চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া রেলওয়ে জংশনে মাইলেজ জটিলতা নিরসনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা।
আজ ২৭ আগস্ট রবিবার বেলা ১১টার দিকে আখাউড়া জংশন রেলস্টেশনের ৯ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আখাউড়া রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। রেলওয়ের লোকোমোটিভ রানিং স্টাফ, গার্ড, টিটিইসহ সব রানিং স্টাফরা এ বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি কবির আহমদ ভূঞাঁ সভাপতিত্ব করেন।
বিক্ষোভ শেষে সমাবেশে বক্তারা বলেন, আজকের মধ্যে (২৭ আগস্ট) ১৮ জুন জারি করা অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবাস শাখার চিঠি প্রত্যাহার এবং আগের মতো ন্যায় পার্ট অব পে ৭৫ শতাংশ মাইলেজ যোগে পেনশন ও আনুতোষিক নির্ধারণের সুস্পষ্ট আদেশ জারি করতে হবে। তা না হলে মাইলেজ নামের বেতন ও পেনশন কমানোর প্রতিবাদে ২৮ আগস্ট থেকে সর্বস্তরের রানিং স্টাফরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করবেন।
বক্তারা আরও বলেন, রেলের রানিং স্টাফরা ব্রিটিশ আইন অনুযায়ী পার্ট অব পে হিসেবে ট্রেন পরিচালনা করে আসছেন। বর্তমানে রানিং স্টাফদের আইবাস সিস্টেমে যোগদান করতে বলা হচ্ছে। এতে একজন রানিং স্টাফ ৩০ দিনের বেশি মাইলেজ সুবিধা পাবেন না। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তারা। বর্তমানে ৮ ঘণ্টা ট্রেন পরিচালনার পর বিশ্রামে যাওয়ার নিয়ম থাকলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রেন পরিচালনা করতে হচ্ছে। ব্রিটিশ আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের মাইলেজ সুবিধা দেওয়ার দাবি জানান তারা।
সমাবেশে বক্তারা জানান, মাইলেজ নিয়ে কোনো টালবাহানা চলবে না। অধিকার হরণ করা হলে প্রয়োজনে নিয়মের বাহিরে অতিরিক্ত ডিউটি পালন করা হবে না।
এসময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, রানিং সংগঠনের সভাপতি কবির হোসেন ভুঁইয়া, গার্ড কাউন্সিলের আখাউড়া শাখার সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ হোসেন, টিটি অ্যাসোসিয়েশনের রাজীব হোসেন, লোকোরানিং অতিরিক্ত সম্পাদক সোলাইমান রশিদ, লোকো রানিং সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক আকরাম হোসেন, অর্থ সম্পাদক মো. এস আর মামুন, সহ প্রচার হাফিজুর রহমান, সদস্য মুশফিকুর রহমান চৌধুরী বিপ্লব তৌহিদুর মুরছালিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় পৃথক স্থানে গলায় ফাঁস দিয়ে এক নারীসহ ২ জন আত্মহত্যা করেছে। আজ ২৫ মার্চ শনিবার সকালে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের নীলাখাদ এবং গঙ্গাসাগর পশ্চিম দিঘির পাড় এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আখাউড়া থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠিয়েছে। নিহতরা হলেন নীলাখাদ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধার জহিরুল হকের ছেলে মোঃ নয়ন (৪৬) এবং দিঘির পাড়েরর সাগর মিয়ার স্ত্রী আলিফা আক্তার (২০)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নয়ন মিয়া সকলের অগোচরে বসত ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বাড়ির লোকজন জানালা দিয়ে দেখতে পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপরদিকে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে গঙ্গাসাগর গ্রামের পশ্চিম দিঘির পাড় এলাকায় সাগর মিয়ার স্ত্রী নিজ রুমে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না প্যাচিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠিয়েছি। প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, দু’জনেই ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে, পারিবারিক কলহের জেরে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
কিডিন ও পিত্তে পাথর, হার্টে সমস্যা, ডায়াবেটিস ও শ্বাসকষ্ট রোগে ভুগছেন মনোয়ারা বেগম (৫৫)। চিকিৎসক বলেছেন অপারেশন করাতে। কিন্তু টাকার অভাবে অপারেশন করাতে পারছেন না তিনি। টাকার জন্য ঠিকমত ওষুধ সেবন করতেও পারেন না। দিন দিন তার শরীরের অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। বাঁচার জন্য, চিকিৎসার জন্য সহৃদয় মানুষের সহযোগিতা চান স্বামী হারা অসহায় এই নারী। মনোয়ারা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরশহরের রাধানগর পশু হাসপাতাল সংলগ্ন আলমগীর মিয়ার বাড়িতে মেয়ের সাথে ভাড়া বাসায় থাকেন। দ্রুত তার কিডনি ও পিত্ত পাথরের অপারেশন করা দরকার।
