চলারপথে রিপোর্ট :
বহুল প্রতিক্ষিত আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মান কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ইতিমধ্যেই রেললাইন বসানোর কাজ শেষ। প্রকল্পের ভবনগুলোর নির্মাণ কাজও শেষ হয়েছে প্রায় ৯৫ ভাগ। আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে দুইদেশের প্রধানমন্ত্রী রেলপথটির উদ্বোধন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন প্রকল্প সংশিষ্টরা।
চলতি আগস্ট মাসের শেষ দিকে পরীক্ষামূলকভাবে আখাউড়া থেকে আগরতলায় ট্রেন চলানোরও প্রস্তুতিও নিচ্ছেন তারা।
এ অবস্থায় রেলপথকে ঘিরে বন্ধুত্বপূর্ন দুই দেশের বাসিন্দাদের মধ্যে আগ্রহের শেষ নেই। সংশ্লিষ্টরা জানান, রেলপথটি চালু হলে ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নয়নের পাশাপাশি সম্পর্কের উন্নয়নের ক্ষেত্রেও নব-দিগন্তের সূচনা হবে।
সড়ক পথের পর এবার আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ দিয়েও দু’দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হবে। রেলপথে পণ্য পরিবহন খরচ কম হওয়ায় আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য আরো চাঙা হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
চলতি আগষ্ট মাসের শেষ দিকে বহুল কাঙ্ক্ষিত এই রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের প্রস্ততি নিচ্ছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে ভারতের আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। রেলপথটির ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার পড়েছে বাংলাদেশ অংশে। প্রকল্পের কাজটি বাস্তবায়ন করছে ভারতের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশের সাড়ে ৬ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় প্রায় ২৪১ কোটি টাকা।
দেড় বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারীসহ নানা সংকটের কারণে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে কয়েক দফা প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত জুন মাসে। এই রেলপথটি উত্তর-পূর্ব ভারতের সাথে সরাসরি যুক্ত করবে বাংলাদেশকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশের রেলপথে রেললাইন বসানোর কাজ শেষ। এছাড়াও প্রকল্পের ১৬টি সেতু ও কালভার্টের সবকটিরই কাজ শেষ হয়েছে ইতোমধ্যে। আর ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৯৫ ভাগ।
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথটি চালু হলে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য আরো বাড়বে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
আখাউড়া স্থলবন্দরের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, আমদানি খরচ বাড়াসহ নানা কারণে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে এখন ভারত থেকে পণ্য আমদানি হচ্ছে না। এছাড়া একই কারনে ভারতীয় ব্যবসায়ীরাও বাংলাদেশ থেকে পণ্য নিচ্ছেন কম। তবে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথটি চালু হলে সড়কপথের তুলনায় কম খরচে পণ্য পরিবহন করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। এতে দু’দেশের ব্যবসায়ীরাই লাভবান হবেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি আজিজুল হক বলেন, রেলপথে পণ্য পরিবহন অনেক বেশি নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী। আখাউড়া-আগরতলা রেলপথটি চালু হলে দুইদেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বিস্তৃত হবে বলে আশা করছি। এতে আমদানি খরচ কম হবে, ভোক্তা পর্যায়ে কম মূল্যে পণ্য পৌঁছে দেয়া যাবে। ফলে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে এই রেলপথটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এ ব্যাপারে প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ভাস্কর বকশি বলেন, প্রকল্পের ভবনগুলোর নির্মাণ কাজ ৯৫ ভাগ শেষ হয়েছে। রেললাইন বসানোর কাজ শেষ। পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলে কোন সমস্যা হবে না। চলতি আগস্ট মাসের শেষ দিকে পরীক্ষামূলকভাবে আখাউড়া থেকে ট্রেন যাবে আগরতলায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক (বাংলাদেশ অংশ) মোঃ আবু জাফর মিয়া বলেন, পুরো প্রকল্পের অগ্রগতি ৯৫ শতাংশ। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে চলতি মাসেই এই রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল করানোর। এরপর সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে দুইদেশের প্রধানমন্ত্রী রেলপথটির উদ্বোধন করবেন বলে আশা করছি। প্রথমে পন্যবাহী এবং পরবর্তীতে যাত্রীবাহি ট্রেন চলাচল করবে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুই বছরের হাবিবকে বিছানায় রেখে মা ঘরের বাইরে যান। এ সময় জানালা ধরে খেলা করছিল সে। এরই মাঝে জানালার ছিটকিনি খুলে আসে তার হাতে। অবুঝ শিশু হাবিব সেই ছিটকিনি মুখে ঢুকিয়ে গিলে ফেলে। এরপরই শুরু হয় পেটব্যথা ও যন্ত্রণা। পরিবারও কিছু বুঝে উঠতে পারছিল না। অবশেষে দুইদিন অবজারভেশনে রেখে শিশু হাবিবের খাদ্যনালী থেকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বের করা হলো জানালার সেই ছিটকিনি। বর্তমানে শঙ্কামুক্ত হাবিব।
