চলারপথে রিপোর্ট :
‘বাড়িতে প্রসবকে না বলি, প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবসেবা নিশ্চিত করি’ এই প্রতিপাদ্য তুলে ধরে প্রাতিষ্ঠানিক নিরাপদ প্রসব সেবা নিশ্চিত ও শূন্য বাড়িতে প্রসব সেবার ওপর জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় বউ-শাশুড়ির মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৩০ আগস্ট বুধবার আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা কইকা এর অর্থায়নে এবং সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় এসকেএস ফাউণ্ডেশন কর্তৃক বাস্তবায়িত মমতা প্রকল্পের আয়োজনে উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের মাঠে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় প্রায় শতাধিক গর্ভবতী মা, তাদের শাশুড়ি ও স্বামীসহ স্থানীয় জনগণ ও বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা মেলায় অংশগ্রহণ করেন।
এতে গর্ভকালীন, প্রসবকালীন ও প্রসব পরবর্তী সেবা যত্ন সম্পর্কে সচেতনতার উপরে আলোচনা, বিতর্ক, কুইজসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় এবং পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
ভরতখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপন। আরও বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক প্রসেনজিৎ প্রনয় মিশ্র, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ জাকিরুল ইসলাম, সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি ডাঃ শামীমা বিলকিস, এসকেএস ফাউণ্ডেশন এর উপ-পরিচলক খন্দকার জাহিদ সরওয়ার, মমতা প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারি শাহ মোঃ হারুন অর রশিদ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
মেলায় ৩টি স্টল ও ১টি প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রকল্পের কার্যক্রম এবং গর্ভবতী মা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবসেবা সংক্রান্ত বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা হয়।
আলোচনা সভায় অতিথিরা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে সাঘাটা উপজেলায় শূন্য বাড়িতে প্রসবকে নিশ্চিতকরণে মমতা প্রকল্পের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।
আজকের এই ব্যতিক্রমধর্মী মেলাটি প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবসেবায় জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে সাঘাটা উপজেলায় মা ও শিশু মৃত্যুহার হ্রাসের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
চলারপথে ডেস্ক :
কোভিড-১৯ মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দেশবাসীকে বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। বিশ্বব্যাপী প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ সবকিছুর মূল্যবৃদ্ধি আকাশচুম্বী হয়েছে ও যুদ্ধ কখন থামবে তা নিশ্চিত নয়।
আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার নিজ কার্যালয়ে বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭৪তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের উৎপাদন বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি অবস্থা মোকাবিলা করতে।
নতুন কর্মকর্তাদের দেশ ও জনগণের কল্যাণে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের মনে রাখতে হবে যে আমাদের সবসময় সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে। আমি চাই নতুন কর্মকর্তারা দেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করতে তাদের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তিকে আরও কার্যকরভাবে কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
১৪ বছর আগের বাংলাদেশের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৪ বছরে দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের একমাত্র লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করে দেশবাসীর জন্য উন্নত ও সুন্দর জীবন নিশ্চিত করা।
নতুন বিসিএস ক্যাডারদের ২০৪১ সালের সৈনিক হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট দেশ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। আজকের কর্মকর্তারাই হবে আগামী দিনের সৈনিক।
তিনি বলেন, সরকারের প্রণীত ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নের জন্য আপনাদের কাজ করতে হবে। সরকার এরই মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করার জন্য এটির বাস্তবায়ন শুরু করেছে। আপনাদের মনে রাখতে হবে যে আমাদের সবসময় সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ একসময় বিদেশি দেশগুলোর কাছে অবহেলিত ছিল। বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্ব মঞ্চে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
সামরিক সরকার এলে দুর্নীতি বাড়ে মন্তব্য করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জনগণের কাছে তাদের (সামরিক সরকার) জবাবদিহি করতে হয় না। আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত, তাই আমরা কাজ করছি জনকল্যাণে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা শুদ্ধাচার নীতি নিয়েছি।