জানা যায়, পৌরশহরের দেবগ্রামের ফুল মিয়ার মেয়ে মনোয়ারা বেগম। ১০ বছর আগে স্বামী মারা গেলে ১ টি ছেলে ও ২ টি মেয়ে নিয়ে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন। বহু কষ্ট করে মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। সংসারে অভাব অনটন লেগেই থাকতো। সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে বড় আশা বুকে নিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু চাকরী না পেয়ে ছেলে দেশে ফিরে এসেছে। স্বামী নাই। ছেলে বেকার। সংসারে আয় রোজগার করার কেউ নাই। বিগত ৪ বছর ধরে মনোয়ারা বেগম বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। তার চিকিৎসার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা ও ঠিকমত ওষুধ সেবন করতে পারছেন না তিনি।
সরেজমিনে বাসায় গিয়ে দেখা যায়, টিন সেডের ছোট্ট একটি রুমে শুয়ে আছেন মনোয়ারা বেগম। শরীর অনেকটা শুকিয়ে গেছে। ঠিকমত কথা বলতে পারছিলেন না তিনি। কথা বলতে গিয়ে বার বার হাঁপিয়ে উঠছিলেন তিনি।
অসহায় এই নারী বলেন, বাবা গরীব। পরের বাড়িতে থাকি। আমার টাকা পয়সা নাই। আমার খুব কষ্ট। ওষুধপত্র সেবন করতে পারছি না। ডাক্তার বলছে কিডনি ও পিত্ত পাথরের অপারেশ করাতে কিন্তু টাকার জন্য পারতেছি না। আত্মীয় স্বজনের সহযোগিতায় কোন রকমে চলতেছি। মরলে বেচে যেতাম, মরিও না বাঁচিও না। মানুষের দয়ায় আল্লাহ যদি আমাকে মরন পথ থেকে বাঁচায়।
এ ব্যাপারে আখাউড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও দেবগ্রাম এলাকার পৌর কাউন্সিলর মোঃ বাবুল মিয়া বলেন, মনোয়ারা বেগমের অসুস্থতার বিষয়টি আমি অবগত আছি। যতটুকু পারি সহযোগিতা করবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
কোনো রকমে ঠেলা ধাক্কায় ওপরে ওঠা। এরপর শুরু একের পর ঝাঁকি। মোট ৩৬টা। ততক্ষণ পর্যন্ত ‘ইস’ আর ‘উফ’ আওয়াজ।
বেশি বেকায়দায় পড়লে শোনা যায় হায় হায় শব্দ। পড়ে গেলাম পড়ে গেলাম বলে চিৎকার। দৌড়ে এসে রক্ষার চেষ্টা। রেললাইন ১২টা, ডুয়াল গেজের।
একেকটায় তিনটি করে রেলপাত। সেই হিসাবে মোট ৩৬টি পাত পার হওয়ার সময় প্রতিবারই বেশ ঝাঁকি লাগে। এতে যানবাহনে চলাচলকারী যাত্রীরা প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। রেল ওভারপাসটি ওঠার সময়ও দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর এলাকার লাল বাজারের একটি লেভেলক্রসিংয়ে প্রতিনিয়ত এভাবেই দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। এ লেভেলক্রসিং পার হয়েই যেতে হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। লেভেলক্রসিংয়ের পরেই রয়েছে বড় বাজার নামে একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার। এ ছাড়া জেলা সদর ও উপজেলা সদরের বেশ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এ লেভেলক্রসিং পার হয়ে এলাকায় যান।
সরজমিনে ঘুরে ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লালবাজার নামে এলাকার শেষ হতেই লেভেলক্রসিং শুরু।
এক থেকে দেড় শ গজ পার হয়ে ওপারে বড় বাজার। আখাউড়া-লাকসাম ডুয়াল গেজ প্রকল্প নির্মাণের আগে তিনটি রেললাইন পার হয়ে এপার-ওপার যাওয়া যেত। আর এখন মোট ১২টি রেললাইন বসানোয় এটি পার হতে বেগ পেতে হয়। প্রতিটি রেললাইনের পরের জায়গা বেশ উঁচু-নিচু। এ ছাড়া নতুন রেললাইন অনেক উঁচুতে নির্মাণ হওয়ার সেটি সড়ক থেকে বেশ উঁচুতে। যে কারণে ঠেলা-ধাক্কায় যানবাহন ওঠাতে হয়। বাধ্য হয়ে অনেকে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছেন। কখনো মালবাহী অনেক যান এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনার মধ্যে পড়ছে।
স্থানীয়রা আরো জানান, ২৪ ঘণ্টায় অর্ধশতের বেশি ট্রেন এ পথ দিয়ে চলাচল করে। যে কারণে একটু পর পর বেরিয়ার ফেলে রাখা হয় এ লেভেলক্রসিংয়ে। এতে হাসপাতালে জরুরি সেবা নিতে যাওয়া রোগীরা অনেক সময় আটকা পড়ে যান। লেভেলক্রসিং পার হতে গিয়ে বেশ ঝাঁকি লাগে বলে রোগীরা আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে যানবাহন চালকরা এ পথ দিয়ে যেতেও চান না।
দুর্ভোগের বিষয়টি এ প্রতিবেদক একাধিবার নিজেই দেখেন। যানবাহন চড়তে দুর্ভোগের বিষয়টি নিশ্চিত করতে গত ১৫ জানুয়ারি এ প্রতিবেদক একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চড়ে। রাধানগর চৌরাস্তা মোড় থেকে ওই লেভেলক্রসিংয়ে হয়ে স্টেশনে যাওয়ার পথে ঠিকই দুর্ভোগে পড়তে হয়। লেভেরক্রসিংয়ে ওঠার সময় এ প্রতিবেদকের অটোরিকশা আটকে যায়। একপর্যায়ে অটোরিকশাটি পেছন দিকে নামতে থাকলে অস্থায়ী বেরিয়ারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েক যুবক টেনে ধরেন।
লেভেলক্রসিং সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা আখাউড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শেখ বোরহান উদ্দিন আহমেদ এখানে একটি আন্ডারপাস বা ওভারপাস নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘উপজেলার একমাত্র হাসপাতাল, একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার এবং জেলা সদর ও আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে যেতে এ সড়কটি ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু সড়ক থেকে রেললাইন অনেক উঁচু হওয়া ও অনেকগুলো রেললাইন পার হতে হয় বলে দুর্ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। দুর্ঘটনা ও দুর্ভোগের শিকার এলাকার মানুষ এখানে একটি আন্ডারপাস বা ওভারপাস করার দাবিতে মানববন্ধনও করেছে। আশা করছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দ্রুত বিবেচনায় নেবেন।’
আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. হিমেল খান বলেন, ‘হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা এ বিষয়ে প্রতিনিয়তই অভিযোগ করেন। নতুন রেলপথ নির্মাণ হওয়ার পর থেকে চলতে গিয়ে তাদের খুবই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে হাড়ভাঙা রোগী, গর্ভবতী নারীদের বেলায় সমস্যা হচ্ছে বেশি। এ পথ ছাড়া হাসপাতালে আসার কোনো বিকল্প রাস্তাও নেই। জনগণের সমস্যার কথা চিন্তা করে এখানে একটি আন্ডারপাস বা ওভারপাস নির্মাণের জন্য এলাকার সংসদ সদস্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।’
এ বিষয়ে লাকসাম-আখাউড়া ডুয়াল গেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) মো. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘রেললাইন পার হতে গিয়ে দুর্ভোগের বিষয়টি এলাকাবাসী বলেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষও বিষয়টি অবগত আছেন। কিন্তু এই মুহূর্তে কিছু করার নেই। তবে যত দূর জানি পরবর্তীতে আখাউড়া-সিলেট ডুয়াল গেজ রেললাইন নির্মাণ কিংবা অন্য প্রকল্পে চলাচলের সুবিধার্থে একটি ওভারপাস কিংবা একটি আন্ডারপাসের পরিকল্পনা থাকতে পারে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় মাধ্যমিক ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে ‘বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আখাউড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে ২৪ মার্চ রবিবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনসহ তিনটি কক্ষে ঘন্টাব্যাপী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ৭৮ ছাত্রছাত্রী ৩টি গ্রুপে ৫টি বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নেয়। বিষয়গুলো হলো ভাষা ও সাহিত্য দৈনন্দিন বিজ্ঞান, গণিত ও কম্পিউটার, বাংলাদেশ স্ট্যাডিজ ও মুক্তিযুদ্ধ। পরীক্ষার মোট নম্বর ছিল ৫০।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ পরীক্ষার সদস্য সচিব মোঃ আবুল হোসেন বলেন, উপজেলার ১৬টি স্কুল থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
১৫জন সেরা ছাত্রকে নগদ অর্থ উপহার ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে। পরবর্তীতে এসব শিক্ষার্থীরা জেলা পর্যায়ে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবে। মুলত সারা দেশ থেকে সেরা মেধাবী ছাত্রছাত্রী খুঁজে বের করতেই এ পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অব্যবস্থার তদন্তে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। ৩০ জুন রোববার বিকালে জেলার সিভিল সার্জনের নিকট প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
এর আগে গত শনিবার আখাউড়া পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিদর্শনে গিয়ে অব্যবস্থাপনা এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ দেখতে পেয়ে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম করেন এবং বিষয়টি ভিডিও কলে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হককে দেখালে মন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে বিষয়টি মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেন।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সিভিল সার্জন ডা. মো. বেলায়েত হোসেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শামীমা সুলতানাকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। দায়িত্ব পেয়ে রোববার তদন্ত কমিটির সদস্যরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে তদন্ত করেন। পরে বিকালে সিভিল সার্জনের নিকট প্রতিবেদন জমা দেন।
তদন্ত কমিটির সদস্য কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আলী আশরাফ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ডা. মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেয়েছি। রিপোর্টে বড় কোন অব্যস্থাপনা পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে স্টোর না থাকায় নিলামযোগ্য মালামালগুলো হাসপাতালের ভেতরে রাখা হয়েছিল। এজন্য দেখতে খারাপ লাগছিল। শিগগিরই এগুলো নিলাম দেওয়া হবে। ওই দিন হাসপালের রোগীদের খাবার দেওয়ায় বিলম্ব এবং নিম্নমানের খাবার সরবরাহের বিষয়ে ঠিকাদারকে শোকজ করা হয়েছে। ৩ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।