হাবিব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার শান্তিনগর গ্রামের জুয়েল মিয়ার ছেলে। জুয়েল মিয়ার ৩ ছেলে সন্তানের মধ্যে হাবিব কনিষ্ঠ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর বর্তমানে হাবিব সেখানেই চিকিৎসাধীন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাবিবের মা পাখি বেগম বলেন, আমার ছেলেটি অনেক চঞ্চল। ২ আগস্ট বুধবার সকালে তাকে আমি নাস্তা করিয়ে বসিয়ে রেখে একটু ঘরের বাইরে যাই। এসে দেখি তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তার মুখ খুলে প্রথমে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। পরে গলায় সাদা ধরনের কিছু একটা দেখা যায় এবং মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছিল। এই অবস্থায় তাকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে হাবিবের এক্স-রে করে দেখে গলায় কিছু একটা আছে। সেখান থেকে দ্রুত বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসি। আসার পর এক্স-রে করে চিকিৎসকরা দেখেন পেটের ভেতর একটা ছিটকিনি। চিকিৎসকরা তাকে দুইদিন অবজারভেশনে রাখেন। এর দুইদিন পর শুক্রবার রাতে আমার ছেলেকে অপারেশন করে খাদ্যনালী থেকে একটি ছিটকিনি বের করেন ডা. আবু সাঈদ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও হাবিবের অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক ডা. আবু সাঈদ জানান, এক্স-রে রিপোর্টে শিশুটির পেটের খাদ্যনালীতে ছিটকিনি দেখা যায়। পেটের ভেতরে খাদ্যনালী প্রায় ২০ ফুট লম্বা থাকে। অস্ত্রোপচারের সময় খাদ্যনালীর ভেতর থেকে খুঁজে বের করা হয়েছে ছিটকিনিটি।
তিনি জানান, শিশুটির খাদ্যনালী কেটে ছিটকিনিটি বের করা হয়েছে। তা কিছুদিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। তাকে আরও দুইদিন হাসপাতালে থাকতে হবে। তবে সে এখন সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত।
চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এলো। আজ ১৫ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের দুটি অংশ পৃথক স্থানে পরামর্শ সভা করেছে। আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে প্রথম সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী।
সভায় সম্ভাব্য কয়েকজন প্রার্থীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অপরটি সভাটি হয় উপজেলা কমপ্লেক্সের ভেতরে জেলা পরিষদের ডাক বাংলোতে। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন আখাউড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি মো. নুরুল হক ভূইয়া। সভায় আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন প্রবীণ নেতাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মূলত জেলা পরিষদের সদস্য মো. সাইফুল ইসলামের আহবানে সভাটি হয়। দুটি সভাতেই আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। সন্ধ্যার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পৃথক দুটি সভার ছবি ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষের মাঝে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
আগামী ২১ মে ২য় ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২১ এপ্রিল অনলাইনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখ। ২১ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের আর মাত্র ৩৫ দিন বাকী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে এক ডজনের অধিক নেতাকর্মী সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। এসব প্রার্থী থেকে প্রতিটি পদে একজন করে প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্যে পরামর্শ সভা করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। সভায় সকল প্রার্থীকে ডাকা হয়। তবে কয়েকজন প্রার্থী ছাড়া বেশির ভাগ প্রার্থী সভায় উপস্থিত ছিলেন। প্রার্থী ও দলীয় নেতারা প্রতিটি পদে একজন করে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে একমত হয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাথে পরামর্শ করার সিদ্ধান্ত হয়। মন্ত্রীর দিক নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্তর হবে। এসময় দলীয় কার্যালয়ের সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও চেয়ার প্রার্থী আবুল কাশেম ভূইয়া, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী এড. আব্দুল্লাহ ভূইয়া বাদল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ বোরহান উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম আহবায়ক মনির হোসেন বাবুল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, পৌর যুবলীগের সভাপতি মনির খান। সভায় উপস্থিত একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অপরদিকে জেলা পরিষদের ডাক বাংলোতে অনুষ্ঠিত আরেকটি অংশের সভায় উপস্থিত ছিলেন- জেলা পরিষদ সদস্য ও যুবলীগ নেতা মো. সাইফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ বোরহান উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ মো. জয়নাল আবেদীন, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাচনের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মনির হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম হেলাল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মো. নূরুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ কামাল। সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একজন প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
আওয়ামী লীগের দলীয় সভায় উপস্থিত থাকা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. আব্দুল্লাহ ভূইয়া বাদল বলেন, সভায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিটি পদে একক প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। আমরা আওয়ামী লীগ করি, আওয়ামী লীগের প্রার্থী। যেহেতু আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আমাদের অভিভাবক। তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন আমরা তাই করবো।
