অনলাইন ডেস্ক :
আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বেশ কয়েকটি ধারা সংশোধন করে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’-এর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আজ ২৮ আগস্ট সোমবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। মন্ত্রিপরিষদসচিব মাহবুব হোসেন ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানাবেন।
এর আগে গত ৭ আগস্ট ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ পরিবর্তনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এরপর আইনটি ‘ভেটিং’ তথা যাচাই ও মতামতের জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সেখানে যাচাই ও মতামতের পর এটির চূড়ান্ত অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা।
চলারপথে ডেস্ক :
২০২৩ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার রুটিন প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে এ পরীক্ষা শুরু হবে। চলবে ২৩ মে পর্যন্ত। আজ ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রকাশিত রুটিনে দেখা গেছে, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ২০২৩ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শুরুর দিন অর্থাৎ ৩০ এপ্রিল বাংলা ১ম পত্র, ২ মে বাংলা ২য় পত্র, ৩ মে ইংরেজি ১ম পত্র, ৭ মে ইংরেজি ২য় পত্র, ৯ মে গণিত, ১০ মে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ১১ মে ধর্ম শিক্ষার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া ১৪ মে পদার্থ বিজ্ঞান, ১৫ মে গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, ১৬ মে রসায়ন, ১৭ মে ভূগোল ও পরিবেশ, ১৮ মে জীববিজ্ঞান, ২১ মে বিজ্ঞান, ২২ মে হিসাববিজ্ঞান ও ২৩ মে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সব বিষয়েই নেওয়া হবে। প্রতি বিষয়ে স্বাভাবিক সময় বা তিন ঘণ্টা পরীক্ষা হবে। সৃজনশীল এবং নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন (এমসিকিউ) থাকবে আগের মতোই।
পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবেন। কেন্দ্র সচিব ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।
কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিজ স্কুলে হবে না। পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে।
এর আগে গত প্রায় এক দশক ধরে এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারি আর এইচএসসি এপ্রিল মাসে নেওয়া হচ্ছিল। করোনা পরিস্থিতিতে গত দুই বছর এই সূচি লন্ডভন্ড হয়ে যায়। পাশাপাশি সিলেবাসও কাটছাঁট করতে হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের কুখ্যাত আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রাজধানীর কচুক্ষেত, আগারগাঁও এবং উত্তরা এলাকায় আজ ১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার তিনটি গোপন কারাগার পরিদর্শন করেন ড. ইউনূস। যেগুলো শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় টর্চার সেল এবং গোপন বন্দিশালা হিসেবে ব্যবহার হতো।
পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টার সাথে ছিলেন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম, গুম তদন্ত কমিশন ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরাসহ আয়নাঘরে গুম হওয়া ভুক্তভোগীরা। পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টাসহ উপস্থিত প্রতিনিধিরা সেখানে ইলেকট্রিক চেয়ারসহ নির্যাতনের জন্য ব্যবহৃত উপকরণ দেখতে পান। ভুক্তভোগীরা তাদের নির্যাতনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। এর আগে ১৯ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন, প্রধান উপদেষ্টার সাথে একটি বৈঠক করেছে। সে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে গুমের ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানানো হয়। আর তখন বন্দিদের সেখানে রাখা হতো তা জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল বা আয়নাঘর নামে পরিচিত।
শেখ হাসিনার সময়কার এসব টর্চার সেল এবং গোপন কারাগার আয়নাঘর নামে পরিচিত।
কমিশনের সদস্যদের আহ্বানেই ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহৃত তিনটি গোপন বন্দিশালা আজ পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা গোপন বন্দিশালা পরিদর্শনের সময় তাঁর সাথে ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
চলারপথে রিপোর্ট :
বঙ্গোপসাগরে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ১৭০ মণ ইলিশ। এসব মাছ পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরের মিথুন এন্টারপ্রাইজ নামের একটি মৎস্য আড়তে নিয়ে আসা হয়। পরে ৫৪ লাখ ৫৪ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হয় মাছগুলো।
