটার পৌর শহরের সড়ক বাজারে সাতরং ফ্যাশনের মালিকের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার সাংবাদিকরা হলেন হান্নান খাদেম, রুবেল আহমেদ, জালাল হোসেন। হামলায় আহত রুবেল আহমেদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় রুবেল আহমেদ বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দেয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
খবর পেয়ে তাৎক্ষিনভাবে ঘটনাস্থলে এসে ৫জনকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে।
লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অংগ্যজাই মারমা বাজার মনিটরিং অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় সড়কে অবৈধভাবে মোটর সাইকেল পার্কিং করায় তিন মোটর সাইকেল মালিককে অর্থ জরিমানা করা হয়।
এরমধ্যে সাতরং ফ্যাশনের মালিক সোহাগ মিয়াকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। জরিমানা করায় সোহাগ মিয়া ক্ষুব্ধ হয়ে আদালতের সাথে অসৌজন্য মূলক আচরণ করেন।
অভিযানকালে পেশাগত কাজে সাংবাদিক হান্নান খাদেম, জালাল হোসেন মামুন অমিত হাসান ও হাসান মাহমুদ পারভেজ উপস্থিত ছিলেন। পরে বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে সাংবাদিক হান্নান খাদেম, মামুন ও রুবেল আহমেদ ফল কেনার জন্য বাজারে গেলে সাংবাদিকদের দেখে সোহাগ মিয়া উত্তেজিত হয়ে বলেন ‘তোদের কারণে আমার জরিমানা হয়েছে’ এ কথা বলেই সোহাগ মিয়া ও দোকানের কর্মচারীসহ ৭/৮ জন যুবক সাংবাদিকদের উপর হামলা করে মারধর শুরু করে। হামলায় রুবেল আহমেদ আহত হয়। হামলাকারীরা একটি ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। পরে বাজারের লোকজন এগিয়ে এসে সাংবাদিকদের রক্ষা করে।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার ওসি মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু হয়েছে। এজহার নামীয় ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকী আসামিদেরকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় স্ত্রীসহ আটক হয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা নান্টু কুমার কর (৩৪)।
আজ ২৪ নভেম্বর রবিবার দুপুরে দায়িত্বরত বিজিবি-৬০ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা স্থলবন্দর এলাকায় তাদেরকে আটক করে।
বিকেলে বিজিবি’র ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল জাবের বিন জব্বারের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
আটককৃত নান্টু কুমার কর চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার দৌলতপুর করপাড়ার সুচীন্দ্র করের ছেলে। শান্তা রানী (২৪) নান্টু কুমার করের স্ত্রী এবং একই এলাকার সঞ্জয় কুমার নাথের ছেলে।
বিজিবির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, নান্টু কুমার কর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চট্টগ্রাম বন্দরে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলার আসামী। তিনি স্ত্রী শান্তা রানী নাথকে নিয়ে আত্মগোপনে যেতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় তাদেরকে আটক করা হয়। তাদেরকে আখাউড়া থানায় সোপর্দ করা হবে।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় রমজান মাস উপলক্ষে অসহায় ও দুস্থ দরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে আখাউড়া ব্লাড ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে ইফতার বিতরণ করা হয়।
ব্লাড ফাউন্ডেশন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মোঃ রবিন মিয়ার সঞ্চালনায় ২৫ মার্চ মঙ্গলবার বিকালে আখাউড়া সড়ক বাজারের কয়েকটি পয়েন্ট ও রেলওয়ে ষ্টেশন রোড সহ পথচারী ও অটোরিকশা চালকসহ ছিন্নমূলের মানুষদের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়েছে।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, সংগঠনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজসেবক মো.শাহাব উদ্দিন আহমেদ, আমেদাবাদ আলহাজ্ব শাহ আলম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফখরুল ইসলাম, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক হারুনুর রশিদ।
এ সময় ব্লাড সংগঠনের পক্ষ থেকে মো: শাহাবউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই কর্মসূচির মাধ্যমে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি সমাজে মানবতার বাণী পৌঁছে দেওয়ার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে আখাউড়া ব্লাড ফাউন্ডেশন। ভবিষ্যতেও আমরা এ ধরনের সেবামূলক কাজ চালিয়ে যাব।
আমেদাবাদ আলহাজ্ব শাহ আলম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফখরুল ইসলাম বলেন, আমি সমাজের সকলকে অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি, আখাউড়া ব্লাড ফাউন্ডেশন বিশ্বাস করে- মানবতার সেবাই পরম ধর্ম।
ইফতার বিতরণ শেষে উপজেলা মাঠে এসে দোয়া ও মাখফিল অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন, ব্লাড ফাউন্ডেশনের সদস্যরা ও উপজেলা প্রশাসন কর্মকর্তারা।