চলারপথে রিপোর্ট :
বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থার আয়োজনে চুয়াডাঙ্গায় কম্পিউটার ও ড্রাইভিং প্রশিক্ষার্থীদের মাঝে সনদপত্র এবং সন্মানী বিতরণ করা হয়েছে । আজ ২৬ আগস্ট শনিবার বেলা ১২টায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে সনদপত্র বিতরণ কর্মসুচীর শুভ উদ্বোধন করেন মাগুরা- ১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর।
একাডেমি মোড়স্থ বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থার চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ে থেকে এ সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়। সংস্থার চেয়ারম্যান কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শেখ আব্দুস সালাম ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
সনদপত্র বিতরণে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দেন সং¯হার নির্বাহী চেয়ারম্যান সিনিয়র সাংবাদিক আহমেদ পিপুল, সমাজসেবা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক শহিদুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জেসমিন জাহান মুন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. সাইফুলাহ রাসেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড সাইফুল হক।
প্রধান অতিথি এ্যাড. সাইফুজ্জামান শিখর এমপি বলেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে মূল ধারায় নিয়ে আসায় প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম লক্ষ্য। সেই লক্ষেই বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে । এই কারনে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে কম্পিউটার ও ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে। যাতে তারা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান, জেলা যুবলীগের আহবায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দার, সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক সিদ্দিকী সোহেলী রশীদ, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন সাংবাদিক বিপুল আশরাফ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক রফিক রহমান, জামান আকতার, রিফাত রহমান, এ্যাড. মনিবুল হাসান পলাশ, আব্দুস সালাম, জামান আকতার, হামিমুজ্জামান সুমনসহ অনেকে।
যেসব শিক্ষার্থী দুই মাসব্যাপী কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ড্রাইভিং কাম অটো মেকানিক্স কোর্স সফলভাবে শেষ করেছেন তাদের হাতে সনদপত্র ও সন্মানী তুলে দেন অতিথিরা। সার্টিফিকেট হাতে পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। কম্পিউটার ৪ ব্যাজে ১২০ জন ও ড্রাইভিং এ ২ ব্যাজে ৬০ শিক্ষার্থী সনদপত্র গ্রহণ করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না, যথাসময়ে নির্বাচন হবে।’
আজ ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকালে রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে নতুনভাবে প্রকাশিত দৈনিক বাংলা পত্রিকার প্রথম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
দৈনিক বাংলার প্রকাশক ও কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত, বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাসোসিয়েশন ও ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবীর হোসেন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদের ‘তফসিল ঘোষণা হলেই যে নির্বাচন হয়ে যাবে, এতো সহজ নয়’ মন্তব্যের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে বিএনপি তো চায় দেশে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ভন্ডুল করতে। ২০১৪ সালে তারা সে চেষ্টা করেছিল, ব্যর্থ হয়েছে। এবার সেই চেষ্টা করলে জনগণ কঠোর হস্তো দমন করবে। বাংলাদেশে বেশিরভাগ মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে, সেই মানুষগুলো বসে থাকবে না। আমরা আওয়ামী লীগও বসে থাকব না।’
‘আর নির্বাচনের ট্রেন কারো জন্য দাঁড়াবে না’, উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনের ট্রেন যেমন কারো জন্য দাঁড়ায়নি, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি পাদানিতে বসে নির্বাচনের ট্রেনে চড়েছিল। আমরা আশা করব, এবার নির্বাচনের ট্রেনে তারা ভালোভাবে বসবে। আর তারা না চড়লেও নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।’