জেলে আবুল খায়ের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগতি এলাকায়। এ মৌসুমে জেলেদের জালে ধরা পড়া এটাই হলো সবচেয়ে বেশি পরিমাণের ইলিশ মাছ, এমটাই জানিয়েছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
জেলে আবুল খায়ের বলেন, ধার দেনা করে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে প্রায় এক সপ্তাহ আগে লক্ষীপুর থেকে ‘এফবি রিভার মেড’ নামের একটি ট্রলারে ১৭ জন জেলেসহ সাগরে যান। গভীর সাগরে দিনে দু’বার করে জাল ফেলার পর তার জালে ১৭০ মণ ইলিশ ধরা পরে। জালে প্রচুরসংখ্যক ইলিশ পাওয়ায় আবুল খায়ের এখন দারুণ খুশি।
মিথুন এন্টার প্রাইজের সত্ত্বাধিকারী মিথুন মিয়া জানান, শনিবার বিকালে তিনি ইলিশ বোঝই ট্রলার নিয়ে ঘাটে আসেন। এসব মাছ আকারভেদে প্রতি মণ ৪৮ হাজার, ৪২ হাজার, ৩৩ হাজার, ২৭ হাজার ও ১৫ হাজার টাকা করে নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। গত দুই বছরের মধ্যে আমার আড়তে এই জেলেই গতকাল সবচেয়ে বেশি ইলিশ নিয়ে এসেছেন।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, এবছর জেলে আবুল খায়ের সবেচেয় বেশি পরিমাণ ইলিশ পেয়েছেন। আমরা আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে অন্যান্য জেলের জালেও বড় সাইজের বেশি পরিমান ইলিশ ধরা পড়বে।
অনলাইন ডেস্ক :
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোকে জঙ্গিবাদী কাজ হিসেবে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জামায়াত-শিবির, বিএনপির জঙ্গিরা আজকে আমাদের ওপর থাবা দিয়েছে।’
২৯ জুলাই সোমবার বিকালে গণভবনে ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখানে ওই শিবির, ছাত্রদল, বিএনপি-জামায়াত; এরাই কিন্তু এবং জঙ্গি… এই জঙ্গিরাই কিন্তু আজকে আমাদের ওপর থাবা দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যে ঘটনাগুলো ঘটছে, আসলে এটা কোনো রাজনৈতিক কিছু না। এটা সম্পূর্ণ জঙ্গিবাদী কাজ। একেবারে জঙ্গিবাদী কাজ।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এদের উদ্দেশ্যটা এখন বোঝা যাচ্ছে যে, কোটা কোনো ইস্যু না। একে একে যে কয়টা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের সেবা দেয়, যে কয়টা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নত করে, সেটাই ধ্বংস করা। অর্থাৎ বাংলাদেশটাকেই যেন ধ্বংস করে ফেলা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে উন্নয়ন হয়েছে, উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশ আজকে বিশ্বব্যাপী একটা মর্যাদার আসন পেয়ে গেছে। বাংলাদেশের নাম শুনলে সবাই সমীহ করে চলে। সবাই সম্মানের চোখে দেখে। একটা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশকে আমরা তুলে আনতে সক্ষম হয়েছি, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে, অবকাঠামোগত উন্নয়নের মধ্য দিয়ে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের উদ্দেশ্যে ভারতের ঝাড়খণ্ডে আদানি গ্রুপ এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিট থেকেও এখন বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিদ্যুৎ বিভাগের নীতি ও গবেষণা শাখা পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন। তিনি বলেন, ‘রাত থেকে আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিট বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করেছে।
এখন থেকে আমরা আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের পুরো সক্ষমতার বিদ্যুৎ পাব।’
আদানির বিদ্যুতের দরের বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, ‘আমাদের কয়লাভিত্তিক পায়রা ও রামপাল থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের মতোই আদানির বিদ্যুতের খরচ পড়ছে।’
আজ ২৬ জুন সোমবার মুম্বাই স্টক এক্সচেঞ্জের জন্য দেওয়া এক বিবৃতিতে আদানি পাওয়ার জানিয়েছে, পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শেষে গতকাল ২৫ জুন রবিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় আদানি পাওয়ারের দ্বিতীয় ইউনিট বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করেছে। আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রটি এখন পূর্ণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে।
বাংলাদেশ প্রয়োজন অনুযায়ী সেখান থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করতে পারবে।
প্রথম ইউনিট থেকে ৬ এপ্রিল রাতে বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশে আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। প্রথম ইউনিট থেকে গড়ে ৭২০-৭৫০ মেগাওয়াট সরবরাহ করা হচ্ছিল।
আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রটির সক্ষমতা ১৬০০ মেগাওয়াট থাকলেও বিপিডিবির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী কেন্দ্রটি থেকে ১৪৫৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
গোড্ডা থেকে ভারতীয় অংশে প্রায় ১০৬ কিলোমিটারের ডেডিকেটেড ট্রান্সমিশন লাইনের মাধ্যমে আদানির বিদ্যুৎ দেশে আসছে।