চলারপথে রিপোর্ট :
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের বড় হরণ গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ ২৬ আগস্ট শনিবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘন্টাব্যাপী সংর্ঘষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, বড় হরণ গ্রামের ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার মালিকানাধীন একটি দোকানের মালিকানা নিয়ে মলাই মিয়ার সাথে একই এলাকার রমজান মিয়ার বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জের ধরে বিষয়টি মামলা মোকদ্দমায় গড়ায়। এর মধ্যে এক পক্ষ খবর পায় বিরোধ নিস্পতি হওয়ার আগেই মলাই মিয়ার লোকজন দোকানটি দখলের পায়তারা করছেন। এমন খবর পেয়ে রমজান মিয়ার লোকজন দুপুর ১টার দিকে বড় হরণ বাজারে গিয়ে দোকান দখলের পায়তারার বিষয়টি জানতে চায় মলাই মিয়ার পক্ষের লোকজনের কাছে। পরে এ নিয়ে মলাই মিয়ার পক্ষের সাথে রমজান মিয়ার লোকজনের কথা কাটাকাটি হয়। পরে দু’পক্ষ দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে রেল লাইনের উপর সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। একে অপরের দিকে রেললাইনের পাথর নিক্ষেপ করলে উভয়পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হয়। তবে তাৎক্ষনিক ভাবে আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
রমজান মিয়ার পক্ষের কামরুল ইসলাম জানান, দোকান নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আদালতে মামলা চলমান আছে। আদালত থেকে স্থিতাবস্থা দেয়া হয়েছে। তারপরও অপর পক্ষের লোকজন দোকানটির দখলের পায়তারা করছিলেন। আমাদের লোকজন বাজারে গেলে মলাই মিয়ার লোকজনের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। তারা আমাদের লোকজনের উপর হামলা করে।
মলাই মিয়া পক্ষের বাবুল মিয়া জানান, বাজার কমিটির লোকজন সহ স্থানীয় মুরুব্বিরা দোকানের চলমান বিরোধটি মিমাংসার জন্যে বসেছিলেন। তারা হঠাৎ আমাদের লোকজনের উপর হামলা চালায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো: সাফায়েত উল্লাহ জানান, পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
চাকরী জাতীয়করণ করার ১দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ ও জেলা কমান্ডারের অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে আনসার সদস্যরা।
আজ ২৪ আগস্ট শনিবার দুপুরে শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মঞ্চে জড়ো হয়ে আনসার সদস্যরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহর বাইপাস এলাকার জেলা কমান্ডার অফিস ঘেরাও করে।
আন্দোলন চলাকালে আনসার সদস্য নোমান মিয়া বলেন, আমরা এত বছর ধরে চুক্তিভিত্তিক ভাবে কাজ করে আসছি। আমাদের যখন বিশ্রামের নামে ছুটিতে পাঠানো হয়, তখন আমাদের বেতন ভাতা দেয়া হয়না। আমরা তখন কিছুই করতে পারিনা। আমরা যতবার কথা বলতে চেয়েছি, আমাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে এই বাংলায় আমরা আর বৈষম্য চাইনা। আমাদেরকে চাকরী জাতীয়করণ করতে হবে। আমাদের ১দফা দাবি আদায়ে সারাদেশ আমরা একত্রিত হয়েছি। যতদিন আমাদের দাবি আদায় না হবে, আমরা কর্মবিরতি পালন করে যাব।
রবিউল নামে আরেক আনসার সদস্য জানান, ১৯৪৮ সাল থেকে আনসার বাহিনী গঠনের পর থেকে আমরা চুক্তিভিত্তিক ভাবে কাজ করি। সকল বাহিনীর সাথে আমরা কাজ করি। যখন দেশে পুলিশ বাহিনী ছিলো না। আমরা থানায় কাজ করেছি, ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেছি। আমরা যখন চুক্তিতে থাকি না, তখন আমাদের বেতন দেয়া হয়না। সব বাহিনী থেকে সবচেয়ে অবহেলিত আমরা আনসার বাহিনীর সদস্যরা। আমরা আর চুক্তি চাই না। আমরা এখন মুক্তি চাই। আমাদের ১ দফা দাবি আমাদের চাকরী জাতীয়করণ করতে হবে। আমরা জেলা কমান্ডারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। আশা করি তিনি আমাদের পাশে থাকবেন। তিনি বলেন, আমাদের আগামীকাল ঢাকায় মহাসমাবেশ রয়েছে। আমরা সবাইকে অংশগ্রহন করার আহ্বান জানাচ্ছি।
এদিকে আনসার সদস্যদের সাথে একমত পোষন করে জেলা কমান্ডার মোঃ ইসমাইল হোসেন জানান, তাদের দাবি আদায়ে সবসময় তিনি পাশে থাকবেন। তিনি বলেন, আমার সৈনিকরা ভালো থাকলে আমরা ভাল থাকবো। তাই আমিও চাই তাদের ১দফা দাবি পূরণ হোক। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্যাস ফিল্ডের কর্মকর্তা পরিচয়ে বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে সবীর মিয়া (৪২) নামে এক প্রতারককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রামের শান্তিনগর থেকে সোমবার দুপুরে তাকে আটক করা হয়। সবীর মিয়া জেলার কসবা উপজেলার বাদৈর গ্রামের মৃত আব্দুল হাসিমের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ জানায়, সবীর মিয়া বেশ কিছুদিন ধরে পৌর এলাকার ভাদুঘর ও সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে নিজেকে গ্যাস ফিল্ডের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে অভিযান চালান। এ সময় গ্যাস সংযোগের কাগজপত্র দেখতে চাইতেন তিনি।
সুযোগ বুঝে গ্যাস সংযোগে অনিয়ম হয়েছে মর্মে ভয় দেখিয়ে লাইন কেটে দেওয়ার হুমকি দিতেন। এরপর অনেকে টাকা দিয়ে তার সঙ্গে রফাদফা করতেন। পাশাপাশি নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়ার কথা বলে অনেক মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন।