সরকারপ্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য সামনে নিয়েই আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনা করছে। তিনি (বঙ্গবন্ধু) নিজেকে জনগণের সেবক মনে করতেন। কিন্তু অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীরা ক্ষমতায় এসে সব ধ্বংস করে দেয়। সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
ভোটের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তন হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যারা অগ্নিসন্ত্রাস করে নির্বাচন বানচাল করতে চাইবে, তাদের পরিণতি ভালো হবে না।
আজ ১৮ নভেম্বর শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যে সমস্ত দল নির্বাচনে আসার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের সাধুবাদ জানাই, ধন্যবাদ জানাই। আর যাদের মানুষের ওপর আস্থা নেই, বিশ্বাস নেই, দল হিসেবে সুসংগঠিত না, তারাই নির্বাচন বানচালের একটা চেষ্টা করে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশবাসী ভোট দিয়ে তাদের প্রিয় মানুষকে নির্বাচিত করবে। যারা সংসদে বসবে, আইন পাস করবে, রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। কাজে এটা হচ্ছে জনগণের অধিকার। জনগণের অধিকার যারা কাটতে চেষ্টা করবে, জনগণের অধিকার যারা কেড়ে নিতে অগ্নিসন্ত্রাস করবে, জনগণই তাদের প্রতিরোধ করবে। আমি জনগণের কাছে সেই আহ্বানটাই জানাই।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এমন একটি সংগঠন, যে সংগঠনের জন্ম হয়েছিল দুঃখী মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের কথা চিন্তা করে। শোষিত-বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য, ১৯৪৯ সালে এই সংগঠনের জন্ম। জন্মলগ্ন থেকে আওয়ামী লীগ তার গঠনতন্ত্র মেনে চলে, দেশের সংবিধান মেনে চলে, প্রতিটি কাজ অত্যন্ত সুচারুভাবে করে।
তিনি বলেন, আজ যারা পার্টি থেকে প্রার্থী হবেন তারা এখান থেকে ফরম সংগ্রহ করবেন। তাদের জন্য আমরা আট বিভাগের দশটি বুথ তৈরি করে দিয়েছি। জাতীয় সংসদ সদস্যদের যে নম্বর থাকে বা সিরিয়াল থাকে, সেই সিরিয়াল অনুযায়ী ফরমগুলো সাজানো হবে। এভাবে প্রসেস করে মনোনয়ন বোর্ডে সেগুলো উপস্থাপন করা হবে। সংসদীয় বোর্ডের মাধ্যমে প্রার্থীর যোগ্যতা দেখে, তাদের জনপ্রিয়তা দেখে, তাদের কার্যক্রম বিবেচনা করে আমরা মনোনয়ন দিয়ে থাকি। আওয়ামী লীগ সব সময় সুসংগঠিতভাবে কাজ করে থাকে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৩-১৪ সালে আমরা দেখেছি নির্বাচন ঠেকানোর নামে বহু মানুষকে অগ্নিসন্ত্রাস করে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এটা কোন ধরনের রাজনীতি? আমরা চাই জনগণের ভোটের অধিকার অব্যাহত থাকবে। ভোটের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তন হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতাকে হত্যা করার পর আমরা দেখেছি রাতের অন্ধকারে বন্দুক নিয়ে ক্ষমতা দখলের পালা চলছিল। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে, বৈধতা দেওয়ার জন্য জনগণের ভোট নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমরা সংগ্রাম করেছি, আন্দোলন করেছি, আমাদের বহু নেতা কর্মী জীবন দিয়েছে, নির্যাতিত হয়েছে। কিন্তু আমরা জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত একটা গণতন্ত্রের অব্যাহত আছে বলে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নতি হয়েছে।
চলারপথে ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ ও সেখানকার শরণার্থীরা বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সংকট থেকে মনোযোগ সরিয়ে বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, যা পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলেছে।
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ (ইউক্রেনে) পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলেছে। পুরো ফোকাস (দৃষ্টি) এখন যুদ্ধ এবং ইউক্রেন থেকে আসা শরণার্থীদের দিকে।’
কাতারের দোহায় স্বল্পোন্নত দেশসমূহের পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলনের (এলডিসি ৫) ফাঁকে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিস্থিতি এবং সেখানে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎসহ বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আজ ৮ মার্চ বুধবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সম্মেলনে যোগ দিতে গত ৪ মার্চ কাতারে পৌঁছান শেখ হাসিনা এবং আজ বিকেলে তিনি ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। সূত্র : বাসস
প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎকারে বলেন, ঢাকা সমস্যা সমাধানে আলোচনায় নিয়োজিত থাকলেও মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের দেশে ফেরানোর ব্যাপারে ইতিবাচক নয়।