বিএনপিকে উদ্দেশ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উনাদের কোন নেতা কী বললো এতে কিচ্ছু আসে যায় না। নির্বাচনে জনগণ অংশগ্রহণ করল কি না সেটিই মুখ্য। যদি জনগণ ব্যাপকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলেই সেটি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে।’
‘তাদের বর্জন সত্ত্বেও যেভাবে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জনগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছে, আগামী নির্বাচনও যদি তারা বর্জন করে জনগণ ব্যাপকভাবেই অংশগ্রহণ করবে ইনশাআল্লাহ। তবে আশা করব, তারা অংশগ্রহণ করবে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করবে’ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন যে রোহিঙ্গারা এসেছিল তাদেরই তো তারা পরিপূর্ণভাবে ফেরত পাঠাতে পারেনি। ১৯৭৬-৭৭ সালে রোহিঙ্গারা এসেছিল সেই রোহিঙ্গারা এখনো আছে, ওরা এখন বাংলাদেশি হয়ে গেছে। ১৯৯১-৯২ সালে আবার রোহিঙ্গারা এসেছিল যখন বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী। সেই রোহিঙ্গাদের বহুজন চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। আর এখন তারা রোহিঙ্গা ফেরত পাঠাতে সেমিনার করে বেড়াচ্ছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে তারা চায় না যে, রোহিঙ্গা সমস্যার কোনো সমাধান হোক। কারণ, বিএনপির সাথে যে জঙ্গিগোষ্ঠী আছে তাদের জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো রিক্রুট করার উর্বর ক্ষেত্র হয়েছে, এ জন্য উনারা প্রকৃতপক্ষে চায় না এ সমস্যার সমাধান হোক। আমরা চেষ্টা করছি, কূটনৈতিকভাবে চেষ্টা করছি এবং অনেক অগ্রগতিও আছে। ইনশাআল্লাহ এই সমস্যার সমাধান হবে।’
অনলাইন ডেস্ক :
কয়েকটি দেশ বন্ধু হলে শত্রু লাগে না, মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তারা চায়, বাংলাদেশে এমন সরকার আসুক, যারা তাদের পদলেহন করবে।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ ৩০ আগস্ট বুধবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে কেউ কেউ চায়, এখানে এমন একটা সরকার আসুক যারা তাদের পদলেহন করবে।
তিনি বলেন, বড় দেশ মোড়লিপনা সব জায়গায় করে থাকে। এরা যাদের বন্ধু হয়, তাদের তো আর শত্রু লাগে না। ইউক্রেন বন্ধু হয়েছিল, আজ ইউক্রেনের অবস্থাটা কী দাঁড়িয়েছে?’
শেখ হাসিনা বলেন, সেখানকার (ইউক্রেন) মেয়েরা, বাচ্চারা আজকে কষ্ট পাচ্ছে। এমনই বন্ধুত্ব, সেই বন্ধুত্বের কারণে তাদের দেশও শেষ এবং সেখানে নারী-শিশু, তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে।
নাম উল্লেখ না করে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে তৎপর দেশগুলোকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, গণতন্ত্রের ধ্বজাধারী কিছু আছে, কয়েকটি দেশ, তারা নাকি খালি গণতন্ত্র খুঁজে বেড়ায়।
শেখ হাসিনা বলেন, আজ আমাদের শুনতে হয়, তারা গণতন্ত্রের খোঁজ করে, ভোটের অধিকার খোঁজ করে। এই ভোটের যে অবস্থা ছিল, সেটা তো তারা দেখেনি। এরা দেখতেও পারে, জানতেও পারে।
তিনি বলেন, মানবাধিকার, গুম-খুনের কথা বলে। আমার বাবা-মায়ের হত্যাকারী সেই খুনি রাশেদ এখনও আমেরিকায়। বার বার অনুরোধ করি যে তাকে ফেরত দেন, কারণ আমার দেশের বিচার ব্যবস্থায় সে সাজাপ্রাপ্ত। সেখানে তাদের হাত দেওয়ার কী অধিকার আছে? এই খুনিকে তারা লালনপালন করে কেন? আরেকজন নূর, সেই নূর তো এখন কানাডায়। তাদের তারা ফেরত দেয় না।
বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে আওয়ামী লীগের অবদানের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগেরই উদ্যোগে আমরা মহাজোট করি। আমাদেরই প্রস্তাব ছিল ছবিসহ ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, নির্বাচন স্বচ্ছ করা।
তিনি বলেন, আইন করে নির্বাচন কমিশন আমরা করেছি। নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করে দেওয়া হয়েছে অর্থনৈতিকভাবে।
নির্বাচন ও গণতন্ত্র বিষয়ে শেখ হাসিনা আরও বলেন, নির্বাচনকে স্বচ্ছ করা, জনগণের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছে আওয়ামী লীগ। রক্ত দিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। রক্ত দিয়েই এই অধিকার আমরা প্রতিষ্ঠা করেছি।
আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী প্রমুখ।
সভাপতিত্ব করেন ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগ সভাপতি এ কে এম বজলুর রহমান।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করেছে। জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল তৈরির জন্য জাতিসংঘ স্বীকৃতির পরিপ্রেক্ষিতে তাকে এই বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।
ব্রাউন ইউনিভার্সিটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ওয়ারেন অ্যালপার্ট মেডিক্যাল স্কুলের মেডিসিন অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল সায়েন্সের ডিন ডা. মুকেশ কে জৈন এখানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার অবস্থানস্থল দি লোটে নিউইয়র্ক হোটেলে প্রশংসাপত্রটি হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি মো. নূরে এলাহি মিনা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ব্রাউনের ওয়ারেন অ্যালপার্ট মেডিক্যাল স্কুল কমিউনিটি ক্লিনিক মডেলের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য জাতিসংঘ কর্তৃক প্রধানমন্ত্রীকে তার স্বীকৃতির জন্য বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া প্রশংসাপত্রে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ কর্তৃক ‘শেখ হাসিনা উদ্যোগ’-এর সাম্প্রতিক স্বীকৃতির জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন।’
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘কমিউনিটি-ভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার একটি সফল মডেল: প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং কমিউনিটি সম্পৃক্ততা উন্নয়নের মাধ্যমে সর্বজনীন স্বাস্থ্য পরিধির জন্য একটি অংশগ্রহণমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি।’
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় ড. জৈন জনস্বাস্থ্য ও গবেষণার ক্ষেত্রে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের একটি সম্ভাব্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বাংলাদেশ-ব্রাউন বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন ইনিশিয়েটিভ সম্পর্কে আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং এর প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করে বাংলাদেশে চিকিৎসা ও ক্লিনিক্যাল গবেষণার উন্নয়নের ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, আমরা সব সময় গবেষণাকে গুরুত্ব দিচ্ছি। এটি চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় দারুণ ভূমিকা রাখতে পারে।
ব্রাউন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সার্ভিক্যাল ক্যানসারের পরীক্ষা করছে।
ড. জৈন আরো বলেন, তারা ক্লিনিক থেকে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণকারী রোগীদের রেকর্ড রাখার জন্য বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিককে ইলেকট্রনিক ডেটা ম্যানেজমেন্ট চালু করতে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে পারে। ব্রাউন ইউনিভার্সিটি গবেষণা ও শিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি অংশীদারত্ব গড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
এ লক্ষ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের ইচ্ছাও প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সূত্র: বাসস
চলারপথে রিপোর্ট :
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আম পাড়তে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে দিপু মিয়া (৩৮) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ ১০ মে বুধবার বিকেলে পৌর শহরের জগন্নাথপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দিপু মিয়া পৌর শহরের জগন্নাথপুর এলাকার নোয়াজ ব্যাপারীর বাড়ির সিরাফ মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুরে বিনিবাজারে তার বাড়ির পাশের আম গাছে ওঠেন আম পারার জন্য। কয়েকটি আম পাড়ার পর এক ডাল থেকে অন্য ডালে পা রাখা অবস্থায় ডাল ভেঙ্গে মাটিতে পড়ে যান। এতে মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ভৈরব থানার ওসি মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা শুনেছি যে আম পাড়তে গিয়ে দিপু নামে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে কারো কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি।’