পরে লোকজন খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন সবীর মিয়া গ্যাস ফিল্ডের কর্মকর্তা নন, প্রতারক। সবীর মিয়া সোমবার সকালে আবারো শান্তিনগর এলাকায় গিয়ে কয়েকটি বাড়িতে গ্যাস সংযোগের কাগজ ও চুলা দেখতে চাইলে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
ওসি আসলাম হোসাইন বলেন, অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির নৌকা প্রতিকের সমর্থনে আজ ২৫ ডিসেম্বর সোমবার স্থানীয় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চে নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণমানুষের নেতা, নিরাপদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী মিনারা আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভেকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাতের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত নারী সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, মাউশির সাবেক ডিজি ও ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ফাহিমা খাতুন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পিপি অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, নারীরা এখন যে নিরাপদে আছেন, সে নিরাপদ আপনারা বজায় রাখবেন কিনা, সেটা আপনারাই ভাববেন। কারো প্রভাবে আপনার সন্তান যদি মাদকাসক্ত হয়ে যায় তাহলে আপনি সেই নিরাপদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া বজায় রাখতে পারবেন না। এই নিরাপদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া গড়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রার্থী, নৌকার প্রার্থী।
তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরে বলেন, দেশে উন্নয়ন-অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করবেন।
তিনি আগামী ৭ জানুয়ারী সারাদিন নৌকা প্রতিকে ভোট দেয়ার জন্যে ভোটারদের প্রতি আহবান জানান। সমাবেশে বিপুল সংখ্যক নারী উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ১৮ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রতিহতের ডাক দিয়েছে জেলা বিএনপির বৃহত্তর একাংশের নেতাকর্মীরা।
আজ ১২ জানুয়ারি রবিবার দুপুরে শহরের কাচারি পাড় এলাকায় পৌর মুক্তমঞ্চে তারেক রহমানের ৩১ দফা দাবির বাস্তবায়নে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এই হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
সভায় জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচির সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আজমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি অ্যাড. শফিকুল ইসলাম, সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাড. গোলাম সারোয়ার খোকন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবিএম মোমিনুল হক, সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন রিপন, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, পৌর বিএনপির সভাপতি নজির উদ্দিন আহমেদ, যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বিগত ১৭ বছরে বিএনপির নির্যাতিত ও ত্যাগী নেতা কর্মীদের বাদ দিয়ে জেলা বিএনপির সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। মূলত একটি পক্ষ বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের লোকজন নিয়ে দল ভারী করে প্রহসনের সম্মেলন করার পায়তারা করছে। তারা পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা তৈরি না করে যেই প্রহসনের সম্মেলন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে তা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটিতে যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে।
এসময় সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে বক্তারা, জেলার সকল পর্যায়ের নেতা কর্মীদের কথা বলে ত্যাগীদের নিয়ে একটি পরিচ্ছন্ন ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে সম্মেলন করার দাবি জানান। এ বিষয়ে কেন্দ্র থেকে দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত না এলে আগামী ১৬ জানুয়ারি আমরণ অনশনসহ বৃহত্তর কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা।
আজ ২২ মার্চ শনিবার বিকেলে শহরের পৌর মুক্ত মঞ্চ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
সুহিলপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল রহমান লিটনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ উদ্দিন মাহদি, যুগ্ম মূখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ্, সংগঠক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জিহান।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা নাগরিক প্রতিনিধি সাহিল আহমেদ, আক্কাস মীর লিংকন চৌধুরী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের রাজনীতি ও খুনি হাসিনার রাজনীতি পুর্নবাসন হবে না। বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। পরিশেষে দলটির বিচার ও নিষিদ্ধের দাবি জানান বক্তারা।