অনলাইন ডেস্ক :
আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বেশ কয়েকটি ধারা সংশোধন করে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’-এর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আজ ২৮ আগস্ট সোমবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। মন্ত্রিপরিষদসচিব মাহবুব হোসেন ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানাবেন।
এর আগে গত ৭ আগস্ট ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ পরিবর্তনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এরপর আইনটি ‘ভেটিং’ তথা যাচাই ও মতামতের জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সেখানে যাচাই ও মতামতের পর এটির চূড়ান্ত অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা।
অনলাইন ডেস্ক :
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেছেন, আন্দোলনের নামে গুহা থেকে বের হয়ে অনলাইনে চেহারা দেখিয়ে বিএনপির কর্মসূচির নামে গাড়ি পোড়ানো, আগুনসন্ত্রাস চালানো, মানুষের ওপর বোমা নিক্ষেপের কর্মসূচি ঘোষণা করা হচ্ছে। এগুলো কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি হতে পারে না। আগুনসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দয়া করে আপনারা কলম ধরুন, কথা বলুন।
আজ ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশের নামে ৩২ জন সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। একজন সাংবাদিককে টানাহেঁচড়া করে মাটিতে ফেলে তাকে পেটানো হয়েছে। এর মধ্যে ২০ জনের বেশি হচ্ছে বিএনপি বিটের সাংবাদিক। তাদের তারা চেনেন তারপরও মেরেছেন। বাংলাদেশে একদিনে এত সাংবাদিককে আহত করা আগে কখনো ঘটেনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, শুধু তাই নয়, তারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন খুলনার হুমায়ুন কবীর বালু, মানিক সাহা, যশোরের সাইফুল ইসলাম মুকুল, শামসুর রহমানসহ সাত বছরে ১৪ জন সাংবাদিককে খুলনা, যশোর এলাকাতেই হত্যা করেছে। সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি-জামায়াতের কেন জানি ক্ষোভ এবং তারা যখনই ক্ষমতায় ছিল সাংবাদিকদের হত্যা করেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বলেছিল, জোটের সমর্থন নিয়ে তারা দুর্বার আন্দোলনের চেষ্টা করছে, নির্বাচনকে ঠেকিয়ে দেবে। অথচ যারা তাদের বাতাস দিয়েছিল তাদেরও বাতাস ফুরিয়ে গেছে আর গতকালই তাদের ১২ দলীয় জোট থেকে তিনটি নিবন্ধিত দলসহ ছয়টি দল বের হয়ে গেছে। জোটের শরিকরাও পালিয়ে যাচ্ছেন আর নির্বাচনে অংশ না করার ঘোষণা দিয়েছেন। আমার শঙ্কা, যেভাবে তৃণমূল বিএনপি আগাচ্ছে তাতে বিএনপি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।
বিএনপি অফিস তালাবদ্ধ প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, এই তালা প্রশাসন দেয়নি, ওরাই তালা মেরে চলে গেছে। একটা তালা খোলার মানুষ নেই তাদের। একটা তালা খুলে ওখানে বসার সাহসটাও তারা হারিয়ে ফেলেছেন, তারা কীভাবে রাজনীতি করেন! আর বিএনপি আমাদের অফিসে তালা দিয়েছিল, আমি ছিলাম সেখানে, আমরা তালা ভেঙে ঢুকেছি।
যথাসময়ে উৎসাহ, উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, আসুন সবাই মিলে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাই। এই অগ্নিসন্ত্রাস-নৈরাজ্যের হাত থেকে দেশটাকে রক্ষা করি, আমাদের সরকার এই আগুনসন্ত্রাসী নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী দেশবিরোধী অপশক্তিকে নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর।
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সাংবাদিকবান্ধব, এই ট্রাস্ট তার অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সাংবাদিকদের একটি ভরসার স্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনাকালে এককালীন সহায়তা হিসাবে ১০ হাজারের বেশি সাংবাদিককে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এজন্য ১০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছেন।
মন্ত্রী ও অতিথিরা এদিন ১৮৬ জন সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের হাতে এক কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করেন।