আল জাজিরার সাংবাদিক নিক ক্লার্ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেন। সাক্ষাৎকারের একটি সংক্ষিপ্ত অংশ ইতোমধ্যেই সম্প্রচার করা হয়েছে এবং পূর্ণাঙ্গ অংশটি আল জাজিরাতে আগামী ১১ মার্চ শনিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে সম্প্রচার করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে মিয়ানমারে নিপীড়ন, হত্যা ও ধর্ষণের শিকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে।
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড এবং পরিস্থিতির উন্নতির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারে যখন রোহিঙ্গা নিপীড়ন শুরু হয়, রোহিঙ্গারা নির্যাতন, হত্যা ও ধর্ষণের শিকার হয় তখন আমরা তাদের জন্য দুঃখ অনুভব করেছি। এরপর আমরা সীমান্ত খুলে দিয়েছি, আমরা তাদের আসতে দিয়েছি। এছাড়াও, আমরা মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের সকলের জন্য আশ্রয় ও চিকিৎসা দেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাশাপাশি আমরা মিয়ানমারের সঙ্গেও কথা বলতে শুরু করি। আমরা তাদের বলি, আপনারা তাদেরকে (রোহিঙ্গা) ফিরিয়ে নিন। দুর্ভাগ্যক্রমে তারা ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে না। রোহিঙ্গাদের নিজেদের দেশে ফিরে যেতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। কিন্তু এটা সত্যিই খুব কঠিন। আমরা তাদের জন্য আলাদা জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করেছি। ভাসান চর একটি ভালো জায়গা, থাকার জন্য ভালো জায়গা… আমরা সেখানে শিশুদের জন্য ভালো থাকার ব্যবস্থা এবং চমৎকার সুবিধার ব্যবস্থা করেছি।’
রোহিঙ্গা শিবিরে জীবনযাত্রার পরিস্থিতি এবং আগুনে ১২ হাজারের বেশি রোহিঙ্গার আশ্রয় হারানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আসলে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। তারা (রোহিঙ্গারা) একে অপরের সাথে লড়াইরত। তারা মাদক, অস্ত্র ও মানব পাচারসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে জড়িত। তারা নিজেদের মধ্যে সংঘাতে লিপ্ত রয়েছে।’
অনলাইন ডেস্ক :
বান্দরবানের রুমায় পাহাড়ি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণ ও অতর্কিত গুলিবর্ষণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুজন সৈনিক নিহত ও দুই কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
আজ ১৭ মে বুধবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার বান্দরবানের রুমা উপজেলার অন্তর্গত সুংসুংপাড়া সেনা ক্যাম্পের আওতাধীন জারুলছড়িপাড়া নামক স্থানে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আস্তানার খবর পাওয়া যায়। এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সুংসুংপাড়া আর্মি ক্যাম্প থেকে মেজর মনোয়ারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি টহল দল দ্রুততার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্থানে অভিযানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
টহল দলটি জারুলছড়িপাড়ার কাছে পানির ছড়ার কাছাকাছি পৌঁছালে মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটের দিকে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) সন্ত্রাসীদের ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণ ও অতর্কিত গুলিবর্ষণের মুখে পড়ে। এতে দুজন অফিসার ও দুজন সৈনিক আহত হন।
আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রামে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত দুই সৈনিক মারা যান। আহত দুই কর্মকর্তা বর্তমানে চট্টগ্রাম সিএমএইচে চিকিৎসাধীন।
আইএসপিআর আরো জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার গহীন অরণ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অরাজক পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
দেশমাতৃকার জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহীদ সেনা সদস্যদের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে সেনাবাহিনী প্রধান গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
৯০ জন নারীকে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে প্রত্যেককে একটি করে সেলাই মেশিন দিয়েছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক)। আজ ২৪ মে বুধবার দুপুরে নগরীর শহীদ শাহাবুদ্দিন মিলনায়তনে এসব সেলাই মেশিন তুলে দেন সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মসিক মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ভাতা, প্রশিক্ষণ, অর্থিক সহযোগিতাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সেলাই মেশিন দেয়া হলো। সেলাই মেশিন ব্যবহার করে আত্মকর্মসংস্থান ও নিজের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। তবেই আজকের এই আয়োজন স্বার্থক হয়ে উঠবে।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মসিকের প্যানেল মেয়র-৩ সামীমা আক্তার, সমাজকল্যাণ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি শীতল সরকার, সচিব মো. আরিফুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানাসহ অন্যান্য ও বিভিন্ন নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।