অনলাইন ডেস্ক :
আজমিরীগঞ্জে নদীর তীরে পরিত্যক্ত অবস্থায় কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতক কন্যা শিশুর পরিচয় গত পাঁচ দিনেও না পাওয়ায় সিলেটের ছোট মনি নিবাসে প্রেরন করেছে উপজেলা শিশু কল্যান বোর্ড হয়েছে।
শিশুটির ভবিষ্যৎ সুরক্ষা বিবেচনা করে ভরনপোষণের দায়িত্ব নিতে ইচ্ছুক এমন দম্পতির নিকট হবিগঞ্জের পারিবারিক আদালতের মাধ্যমে আইনি পক্রিয়ার নতুন অভিবাবকের নিকট হস্তান্তর করা হবে বলে জানান উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা।
আজ ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের একজন, আইশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও হাসপালের নার্সের মাধ্যমে এম্বুলেন্সের মাধ্যমে সিলেটের বাগবাড়ি ছোট মনি নিবাসে প্রেরন করা হয়।
এদিখে ভরনপোষণের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য দুইজন নারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভাপতি জুয়েল ভৌমিকের নিকট লিখিত আবেদন করেছেন।
পরিত্যক্ত অবস্থায় নবজাতক কন্যা শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়া নারী সুরুজ আলীর স্ত্রী আলফিনা বেগম বলেন, গত ১০ বছর ধরে তিনি নিঃসন্তান সোমবার বছিরা নদীর তীরে নবজাতক শিশুটিকে পরিত্যক্ত অবস্থায় কুড়িয়ে পেয়েছিলাম। উপজেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ওই নবজাতককে আমার জিম্মায় দিয়েছিল মনে করেছিলাম আমার সন্তানের আকাঙ্খা শেষ হলো। ওইদিনই থেকে আজ পর্যন্ত শিশুটিকে পরিচর্যা করেছি। এমনি তার ভাসুরের স্ত্রী নবজাতক শিশুটিকে বুকের দুধ পানও করান। কিন্তু ওই শিশুটিকে সিলেটে নিয়ে যাচ্ছে বলেই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি শিশুটির ভরণপোষণের দায়িত্ব দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও শিশু কল্যান বোর্ডের সভাপতি জুয়েল ভৌমিক বলেন, পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া নবজাতকটি সিলেটের সোনামনি নিবাসে প্রেরন করা হয়েছে। আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার রাত সারে ৯ টায় সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আব্দুল আওয়াল মিয়ার স্ত্রী তমা (১০) আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইওসি ভবনে প্রসব ব্যাথা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। রাত সাড়ে ১১টায় তিনি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় কন্যা সন্তানের জন্ম দেন এবং নরমাল ডেলিভারীর ঘন্টাখানেক পর হাসপাতাল থেকে চলে যান।
পরদিন সোমবার ভোর সকালে উপজেলা কাকাইলছেও ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের দক্ষিণ দিখে বছিরা নদীর তীরে শিশুটির কান্না শোনে স্থানীয় নারী-পুরুষ সেখানে গিয়ে একটি নবজাতককে পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখতে পান। সেখান থেকে উদ্ধার করে স্থানিয় দয়াল মিয়ার কন্যা আলফিনা বেগমের জিম্মায় দেয়া হয়।
ডেলিভারিতে থাকা এক নার্স জানান, শিশুটি জন্মের পর তাঁর স্বজনরা একবারের জন্যও কোলে নেননি। তিনি ঘন্টাখানেক কুলে নিয়ে সেবা যত্ন করেছেন। তাঁর সাথে সেলফিও তুলেছেন। তিনি আরও জানান, ওই প্রসূতির সাথে তার শাশুড়ি এবং ভাসুর পরিচয় দিয়ে একজন পুরুষ এসেছিল।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, রাতে ওই প্রসূতিকে প্রসব ব্যাথা অবস্থায় মোটরসাইকেলে করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। প্রয়োজনী কিছু ওষুধপত্র হাসপাতালের সামনে তারেক ফার্মেসী থেকে ক্রয় করেন উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের ঘরদাই গ্রামের ওমর আলী নামে এক ব্যাক্তি।
ওইদিন সন্ধ্যায় আজমিরীগঞ্জ উপজেলা সমবায় অধিদপ্তরের ইউনিয়ন সমাজকর্মী শেখ মাসুদুর রহমান নবজাতকটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।