এর আগে তথ্য ভবন কমপ্লেক্সে পুরাতন ডিএফপি ভবনের দোতলায় সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের নতুন অফিস উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নিজামূল কবীর, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়া, ট্রাস্টের পরিচালক মিয়া মুহম্মদ মনিরুল কবীর প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) শতভাগ বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর/সংস্থার প্রধানদের উদ্দেশ্য করে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক/দপ্তর সংস্থার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয় এমন কাজ করতে হবে। নিজের দক্ষতা, বুদ্ধিমত্তা, আন্তরিকতা ও দেশপ্রেমের সাথে কাজ করতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণে অহেতুক বিলম্ব করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়নের অগ্রগতি জাতীয় গড় থেকে বেশি হলেও তা যথেষ্ট সন্তোষজনক নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। আগামী ৩০ জুনের আগেই প্রত্যেক দপ্তর/সংস্থার এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি সম্মানজনক পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন মন্ত্রী।
সভাপতির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের আরও আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন।
সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও এর অধীন সকল দপ্তর/সংস্থার চলমান প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি (ভৌত ও আর্থিক) তুলে ধরে প্রকল্প বাস্তবায়নে বিদ্যমান সমস্যা ও চ্যালেঞ্জসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য মন্ত্রী প্রকল্প পরিচালক ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
উল্লেখ্য যে, চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৩০.২৮%। গতবছর একই সময়ে এই অগ্রগতির হার ছিল ৩৮.১০%। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন অগ্রগতি ২৭. ১১%।
সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজি ওয়াছি উদ্দিন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান মিয়া পিএএ, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আজমত উল্লাহ খান, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এর অধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার প্রধানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
খুলনায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। আজ ২ আগস্ট শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোজাম্মেল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংঘর্ষে নিহত পুলিশ সদস্যের নাম সুমন। তিনি পুলিশ লাইনসে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে।
মোজাম্মেল হক বলেন, ‘পুলিশ সর্বোচ্চ ধৈয্যের পরিচয় দিয়েছে। অথচ আমার এক ভাইকে পিটিয়ে মেরে ফেলল।’ সংঘর্ষে আরো ২০ জন পুলিশ সদস্য আহত আছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে আজ ২ আগস্ট শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনার জিরো পয়েন্ট, গল্লামারী মোড় এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের এ সংঘর্ষ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীরা জানান, আজ ২ আগস্ট শুক্রবার দুপুর ২টায় খুলনা নিউ মার্কেট এলাকা থেকে বৃষ্টি ও পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আন্দোলনকারীরা গণমিছিল শুরু করেন। মিছিলটি বিকেল ৩টার দিকে শান্তিপূর্ণভাবে গল্লামারী মোড়ে পৌঁছায়। সেখানে বিপরীত দিক জিরো পয়েন্টের দিক থেকে পুলিশ মিছিল লক্ষ্য করে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দেয়। পরে বিপুলসংখ্যক আন্দোলনকারী মিছিল নিয়ে এগিয়ে গেলে পুলিশ ধীরে ধীরে পিছু হটে যায়। এ সময় জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