জেলা পরিষদ সদস্য ও যুবলীগ নেতা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, যেহেতু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক দেয়নি। সবার জন্য উন্মুক্ত। তাই আমরা একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী দেওয়ার জন্য পরামর্শ সভা করেছি। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী বলেন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেছি। প্রার্থীরা আমাদের আমাদের উপর দায়িত্ব দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রী (আইনমন্ত্রী) মহোদয়ের সাথে কথা বলবো। তিনি যে দিক নির্দেশনা দিবেন সে অনুযায়ী কাজ করবো।
উল্লেখ্য, প্রায় ২ বছর যাবত উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই। এছাড়াও বেশ কয়েকটি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে আহবায়ক কমিটি দিয়ে চলছে কয়েকটি কমিটি।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদক চোলাচালান, মোটর সাইকেলের বৈধ কাগজপত্র না থাকাসহ বিভিন্ন অপরাধ মুলক কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে আখাউড়া থানা পুলিশ।
আজ ২৯ মার্চ বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত আখাউড়া-সুলতানপুর সড়কের খড়মপুর এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। এসময় গাড়ির লাইসেন্স, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও হেলমেট না থাকায় এবং মোটর সাইকেলে দুয়ের অধিক আরোহী থাকায় ২০টি মামলায় ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদক সেবীরা এ সড়ক ব্যবহার করে আখাউড়া সীমান্তে আসে। মাদক সেবনসহ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বাইপাস সড়কে চেকপোষ্ট বসিয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। বুধবার সকাল থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত অভিযান চলাকালে মোটর সাইকেলের কাগজপত্র যাচাই বাছাই করা হয়। এসময় বিভিন্ন বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ২০টি মামলায় ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলামের নেতৃত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সার্জেন্ট ফজলে রাব্বি, সাব ইন্সপেক্টর মোবারক আলম, সাব ইন্সপেক্টর মোবারক আলী সাব ইন্সপেক্টর মোঃ আলমগীর, এএসআই উৎপল, এএসআই রনি বরুয়াসহ পুলিশ সদস্যরা।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, মাদক ব্যবসায়ী এবং অপরাধীরা যাতে এ সড়ক ব্যবহার করে মাদক চোলাচালান না করতে পারে এজন্য পুলিশ চেকপোষ্টে অভিযান পরিচালিত করছি। আখাউড়াকে মাদকমুক্ত করার জন্য আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে আখাউড়ায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা করে এক মুরগী ব্যবসায়ী ও তিন মুদি দোকানিকে ছয় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আজ ২৮ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার পৌর শহরের সড়ক বাজারে অভিযান পরিচালনা করে এসব জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিদপ্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা স্যানিটারি ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলামসহ থানা পুলিশের একটি দল।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিদপ্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান বলেন, পণ্যের সঠিক মূল্য তালিকা দোকানে প্রদর্শন না করা ও ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ দেখাতে না পরায় তাদের সতর্কতামূলক এ জরিমানা করা হয়েছে। ভোক্তা বিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলায় খেলাঘর আসরের নববন্ধন খেলাঘর আসরের প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সম্মেলন উদ্বোধন করেন খেলাঘর আসর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত।
শিক্ষক অলক কুমার চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, খেলাঘর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারন সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জুয়েলুর রহমান।
সম্মেলনে শিশুদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, প্রান্তিকা সাহা, হুমায়রা লাবিবা খুশবু ও রুদ্রজিৎ পাল। তাদের বক্তব্যে অচিরেই আখাউড়াতে একটি আঞ্চলিক ক্যাম্প করার দাবি জানানো হয়। এ দাবির প্রতি সমর্থন জানান প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিরা। আলোচনা শেষে ২১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কমিটিতে দৈনিক কালের কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ পাল বাবুকে সভাপতি, দৈনিক ভোরের কাগজের আখাউড়া প্রতিনিধি জুটন বনিককে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়।
কমিটিতে সহ-সভাপতি কাজী স্বপ্না সিফাত, পরিমল সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান খান, আশীষ সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ সঞ্জয় সাহা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ রুবেল আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক মাসুকুর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক তাহমিনা আক্তার।
কার্যকরি সদস্য হলেন, আশিষ বিশ্বাস, পলাশ সাহা, নাহিদা আহমেদ শিথিলা, বাসুদেব বিশ্বাস, শুক্লা রায়, মোঃ সাগর, প্রানেশ ঘোষ, সাজ্জাদ খান প্রান্ত, দুর্জয় বনিক, মনি দাস।