বিকেল ৪টার দিকে পুলিশ সেখান থেকে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দ্বিতীয় দফা সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শিববাড়ী মোড়ের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় গল্লামারী মোড়ে আবার সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ চলাকালে নগরীর গল্লমারী এলাকায় একটি পুলিশ ভ্যানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আব্দুল কাদের চিতই পিঠা বিক্রি করে মাসে আয় করেন লাখ টাকা। পিঠা বিক্রি শুরু করেন রিক্সা চালানো বাদ দিয়ে। প্রতিমাসে লাখ টাকা আয় করে হয়ে যান সফল উদ্যোক্তা। স্বামী-স্ত্রী দুইজন মিলে পিঠা বিক্রি করে তিনি এখন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। একসাথে তিনি সাতটি চুলায় পিঠা তৈরি করেন, পিঠা বানানোর কৌশল দেথে মুগ্ধ লোকজন।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পুটাইল ইউনিয়নের গোকুল নগর গ্রামের ওসমান গনির হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান আব্দুল কাদের। রিক্সা চালিয়ে অতিকষ্টে চলতো তার সংসার। এক পিঠা বিক্রেতার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে ২০১২ সালে স্ত্রী রুবি আক্তারকে সাথে নিয়ে শুরু করেন পিঠা বিক্রি । মানিকগঞ্জ বাজারের উত্তর পারে রাস্তার পাশে বসে তিনি পিঠা বিক্রি করেন। শুরুতে একটু কমহলেও এখন মাসে আয় করেন লক্ষ টাকা।
আব্দুল কাদের জানান, প্রতিদিন ৯০০-১০০০ পিঠা বিক্রি হয়। প্রতিটি পিঠা দশ টাকা দরে বিক্রি হয়। প্রতি পিঠায় কমপক্ষে লাভ হয় তিন টাকার মতো। কাদের পিঠা বিক্রি করেই নউখন্ডা এলাকায় সাড়ে পাঁচ শতক জমি ক্রয় করে নির্মাণ করেছেন বাড়ি। তিনি দুই কন্যা সন্তানের জনক। তারা স্কুলে লেখাপড়া করে। ভেজাল মুক্ত পিঠার সাথে দেয়া হয় ধনেপাতা, সরিষাবাটা, শুটকি ভর্তাসহ বিভিন্ন ভর্তা। বিভিন্ন ভর্তা দিয়ে মজাদার এই চিতই পিঠা খেতে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোক ভিড় করেন আব্দুল কাদেরের দোকানে। বিকেল ৩টা থেকে রাত ১২টা নাগাদ বিক্রি হয় এই পিঠা। রাতেই বিক্রি বেশি হয়। পিঠা খেতে হয় সিরিয়াল ধরে। গরম গরম পিঠা দোকানে বসে খাওয়া শেষে পরিবারের জন্যও অনেকে নিয়ে যায়। দেখা যায়, পিঠার জন্য লোকজন অপেক্ষা করছেন। কেউ আবার বসে খাচ্ছেন, কেউ বা বসার জায়গা না পেয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই সাবার করছে পিঠা।
আব্দুল কাদের ছাড়াও আজিজুল হক, ফরমান আলীসহ জেলায় শতাধিক লোক চিতই পিঠা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। কেউ কেউ ভাপা পিঠাও বিক্রি করেন। আসল খেজুরের গুড় সংকট হওয়ায় ভাপা পিঠার কদর খুব বেশী নেই। শহরের রিজার্ভ ট্যাংকের পাশে বসে আজিজুলও প্রতিদিন পাঁচশত পিঠা বিক্রি করেন বলে জানান। আজিজুলও মাসে আয় করে থাকেন চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা। জেলায় শতাধিক লোক পিঠা বিক্রির সাথে জড়িত। জানা যায়, তারা প্রতিজন ৫ থেকে ৬শত পিঠা বিক্রি করে থাকেন। তাদের দেয়া তথ্য মতে জেলায় প্রতিদিন প্রায় ৫ লক্ষ টাকার চেতই পিঠা বিক্রি হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কোনো মামলা নয় জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অগ্নিসন্ত্রাস, অস্ত্রপাচার, গ্রেনেড হামলাসহ বিভিন্ন অপরাধের মামলা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তারা অপরাধ করেছে, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার সকালে গণভবনে কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, আজকে (বিএনপি) সব জায়গায় কান্নাকাটি, বলছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা। তাদের জিজ্ঞেস করতে হবে মামলাগুলো কীসের মামলা? …অগ্নিসন্ত্রাস, অস্ত্রপাচার, গ্রেনেড হামলাসহ বিভিন্ন অপরাধের মামলা। তারা অপরাধ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেটাই তো বাস্তবতা।
তিনি বলেন, তারা তিন হাজার ৮০০ গাড়ি পুড়িয়েছে, বাস, লঞ্চ, রেল পুড়িয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে না তো কী হবে? ওদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা তো পলিটিক্যাল (রাজনৈতিক) মামলা না, প্রত্যেকটা মামলা হচ্ছে অগ্নিসন্ত্রাসের মামলা, তারা মানুষ হত্যা করেছে আগুন দিয়ে, ২৮ অক্টোবর যে ঘটনা তারা ঘটালো, নির্বাচন ঠেকাতে গিয়ে রেলে আগুন দিয়ে মা-শিশুকে পুড়িয়ে মেরেছে, যারা এগুলো করলো তাদের বিরুদ্ধে কি মামলা হবে না? তাদের কি মানুষ পূজা করবে?
এসব মামলার বিচারকাজ আরও দ্রুত শেষ করে জড়িতদের শাস্তি দিয়ে দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ প্রতিশোধপরায়ণ নয় বিধায় বিএনপি এখনো কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের ভাগ্য ভালো আমরা ক্ষমতায় আছি, আমরা তাদের মতো প্রতিশোধপরায়ণ না দেখে তারা এখনো কথা বলার সুযোগ পায়। তারা সারাদিন কথা বলে মাইক লাগিয়ে, তারপর বলবে কথা বলার সুযোগ পায় না।
বিরোধী দলে থাকার সময়কার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অফিসে তো আমরা ঢুকতেই পারতাম না। কীভাবে তারা অত্যাচার করেছে আমাদের ওপর, আমরা তো তার কিছুই করিনি। আমরা প্রতিশোধ নিতে ব্যস্ত থাাকিনি। আমরা আমাদের সব শক্তি-মেধা কাজে লাগিয়েছি দেশের উন্নয়নে, দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে।
সারাদেশের জেলের সব অপরাধীই বিএনপির দলীয় কি না, এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, তারা (বিএনপি) যেভাবে বলছে ৬০ লাখ লোক তাদের গ্রেপ্তার, ৬০ লাখ তো আমাদের জেলের ধারণক্ষমতাও নেই। তারপরও যতটুকু ধারণক্ষমতা আছে, সবই বিএনপির লোক- এটাই তো তারা বলতে চাচ্ছে। তার মানে বাংলাদেশে যত অপরাধ সব অপরাধ করে বিএনপি।
তিনি বলেন, কান্নাকাটি করে সব জায়গায় বলছে এত লক্ষ লোক তাদের গ্রেপ্তার। আমাদের সারা দেশে যত জেলখানা আছে সেখানে যে ধারণক্ষমতা, তারা যত লক্ষ গ্রেপ্তার বলছে, সব লোক যদি তাদের ধরা থাকে, তাহলে তো জেলে অন্য কোনো অপরাধী আর নেই। যত অপরাধী আছে জেলে, সব অপরাধীই বিএনপির। সেখানে চুরি, ডাকাতিসহ যা আছে, ওদের হিসেবে সব অপরাধী হচ্ছে বিএনপির। ওরাই সব, এটাই তো বলতে চাচ্ছে।
বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচারের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আজকে তারা চিৎকার করে তাদের ওপর অত্যাচার… কী অত্যাচার হচ্ছে তাদের ওপর? তারা যে অত্যাচার করেছে, সেই জিয়াউর রহমানের ক্ষমতায় আসার পর থেকে আওয়ামী লীগের ওপর অত্যাচারের যে স্টিম রোলার চালিয়েছিল, যেভাবে হত্যা করেছিল, খালেদা জিয়া আসার পরে ২০০১ সালের নির্বাচনের পর কোনো আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ঘরে থাকতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, ধরে নিয়ে যেভাবে অত্যাচার এবং আমাদের কতগুলো নেতাকে মেরে ফেলে দিল, আহসান উল্লাহ মাস্টার থেকে শুরু করে আমাদের বহু নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। …ওরা শুধু আওয়ামী লীগ নয়, ওরা মানুষের ওপর যেভাবে অত্যাচার করেছে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু।
১৯৭২ সালের এই দিনে (১৯ এপ্রিল) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।